ঝর্না আমার আঙুলে

স্তব্ধতাকে এতটুকু জব্দ করি নি বলা যায়
আয়নায় মুখ দেখলাম ধরি নি
কাটা-ঘুড়ি হাত বাড়িয়ে
কিছুক্ষণ দু’গালে সাবান ঘ’ষে দাড়ি
কামালাম শাওয়ার খুলে পুরোনো গান
গোসল
টলটলে পানি বালতিতে চুল আঁচড়িয়ে
জানলার বাইরে তাকাই অনেক দূর থেকে-আসা
পাখি ছাদের কার্নিশে বসে
হাওয়ার ঝলক মাঝে মাঝে পাতা খসে গাছের দুপুরের
খাওয়া শেষ কত্থক নাচের
স্মৃতির রেডিওতে নজরুল গীতি
পারফিউমের ঘ্রাণ ইলেকট্রনের উড়াল
তুমি এলে না মগজে পপি ফুলের উন্মীলন
আমার হাত ক্লান্ত ঝিমোই বেলার
হুঁশ নেই আমার হাত পরিশ্রান্ত ঢেলা যেন ক্ষুৎকাতর
মানুষ ঘুমায় পাথার
অব্যক্ত অস্পষ্ট গোঙানি

উসকোখুসকো চুল গজিয়ে-ওঠা দাড়ি
ঘন ঘাস দুপুর চড়া
নাওয়া-খাওয়া নদারৎ ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজে
আমজাদী গৎ
পাশের ঘরে খুঁটিনাটি কাজের টুংটাং
ভেতরে ফিসফিস কিসের দরজার পর্দায়
মেরুন রঙ দোল খায় প্রজাপতি
ওড়ে ঘরময় চেয়ার ছেড়ে উঠি আবার বসি
বুকের ভেতর কারখানার বয়লার
ঘোরাঘুরি ক্রমাগত পর্দা সরিয়ে
হঠাৎ তুমি নুড়ি ঠেলে বেরিয়ে-আসা ঝর্না
আমার আঙুলে।।