০৪. মুসলিম মানসের যৌন বিকৃতি

অধ্যায়- ৪
মুসলিম মানসের যৌন বিকৃতি
লেখক: এম,এ খান

মুসলমান পুরুষের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই বিকৃত যে, তারা মনে করে যে এমনকী শুধু চোখের দৃষ্টি দিয়েও তারা নারীকে ধর্ষণ করতে পারে। এটা কীভাবে সম্ভব তা আমরা ধারণা করতে পারি না। তবে কেন তারা এ ধরনের বিকৃত চিন্তা লালন করে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা যায়।

অনেক সময় আমি মুসলমানদের কাছ থেকে ইমেইল পেয়ে থাকি। মনে হয় তারা উচ্চ শিক্ষিত। তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকেন এবং ভাল ইংরেজি লিখেন। তারা বোরখা পড়ার ইসলামি রীতির পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলেন যে, এতে নারীরা বেগানা পুরুষ কর্তৃক ‘দৃষ্টি দ্বারা ধর্ষিত’ হবার হাত থেকে রক্ষা পায়। নীচে ফাররুখ আবিদি নামের তেমন এক ব্যক্তির একটি চিঠি তুলে ধরা হল। সম্ভবত তিনি সাম্প্রতিক ‘এঙ্গাস রিড জরিপ’-এর ফলাফল দেখে চিঠিটা লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ওই জরিপে দেখা গেছে কুইবেগ এবং কানাডার অধিকাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বোরখা বা নেকাব পড়া মহিলাদের সরকারি সেবা, হাসপাতালের পরিচর্যা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। আবিদি লিখেছেনঃ

” আসসালামু আইলাইকুম,

অমুসলিম দেশগুলো যদি হিজাব অথবা নিকাব নিষিদ্ধ করে তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। কারণ তারা অমুসলিম। তারা ইসলামি মূল্যবোধের পরোয়া করে না। কিন্তু যখন অধিকাংশ মুসলিম নারী নিকাব অথবা হিজাব পরিধান করে না, এবং অধিকাংশ মুসলিম পুরুষ তাদের স্ত্রীরা আল্লাহর এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ মানলো কী মানলো না, সে ব্যাপারে নির্লীপ্ত থাকে তখন সত্যিই অবাক হতে হয়। এমন শত শত মুসলিম পরিবার আছে যেখানে নিকাব অথবা হিজাব পড়ে এমন মহিলা একজনও পাওয়া যাবে না।

শুধু তাই নয়, মুসলিম নারীরা এখন অনাবৃত থাকার শিক্ষাও বেশ ভালোভাবে নিয়েছে। মহিলারা এখন হাতাকাটা জামা পড়ছে। অনেক মুসলিম নারী এমনভাবে শাড়ী পড়েন (বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে ), তাদেরকে অর্ধনগ্ন দেখায়। অনেক নারী এখন বুকে কাপড় না দিয়ে তা অনাবৃত রাখে।

আশ্চর্যের ব্যাপার হল, মুসলমান পুরুষরা বুঝে না যে তাদের স্ত্রীরা এভাবে বের হলে বহু মানুষ তাদের শরীরের অনাবৃত অংশ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অমুসলিম দেশগুলোতে খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, শিখ, ধর্ষণকারী, মদ্যপ ,গুণ্ডাপাণ্ডা, রাস্তার বখাটে ছোকড়া, সমকামী ইত্যাদি হরেক রকমের মানুষ আছে। তারা লোলুপ দৃষ্টিতে এ ধরনের মুসলিম যুবতী ও কিশোরীদের দিকে তাকায়, উত্তেজিত হয়; এদের নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখে।

এই মুসলমান পুরুষদের আক্কেলজ্ঞান কতটুকু তা আপনি কল্পনা করতে পারেন? অধিকাংশ মুসলমান পুরুষ তাদের স্ত্রীদের হিজাব না পড়ার অনুমতি দিয়ে এবং শরীর উন্মুক্তকারী পোশাক পরার স্বাধীনতা দিয়ে নিজেদের অজান্তে সব ধরনের মানুষকে উত্তেজিত হওয়ার এবং সুখানুভূতি পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।

মহিলারা আসলে পুরুষদের চরিত্র বোঝে না। তাই তারা শরীর উন্মুক্তকারী পোশাক পরে। জানে না যে এতে করে সব ধরনের মানুষ তাদের কাছ থেকে মজা লুটছে। আমি জানি তাদের কেউ কেউ হিজাব পড়ে না পুরুষদের আকৃষ্ট করার জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মহিলারা স্বামীর কথা মানে। যদি স্বামীরা নিজ নিজ স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করে তবে আমি নিশ্চিত যে ৯০% বিবাহিত নারী হিজাব পড়া শুরু করবে।

যেসব মুসলিম নারী হিজাব পড়ে না তাদের জীবনের মর্যাদা নাই। শুধু তাদের স্বামীদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা অমর্যাদাকর জীবন বেছে নিয়েছে। তাহলে তাদের স্বামীরা সন্তুষ্ট হলে তারা কেন মর্যাদাকর জীবন বেছে নিবে না?

মুসলমান পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের এই বিব্রতকর অবস্থা কীভাবে সহ্য করে তা চিন্তা করে আমি সত্যিই অবাক হই।

এ পরিস্থিতিতে মুসলিম জাহানের সর্বত্র মুসলমানরা বিস্মিত হয়ে অভিযোগ করে, ‘অমুসলিম দেশগুলো কেন আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছে না?’

কেন তারা করবে? আমরা কি ইসলামী মূল্যবোধকে কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছি?

জাযাকাল্লাহ্‌

ফাররুখ আবিদি। ”

 

আমি শুধু একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপাদমস্তক কালো কাপড়ে আবৃত না থাকলে কীভাবে একজন নারী চোখের দেখায় ধর্ষিত হতে পারে, অর্থাৎ একজন বেগানা বা বাইরের পুরুষ কেবলমাত্র চোখ দিয়ে দেখে কীভাবে তাকে সম্ভোগ করতে পারে!

যদিও মুসলমানরা অভিযোগ করে, (আবিদি যেমন করেছেন) অমুসলমানদের এমন বিকৃত যৌন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, এটা আসলে তাদের অন্তরের এই চিন্তাকেই প্রকাশ করে, কোন নারীর অনাবৃত মুখ, হাত, পা, অথবা বুকের অংশবিশেষের দিকে তাকিয়ে চোখ দ্বারা তাকে ধর্ষণ করা সম্ভব। আমি ৩৫ বছর মুসলমান ছিলাম, তাই আমি এতে অবাক হই না।

একজন সিরিয় আরব এবং সাবেক মুসলমান মুমিন সালিহ্‌ মুসলমানদের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি সঠিকভাবে বর্ণনা করে লিখেছেনঃ

উপসাগরীয় দেশগুলোতে এবং আরো কয়েকটি মুসলিম দেশে চালু থাকা কঠোর যৌন বিচ্ছিন্নতার ফলে কতিপয় মুসলমান যৌনতা তাড়িত পশুর মত আচরণ করে। উদাহরণস্বরূপ সৌদি আরবে কালেভদ্রে কোন নারীর অনাবৃত পা দেখে ফেললে পুরুষদের মনে যৌন উত্তেজনা জাগতে পারে। অস্ট্রেলিয় ইমাম তাজ-আল-হিলালী আংশিক অনাবৃত মহিলাকে অনাবৃত মাংসের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা দেখলে খাওয়ার জন্য জিহ্বায় পানি এসে যায়।

আমি জানি ইসলামী দেশগুলোর তরুণ মুসলমানরা হঠাৎ করে কোন নারীর ব্রেসিয়ারের ফিতা দেখে ফেললে তাদের শরীর কীভাবে গরম হয়ে উঠে। এতে বোঝা যায় অনাবৃত উরু অথবা স্তনের অংশ দেখলে মুসলমানদের কী দশা হতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, সাধুতার মুখোশের আড়ালে মুসলমানরা উন্মাদের মত পর্নোগ্রাফি উপভোগ করে।

এটা স্বাভাবিক যে রক্ষণশীল সামাজিক পটভূমির পুরুষরা, যেখানে নারী-পুরুষের মেলামেশা মুসলিম দেশগুলোর অনুসৃত নিয়ম অনুযায়ী তুলনামূলকভাবে সীমিত, কোন মেয়ের শরীরের অংশবিশেষ কিছুটা অনাবৃত দেখলেও সহজেই যৌন উত্তেজনা বোধ করে। তবে কোন সমাজ অথবা এর ধর্মীয় বিশ্বাস যৌনতা ও নারীকে কী দৃষ্টিতে দেখে তার ভিত্তিতেও বিকারগ্রস্ত যৌন মানসিকতা গড়ে উঠতে পারে। মানুষ হিসাবে আমরা কিংবদন্তীতূল্য দানবীর হাতেম তাইয়ের মত হয়ে উঠতে পারি, আবার তার সময়কার নবি মুহাম্মদের মত লুটেরা এবং ডাকাতও হয়ে উঠতে পারি (উল্লেখ্য, মুহাম্মদ হাতেম তাইয়ের গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালিয়ে লুটপাট এবং হাতেমের সন্তানদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছিলেন)। জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিষয় সম্পর্কে আমাদের মনোভাব গড়ে ওঠে আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে আমরা এগুলোকে কীভাবে পরিচর্যা করি তার নিরিখে।

মুসলমানরা সর্বোত্তমভাবে বড়জোর তাদের নবির মতো হতে পারে। সর্বকালে জীবনের সব দিক থেকে অনুসরণযোগ্য আদর্শ মানুষের দৃষ্টান্ত হিসাবে মুহাম্মদকে মুসলমানরা দেখে থাকে। এই লেখায় নবির একটি সুন্নতের উল্লেখ করছি। এতে বোঝা যাবে মুসলমানরা কেন নারী এবং যৌনতার ব্যাপারে এমন বিকৃতমনস্ক।

নবি একদিন তার পালকপুত্র যায়িদের বাড়িতে গেলেন। যায়িদ তখন বাইরে ছিলেন। তিনি যখন যায়িদকে নাম ধরে ডাকলেন তখন তার নব বিবাহিত স্ত্রী যয়নব ভিতর থেকে জানালেন যে যায়িদ বাড়ীতে নাই। কিন্তু মুহাম্মদ তার কৌতূহল দমন করতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে ফিরে না গিয়ে তিনি যায়িদের বাড়ীর ভিতরে উঁকি দিলেন। সেখানে তিনি তার পুত্রবধূ যয়নবকে দেখলেন। আরবের গ্রীষ্মকালীন গরমের দিনে যয়নব তখন ফিনফিনে পোশাক পরা অবস্থায় ছিলেন। মুহাম্মদ সুন্দরী যয়নবের আকর্ষণীয় প্রায় নগ্ন শরীর দেখে মোহিত হয়ে পড়লেন। তিনি এ কথা বলতে বলতে চলে গেলেন, “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র প্রাপ্য, যিনি হৃদয়ের অনুভূতি পরিবর্তন করতে পারেন।”

এরপর যা ঘটেছিল তাতে যে কোন সুন্দর মনের মানুষ বিষণ্ন বোধ করবেন, যদিও মুসলমানরা এটাকে নবির চির অনুসরণযোগ্য পবিত্র ঐতিহ্য বলে গণ্য করেন। সুন্দর মনের কোন শ্বশুর হলে পুত্রবধূর ঘরের ভিতর উঁকি দেওয়ার মতো ভুল করার জন্য লজ্জা পেয়ে ফিরে যেতেন। তার পরিবর্তে মুহাম্মদ সম্ভবত সুন্দরী যয়নবের যৌনাবেদনময়ী শরীর দেখে নিজের শরীরের ভিতর যৌনতার মহাপ্লাবন অনুভব করেছিলেন। এবং কীভাবে তিনি জীবনে একবার আসা যৌন উত্তেজনাকে বশে এনেছিলেন? এখানে সম্ভবত সে কাহিনীই বলা হয়েছেঃ

সহি মুসলিম ৮নং পুস্তক, সংখ্যা ৩২৪০

জাবির জানিয়েছেন যে, “আল্লাহর নবী (সঃ) একজন মহিলাকে দেখেছিলেন, এবং তাই তিনি যয়নবের কাছে ফিরে এসেছিলেন। যয়নব তখন একটি চামড়া পাকা করছিলেন, তিনি তার সঙ্গে রতিক্রিয়া করলেন। তিনি তখন তার সাথীদের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে বললেন, নারী শয়তানের আকৃতিতে আসে এবং চলে যায়। সুতরাং তোমাদের কেউ কোন মহিলাকে দেখলে নিজের স্ত্রীর কাছে ফিরে যাবে; কারণ এতে তার চিত্ত চাঞ্চল্য দূর হবে”।

ইসলামী সাহিত্যে সম্ভবত এই কাহিনীর সঙ্গে যয়নবের বিষয়ে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, এ ঘটনার সময় হচ্ছে নবীর সঙ্গে জয়নাবের প্রথম সাক্ষাতের পর। সে সময় নবির অভ্যাস ছিল মদীনার বিভিন্ন ঘরের ভিতর মহিলারা কী অবস্থায় আছে তা উঁকি দিয়ে দেখা (এতে যে তিনি আরও নিকৃষ্ট বিকৃতমনা মানুষে পরিণত হন তা নয় কি?)। মজার ব্যাপার হচ্ছে অর্ধনগ্ন যয়নবকে দেখার পর তার মধ্যে যে যৌন উত্তেজনা হয়েছিল সেটা মেটানোর জন্য তিনি একই নামের স্ত্রীকে নিয়ে বিছানায় গিয়েছিলেন। এ সময় কী তার মনে হচ্ছিলো যে তিনি তার পুত্রবধু যয়নবের সঙ্গে যৌনক্রিয়া করছেন?

এছাড়া আমরা নবির চরম যৌন বিকৃতি সম্পর্কেও জানি। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত বহুগামিতা,ছোট বালিকা আয়িশাকে পাওয়ার জন্য তাঁর লালসা এবং ৯ বছর বয়সে যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের উপযুক্ত হবার পূর্ব পর্যন্ত আয়িশার পিছনে লেগে থাকা এবং তার সঙ্গে উরু মৈথুন করা, যুদ্ধে বন্দী করে ‘কাফের’ মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরীকে সে রাতেই নিজের বিছানায় নিয়ে যাওয়া,বাবা খবর পাঠিয়েছে এই মিথ্যা কথা বলে নিজের স্ত্রী আসমাকে তাঁর বাবা ওমরের বাড়ীতে পাঠিয়ে তাঁরই বিছানায় তরুণী দাসী মারিয়াকে নিয়ে রাত্রিযাপন ইত্যাদি সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়।

এবং আলোচ্য ক্ষেত্রে মুহাম্মদের সঙ্গে যয়নবের মুলাকাত সেখানেই শেষ হয় নি। তিনি সব ধরনের কৌশল খাটিয়েছেন; এমনকী তাঁর পালক পুত্রের স্ত্রী যয়নবকে নিজের স্ত্রী বানানোর জন্য আরব ঐতিহ্যের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আল্লাহর সাহায্য নিয়েছেন। তৎকালীন আরব সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ ছিল।

যখন মুসলিম মানসে এই নবি সর্বকালের জন্য যৌন কার্যকলাপ ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে শুদ্ধতার ভাবমূর্তি নিয়ে অবস্থান করেন, তখন এটা বুঝতে সহজ হয় যে, কেন মুসলিম পুরুষরা উদার পোশাক পরা মহিলাদের দৃষ্টির মাধ্যমে ধর্ষণ করা সম্ভব বলে মনে করে। যেন কোন মহিলার পা,হাত,মুখ,অথবা বুকের কিছু অংশ দেখে তারা চরম যৌনতৃপ্তি লাভ করে।

