০৫. সম্পত্তি হস্তান্তর (দায়ভাগ) – পঞ্চম অধ্যায়

সম্পত্তি হস্তান্তর (দায়ভাগ) – পঞ্চম অধ্যায়

সম্পত্তির মালিক তাহার সম্পত্তি যে কোন প্রকারে হস্তান্তর করিতে পারেন, এ বিষয়ে তাহার ক্ষমতা অপ্রতিহত। সম্পত্তি যখন পিতার হন্তে থাকে, তখন পিতা উহা বিক্রয় করিতে, বন্ধক দিতে, দান করিতে, বা উইল করিয়া যাইতে পারেন, এবং পুত্ৰগণ তাহাতে কোনও আপত্তি করিতে পারে না। স্থাবর হউক, অস্থাবর হউক, পৈতৃক হউক, বা স্বোপার্জিতই হউক, সকল প্রকার সম্পত্তির উপর তাহার সমান প্রভূত্ব আছে (উদয় বঃ যাদবলাল, ৫ কলিকাতা ২১৩)।

একাধিক ব্যক্তি মিলিয়া যখন সম্পত্তি এজমালিতে ভোগ করিতে থাকেন, তখনও প্রত্যেক ব্যক্তি বিভাগের পূৰ্ব্বেও তাহার নিজের অবিভক্ত অংশ যে কোনও প্রকারে হস্তান্তর করিতে পারেন, তাহাতে অপর ব্যক্তিগণ কোনও আপত্তি করিতে পারেন না। যদি চারিভ্রাতা এজমালিতে সম্পত্তি ভোগ করেন, তাহা হইলে বিভাগের পূৰ্ব্বেও এক ভ্রাতা যদি একচতুর্থাংশ সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া ফেলেন, তাহা হইলে অপর ভ্রাতাগণ তাহাতে আপত্তি করিতে পারিবেন না।

অনেক স্থলে এজমালী মালিকগণের মধ্যে একজন কর্ত্তা বা ম্যানেজার স্বরূপ সমস্ত সম্পত্তি তত্ত্বাবধান করেন। সম্পত্তি হস্তান্তর সম্বন্ধে কৰ্ত্তারও ক্ষমতা খুব বেশী। সম্পত্তির মধ্যে তাহার নিজের যেটুকু অংশ আছে, সে সম্বন্ধে তো তাহার অপ্রতিহত ক্ষমতা আছেই; তাহা ছাড়াও, কর্তা বা ম্যানেজারস্বরূপ এজমালী সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণসম্বন্ধেও তাহার অনেক ক্ষমতা আছে। আইনসঙ্গত প্রয়োজন থাকিলে তিনি সমস্ত সম্পত্তি যে কোন প্রকারে হস্তাস্তর (বিক্রয়, বন্ধক, পত্তনি) করিতে পারেন; তজ্জন্য তিনি অপর মেম্বরগণের অনুমতি লইতে বাধ্য নহেন। পরিবারের মধ্যে কোনও কন্যার বিবাহ, বালকগণের উপনয়ন ও বিদ্যাশিক্ষা, পরিবারবর্গের ভরণপোষণ, চিকিৎসাব্যয়, পৈতৃক ঋণ পরিশোধ, মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ, চিরকাল ধরিয়া যে সকল পূজা হইয়া আসিতেছে তাহার ব্যয় নিৰ্বাহ, ধৰ্ম্মকাৰ্য্য ও দাতব্য কাৰ্য্যে ন্যায়ুসঙ্গত দান, প্রয়োজনীয় মামলা মোকদ্দমা পরিচালন, গবর্ণমেণ্টের রাজস্বদান, –এই সকল কাৰ্য্যকে আইনসঙ্গত প্রয়োজন বলে। এই কাৰ্য্যগুলির জন্য অপর মেম্বরগণের সম্মতি না লইয়াও কর্ত্তা সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারেন। কিন্তু আইনসঙ্গত প্রয়োজন না থাকিলে তিনি হস্তান্তর করিতে পারিবেন না, করিলেও তজ্জন্য শুধু তাহার নিজের অংশ দায়ী হইবে।

কোনও নাবালকের অভিভাবকের নিকট তুইতে কোনও সম্পত্তি ক্রয় করিবার সময়ে খরিদদারকে যে ধে বিষয়ে তদন্ত করিতে হয় (পূৰ্ব্বে ৪৩—৪৪ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য), এজমালি পরিবারের কর্ত্তা বা ম্যানেজারের নিকট হইতে সম্পত্তি থবিদ করিবার সময়েও খরিদদারকে সেক্ট সেই তদন্ত করিতে হইবে।

সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে কেহ কাহাকেও নিষেধ করিতে পারেন না, করিলেও তাহা অসিদ্ধ হুইবে। পিতা যদি উইলে লিখিয়া যান যে, তাহার পুত্ৰগণ সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারিবে না, তাহা হইলে ঐ আদেশ অসিদ্ধ হইবে; এবং পিতার মৃত্যুর পরই পুত্ৰগণ নিজ নিজ অংশ বিক্রয় করতে ক্ষমতাপন্ন হইবেন। কিন্তু যাঁহারা সম্পত্তি এজমালিতে ভোগ করিতেছেন তাঁহারা যদি পরস্পরের মধ্যে চুক্তি করেন যে তাঁহার অংশ হস্তান্তর করিতে পারবেন না, তাহা হইলে ঐ চুক্তি হইবে; কিন্তু ইহাও জানা উচিত যে ঐ চুক্তি শুধু তাহাদের নিজেদেরই উপর বাধ্যকর হইবে, তাহাদের উত্তরাধিকারিগণের উপর বাধ্যকর হইবে না।

নাবালক ব্যক্তি কোনও সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারে না।

দান

মালিক তাঁহার সম্পত্তি ইচ্ছামত দান করিতে পারেন। স্থাবর হউক, অস্থাবর হউক, পৈতৃক হউক, স্বোপার্জিত হউক, সকল সম্পত্তিই তিনি দান করিতে পারেন। তবে কোনও সম্পত্তি দান করিতে হইলে, কিরূপ ভাবে দান করিতে হয় এবং কাহাকে দান করিতে পারা যায়, ইত্যাদি সম্বন্ধে হিন্দু আইনে কতকগুলি বিধান আছে, তাহা পালন করা অবখ্য কৰ্ত্তব্য, না করিলে দান অসিদ্ধ হইয়া যায়।

দানকার্য্যে কি কি আবশ্যক

(১) প্রথমতঃ, হিন্দু আইনে বিধান আছে যে,”চেতনোদ্দেশবিশিষ্ট ত্যাগ”কে দান বলা যায়; অর্থাৎ দান করিতে হইলে কোনও চেতনাবিশিষ্ট ব্যক্তিকে দান করিতে হইবে। সেজন্য, যে ব্যক্তি মরিয়া গিয়াছে বা যে ব্যক্তি এখনও জন্মায় নাই তাহাকে দান করিতে পারা যায় না (১৮ উইক্‌লি রিপোর্টার ৩৫৯)। যে ব্যক্তি মাতৃগর্ভস্থ, আইনের চক্ষে সে জন্মগ্রহণ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হয়, সুতরাং তাহাকে দান করিতে পারা যায়।

(২) দ্বিতীয়তঃ, যাঁহাকে সম্পত্তি দান করা হইয়াছে, তিনি উহা গ্রহণ করিবেন, তিনি নিজে গ্রহণ করিতে না পারিলে তাহার পক্ষে অপর কেহ গ্রহণ করিবেন। নাবালককে সম্পত্তি দান করিলে তাহার অভিভাবক গ্রহণ করিতে পারে; কোনও মন্দিরে সম্পত্তি দান করিলে মন্দিরের পুরোহিত বা সেবাইত তাহা গ্রহণ করিতে পারে (জগদীন্দ্র বঃ হেমন্ত, ৩২ কলিকাতা ১২৯ প্রিভিকৌন্সিল)। যদি গ্রহণ করিবার পুৰ্ব্বে দানপাত্রের মৃত্যু হয়, তাহা হইলে দান অসিদ্ধ হইয়া যাইবে।

(৩) তৃতীয়তঃ, হিন্দু আইনে এই বিধান আছে যে, দানের সম্পত্তিতে দাতা গ্রহীতাকে দখল সমৰ্পণ করিবেন। কিন্তু এই বিধানটা এখন সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১২৩ ধারা দ্বারা রহিত হইয়াছে। উক্ত আইনের ১২৩ ধারায় এই নিয়ম বিধিবদ্ধ আছে যে, স্থাবর সম্পত্তি দান করিতে হইলে একটী দানপত্র সম্পাদন করিতে হইবে, ঐ দানপত্র রেজিষ্টারী করিতে হইবে, এবং উহাতে অনূ্যন দুইজন সাক্ষী থাকা আবশ্যক; নচেৎ দান অসিদ্ধ হইবে; আর যদি অস্থাবর সম্পত্তি হয়, তাহা হইলে দাতা গ্রহীতাকে সম্পত্তিতে দখল সমৰ্পণ করিবেন অথবা রেজেষ্টারীকৃত দানপত্র সম্পাদন করিবেন।

সুতরাং এখন কোনও স্থাবর সম্পত্তি দান করিতে হইলে, হিন্দু আইনের বিধান অনুসারে শুধু দখল সমর্পণ করিয়া বাচনিক ভাবে দান করা চলিবে না; এখন সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের বিধান পালন করিতে হইবে, নচেৎ দান সিদ্ধ হইবে না। পূৰ্ব্বোক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের বিধানানুসারে এই আইন দাড়াইয়াছে যে, সম্পত্তি যদি অস্থাবর হয়, তাহা হইলে দানপত্র সম্পাদিত হইবে অথবা দাতা কর্তৃক সম্পত্তিতে গ্রহীতাকে দখল সমৰ্পণ করিতে হইবে; আর যদি সম্পত্তি স্থাবর হয়, তাহা হইলে দানপত্র সম্পাদন করিতেই হইবে, সম্পত্তিতে দখল সমর্পণ করিবার কোনও প্রয়োজন নাই (কালিদাস বঃ কানাইলাল, ১১ কলিকাতা ১২১ প্রিভি কৌন্সিল; ধৰ্ম্মদাস বঃ নিস্তারিণী, ১৪ কলিকাতা ৪৪৬; বলভদ্র ব: ভবানী,৩৪ কলিকাতা ৮৫৩)।

স্ত্রীলোককে দান

স্ত্রীলোককে কোনও সম্পত্তি দান করা হইলে দানপত্রে স্পষ্ট ভাষায় লেখা উচিত যে স্ত্রীলোক ঐ সম্পত্তি জীবনস্বত্বে পাইবে অথবা নির্ব্যূঢ় স্বত্বে পাইবে। কোনও পুরুষ ব্যক্তিকে কোনও সম্পত্তি দান করিলে এ সম্বন্ধে কোনও প্রশ্নই উত্থিত হয় না, কারণ পুরুষ ব্যক্তি নির্ব্যূঢ় স্বত্বেই পাইয়া থাকে; তবে যদি দানপত্রে স্পষ্ট লেখা থাকে যে সে জীবন-স্বত্বে পাইবে তাহা হইলে স্বতন্ত্র কথা। কিন্তু স্ত্রীলোককে কোন সম্পত্তি দান করিলে এবং স্ত্রীলোক কিরূপ স্বত্বে পাইবে তাহা স্পষ্ট করিয়া না লিখিলে ইহা অনুমান করিয়াই লওয়া হয় যে স্ত্রীলোক উহা জীবনস্বত্বে পাইবেন (২ ইণ্ডিয়ান আপীলস ৭; রাধাপ্রসাদ বঃ রাণীমণি, ৩৫ কলিকাতা ৮৯৬ প্রিভি কৌন্সিল)। সুতরাং কেহ যদি কোনও সম্পত্তি কোনও স্ত্রীলোককে নিবুঢ়ি স্বত্বে দিতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে দানপত্রে সে কথা খুব স্পষ্ট করিয়া লেখা উচিত, নতুবা ভবিষ্যতে এই ব্যাপার লইয়া অনেক মামলা মোকদ্দমা হইতে পারে।

অন্যান্য কথা

পূর্বেই লিখিত হইয়াছে যে, যে ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করে নাই তাহাকে দান করিতে পারা যায় না। সুতরাং কেহ যদি এরূপভাবে দান করেন যে”আমি এই সম্পত্তি আমার ভ্রাতুষ্পপুত্র কালীচরণকে এবং তাহার ষে সকল ভ্রাতা জন্মিবে তাহাদিগকে দান করিলাম,” এবং দানের সময় যদি শুধু কালীচরণ ব্যতীত আর কোনও ভ্রাতু-পুত্র না জন্মিয় থাকে, তাহা হইলে সমস্ত দানপত্রটা অসিদ্ধ হইয়া যাইবে না, তবে সমস্ত সম্পত্তিটা শুধু কালীচরণই পাইবে; দানপত্র সম্পাদিত হওয়ার পর কালীচরণের যে সকল ভ্রাতা জন্মিবে, তাহারী কিছুই পাইবে না। সেইরূপ, যদি কেহ এই মর্শ্বে দানপত্র লেখেন যে”আমার দুই ভগ্নীর পুত্রগণকে (যাহার জন্মগ্রহণ করিয়াছে, এবং যাহারা ভবিষ্যতে জন্মিবে) এই সম্পত্তি দান করিলাম, তাহা হইলে দানপত্রের সময়ে যে ভাগিনেয়গণ রহিয়াছে তাহারাই সম্পত্তি পাইবে, যাঁহারা পরে জন্মগ্রহণ করিবে তাহার কিছুই পাইবে না (ভগবতী বঃ কালীচরণ, ৩৮ কলিকাতা ৪৬৮ প্রিভি কৌন্সিল)।

দানের সঙ্গে যদি কোনও সৰ্ত্ত থাকে তাহা হইলেও দান সিদ্ধ হইবে। দাতা যদি এই সৰ্ত্তে দান করেন যে গ্রহীতা দাতার গৃহদেবতার পূজার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিবেন, কিংবা দানের সম্পত্তি হইতে দাতাকে ভরণপোষণ দিবেন, তাহা হইলেও দান সিদ্ধ হইবে, এবং গ্রহীত। ঐ সকল সর্ত্ত পালন করিতে বাধ্য হইবেন।

কোনও সম্পত্তি একবার দান করিলে আর তাহা প্রত্যাহার করা যায় না, এমন কি যদি দানপত্র রেজেষ্টারী না হইয়াও থাকে, তাহা হইলেও দানের সম্পত্তি ফিরাইয়। লণ্ডয় চলেন। তবে যদি দাতা প্রমাণ করিতে পারেন যে দানপাত্র তাহাকে প্রবঞ্চনা করিয়া, বা অবৈধ ক্ষমতা পরিচালনা পূৰ্ব্বক বা মিথ্য উক্তি দ্বার বা ভয় দেখাইয়া বা বলপূৰ্ব্বক দানপত্র সম্পাদন করাইয়া লইয়াছে, তাহা হইলে দাতা ঐ দান প্রত্যাহার করিতে পারেন। দাতা ও গ্রহীতা দানের সময়ে এইরূপ চুক্তি করিতে পারেন যে, যে ঘটনার উপর দাতার কোনও হাত নাই সেরূপ ঘটনা ঘটিলে তিনি ঐ দান প্রত্যাহার করিতে পারবেন। এইরূপ চুক্তি সিদ্ধ হবে এবং উক্তরূপ ঘটনা ঘটিলে দাতা দানের সম্পত্তি ফিরাইয়া লইতে পারিবেন। যথা, দাতা যদি দানপত্রে এইরূপ লেখেন—“আমি এই সম্পত্তি তোমাকে দান করিলাম, কিন্তু আমার বাদ ভ্রাতুষ্পপুত্র জন্মায় তাহা হইলে আমি এই সম্পত্তি তোমার নিকট হইতে ফিরাইয়া লইতে পারিব।” এইরূপ চুক্তি সিদ্ধ হইবে, কারণ দাতার ভ্রাতুপুত্রের জন্ম সম্বন্ধে দাতার কোনও হাত নাই; এস্থলে দাতার ভ্রাতুপুত্র জমিলে তিনি দানের সম্পত্তি ফিরাইয়া লইতে পারিবেন। কিন্তু যদি দাতা দানপত্রে এইরূপ লেখেন—”আমি এই সম্পত্তি দান করলাম, কিন্তু আমি যদি পোষ্যপুত্র গ্রহণ করি, তাহা হইলে আমি এই সম্পত্তি ফিরাইয়া লইব” ভাহা হইলে এই চুক্তি অসিদ্ধ হইবে, কারণ পোষ্যপুত্র গ্রহণের উপর তার নিজের সম্পূর্ণ হাত আছে ইয়ার সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন। এরূপ নে তিনি পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিয়া দানের সম্পত্তি ফেরত লইতে পারবেন না।

আর এক প্রকার দান আছে, তাহা লোকে খুব সাঙ্ঘাতিক পীড়ায় আক্রান্ত হইলে করিয়া থাকে।  ঐ পীড়ায় যদি দাতার মৃত্যু হয় তাহা হইলেই এ দান কার্যকর হইবে; যদি দাতা বঁচিয়া উঠেন, তাহা হইলে দান নিষ্ফল হইয়া হইয়া যাইবে, এবং গ্রহীতা কিছুই পাইবেন না।  এই প্রকারে শুধু অস্থাবর সম্পত্তি দান করা যায়, স্থাবর সম্পত্তির দান হয় না। ইহা দান এবং উইল মিশ্রিত এক নূতন ব্যাপার; একদিকে ইহা দানেরই তুল্য, মুতরাং দানের বস্তুতে গ্রহীতাকে দখল সমৰ্পণ করা চাই; তবে দাতা দখল সমৰ্পণ করিতে অক্ষ হইলে তাহার মৃত্যুর পর তার পুত্র দখল সমৰ্পণ করিলেও সিদ্ধ হইবে (১৭ বোম্বাই ॥৮২)। পক্ষান্তরে, দাতার মৃত্যু হইলেই তবে ইহা কার্য্যকর হইবে, সুতরাং এ বিষয়ে উইলের সহিত ইহার সাদৃশ্য আছে।  এরূপ দান কাৰ্যত খুব কমই দেখা যায়, কিন্তু ইহা হিন্দু আইন-সম্মত।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *