ছিল না কৈশোর

ছিল না কৈশোর

আমার প্রকৃতি প্রেম খুব-একটা ছিল না কৈশোরে
বসেছি নদীর ধারে, নদীকে দেখিনি, ছিল
ওপারে যাবার ছটফটানি
জীবনে দু’তিনবার, মাত্রই দু’তিনবার হেঁটে গেছি
বুক ভরা আকাশের নীচে
আমার ছিল না দুই সীমানা-পেরুনো লঘু লোভ
আমার গোপন
আমার দুঃখেরা ছিল দীন দুঃখী, অন্ধকারে, ছিল ওরা
ইঁট চাপা ঘাসের মতন কিছু বন্ধ অন্ধকারে
বনমর্মরের শব্দ ছাপিয়ে তুলেছি আমি উল্লাসের ভাঙা গানে
গানেরও ওপরে তুলে এই হেঁড়ে গলা।

আজ বহু দূরে এসে, কংক্রীট ছাদের নীচে,
সামনে খোলা কবিতার খাতা
আমি সেই কিশোরকে ফের দেখি, বসে আছে
নদীর ঢালুতে
আমি দেখি নদীটির পাশ ফেরা, দুপুরের বর্ণ-দ্যুতি
বাতাস দ্বিখণ্ড করে ডেকে ওঠে চিল
একটু একটু মন-খারাপ, কবিতার খাতা মুড়ে উঠে আসি
বারান্দায়, চুপ
আকাশ অচেনা লাগে, মায়াময় গাঢ় চোখে মনে হয়।
দিগন্তও খুব কাছে এগিয়ে এসেছে।