উপরোল্লিখিত হাদীসে নবীর যৌন বিকৃতির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এতে পরিস্কারভাবে দেখানো হয়েছে, ইসলামে একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছে কী? তিনি নিকটবর্তী এক বাড়ীতে এক অর্ধনগ্ন মহিলাকে দেখে যৌন উত্তেজনায় কাতর হয়ে পড়লেন এবং বাড়ীতে তাঁর স্ত্রীকে কোন রকম প্রশ্ন না তুলে আকস্মিকভাবে তার যৌন উত্তেজনা প্রশমিত করতে হয়েছে। এবং এ ক্ষেত্রে আমরা কাফেররা স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি মনোযোগ দিয়ে থাকি। প্রায়ই সে ক্লান্ত থাকে, তার মন ভাল থাকে না, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এবং এই একই পরিস্থিতিতে আমরা যদি যৌনকর্মের জন্য চাপাচাপি করি তবে নিশ্চিতভাবে আমাদের চিরদিনের জন্য ছুঁড়ে ফেলা হবে।

যখন একটি সমাজ অথবা জনগোষ্ঠীর যৌন নৈতিকতার ভিত্তি গড়ে উঠে এই থেকে যে, মহিলারা পুরুষের যৌন ক্ষুধা মেটানোর হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়, তখন এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে, কেন মুসলমানরা মহিলার শরীরের উন্মুক্ত অংশের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা যায় বলে মনে করে। এই বিকৃত যৌনভাবনা থেকে আরও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় কেন পশ্চিমা দেশগুলোতে গিয়েও মুসলমানরা অন্যান্য অভিবাসীদের মত (যেমন ভারত থেকে আগত হিন্দু) উদার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও যৌনতা ও নারী সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পাল্টাতে পারেন না।

এটা বাস্তব সত্য যে, মুসলমানদের বিকৃত যৌন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মহিলারা মুসলিম দেশগুলোতে বাজারে, রাস্তায়, শপিংমলগুলোতে এবং যে কোন জনাকীর্ণ স্থানে যৌন হয়রানীর শিকার হয়। এবং তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে আসার পরও পবিত্র ঐতিহ্য দ্বারা লালিত হওয়ার কারণে মহিলাদের প্রতি তাদের এই মনোভাব পাল্টাতে পারে না। সুযোগ পেলেই তারা মহিলাদের ধর্ষণ এবং হিংসাত্মক আক্রমণের মত একই ধরনের যৌন আচরণ করে থাকে। সিডনী,মালমো (সুইডেন)-এর মুসলমান প্রধান মহল্লাগুলোতে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যান্য মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় শ্বেতাঙ্গ নারীদের ধর্ষণ করার হার যে অনেক বেশী এ প্রসঙ্গে সে কথা স্মরণ করা যায়। কতিপয় মুসলমান মোল্লা এমনকী ওইসব ধর্ষণের ঘটনাকে গর্বের সঙ্গে সমর্থনও করেন। তারা উদার পোশাক পড়া মহিলাদের মাংসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন যে, তারাই প্রকৃত অপরাধী। এবং আপনি যদি মুসলমান হন এবং মুসলমান পুরুষদের আলাপচারিতা শুনে থাকেন তবে দেখবেন, তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে এমন এক ধারণা রয়েছে যে- পাতলা পোশাক পরা কাফের নারীরা বেশ্যা এবং তাদের ধর্ষণ করা উচিত।

কেন মুসলমান পুরুষরা মনে করেন তারা কোন নারীর শরীরের অনাবৃত অংশের দিকে তাকিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে পারে, আশাকরি এখন আর তার কারণ খুঁজে পেতে পাঠকদের কষ্ট হবে না।

(নিবন্ধটি M. A. Khan -এর Sexual Perversity of the Muslim Mind -এর বাংলায় ভাষান্তর। মূল ইংরেজি লেখাটি ইসলাম ওয়াচ ( www.islam-watch.org )-এ ১৫ জুন ২০১০ তারিখে প্রকাশিত হয়। লেখক ওয়েব সাইট ‘ইসলাম ওয়াচ’-এর সম্পাদক এবং Islamic Jihad: A Legacy of Forced Conversion, Imperialism, and Slavery নামক গ্রন্থের লেখক)

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *