1 of 3

০১২. হাবশীদের দখলে ইয়ামান

যূ-নাওয়াসের অগ্নিকুন্ডে নিহত মুমিনদের একজন কোন রকমে আত্নরক্ষা করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সাবা গোত্রোদ্ভূত দাওস যূ-সুলুবান নামক এই ব্যক্তি আগুনের পরিখা থেকে সুকৌশলে উদ্ধার পেয়ে নিজের ঘোড়ায় চড়ে ঊর্ধশ্বাসে মরুভূমির ভেতর দিয়ে ছুটতে থাকেন। যূ-নাওয়াসের পশ্চাদ্ধাবনকারী লোকজনের চোখে ধূলো দিয়ে। ছুটতে ছুটতে তিনি রোম সম্রাটের দরবারে উপনীত হন। তিনি উহুদীবাদী যূ-নাওয়াস ও তার সৈন্য সমন্তের হাতে নাজরানবাসী মুমিনদের যে লেমহর্ষক গণহত্যা ও নির্যাতন সংঘটিত হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিররণ দিয়ে যূ-নাওয়াসের শক্তির বিরুদ্ধে রোম সম্রাটের সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন। সম্রাট বলেন, “তোমার দেশ আমার এখান থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। তাই আমি আবসিনিয়ার রাজাকে চিঠি লিখবো। তিনিও আমার ধর্মাবলম্বী। আর তাঁর দেশ তোমার দেশের কাছাকাছি।” সম্রাট আবিসিনিয়ার রাজাকে শুধু সাহায্য করার নির্দেশই নয়, সেই সাথে প্রতিশোধ গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিলেন। হাবশার রাজা নাজাশীর কাছে রোমান সম্রাটের ঐ চিঠি নিয়ে হাজির হলেন দাওস। নাজাশী হাবশা থেকে ৭০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী দাওসের সাথে পাঠিয়ে দিলেন। বাহিনীর সেনাপতি করা হলো আরিয়াত নামক এক ব্যক্তিকে। তার সহযোগী হিসেবে ঐ বাহিনীতে রইলো আবরাহা আল আশরাম নামক অপর এক ব্যক্তি।

আরিয়াত তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে সমুদ্রপথে ইয়ামানের উপকূলে গিয়ে নামলেন। তার সাথে দাওস যূ-সুলুবানও ছিলেন। খবর পেয়ে যূ-নাওয়াস, হিমইয়ার ও তার অনুগামী অন্যান্য ইয়ামানী গোত্র সমভিব্যাহারে আরিয়াতের সৈন্যদের বাধা দিতে এগিয়ে গেলেন। উভয় পক্ষে তুমুল লড়াই হলো। অবশেষে যূ-নাওয়াস ও তার দলবল পাজয় বরণ করলো। এ অবস্থা দেথে যূ-নাওয়াস তার ঘোড়াকে সমুদ্রের দিকে হাঁকালো। ঘোড়া সমুদ্রের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো এবং যূ-নাওয়াসের সলিল সমাধি ঘটলো। এখানেই যূ-নাওয়াস ও তার ইহুদীবাদী শাসনের অবসান ঘটলো। আরিয়াত ইয়ামানে প্রবেশ করে সিংহাসনে আরোহণ করলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *