3 of 3

১৪২. রাসূলুল্লাহর (সা) স্ত্রীগণ বা উম্মুহাতুল মুমিনীনের বিবরণ

ইবনে হিশাম বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নয়জন স্ত্রী ছিলেন। যথা: আয়িশা বিনতে আবু বাক্র (রা), হাফসা বিনতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রা), উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান ইবনে হরাব (রা), উম্মে সালামা বিনতে আবু উমাইয়া ইবনে মুগীরা (রা), সাওদা বিনতে যামআ ইবনে কায়েস (রা), যয়নাব বিনতে জাহাশ (রা), মাইমুনা বিনতে হারেস ইবনে হাযন (রা), জুয়াইরিয়া বিনতে হারেস ইবনে আবু দিরার (রা) ও সাফিয়া বিনতে হুয়াই ইবনে আখতাব। একাধিক নির্ভযোগ্য বিজ্ঞজান থেকে এদের বিবরণ জানা গেছে।

[রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোট স্ত্রীসংখ্যা তের। কিন্তু উল্লিাখত নয় জন তাঁর ইন্তিকালের সময় বেঁচে ছিলেন। দুই জন আগেই মারা যান। আর দুই জনের সাথে নাম মাত্র বিয়ে হয়েছিল। তাঁর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গৃহিনী হননি।]

খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ রাদিয়াল্লাহ আনহা

খাদীজাই ছিলেন তাঁর প্রথমা স্ত্রী। তাঁর পিতা খুয়াইলিদ ইবনে আসাদ মতান্তরে ভ্রাতা আমর ইবনে খুয়াইলিদ খাদীজাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম তাঁকে বিশটি বকনা উষ্ট্রী মোহরানা দেন। ইব্রাহীম ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সব কয়টি সন্তান তাঁর গর্ভেই জন্মে। তাঁর পূর্ব স্বামী ছিলেন আবু হালা ইবনে মালিক। তিনি ছিলেন তিনি ছিলেন বনু আবুদদ দার গোত্রের মিত্র বনু উসাইদের লোক। আবু হালার স্ত্রী থাকাকালে তাঁর গর্ভে হিন্দ নামে একটি ছেলে ও যয়নাব নামে একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। আবু হালার পূর্বে তাঁর বিয়ে হয় আতীক ইবনে আবিদের সাথে। সেখানেও তাঁর আবদুল্লাহ নামে একটি ছেলে ও জারিয়া নামে একটি মেয়ে জন্মে।

আয়িশা বিনতে আবু বাক্র রাদিয়াল্লাহু আনহা

মাত্র সাত বছর বয়সে মক্কায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। মদীনায় হিজরাতের পর নয় বা দশ বৎসর বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেন। তিনি আয়িশা (রা) ছাড়া আর কোন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেননি। তাঁর পিতা আবু বাক্র সিদ্দীক (রা) তাঁকে বিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মোহরানা স্বরূপ চারশো দিরহাম প্রদান করেন।

সওদা বিনতে যাম’য়া রাদিয়াল্লাহু আনহা

সালীত ইবনে আমর মাতান্তরে আবু হাতিম ইবনে আমর তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মোহরানা স্বরূপ চারশো দিরহাম প্রদান করেন। তাঁর পূর্ব স্বামীর নাম সাকরান ইবনে আমর। [৯৭. ইবনে হিশাম বলেন যে, ইবনে ইসহাক এই বর্ণনার সাথে একমত নন। তাঁর মতে আলী ও আবু হাতিম উভয়ে এই সময় আবিসিনিয়ায় প্রবাল জীবন যাপন করছিলেন। এই সময়ে তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অনুপস্থিত ছিলেন।]

যায়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা

তাঁর ভাই আবু আহমাদ ইবনে জাহাশ তাঁর বিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মোহরানা দেন চারশো দিরহাম। তাঁর পূর্ব স্বামী ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আজাদ করা গোলাম যায়িদ ইবনে হারিসা (রা)।

যায়নাব সম্পর্কেই কুরআনের এ আয়াত নাযিল হয়: “যায়িদ যখন তাঁকে ছেড়ে দিল তখন আমি তোমার সাথে তার বিয়ে দিলাম।”

উম্মে সালামা বিনতে আবু উমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা

তাঁর আর এক নাম হিন্দ। তাঁর বিয়ে দেন তাঁরই পুত্র সালামা। তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুরের ছালভর্তি একটি গদি, একটি পেয়ালা, একটি প্লেট ও একটি যাঁতাকল দিলেন। তাঁর পূর্ব স্বামীর নাম আবদুল্লাহ আবু সালামা। সেখানে তাঁর চারটি সন্তান জন্মে। যথা: সালামা, উমার, যায়নাব এবং রুকাইয়া।

হাফসা বিনতে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহা

পিতা উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহা নিজে তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের সাথে চারশো দিরহাম মোহরানায় বিয়ে দেন। পূর্বে তাঁর বিয়ে হয়েছিল খুনাইস ইবনে হুযাফা সাহমীর সাথে।

উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান ইবনে হরব রাদিয়াল্লাহু আনহা

খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনে আস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তাঁর বিয়ের উদ্যোগ নেন ও প্রস্তাব দেন। তাঁরা উভয়ে তখন আবিসিনিয়ায় প্রবাসী জীবন যাপন করছিলেন। খোদ নাজাশী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের পক্ষ থেকে তাঁকে চারশো। দিনার মোহরানা দিয়ে দেন। তাঁর পূর্ব স্বামীর নাম উবায়দুল্লাহ ইবনে জাহাশ আসাদী। তাঁর প্রকৃত নাম রমলা।

জুয়াইরিয়া বিনতে হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহা

খুযায়া গোত্রের এই মহিলা বনু মুস্তালিক যুদ্ধে যুদ্ধবন্দিনী হয়ে আসেন এবং সাবিত ইবনে কায়সের (রা) অংশে পড়েন। জুয়াইরিয়া হারিসের কাছ থেকে মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তিলাভের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এই মুক্তিপণ প্রদানে সাহায্যের জন্য তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরণাপন্ন হন। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুক্তিপণ আদায় করতে রাজী হন এবং তাঁর সাথে তাঁর বিয়ের প্রস্তাব দেন। জুয়াইরিয়া প্রস্তাবে সম্মত হন। অতঃপর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয।

ইবনে হিশাম উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুয়াইরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বনু মুস্তালিকের এলাকা থেকে ফিরলেন, পথিমধ্যে তিনি জনৈক আনসারী সাহাবার নিকট জুয়াইরিয়াকে আমানত রেখে তাঁকে রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়ে মদীনায় চলে গেলেন। মদীনায় পৌছাবার পর জুয়াইরিয়ার পিতা হারিস ইবনে আবু দিরার কণ্যার মুক্তির জন্য মুক্তিপণ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপনীত হলেন। আকীক নামক স্থানে এসে হারিসের নজর পড়লো মুক্তিপণ স্বরূপ যে উটের বহর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নিয়ে চলেছেন তার ওপর। দুটো উট তার অত্যধিক পছন্দ হলো। তিনি ঐ দুটো উটকে আকীক পাহাড়ের কোন এক গুহায় লুকিয়ে রাখলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, “হে মুহাম্মাদ, তোমরা আমার কন্যাকে বন্দী করে এনেছো। এই নাও তার মুক্তিপণ।” রাসূলুল্লাহ াসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সেই উট দুটোর কি হলো-যা তুমি আকীক পাহাড়েরর অমুক গুহায় লুকিয়ে রেখে এসেছো।” হারিস বললেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই আর আপনি আল্লাহর রাসুল। নিশ্চয়ই আপনাকে এ কথা একমাত্র আল্লাহই জানিয়েছেন।” হারিস ইসলাম গ্রহণ করলেন। এরপর লোক পাঠিয়ে আকীক পাহাড় থেকে লুকানো উট দুটো আনলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তাঁর সব কয়টি উট সমর্পণ করলেন। কন্যা জুয়াইরিয়াকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হলো।

সাফিয়া বিনতে হুয়াই ইবনে আখতাব রাদিয়াল্লাহু আনহা

ইহুদী নেতা হুয়াই ইবনে আখতাবের কন্যা সাফিয়াকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার থেকে যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে আনেন এবং স্ত্রীর মর্যাদা দান করেন। এই বিয়েতে তিনি এক অনাড়ম্বর ওলীমার আয়োজন করেন যাতে চর্বি বা গোশতের পরিবর্তে শুধু খোরমা ও ছাতু দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। তাঁর পূর্ব স্বামীর নাম কিনানা ইবনে রাবী ইবনে আবুল হুকায়েক।

মাইমুনা বিনতে হারিস রাদিয়াল্লহু আনহা

আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তাঁর বিয়ের আয়োজন করেন। এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে চারশো দিরহাম মোহরানা প্রদান করেন। তাঁর পূর্ব স্বামীর নাম আবু রোহম ইবনে আবদুল ্যযা। কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে তিনিই সেই মহিলা যিনি পবিত্র কুরআনের ভাষায় নিজেই নিজেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে সমর্পণ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব যখন এই মহিলার নিকট পৌছে তখন তিনি উটের পিঠে সওয়ার ছিলেন। তিনি প্রস্তাবের জবাবে তৎক্ষণাৎ বললেন, “এই উট ও তার আরোহী আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের জন্য নিবেদিত।” মহান আল্লাহ এর পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল করেন, “(তোমার জন্য বৈধ করা হয়েছে) যদি কোন মু’মিন রমণী নিজে আত্মনিবেদন করে আর নবী যদি তাকে বিয়ে করতে চান তা হলে।”

কেউ কেউ বলেনঃ নিজেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সমর্পণকারিনী মহিলা তিনি নন বরং যায়নাব বিনতে জাহাশ। আবার কেউ বলেন, তিনি উম্মে শুরাইক গাযিয়া বিনতে জাবির। অন্যদের মতে তিনি বনু সামা গোত্রের জনৈকা মহিলা। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ব্যাপারটি বিলম্বিত করেছেন।

যায়নাব বিনতে খুযাইমা রাদিয়াল্লাহু আনহা

প্রথমে চাচাতো ভাই যাহাম ইবনে আমরের সাথে বিয়ে হয়। পরে উবাইদা ইবনূল হারিসের সাথে বিয়ে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চারশো দিরহাম মোহরানার বিনিময়ে তাঁকে বিয়ে দেন কাবীসা ইবনে আমর হিলালী। ফকীর মিসকীন ও দারিদ্রের প্রতি তাঁর অত্যধিক দয়া ও মমত্ববোধের কারণে তাঁকে উম্মুল মাসাকীন বলা হতো।

এই এগারো জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী, যাদের সাথে তিনি দাম্পত্য জীবন যাপন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ (রা) এবং যায়নাব বিনতে খুযাইমা (রা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইনতিকালেল সময় ও তার পরে জীবিত ছিলেন। এছাড়া দু’জনের সাতে তাঁর দাম্পত্য জীবন যাপন করা সম্ভব হয়নি হয়নি। একজন আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়া। এই মহিলাকে বিয়ে করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শ্বেত বা কুষ্ঠ আক্রান্ত পান। তাই তাকে উপঢৌকন দিয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন। অপরজন ‘আমরা বিনতে ইয়াযীদ কিলাবিয়া। সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসেই তাঁর কাছ থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “সে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছে এবং আল্লাহর কাছে পনাহ চাইছে।” অতঃপর তাকে তিনি তহার পরিবার-পরিজনের কাছে ফেরত পাঠান। কেউ কেউ বলেন, যে মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পানাহ চেয়েছিল অর্থাৎ দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করেছিল সে হলো আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়ার চাচাতো বোন। কারো কারো মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাছে ডাকলে সে (গর্বভরে) বলে, “আমরা অভিজাত গোত্রের মানুষ। লোকেরা আমাদের কাছে আসে। আমরা কারো কাছে যাই না।” একথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লাম তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের মধ্যে ছয় জন ছিলেন কুরাইশ বংশীয়। যথা – খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ (রা), আয়িশা বিনতে আবু বাক্র (রা), হাফসা বিনতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রা), উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা), উম্মে সালামা বিনতে আবু উমাইয়া (রা) ও সওদা বিনতে যামআ (রা)। আর বাদবাকী সাতজন অকুরাইশী। ছয় জন আরব বংশোদ্ভুত। যথা: যায়নাব বিনতে জাহাশ (রা) (বনু আসাদ গোত্রের), যায়নাব বিনতে হারেস (রা) (বনু আমের গোত্রের), যায়নাব বিনতে খুযাইমা (রা) (বনু খাযায়া গোত্রের), আসমা বিনতে নুমান কিন্দিয়া (রা) (কিন্দা গোত্রের) এবং আমরা বিনতে ইয়াযীদ (রা) (বনু কিলাব গোত্রের)। আর একজন অনারব (ইহুদী) বংশোদ্ভূত, সাফিয়া (রা) বিনতে হুয়াই ইবনে আখতাব (বনু নাজীর গোত্রের)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *