১৫. জ্ঞান ফেরার পর

জ্ঞান ফেরার পর কাকাবাবু চোখ মেলে দেখলেন পাতলা-পাতলা অন্ধকার। তিনি ভাবলেন বুঝি রাত হয়ে গেছে। কতক্ষণ অজ্ঞান হয়ে আছেন, তা তো তিনি জানেন না।

পাশে হাত দিয়ে দেখলেন, বরফ নয়, তিনি শুয়ে আছেন পাথরের ওপর। এখানে তিনি কী করে এলেন? তিনি অজ্ঞান হয়ে যাবার পর ওরা তাঁকে ধরাধরি করে এনে এই পাথরের ওপর শুইয়ে দিয়েছে? সন্তু কোথায়? রানা আর ভামাই বা কোথায় গেল?

কাকাবাবু ডাকলেন, সন্তু! সন্তু।!

তারপরই তাঁর মনে পড়ল, তিনি তো হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাননি, কেউ তাঁর মাথায় খুব শক্ত কোনও জিনিস দিয়ে মেরেছিল। তিনি মাথায় হাত দিয়ে দেখলেন, মাথায় চটচট করছে রক্ত। বেশ ব্যথাও আছে।

তা হলে সত্যিই কেউ তাঁকে মেরে অজ্ঞান করে এখানে নিয়ে এসেছে?

কাকাবাবু উঠে বসলেন। তাঁর হাত-পা তো বাঁধেনি। কেউ। কোটের পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন এবং খুবই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। রিভলভারটাও আছে!

কাকাবাবু চোখে অন্ধকারটা সইয়ে নিলেন। ওপর দিকে তাকিয়ে আকাশ দেখতে পেলেন না। মনে হল, একটা কোনও মস্ত বড় গুহার মধ্যে তিনি আছেন। বাঁদিকে অনেক দূরে খানিকটা ধোঁয়া-ধোঁয়া মতন অস্পষ্ট আলো ভেসে বেড়াচ্ছে, সে-আলোটা কিসের তা তিনি বুঝতে পারলেন না।

এপাশ-ওপাশ হাতড়েও তিনি ক্রাচ দুটো খুঁজে পেলেন না। তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। ক্রাচ দুটো না থাকলে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন, ইচ্ছেমতন চলাফেরা করতে পারেন না। তিনি আবার ভাবলেন, যে বা যারাই তাঁকে ধরে আনুক, রিভলভারটা নিয়ে নেয়নি কেন?

বেশ দূরে তিনি মানুষের গলার আওয়াজ শুনতে পেলেন। কান খাড়া করে তিনি কথাগুলো বোঝবার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলেন না। তাঁর মনে হল, কে যেন মাইক্রোফোনে কিছু বলছে। কথার শেষে ঝন ঝন শব্দ হচ্ছে একটা। সব ব্যাপারটা তাঁর অবিশ্বাস্য মনে হল। হিমালয়ে এই বরফের রাজ্যে মাইক্রোফোন?

তিনি মাথাটা ঝাঁকুনি দিয়ে বুঝতে চাইলেন যে, তিনি এখনও ঘুমিয়ে আছেন কি না। আমনি মাথার যন্ত্রণাটা খুব বেড়ে গেল। তিনি এমনই অবশ হয়ে পড়লেন যে, আবার শুয়ে পড়তে হল। তাঁকে।

বেশ কিছুক্ষণ তিনি শুয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিলেন। খানিকটা সুস্থ হবার পর তিনি রিভলভারটা বার করে পাশে নামিয়ে রেখে ওভারকেটের অন্য পকেটগুলো খুঁজতে লাগলেন। তাঁর কাছে নানারকম ওষুধ থাকে। কয়েকটা ট্যাবলেট পেয়ে গেলেন তিনি। অন্ধকারেই টিপে-টিপে বুঝে একটা ট্যাবলেট বেছে নিলেন। এটা ব্যথা কমাবার ওষুধ। কিন্তু ট্যাবলেট গিলতে গেলে জল লাগে, এখানে জল পাবার কোনও উপায় নেই। ওষুধটা খুব তেতো, তবু চুষে চুষে সেটাকে খেয়ে ফেললেন কাকাবাবু।

তারপর গলা থেকে স্কাৰ্যটা খুলে মাথায় একটা ব্যান্ডেজ বাঁধলেন। বেশিক্ষণ রক্ত পড়লে তিনি এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়বেন।

এ-জায়গাটায় শীত বেশ কম। হাতের গ্লাভস খুলে ফেলার পরেও আঙুল কনকন করে না। নাকের ডগায় আড়ষ্ট ভাব নেই। এটা তা হলে মাটির নীচের কোনও গুহা। কোনও জায়গা থেকে নিশ্চয়ই হওয়া আসে, কারণ নিশ্বাস নিতে কোনও কষ্ট হচ্ছে না।

হঠাৎ কাকাবাবু দারুণ চমকে উঠলেন। কী যেন একটা জিনিস ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাঁর পিঠের ওপর।

তিনি মুখ ফিরিয়ে দুহাতে জিনিসটাকে এক ঝটিকা মারলেন। আমনি সেটা মাটির ওপর পড়ে ঘেউঘেউ করে উঠল। একটা সাদা রঙের কুকুর!

কুকুরটা হিংস্রভাবে ডেকে আবার তেড়ে এল। কাকাবাবুর দিকে। কাকাবাবু তাঁর সুস্থ পা দিয়ে সেটাকে এক লাথি মারলেন খুব জোরে। খানিকটা দূরে ছিটকে গেল কুকুরটা, আবার এসে ঘাঁক করে তাঁর পা কামড়ে ধরল। কাকাবাবু জোর করে সেটাকে ছাড়িয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। তিনি খুব মোটা প্যান্ট পরে আছেন বলে কুকুরটা দাঁত বসাতে পারেনি।

কুকুরটা মাথা নিচু করে, পেছনের একটা পা আছড়াতে আছড়াতে রাগে গজরাচ্ছে। যে-কোনও মুহুর্তে আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে। কাকাবাবু রিভলভারটা তুললেন। এক গুলিতেই কুকুরটাকে তিনি সাবাড় করে দিতে পারেন। কিন্তু কাকাবাবু কুকুর ভালবাসেন। কুকুরটাকে তাঁর মারতে ইচ্ছে হল না। কুকুরটা জামান স্পিৎস জাতের, বেশি বড় নয়। এই জাতের এক-একটা কুকুর খুব হিংস্র হয় বটে, কিন্তু এর কামড়ে তো মানুষ মরে না!

তিনি কুকুরটাকে শান্ত করার জন্য চুঃ চুঃ শব্দ করতে লাগলেন। তবু কুকুরটা আর একবার লাফিয়ে তাকে কামড়াতে এল। কাকাবাবু আগে থেকেই রেডি ছিলেন, সজোরে কষলেন এক লাথি।

কুকুরটা এবার ডাকতে-ডাকতে কাকাবাবুর পেছন দিকে চলে এল। কাকাবাবুও ঘুরে বসলেন সঙ্গে সঙ্গে। কুকুরটা তো জ্বালাবে খুব। অথচ এমন সুন্দর একটা কুকুরকে মেরে ফেলারও কোনও মানে হয় না! কয়েকবার লাথি খেয়ে কুকুরটাও আর সহজে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না, একটা কোনও সুযোগ খুঁজছে।

হাতের কাছে কিছু না পেয়ে কাকাবাবু কুকুরটার দিকে একটা গ্লাভস ছুঁড়ে মারলেন। কুকুরটা আমনি সেটা কামড়ে ধরে গোঁ-গোঁ করতে লাগল। তারপর হঠাৎই সেটা মুখে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল দূরে। একটু বাদেই সেটা আবার ফিরে এল। তার মুখটা খালি। কাকাবাবু ভাবলেন, এই রে, গ্লাভসটা নষ্ট হয়ে গেল! কোথায় রেখে এল সেটাকে? যাই হোক, একটা যখন গেছে, তখন আর একটা রেখেই বা কী হবে! কাকাবাবু সেটাও ছুঁড়ে মারলেন কুকুরটার দিকে। সে সেটাকে মুখে নিয়ে খুব ঝাঁকাতে লাগল যেন বেশ একটা মজার খেলা পেয়েছে। আবার সে সেটা নিয়ে পালিয়ে গেল একই দিকে। আর ফিরে এল না।

কাকাবাবু খানিকক্ষণ অপেক্ষা করলেন কুকুরটার জন্য। আর তার পাত্তা নেই। কাকাবাবু ভাবতে লাগলেন, একটা পোষা কুকুর সেই গুহার মধ্যে কী করে এল? স্পিৎসে কুকুর সাধারণত পোষাই হয়। হিমালয়ের এতখানি উচ্চতায় কোনও জন্তু-জানোয়ারই দেখা যায় না। চারদিকে বরফের রাজত্ব, এর মধ্যে একটা পোষা কুকুর। কিছুক্ষণ ভাবার পর কাকাবাবু আপন মনেই বললেন, হুঁ।

তারপর তিনি ভাবতে লাগলেন দুপুরবেলার ঘটনা। কেউ একজন পেছন থেকে তাঁর মাথায় মেরে অজ্ঞান করে ফেলেছিল। তাহলে সন্তু আর অন্যদের কী হল? তাদেরও কি মেরে এই গুহার মধ্যে কোথাও ফেলে রেখেছে? রানা আর ভার্মার কাছে লাইট মেশিনগান ছিল, তাদের মারা অত সহজ নয়। কিন্তু তাঁকে যখন মারা হল, তখন ওরা কেউ বাধা দিল না কেন? ওরা কোথায়? বিশেষ করে সন্তুর জন্য তিনি খুব উতলা বোধ করলেন। এক্ষুনি ওদের খোঁজ করা দরকার।

তিনি আস্তে আস্তে উঠে পড়ে দেয়াল ধরে দাঁড়ালেন। দেয়ালের গাটা এবড়ো-খেবড়ো! সেটা ধরে-ধরে এগোলেন খানিকটা। দূরে যেখানে আলোর মতন ধোঁয়া ভাসছে, তিনি সেইদিকে যেতে চান। কুকুরটাও ঐদিকেই পালিয়েছে।

মাইক্রোফোনে কথা বলার মতন যে আওয়াজটা খানিক আগে শোনা গিয়েছিল, সেটা থেমে ছিল এতক্ষণ। এবার আবার সেই শব্দটা বেজে উঠল। কাকাবাবু মানে বোঝার চেষ্টা করলেন। অনেক দূর থেকে খুবই অস্পষ্ট আসছে শব্দটা—তবু তিনি এবার একটু আধটু বুঝতে পারলেন। কোনও কথা কেউ বলছে না, শুধু কয়েকটা এলোমেলো সংখ্যা আর অক্ষর। এন সি ও থ্রি টু নাইন ফাইভ-আর জি টি ফোর ফাইভ জিরো জিরো জিরো-টি ও ওয়ান এইচ এইট এইট জিরো জিরো জিরো…

কাকাবাবু দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে শুনলেন। দুতিন মিনিটের মধ্যেই আওয়াজটা থেমে গেল, তারপর খানিকক্ষণ ঝনন ঝনন রেশ রইল। কাকাবাবুর কপাল কুঁচকে গেল। এইসব অক্ষর ও সংখ্যার মানে কী? কে কাকে বলছে? কিংবা এমনও হতে পারে, অন্য কিছু শব্দ আসছে, তিনি ভুল শুনছেন! কিসের শব্দ?

আর দু-এক পা এগোতে গিয়েই কাকাবাবু হুড়মুড় করে পড়ে গেলেন কিছুতে হোঁচটি খেয়ে। তাঁর মাথায় আবার গুতো লাগল এবং ব্যথাটাও বেড়ে গেল। তিনি দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করার চেষ্টা করতে লাগলেন। এখন আর জ্ঞান হারালে চলবে না। তিনি চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। দূরের আলোর ধোঁয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার জন্যই কাছের অন্ধকার এখন বেশি অন্ধকার লাগছে।

একটু পরে ব্যথাটা একটু কমল, চোখেও খানিকটা দেখতে পেলেন। কিসে আঘাত লাগল সেটা বোঝবার জন্য হাত বুলোতে লাগলেন চার দিকে। একটা কিছুতে হাত লাগল। ভাল করে হাত দিয়ে দেখলেন, সেটা একটা লোহার বাক্স। তিনি বাক্সটা টেনে খোলবার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেটা তালাবন্ধ। অনেক টানাটানি করেও তিনি সেটা খুলতে পারলেন না। গুহার মধ্যে তালাবন্ধ লোহার বাক্স! কাকাবাবু বক্সটার ওপর উঠে বসে আবার ভাবতে লাগলেন ব্যাপারটা। এই গুহাটা কোথায়?

কাকাবাবু বেশিক্ষণ ভাবনার সময় পেলেন না। দূরে কুকুরটার ডাক শোনা গেল। আবার। কাকাবাবু দেখলেন, দূরে সেই আলোর ধোঁয়ার মধ্যে কুকুরটা লাফালাফি করছে। কুকুরটা আবার এসে জ্বালাতন করবে। কাকাবাবুর খুব ইচ্ছে হল কুকুরটাকে আদর করতে। কুকুরটা যদি এত দুষ্টুমি না করত তাহলে ওকে কাছে ডেকে আদর করা যেত।

কুকুরটা কিন্তু এদিকে এল না। দূরেই খানিকটা লাফালাফি করে মিশে গোল ডান পাশের অন্ধকারের মধ্যে। আলোর ধোঁয়াটা কোথা থেকে আসছে সেটা জানা দরকার। মনে হচ্ছে যেন ওখানে একটা গর্ত আছে। কারণ ধোঁয়াটা এখন আসছে নীচের দিক থেকে।

কাকাবাবু উঠে দাঁড়িয়ে এগোতে যাবেন, সেই সময় কুকুরটা আলোর ধোঁয়ার মধ্যে ফিরে এল আবার। এবার সেদিকে তাকাতেই কাকাবাবুর বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। কুকুরটার পাশে একটা বিরাট ছায়ামূর্তি। মাত্র এক পলক দেখা গেল সেটাকে। তারপরই মিলিয়ে গেল আবার।

কাকাবাবু দেওয়ালের সঙ্গে মিশে দাঁড়িয়ে রইলেন। মূর্তিটাকে দেখে মানুষ মনে হল না, বরং যেন বিশাল একটা বাঁদরের মতন। লেজ আছে কি না বোঝা গেল না, কিন্তু বাঁদরের মতন সামনের দিকে খানিকটা ঝুঁকে দাঁড়িয়েছিল। কাকাবাবু বুঝলেন, এই রকম মূর্তিই সন্তু আর মিংমারা দেখেছে। এই তবে ইয়েতি? কাকাবাবু রিভলভারটা শক্ত করে ধরে রইলেন।

আবার কুকুরটা ডেকে উঠল, আবার মূর্তিটাকে দেখা গেল, আবার মিলিয়ে গেল। এইরকম দু-তিনবার। কাকাবাবু বুঝতে পারলেন না ব্যাপারটা কী হচ্ছে ওখানে।

এরপর সেই বিশাল বাঁদরের মতন মূর্তিটা আলোর ধোঁয়ার মধ্যে দাঁড়াল; আর মিলিয়ে গেল না। কুকুরটা ওর চারদিকে ঘুরে ঘুরে ডাকছে আর লাফাচ্ছে। কিন্তু কুকুরটা ঐ মূর্তিটাকে কামড়াবার চেষ্টা করছে না। এক সময় মূর্তিটা খপ করে দুহাতে তুলে নিল কুকুরটাকে। কাকাবাবু ভাবলেন, এইবার ও বুঝি কুকুরটাকে মেরে ফেলবে। তিনি রিভলভারের সেফটি ক্যাচ খুলে ওদিকে টিপ করলেন।

কিন্তু মূর্তিটা কুকুরটাকে মোরল না, মাটিতে ছুঁড়ে দিল। কুকুরটা ডাকতে-ডাকতে ছুটে এল কাকাবাবুর দিকে। কাকাবাবু লোহার বাক্সটার ওপাশে গিয়ে দাঁড়ালেন। এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তিনি লাথি ষ্টুড়িতে পারবেন। না, কুকুরটা যদি ঝাঁপিয়ে কামড়াতে আসে, তিনি দুহাত দিয়ে আটকাবেন।

কুকুরটা খানিকটা এসেই আবার ফিরে গেল মূর্তিটার কাছে। সেখানে কয়েকবার ডেকে আবার এদিকে ফিরল। তখন মূর্তিটাও এক পা এক পা করে আসতে লাগল। এদিকে। কাকাবাবু প্ৰায় নিশ্বাস বন্ধ করে রইলেন।

মূর্তিটা দুলে দুলে আস্তে আস্তে হাঁটে। সোজা এদিকেই আসছে। আলোর ধোঁয়াটা ওর পেছনে বলে কাকাবাবুওর মুখ দেখতে পাচ্ছেন না।

কুকুরটা কাকাবাবুর একেবারে সামনে এসে ঘেউ ঘেউ করতে লাগল। কাকাবাবু সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে একদৃষ্টি চেয়ে রইলেন প্রাণীটার দিকে। আর লুকোবার কোনও উপায় নেই, প্রাণীটা আসছে তাঁরই দিকে। তাঁর থেকে পাঁচ-ছ হাত দুরে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল।

কাকাবাবু রিভলভারটা সোজা তুলে ধরলেন প্রাণীটার বুকের দিকে। প্রাণীটা তাঁর চেয়েও লম্বা। কিন্তু যত বড় বাঁদরই হোক রিভলভারের এক গুলিতে ঠাণ্ডা হয়ে যাবেই। প্রাণীটা এক দৃষ্টিতে কাকাবাবুর দিকে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে বিকট একটা আওয়াজ করল। অনেকটা যেন অট্টহাসির মতন। কাকাবাবুওর চোখ থেকে চোখ সরালেন না। প্রাণীটার চোখ দুটো গোল ধরনের, ভুরু নেই। সারা গায়ে বাঁদরের চেয়েও বড় বড় লোম। হাত দুটো খুব লম্বা।

প্রাণীটা দুহাত তুলে আবার একটা ভয়ংকর চিৎকার করে এগোতে লাগল কাকাবাবুর দিকে। স্পষ্টই সে কাকাবাবুকে আক্রমণ করতে চায়।