১৬. খুব দ্রুত চিন্তা

কাকাবাবু খুব দ্রুত চিন্তা করতে লাগলেন। এটা যদি ইয়েতি হয়, এটাকে মেরে ফেলা উচিত নয়। পৃথিবীর কেউ কখনও জ্যান্ত ইয়েতি ঠিকমতন দেখেনি। রহস্যময় প্রাণী হিসেবে একে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। কিন্তু কাকাবাবুর নিজের প্রাণও তো বাঁচাতে হবে। তিনি ওকে একেবারে না মেরে পায়ে গুলি মেরে আহত করবেন। ভাবলেন। সেই আওয়াজেও ও ভয় পাবে। রিভলভারের নলটা একটু নিচু করে তিনি ট্রিগার টিপলেন।

কিন্তু গুলি বেরুল না, শুধু খট করে একটা আওয়াজ হল। কাকাবাবু ব্যস্তভাবে আবার ট্রিগার টিপলেন, এবারও গুলি বেরুল না। সেই এক মুহুর্ত সময়ের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারলেন, তাঁর রিভলভারে গুলি নেই। একটা ঠাণ্ডা ভয়ের স্রোত বয়ে গেল তাঁর শরীরে।

কাকাবাবু খুব তাড়াতাড়ি চিন্তা করতে লাগলেন। তাঁর স্পষ্ট মনে আছেদুপুরবেলা তাঁর রিভলভারে গুলিভরা ছিল। কিন্তু এখন ওটার মধ্যে একটাও গুলি নেই। কেউ গুলি বার করে নিয়েছে।

বাঁদরের মতন প্রাণীটা খুব কাছে এগিয়ে এসেছে বলে কাকাবাবু প্ৰাণপণ শক্তিতে খালি রিভলভারটাই ছুঁড়ে মারলেন প্রাণীটার মাথা লক্ষ করে।

সেটা লাগলে নিশ্চয়ই প্ৰাণীটার মাথা ফেটে যেত। কিন্তু প্ৰাণীটা তার আগেই চট করে মাথা সরিয়ে নিয়ে খুব কায়দা করে লুফে নিল রিভলভারটা। তারপর সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বীভৎসভাবে হাসির মতন শব্দ করল।

কাকাবাবু কয়েক পলক স্থিরভাবে তাকিয়ে রইলেন প্রাণীটার দিকে। তারপর তিনিও খুব জোরে হেসে উঠলেন হো-হো করে।

জন্তুটা কাকাবাবুর হাসি শুনে যেন একটু চমকে গেল। কুকুরটা পর্যন্ত ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেল খানিকটা। জন্তুটা কাকাবাবুর দিকে চেয়ে মাথা দোলাতে লাগল একটু একটু। তারপর আবার একটা বিকট শব্দ করে দুহাত উঁচু করে কাকাবাবুর গলা টিপে দেবার জন্য এগোতে লাগল।

কাকাবাবু দেয়ালে হেলান দিয়ে চুপ করে অপেক্ষা করতে লাগলেন। জন্তুটা খুব কাছে আসতেই তিনি নিজেই আগে খপ করে চেপে ধরলেন ওর এক হাত। তারপর এক হাঁচকাটান দিলেন।

কাকাবাবুর একটা পা দুর্বল, কিন্তু তাঁর দুহাতে অসুরের মতন শক্তি। সেই হ্যাঁচকাটানে টাল সামলাতে না পেরে সেটা একেবারে কাকাবাবুর গায়ের ওপরে এসে পড়ল। কাকাবাবু প্রবল শক্তিতে জন্তুটাকে তুলে একটা আছাড় মারতে চাইলেন, কিন্তু তার আগেই জন্তুটা কোনওক্রমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটু দূরে সরে গেল। আর ক্রুদ্ধ আওয়াজ করতে লাগল ভয়ংকরভাবে।

কাকাবাবুর মুখে আবার হাসি ফুটে উঠল। তিনি ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়ু আর মিঃ কেইন শিপটন, আই প্ৰিজিউম?

জন্তুটা আওয়াজ করে থামল। তারপর সেও ইংরেজিতে উত্তর দিল, ইউ আর রঙ, মিঃ রায়চৌধুরী।

কাকাবাবু বললেন, আপনি যেই হোন, দয়া করে ঐ মুখোশ আর ধড়চূড়াগুলো খুলে ফেলবেন! তা হলে কথা বলার সুবিধে হয়।

লোকটি মাথার পেছন দিকে হাত দিয়ে কিছু করতেই বাঁদর কিংবা ইয়েতির মুখোশটা খুব সহজেই খুলে গেল। কিন্তু তখনও লোকটির মুখে আর-একটি মুখোশ। একটা হলদে রঙের পলিথিন বা ঐ জাতীয় কোনও কিছুর মুখোশ মুখের সঙ্গে সাঁটা। চোখে চশমা, কিন্তু তার কাচ দুটো রুপোর মতন ঝকঝকে। লোকটির পাশাকের রংও হলদে আর খুব টাইট পাশাক। লোকটি খুব বেশি লম্বা নয়। কিন্তু বাঁদরের চামড়ার মধ্যে তাকে বেশি লম্বা দেখাচ্ছিল, সম্ভবত উঁচু জুতোর জন্য।

কাকাবাবু মুখে খানিকটা বিরক্তির ভাব এনে বললেন, এরকম অদ্ভুত পোশাকের মানে কী? আপনি বুঝি মুখ দেখাতে চান না?

লোকটি কোনও উত্তর দিল না।

কাকাবাবু আবার বললেন, একটা বাঁদরের পোশাক পরে ইয়েতি সেজে আপনি আমাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন? আমাকে কি ছেলেমানুষ পেয়েছেন? আমি যখন অজ্ঞান হয়েছিলাম, তখন আপনি বা অন্য কেউ আমার রিভলভার থেকে গুলি বার করে নিয়েছেন, সেটাও আমাকে ঠকাবার জন্য, তাই না?

লোকটি কোমরে দুহাত দিয়ে চুপ করে কাকাবাবুর দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে রইল।

কাকাবাবু এবার বেশ কড়া গলায় বললেন, আমাকে এখানে জোর করে ধরে আনা হয়েছে কেন? আপনি কে?

লোকটি এবার ছোট করে একটু হাসল। তারপর বলল, মিঃ রায়চৌধুরী, মনে হচ্ছে, আমিই আপনার হাতে ধরা পড়েছি। আর আপনি আমায় জেরা করছেন?

কাকাবাবু বললেন, আমায় কেন ধরে এনেছেন, তা জিজ্ঞেস করব না? আপনি আমার নাম জানলেন কী করে?

লোকটি বলল, আপনি বিখ্যাত লোক, মিঃ রায়চৌধুরী। আপনার নাম অনেকেই জানে।

লোকটি পকেট থেকে একটি ছোট্ট রুপোলি রঙের রিভলভার বার করে খেলা করার মতন দু তিনবার লোফালুফি করল। তারপর হঠাৎ সেটা সোজা উঁচিয়ে ধরল। কাকাবাবুর দিকে। আস্তে আস্তে বলল, মিঃ রায়চৌধুরী, এটাতে কিন্তু গুলি ভরা আছে। আর এর একটার বেশি গুলি খরচ করতে হয় না।

কাকাবাবু একটুও ভয় না পেয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। লোকটি ট্রিগারে আঙুল রেখে বলতে লাগল, ওয়ান, টু, থ্রি…

কাকাবাবু আবার বেশ জোরে ধমক দিয়ে বললেন, কেন, এরকম ছেলেমানুষের মতন ব্যাপার করছেন বারবার? আপনি কি ভাবছেন, এইভাবে ভয় দেখিয়ে আমায় কাবু করবেন? মৃত্যুভয় থাকলে কেউ খোঁড়া পা নিয়ে হিমালয় পাহাড়ে চড়তে আসে?

এইসময় দূরে আবার সেই মাইক্রোফোনে কথা বলার মতন আওয়াজ শুনতে পাওয়া গেল। কেউ ইংরেজিতে কতকগুলো অক্ষর আর সংখ্যা বললে।

লোকটি মনোযোগ দিয়ে শুনল। তারপর রিভলভারটা নামিয়ে বলল, সত্যিই, এরকমভাবে আপনাকে ভয় দেখানো যাবে না। তাছাড়া ভয় পাওয়াটা স্বাস্থের পক্ষে খারাপ। মুখে তার ছাপ পড়ে। আপনাকে আমরা খুব ভদ্রভাবে, আস্তে আস্তে, অনেক সময় নিয়ে, মেরে ফেলব।

কাকাবাবু অবিশ্বাসের সুরে বললেন, আপনারা আমাকে খুন করবেন?

লোকটি বলল, তাছাড়া আর উপায় কী, বলুন? আপনি বড় বেশি জেনে ফেলেছেন।

আমাকে খুন করা শক্ত। এর আগে অনেকে চেষ্টা করেছে। কেউ তো পারেনি।

আমি দুঃখিত, মিঃ রায়চৌধুরী, এখান থেকে জীবিত অবস্থায় বেরুবার সত্যিই কোনও উপায় নেই। আপনার। আপনি বেশি কৌতূহল না দেখালে আপনাকে এভাবে মরতে হত না।

আমাকে যদি মারতেই হয়, তাহলে শুধু শুধু দেরি করছেন কেন? আর এত কথাই বা বলছেন কেন?

জানেন তো, খুব ভয় পেলে অনেকে হার্টফেইল করে। ভয় দেখিয়ে আপনাকে মেরে ফেলতে পারলে আমাদের অনেক সুবিধে হত।

ভয় দেখিয়ে মানুষ মারাই যদি আপনার শখ হয়, তাহলে আপনি বা আপনারা ভুল লোককে বেছেছেন।

হা-হা-হা, মিঃ রায়চৌধুরী, আপনি খুব চালাকের মতন কথা বলেন। আপনার সত্যিই মনের জোর আছে। আপনাকে এক্ষুনি মেরে ফেলা হচ্ছে না, তার কারণ, আপনি জানেন কি, মৃতদেহও কথা বলে?

কী?

মনে করুন, আপনাকে গুলি করে কিংবা মাথায় ডাণ্ডা মেরে কিংবা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হল। তারপর আপনার মৃতদেহটা নিয়ে কী করা হবে। বুঝতেই পারছেন, এটা-

কথার মাঝখানে বাধা দিয়ে কাকাবাবু বললেন, দেখুন ক্রাচ ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে আমার একটু অসুবিধে হয়। আমি একটু বসতে পারি কি?

তারপর কাকাবাবু লোহার বাক্সটার ওপর বসে পড়ে কোটের পকেট থেকে পাইপটা বার করলেন। কিন্তু পাইপের তামাক যে পাউচটায় থাকে, সেটা পেলেন না। অন্য পকেটগুলো হাতড়েও দেখলেন, তামাকের পাউচটা নেই।

লোকটি বলল, দুঃখিত, এখানে ধূমপান নিষেধ। সেই জন্যই আপনার পকেট থেকে তামাকটা বার করে নেওয়া হয়েছে।

কাকাবাবু শুধু পাইপটাই দাঁতে কামড়ে ধরে খুব শান্তভাবে বললেন, হ্যাঁ, তারপর বলুন, আমার মৃতদেহটা নিয়ে কী করা হবে?

লোকটি বলল, বুঝতেই পারছেন, এই জায়গাটা মাটির নীচে। সেইজন্যই এখানে ধূমপান চলে না। আপনার মৃতদেহটা এখানে রাখা যাবে না, কারণ পচে গিয়ে বিশ্ৰী গন্ধ বেরুবে। সেইজন্য আপনার মৃতদেহটা। ওপরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসতে হবে। একদিন না একদিন কেউ সেটা খুঁজে পাবেই। ওপরে ঠাণ্ডায় বরফের মধ্যে মৃতদেহ সহজে নষ্ট হয় না। কেউ খুঁজে পাবার পরই আপনার মৃতদেহ কথা বলে উঠবে।

কাকাবাবু বললেন, অৰ্থাৎ আমার মৃতদেহটি পোস্টমর্টেম করলেই ধরা পড়ে যাবে যে কীভাবে আমায় মারা হয়েছে। বিষ খাইয়ে, নয় গুলি করে। না মাথায় হাতুড়ি মেরে।

ঠিক তাই। আপনি বুদ্ধিমান, আপনাকে বেশি বোঝাতে হয় না। ঐরকম অস্বাভাবিক কারণে মৃত্যু দেখলেই সরকারের সন্দেহ হবে, তখন এই জায়গাটায় খোঁড়াখুড়ি বাড়বে। আমরা এখানে বেশি লোকজনের আসা যাওয়া পছন্দ করি না। সেইজন্যই স্বাভাবিক মৃত্যুই সবচেয়ে সুবিধাজনক। দুতিনমাস বাদে আপনার স্বাভাবিক মৃতদেহটা যদি কেউ খুঁজে পায়, যাতে আপনাকে খুন করার কোনও চিহ্ন নেই, তাহলে আর কেউ কোনও সন্দেহ করবে না। ভাববে, আপনি পাহাড়ের মধ্যে কোথাও হারিয়ে গিয়েছিলেন। কী, ঠিক নয়?

হ্যাঁ, বুঝলাম। কিন্তু আমার একটা কথার উত্তর দিন তো! আমি স্বাভাবিকভাবে দুতিনমাসের মধ্যে মরতে যাব কেন? আমার তো আরও অন্তত তিরিশ-চল্লিশ বছর বেঁচে থাকার ইচ্ছে আছে?

হা-হা-হা! বাঁচতে কে না চায়! আপনিও নিশ্চয়ই আরও তিরিশ-চল্লিশ বছর বাঁচতে পারতেন, যদি আপনি কলকাতায় থাকতেন, কিংবা দাৰ্জিলিং বেড়াতে যেতেন কিংবা আর-কিছু করতেন। এখানে এসে আপনাকে ঘোরাঘুরি করতে কে বলেছিল? কেনই বা আপনি গম্বুজটার ওপরে রাত জেগে চোখে দূরবিন এঁটে বসে থাকতেন?

হুঁ, আমার সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছুই জানেন দেখছি। আমার পেছনে আপনারা কোনও চর লাগিয়েছিলেন। কিংবা আমি ওয়্যারলেসে যে খবর পাঠােতাম, সেটা আপনারাও শুনে ফেলেছেন। কিন্তু যাই বলুন, দু তিনমাসের মধ্যে আমার স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর কোনও আশা নেই।

আছে, আছে, মিঃ রায়চৌধুরী, আছে। আপনাদের দেশ ইন্ডিয়াতে সবচেয়ে বেশি লোক খুব স্বাভাবিকভাবে কেন মরে বলুন তো?

এবার বুঝলাম! আপনারা আমাকে না খাইয়ে মারতে চান।

না, না, না, না—একেবারে না-খাইয়ে নয়। কিছু খেতে দেব। আপনাদের দেশের বেশিরভাগ লোকেই শুধু একবেলা খায়। আপনিও একবেলা খেতে পাবেন। দুখানা টোস্ট। একটি পাঁচ বছরের শিশুকে যদি শুধু দুখানা টেস্ট খাইয়ে রাখা যায়, তা হলে সে তিনমাসের বেশি বাঁচে না। আপনার মতন একজন স্বাস্থ্যবান মানুষ দেড়মাস দুমাসের বেশি পারবেন না।

যে চীনা ভদ্রলোকটিকে আপনারা গম্বুজের দরজার পাশে রেখে এসেছিলেন, তাকেও ঐভাবেই মেরেছেন?

ওরে বাবা, ঐ চীনা ভদ্রলোক এক অদ্ভুত মানুষ। আপনি বিশ্বাস করবেন। কি, মাত্ৰ দুখানা করে টোস্ট খেয়ে উনি আড়াই বছর বেঁচে ছিলেন? অতি নিরীহ, শাস্তশিষ্ট ভালমানুষ, কখনও গোলমাল করতেন না। আমরা ওঁকে পছন্দই করতাম। কিন্তু জীবিত অবস্থায় তাঁকে আমরা কিছুতেই বাইরে যেতে দিতে পারি না–

আশ্চর্য!

সত্যি আশ্চর্য নয়? মাত্ৰ দুখানা করে টোস্ট খেয়ে আড়াই বছর—

তা তো বেটই। কিন্তু আমি ভাবছি, আপনার আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে আছেন?

আমরা ঠিক কতদিন এখানে আছি, আন্দাজ করুন তো?

কাকাবাবু দাঁত দিয়ে পাইপটাকে কামড়াচ্ছিলেন। এবার সেটাকে মুখ থেকে নামিয়ে ফেললেন। রাগে তাঁর শরীর জ্বলছে। মন দিয়ে কিছু চিন্তা করার সময় পাইপের ধোঁয়া না। টানলে তাঁর চলে না। তিনি পাইপটাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে মনে-মনে বললেন, আজ থেকে পাইপ টানা ছেড়ে দিলাম। কলকাতার বাড়িতে যে আট-নটা পাইপ আছে, সেগুলোও অন্য লোকদের দিয়ে দেব।

কুকুরটা খানিক আগে চলে গিয়েছিল, এই সময় আবার ফিরে এল। এবার কিন্তু সে আর কামড়াবার চেষ্টা করল না। কাকাবাবুকে। কুঁইকুঁই করে গন্ধ শুকতে লাগল। কাকাবাবু আস্তে করে তার মাথা চাপড়ে দিলেন, কুকুরটা সরে গেল না।

মুখোশ-পরা লোকটি বলল, আপনি খোঁড়া বলেই আপনাকে বেঁধে রাখা হয়নি, আপনি বেশি দূর যেতে পারবেন না। এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আপনার পক্ষে বেশি ঘোরাঘুরি না করাই ভাল। আপনাকে বিছানা পাঠিয়ে দেব, শুয়ে থাকবেন।

কাকাবাবু বললেন, ধন্যবাদ। আমার বিছানায় দুটো বালিশ লাগে।

ঠিক আছে, কোনও অসুবিধে নেই। রবারের বালিশ, সেটা ফুলিয়ে আপনি যত ইচ্ছে উঁচু করে নেবেন। আর কিছু?

এই কুকুরটা আমার গ্লাভস। চুরি করে নিয়ে গেছে।

ফেরত পাবেন। আর.ইয়ে, আপনার টোস্ট দুখানি কি আপনি কড়া চান, না নরমভাবে সেঁকা?

কাকাবাবু এক মুহুর্তের মধ্যে কুকুরটাকে তুলে নিয়েই ছুঁড়ে মারলেন লোকটির মুখের ওপর। এবং সঙ্গে-সঙ্গেই প্রায় চোখের নিমেষে সামনে ঝুঁকে পড়ে লোকটির একটা পা ধরে মারলেন এক হ্যাঁচকা টান।

তাল সামলাতে না পেরে লোকটি দাড়াম করে মাটিতে পড়ে গেল।