1 of 3

০৩৫. কুরআন নাযিলের সূচনা

পবিত্র রমযান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ওহী নাযিল শুরু হয়। মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন,

“রমযান মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানব জাতির জন্য পথনির্দেশক রূপে, হিদায়াতের সুস্পষ্ট দলিল-প্রমাণ সহকারে, হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী হিসেবে।”

মহান আল্লাহ আরো বলেন.

“আমি এই কুরআন লাইলাতুল কদরে নাযিল করেছি। লাইলাতুল কদর কী তা কি তুমি জানো? লাইলাতুল কদর সহস্র মাসের চেয়ে উত্তম। এ রাতে ফিরিশতাগণ ও জিবরীল অবতীর্ণ হয় তাদের প্রতিপালকের ইচ্ছায় ওবং প্রভাত হওয়া পর্যন্ত এ রাত শান্তিময় হয়ে থাকে।”(সূরা কদর)

আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন,

“হা-মীম! সুস্পষ্ট গ্রন্থের শপথ! নিশ্চয়ই এই কিতাবকে আমি একটি কল্যাণময় রজনীতে নাযিল করেছি। নিশ্চিতভাবে নিশ্চিভাবেই আমি সাবধান করতে চেয়েছি। এ ছিল এমন এক রাত, যে রাতে আমার হুকুমে সকল বিষয়ের যুক্তিপূর্ণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ফায়সালা করা হয়। আর আমি একজন রাসূল পাঠাতে চাচ্ছিলাম।”(সুরা দুখান)

আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন,

“তোমরা যদি আল্লাহর ওপর এবং আমার বান্দার ওপর পৃথকীকরণ ও দুই দলের মুখোমুখী হওয়ার দিনে আমি যা নাযিল করেছি তার ওপর ঈমান এন থাক….” এখানে মুখোমুখী হওয়ার দিন অর্থ বদরের ময়দানে মুশরিকদের ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখোমুখী হওয়ার দিন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *