1 of 2

৩৪. সৃষ্টি-বিস্তার

চতুস্ত্রিংশ অধ্যায় – সৃষ্টি-বিস্তার

মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ! এই প্রকারে অকাল-প্রলয়ানন্তর যেরূপে পুনর্বার সৃষ্টি হইল এবং যিনি এই পৃথিবী উদ্ধার করিলেন, সেই সমস্ত বিষয় সবিস্তারে বর্ণনা করিতেছি, তোমরা সাবধান হইয়া শ্রবণ কর। ১

পরমেশ্বর বিষ্ণু, প্রলয়-বেগ নিবৃত্ত হইলে কূৰ্ম্মরূপ ধারণ করিয়া পৰ্বতের সহিত পৃথিবীকে পৃষ্ঠে গ্রহণ করত উন্নত অবনত দেশসকল সমান করিলেন। ২

শরভ এবং বরাহের যুদ্ধকালে পৃথিবীর যে সকল দেশ বিদীর্ণ হইয়াছিল, সেই সকল দেশও সমভূমি করিলেন। ৩

এই প্রকারে সকল দেশ সমভাগে পরিণত হইলে ভগবান, ধরাধর অনন্তকে কূৰ্ম্মরূপে ধারণ করিলেন। ৪

তদনন্তর ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর, নর-নারায়ণের সহিত সেই নৌকার সমীপে আগমন করিয়া মনু সপ্তর্ষিমণ্ডল এবং দক্ষকে সম্বোধন করত নর নারায়ণের উদ্দেশে বলিলেন,–হে মহাত্মগণ! বরাহ এবং শরভের যুদ্ধে সৃষ্টি বিলুপ্ত হইয়াছে, পুনর্বার যেরূপে সৃষ্টি করিতে হইবে তাহা শ্রবণ কর। ৫-৭

সৃষ্টির নিমিত্ত উপস্থিত নর-নারায়ণ দেবগণের সংস্থাপনের নিমিত্ত তপস্যা করুন। ৮

মনো! ইহারা তপস্যা দ্বারা জনলোকবাসি দেবগণকে তুষ্ট করিয়া পূর্ববৎ গ্রহ এবং নক্ষত্রাদিগণকে নিরূপিত স্থানে অবস্থাপিত করত দিনকর এবং চন্দ্রকে নির্ণীত স্থানে সংস্থাপিত করুন। ৯-১১

স্বায়ম্ভুব মনো! তুমি ধরাতলে বীজ সকল বপন কর; পৃথিবীও সকল দিকে শস্য-রাশিতে পরিপূর্ণা হউন। ১২

ওষধি লতা বৃক্ষ বল্লী প্রভৃতি নানা জাতীয় উদ্ভিজ্জ বস্তু রোপণ কর। ১৩

দক্ষ এবং সপ্তর্ষিমণ্ডল, ইহাদের অমৃত-সদৃশ ফলদ্বারা যজ্ঞেশ্বর হরিকে তৃপ্ত করুন এবং যজ্ঞ-বরাহের পুত্রদেহ হইতে উৎপন্ন অগ্নিয় দ্বারা যজ্ঞ করুন। এই যজ্ঞদ্বারাই সৃষ্টি আরম্ভ করুন। ১৪-১৫

নর-নারায়ণ, সপ্তর্ষিমণ্ডল, দক্ষ, অগ্নিত্রয় এবং যজ্ঞদ্বারা তুমি স্বয়ং, স্বর্গ-মর্ত্য রসাতলের সৃষ্টি সম্পন্ন কর। ১৬

যাহাতে সৃষ্টি নির্বিঘ্নে সমাপ্ত হয়, আমরাও প্রতিদিন সেই বিষয়ে যত্ন করিব। ১৭

তদনন্তর সৃষ্টি শেষ হইলে জল বায়ু গগন প্রভৃতি সকল ভূতই পূৰ্বেই ন্যায় তেজস্বী হইবে। ১৮

মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর এই প্রকার আদেশ করিয়া পর্বতসকলকে স্ব স্ব স্থানে স্থাপন করিবার নিমিত্ত গমন করিলেন। ১৯

মেরু মন্দর কৈলাস এবং হিমালয় প্রভৃতি পৰ্বতোপরি পৃথক পৃথক স্থানে দেবগণের অবস্থান নিরূপণ করিলেন। ২০

তদনন্তর স্বায়ম্ভুব মনু নৌকা হইতে পৃথিবীতে নামিয়া প্রথমতঃ বীজসকল বপন করিতে আরম্ভ করিলেন ২১

তদনন্তর বৃক্ষ, লতা, বল্লী, গুল্ম, তৃণ, বন্য শস্যসকল, ওষধি (ধান্যাদি) বীজ, শাখা এবং অঙ্কুর প্রভৃতি জলজ এবং স্থলজ উদ্ভিজ্জ সকল প্রফুল্ল হইল। ২৩

এবং সজল ভূমির উপরে তাহাদের অধিক শোভা হইতে লাগিল। এই রূপে পৃথিবী, ফলভরে আশ্চর্য শোভাধারণ করিলেন। ২৪

স্বায়ম্ভুব মনু, পূর্বের ন্যায় পৃথিবীর শোভা-সম্পত্তি দর্শন করিয়া আনন্দিত চিত্ত হইলেন। ২৪

তদনন্তর মহাযোগী নর এবং মহামতি নারায়ণ দেবগণের সংস্থাপনের নিমিত্ত তপস্যা আরম্ভ করিলেন। ২৫

ঋষিসত্তম নর এবং নারায়ণ তপস্যাদ্বারা তেজোময় ব্রহ্মের আরাধনা করিয়া জনলোকবাসি-দেবগণকে আনয়ন করিলেন এবং তাহাদের মধ্যে যাহাদিগের মৃত্যু হইয়াছিল, তাহাদিগকে স্বকীয় তপঃপ্রভাবে সৃষ্টি করিলেন। ২৬-২৮

তিনি, সূৰ্য্য চন্দ্র ইন্দ্রাদি দশদিক্‌পাল সৃষ্টি করত পাতাল নির্মাণ করিলেন। এবং চন্দ্র-সূৰ্য-দেবের রথকে যথাস্থানে স্থাপন করিয়া পূর্বের ন্যায় দিবারাত্রির আধিপত্য প্রদান করিলেন। ২৯-৩০

দক্ষ–যজ্ঞীয় বৃক্ষ এবং লতা শস্যাদি সকল সম্যকরূপে উৎপন্ন এবং দিক পাল দেবগণ পৃথক পৃথকৃরূপে প্রতিপন্ন হইলে কশ্যপ, অত্রি, বসিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, গৌতম, জমদগ্নি, ভরদ্বাজ এই সপ্তর্ষিমণ্ডলকে সদস্যরূপে পরিগণিত করিয়া দ্বাদশ-বৎসর-সাধ্য জ্যোতিষ্টোম নামক মহাযজ্ঞ করিতে আরম্ভ করিলেন। ৩১-৩৩

সেই যজ্ঞে ব্রাহ্মণগণ অগ্নিত্রয়কে বারংবার হোমদ্বারা আরাধনা করিলে এবং বরাহদেব যজ্ঞদ্বারা আরাধিত হইলে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র এই চতুৰ্বর্ণের উৎপত্তি হইল। ৩৪

তদনন্তর দক্ষ, পুত্র-পৌত্রাদিক্রমে প্রজাবিস্তারেচ্ছায় রূপ-গুণ-প্রভৃতি সুলক্ষণসম্পন্না ত্রয়োদশটি কন্যা সৃষ্টি করিলেন এবং মহাত্মা কশ্যপ মুনিকে ত্রয়োদশ সম্প্রদান করিলেন। ৩৫

হে ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠগণ! কশ্যপের ঔরসে দক্ষের ত্রয়োদশ কন্যার গর্ভ-সম্ভূত অপত্য সকলে পৃথিবী পরিপূর্ণা হইল। কশ্যপ প্রজাপতিই সকলের জনক। ৩৬

উক্ত পুত্রগণ মাতৃ-নামেই প্রসিদ্ধ হইল। হে মুনিগণ! দক্ষের ত্রয়োদশ কন্যার নাম পৃথক পৃথক্‌ রূপে কীৰ্ত্তন করিতেছি শ্রবণ কর। ৩৭-৩৮

অদিতি, দিতি, দনু, কালা, দনায়ু, সিংহিকা, মুনি, ক্রোধ, প্রথা, বরিষ্ঠা, বিনতা, কপিলা এবং কদ্রূ, এই ত্রয়োদশ দক্ষকন্যা জগতে বিখ্যাত। ৩৯

ব্ৰহ্মার ধ্যানকালে দক্ষিণ অঙ্গুষ্ঠ হইতে উৎপন্ন হওয়ায় স্বর্গ-মর্ত্যে দক্ষ নামে প্রসিদ্ধ হইলেন। ৪০-৪১

ব্ৰহ্মার মন হইতে উৎপন্ন দশ পুত্রের মধ্যে মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু এই ছয়জন প্রলয়ান্তে সৃষ্টিকাৰ্যে প্রবৃত্ত হইলেন এবং প্রথমে মরীচি হইতে কশ্যপের উৎপত্তি হইল। ৪২-৪৩

কশ্যপের ঔরসে দক্ষকন্যা অদিতির গর্ভে, ধাতা, মিত্র, অৰ্যমা, শক্র, বরুণ, সোম, ভগ, বিবস্বান, পূষা, সবিতা, ত্বষ্টা, এই দ্বাদশ জন জন্মগ্রহণ করত আদিত্য নামে বিখ্যাত হন। ৪৪-৪৫

ইহাদের মধ্যে কনিষ্ঠ দিবাকর লোকে নিজকিরণ বিস্তার করিতে আরম্ভ করিলেন এবং অন্য অপেক্ষা ইহার বংশই অধিক হইল। ৪৬

দক্ষের দ্বিতীয় কন্যা দিতির গর্ভে হিরণ্যকশিপু নামে বলবান এক পুত্র জন্মিল। ৪৭

দিতি গর্ভজাত হিরণ্যকশিপুর প্রহলাদ, সংলাদ, বাঙ্কল এবং শিবিনামক মহাপরাক্রমশালী চারিটি পুত্র। প্রহলাদের তিনটি পুত্র হয়, তাহার মধ্যে বিরোচন জ্যেষ্ঠ; কুম্ভ ও নিকুম্ভ নামক অন্য পুত্রদ্বয় কনিষ্ঠ। ৪৮-৪৯

বিয়োচনের ঔরসে দাতাদিগের অগ্রগণ্য বলি নামে এক পুত্র উৎপন্ন হয়। বলির বাণনামক মহাবল এক পুত্র হয়। ৫০

এই বাণকে মহাদেব স্বয়ং ভোজনাদি প্রদান দ্বারা পালন করিয়াছেন। বাণের প্রসিদ্ধ নামান্তর মহাকাল। কুসুম্ভ মকর প্রভৃতি বাণের একশত পুত্র উৎপন্ন হয়। ৫১

দক্ষ প্রজাপতির তৃতীয় কন্যা দনুর গর্ভে বিপ্র, চিত্তি, শম্বর; নমুচি, পুলোমা, অসিলোমা, কেশী, দুর্জয়, অয়ঃশিরা, অশ্বশীর্ষ, ক্ষয়, শঙ্কু, বিয়ন্মূর্দ্ধা, বেগবান, কেতুমান, সূৰ্য্য, চন্দ্রমা, স্বয়, স্বর্ভানু, অশ্ব, অশ্বপতি, কুম্ভ, বৃষপৰ্ব্বা, অজক, অশ্বগ্রীব, সূক্ষ্ম, তুরুণ্ড, নহুষ, উৰ্দ্ধবাহু, একচক্র, বিরূপাক্ষ, হর, অহর, নিশ্চক্র, অন্নচক্র, কুপট, চপট, সুরভ, শলভ, দিবাকর এবং নিশানাথ এই চল্লিশটি মহা বল পুত্র জন্মগ্রহণ করে। ৫২-৫৬

ইহাদের মধ্যে দিবাকর নিশাকর নামক দনুপুত্র অদিতি-পুত্র সূর্য চন্দ্র হইতে স্বতন্ত্র। বলবীৰ্যশালী ইহাদের পুত্র পৌত্র এবং তৎপুত্রগণকর্তৃক জগন্মগুল ব্যাপ্ত হইল। ৫৭-৫৮

দক্ষের চতুর্থ কন্যা দনায়ুর বীরভদ্র, বীক্ষর, রস এবং বৃত্র নামে মহপরাক্রমশালী চারটী পুত্রের রূপ-গুণ-বলসমন্বিত এক শতটী করিয়া পুত্র হয়। হে দ্বিজগণ! দক্ষের পঞ্চম কন্যা কলার গর্ভে বিনাশন, ক্রোধ, ক্রোধহন্তা এবং ক্রোধশত্রু নামে মহাবীৰ্য্যবান্ কালেয় নামে বিখ্যাত চারিটী পুত্র জন্মে। ৫৯-৬৩

যষ্ঠ কন্যা সিংহিকার গর্ভে চন্দ্র, সূর্য, বিমর্দন রাহু, সুচন্দ্র, চন্দ্রহন্তা, চন্দ্র বিমর্দন, এই চারিজনের উৎপত্তি হয়। ৬৪

দক্ষের সপ্তম কন্যা ক্রোধার গভে গণ ক্রোধ-বশ ক্রূরকর্মা এবং বিমর্দন এই কয় জনের উৎপত্তি হয়। ৬৫

দক্ষের কন্যা সকলের মধ্যে ক্রোধা এবং সিংহিকা এই দুই জন অতিশয় ক্রুর–এই নিমিত্ত ইহাদের গর্ভে যাহাদের জন্ম, তাহারাও মাতৃদোষে ক্রূরতর হইয়াছিল। ৬৬

মুনির গর্ভে শুক্র নামে মহাকবি এক পুত্রের উৎপত্তি হয়। তিনি দৈত্য দানব কালেয় প্রভৃতি বৈমাত্রেয়গণের পৌরোহিত্য কর্মে নিযুক্ত হন। ৬৭।

কবিবর শুক্রের ত্বষ্টা, ধর, অত্রি, সৌনক নামে চারিটি পুত্র হয়। তাহারাও দৈত্যাদির পৌরোহিত্যরূপ পৈতৃক কার্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ৬৮

ব্রহ্মার বংশীয় সূৰ্যসমপ্রভ দৈত্য, দানব, কালেয়, ক্রোধাপুত্র, সিংহিকাসুত প্রভৃতি অসুরগণের পুত্র-পৌত্র-প্রপৌত্রে ভূমণ্ডল ব্যাপ্ত হইল। ৬৯-৭১

মে এতাদৃশভাবে তাহাদের বংশ বিস্তৃত হইল যে, বহুকাল কীর্তন করিলেও প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করা যায় না। ৭২

দক্ষের অষ্টম কন্যা বিনতার গর্ভে তার্ক্ষ্য অরিষ্টনেমি অনুরু গরুড় অরুণ এবং অরুণি এই কয় জনের জন্ম হয়। ৭৩

নবম কন্যা কদ্রুর গর্ভে অনন্ত, বাসুকি ঈশ, তক্ষক, কুলিক, কুৰ্ম্ম, সুমনা ইহারা জন্মগ্রহণ করেন। ৭৪

দক্ষকন্যা বরিষ্ঠার গর্ভে ভীমসেন,উগ্রসেন, সুপর্ণ, গরুড়, গোপতি, ধৃতরাষ্ট্র, সূৰ্য, চন্দ্র, পুষ্টবান্, অর্কপৃষ্ট, প্রমুক্ত, বিশ্রুত, সুশ্রুত, ভীম, চিত্ররথ, বিখ্যাত, সৰ্ববিৎ, বলী, শালিশীর্ষ, পর্জন্য, কলি এবং নারদ নামক পুত্রসকল জন্মগ্রহণ করেন। ইহারা কেহ দেব, কেহ গন্ধৰ্ব্ব ইত্যাদিরূপে পরিগণিত হন। ৭৫-৭৭

দক্ষ প্রজাপতির দ্বিতীয় কন্যা দিতি–অনবদ্যা, সানুরাগা, সসুরা, মার্গণী, প্রিয়া, অসূয়া, সুভগা, ভীমা এই কন্যা আটটিও প্রসব করিয়াছিলেন। ৭৮

দক্ষের দশম কন্যা প্রধার গর্ভে কশ্যপ-ঔরসে বিশ্বাবসু, সুচন্দ্র, সুপর্ণ, সিদ্ধ, বর্হিঃ, পূর্ণ, পূর্ণাঙ্ক, ব্রহ্মচারী, রতিপ্রিয় এবং ভানু এই দশটি পুত্রের জন্ম হয়। তাঁহারা কেহ দেব, কেহ গন্ধৰ্ব্ব ইত্যাদি সংজ্ঞায় বিখ্যাত হইয়াছিলেন। ৭৯-৮০

দক্ষকন্যা প্রধা-অলম্বুষা, মিশ্রকেশী, গামিনী, মনোরমা, বিদ্যুৎপন্না, রম্ভা, অরুণা, রক্ষিতা, তুলা, সুবাহু, সুরতা তিলোত্তমা প্রভৃতি প্রধান প্রধান অপ্সরা গণেরও জননী। ৮১-৮২

অতিবাহু, তুম্বুরু হাহা হুহু ইত্যাদি নামে খ্যাত গন্ধৰ্বশ্রেষ্ঠগণ প্রধাপুত্র। ৮৩

দক্ষকন্যা কপিলার গর্ভে অমৃত ব্রাহ্মণ, গো, মুনি, অপ্সরা প্রভৃতি জন্মগ্রহণ করেন। ৮৪

এই প্রকার দক্ষকন্যাগণের গর্ভে কশ্যপের ঔরসে উৎপন্ন পুত্র-কন্যাগণের পুত্র-পৌত্রসমূহে পৃথিবী পরিপূর্ণ হইলেন। ৮৫-৮৬

সৰ্ব্বভূতাত্মা হরি, এইরূপে যজ্ঞস্বরূপ বরাহদেবের দেহোৎপন্ন অগ্নিত্রয়, লোকপ্রসিদ্ধ স্বায়ম্ভুব মনু, কশ্যপাদি সপ্তর্ষিগণ এবং নরনারায়ণ প্রভৃতি দ্বারা অকাল-প্রলয়ান্তে পুনৰ্বার পূর্বের ন্যায় ত্রিভুবন সৃষ্টি করিলেন ৮৭-৮৮

সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়কারী নর-নারায়ণ-স্বরূপ জগন্নাথ হরি ইচ্ছানুসারে সময়ে সময়ে এই প্রকার সৃষ্ট্যাদি কার্য করেন। ৮১

চতুস্ত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। ৩৪

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *