ছায়া

গাছের ছায়ার দিকে একজন লোক
তন্ময় বিছিয়ে রাখে চোখ
কিছুক্ষণ, যেন ছায়া কিছু কথা বলবে নরম স্বরগ্রামে
লোকটাকে। বহু হাঁটাহাঁটি হ’ল, খানিক বিশ্রামে
এখন নিমগ্ন থাকা যায়
অপরূপ এই হলদে বিকেলবেলায়,
ভাবে সে নীরবে ঠাঁই নিয়ে,
নিরিবিলি মিশে গিয়ে
ছায়ার ভেতর। মেঘ, রোদ, পাখি, স্পন্দমান পাতা
দেখে তাকে; ঘাসের বালিশে রাখে মাথা
লোকটা, পাজামা বেয়ে ওঠে
দু’চারটে পিঁপড়ে আর হাওয়ার আরাম লাগে ঠোঁটে,
খোঁচা খোঁচা দাড়িময় গালে
এবং কপালে।

বৃক্ষটির ছায়ার ভেতর থেকে আরও বেশি গভীর ছায়ায়
লোকটা প্রবেশ করে, নিজে ছায়া-প্রায়
হয় ক্রমে। কিছুক্ষণ ধ’রে তার মাথার ভেতর
জমছে ছায়ার নানা স্তর।
সন্ধ্যা নামে, গাঢ় হয়, কয়েকটি জোনাকি সেখানে
জ্বলে আর নেভে, লোকটা কি কারও টানে
ফের হেঁটে যাবে বহুদূর? আপাতত আকাশের তারা গুণে
আর স্বপ্ন বুনে
আস্তে সুস্থে কাটাবে সময় আরও কিছুক্ষণ আর
নীড়েফেরা পাখিরা ভাববে কোনও পিছুটান নেই লোকটার।
৯.১১.৯৭