পুনর্জন্মের সময়

নদীর সঙ্গে খেলা শুরু করবার মুহূর্তে
আমার অন্ধকার পছন্দ হয়নি
আমি নক্ষত্রলোককে সংস্কৃত থেকে আনুবাদ করা ভাষায়
ডাক দিয়ে বললাম, আলো দেখাও!
চাঁদের অভিমান হয়েছিল, কিন্তু নীহারিকাপুঞ্জ
নিচু হয়ে এলো
কেনো দৈব-নির্দেশ ছাড়াই বাতাস উড়িয়ে নিলো
নদীটির ওড়না
আমার শরীরে অসহ্য উত্তাপ, আমি
সূর্যলোকোর আগন’ক
শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া খুলে
ঝাঁপ দিলাম
নগ্ন
জলস্রোতে
দু‘পাশে উদগ্রীব অরণ্য, ধোপার কাপড় কাচার
শব্দের মতন হরিণের ডাক
আমাদের ভিজে-ভিজে খেলা শুরু হয়
নদীর ছোট্ট কোমল স্তন ও
পারস্য চুরিকার মতন উরুদ্বয়ে
আমি দিই গরম আদর
তারপর মৃত্যু ও জীবন, জবিন ও মৃত্যু
তারপর জেগে ওঠে নাদ ব্রহ্ম
অন্তরীক্ষে ধ্বনিত হয় ওঁং শান্তি
চুন ভেজানো জলের মতন পাতলা আলোয়
পুনর্জন্মের সময় আমি শুনতে পাই
আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তদিদের জন্য অতীত-পুরুষরা
রেখে যাচ্ছে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাস ভরা শুভাশিস।।