নশ্বর

নশ্বর

কখনো কখনো মনে হয়, নীরা, তুমি আমার
জন্মদিনের চেয়েও দূরে—
তুমি পাতা-ঝরা অরণ্যে একা একা হেঁটে চলো
তোমার মসৃণ পায়ের নিচে পাতা ভাঙার শব্দ
পাহাড়
জয়ডঙ্কা বাজিয়ে তার আড়ালে ডুবে গেল সূর্য
এসবই আমার জন্মদিনের চেয়েও দূরের মনে হয়।

কখনো কখনো আকাশের দিকে তাকালে চোখে পড়ে
নক্ষত্রের মৃত্যু
মনের মধ্যে একটা শিহরন হয়
চোখ নেমে আসে ভূ-প্রকৃতির কাছে;
সেই সব মুহুর্তে, নীরা, মনে হয়
নশ্বরতার বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধে নেমে পড়ি
তোমার বাদামি মুষ্টিতে ওঁজে দিই স্বর্গের পতাকা
পৃথিবীময় ঘোষণা করে দিই, তোমার চিবুকে
ঐ অলৌকিক আলো
চিরকাল থমকে থাকবে!
তখন বহুদূর পাতা-ঝরা অরণ্যে দেখতে পাই
তোমার রহস্যময় হাসি—
তুমি জানো, সন্ধেবেলার আকাশে খেলা করে সাদা পায়রা
তারাও অন্ধকারে মুছে যায়, যেমন চোখের জ্যোতি—এবং পৃথিবীতে
এত দুঃখ
মানুষের দুঃখই শুধু তার জন্মকালও ছাড়িয়ে যায়।