যবনিকা সরে যায়

যবনিকা সরে যায়

যবনিকা সরে যায়, দেখি দূর অন্ধকার স্মৃতির ওপারে
শতশত বন্দিশালা, ভরে আছে ঝুল কালি ধোঁয়া
অথবা পুজোর ঘণ্টা, অথবা মদির লাস্য গীত
এ এমন কারাগার, যেখানে প্রহরীবৃন্দ বড় বেশি পরিহাসপ্রিয়
শব্দের আহ্লাদে তারা লোহার বদলে আনে সোনার শৃঙ্খল।

যবনিকা সরে যায়, দেখি এক অসত্য সমাজে
অলীক কুনাট্য রঙ্গে রাঢ় বঙ্গ ঝুঁদ হয়ে আছে
উচ্ছিষ্ট ভোজীরা মেতে আছে লোভী প্রতিযোগিতায়
বিজ্ঞ ও ভাঁড়েরা যেন ব্যর্থ হয়ে করে নেয় ভূমিকা বদল।

যবনিকা সরে যায়, দেখি সব দৃশ্যকে পেরিয়ে অন্য আলো
ভয় ভেঙে, কান্না ভেঙে বিপন্নেরা বেরিয়ে এসেছে রাজপথে
রক্ত লোলুপের ঝাড় থেকে উঠে এলো কোনো প্রকৃত মহান রক্তদাতা
সপ্তরথী ঘেরা তবু ঘোর যুদ্ধে মেতে আছে খর্বকায় একাকী ব্রাহ্মণ
এক একটি দেয়াল ভাঙে, হুহু করে আসে সুবাতাস
কিছু গ্লানি মুছে ফেলে উনবিংশ শতাব্দীটি পাশ ফিরে শোয়।