অনন্ত মুহূর্ত

অনন্ত মুহূর্ত

মধ্যাহ্ন-বাগানে এসে ঝুঁকে আছে সাতফুট আলো
আমি জানি
ওখানে শয়তান দাঁড়িয়ে নেই।
আমার বাঁ পাশে একটি বাজে পোড়া আমলকী বৃক্ষ
তাকে আমি গোপনে হিন্তাল বলে ডাকি
তার নিচে অতি স্বচ্ছ দৰ্পণ গোষ্পদ
ওখানে অন্সরীরা খেলা করে না
সাতফুট স্থির আলো, আমি জানি
ওখানে কেউ দাঁড়িয়ে নেই।

এখন সকালবেলা অপরাংশে মেঘ ছায়া মেঘ
পাগলাটে একদল পাখি ঝগড়া করে মাটিতে লুটোয়
ফের উড়ে যায়, ওরা
নিহত আমলকী গাছে কখনো বসে না
লাল টিপ ফুলের ঝাড়ে ব্ৰাহ্মণ গরুটি খুব নিঃশব্দ
আমি চেয়ে আছি পুবে, ওদিকে দেয়াল ভাঙা,
পলেস্তারা খসা
বাগানে উত্তর গেটে কখন এসেছে এক নারী, এলোচুল
বাঁ হাত রেলিঙে ভর
ঢুকবে কি ঢুকবে না সেই দ্বিধায় মুখশ্ৰী তার রহস্যময়
গভীর নিশ্বাসে তার দুই স্তন ফুলে উঠে কানকানি করে
আমি তাকে এক পলক দেখে ফের চোখ রাখি
ভাঙা দেয়ালের দিকে
সেখানে কিছুই নেই–
আপাতত এই আমার অনন্ত মুহূর্ত।