একটা উত্তর দাও

একটা উত্তর দাও

প্রশ্ন করলেই তুমি প্রশ্ন ফিরিয়ে দিও না
একটা উত্তর দাও!
যা কিছু চলে যায় সবই পলিমাটি রেখে যায় না
তোমার বুক ছুঁয়ে দেহে যায় যে বাতাস, তা আমার নিশ্বাস নয়
কেনই বা তা হবে, সারাটা জীবন কি জারুল বাগানে ছেলেমানুষী?
একটা উত্তর দাও!

নর্তকীর পায়ের ব্যথার মতন একটি ব্যর্থ সন্ধ্যা
গড়িয়ে যায় ঝিম ধরা মাঝ রাত্তিরের দিকে
ফাঁকা মাঠে তালগাছের ডগায় উড়ছে চাঁদের ঝাণ্ডা
দলপতির মতন রাশভারি একটি কেঁদো ইঁদুর হঠাৎ থেমে গিয়ে
ডান পাশের নীরবতার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে
কিসের প্রতীক্ষায় কাঁপতে থাকে তার মুখের সূক্ষ্ম রোম
পোকা-মাকড়দের সংসারে চলেছে অবিরাম সুখ-দুঃখ
এই-সব-কিছুর মধ্যে শোনা যায় অবিকল একটি অজ্ঞাত শিশুর কান্না
কবিতার খাতাতেই শুধু ফুটে ওঠে এই দৃশ্য, তারপর তা বাস্তব
যেন কিছুটা মায়াজাল হেঁড়ার মতন এই অতি প্রকৃতি
অন্য কোনো ব্যাকুলতা, অন্য কোনো স্মৃতির চাতুরি।

অসংখ্য সমান্তরালের মধ্যে একটি অশ্বক্ষুর ধ্বনি
পরিকীর্ণ শূন্যতার মধ্যে দুলতে থাকে
বিদ্যুৎ-ছটায় অদৃশ্য হয়ে যায় টুকরো টুকরো অরণ্য
বেদনার দানার মতন আলো ভেঙে ভেঙে গড়িয়ে পড়ে
বয়ঃসন্ধির আঠা
সশরীর ঢেউগুলি পরস্পরকে ঝাপটা মেরে
মুহূর্তে বিমূর্ত হয়ে যায়
কেউ ডাকে, কেউ ডাকে
অসংখ্য সমান্তরালের মধ্যে দোলে অশ্বক্ষুর
একটা উত্তর দাও!