০২. যমযম কূপের খনন কাজ

এই ঘটনার সারমর্ম এই যে, আবদুল মোত্তালেব স্বপ্নে দেখলেন যে, তাঁকে যমযম কূপ খননের আদেশ দেয়া হচ্ছে। স্বপ্নের মধ্যেই তাকে জায়গা দেখিয়ে দেয়া হলো। ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর তিনি যমযম কূপ খনন শুরু করলেন। পর্যায়ক্রমে দু’টি জিনিস আবিষ্কৃত হলো। এগুলো বনু জোরহাম গোত্র মক্কা থেকে চলে যাওয়ার সময় যমযমের ভেতরে ফেলে দিয়েছিলো। এগুলো তলোয়ার, অলংকার এবং সোনার দু’টি হরিণ। আবদুল মোত্তালেব উদ্ধারকৃত তলোয়ার দিয়ে কাবার দরোজা লাগালেন। সোনার দু’টি হরিণও দরোজায় ফিট করলেন এবং হাজীদের যমযম কূপের পানি পান করানোর ব্যবস্থা করলেন।
যমযম কূপ আবিষ্কৃত হওয়ার পর কোরায়শা আবদুল মোত্তালেবের সাথে ঝগড়া শুরু করলো। তারা দাবী করলো যে, আমাদেরও খনন কাজে যুক্ত করা হোক। আবদুল মোত্তালেব বললেন, আমি সেটা করতে পানি না। আমাকেই এ কাজের জন্যে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু কোরায়শরা মানতে চাইলো না। অবশেষে ফয়সালার জন্যে সবাই বনু সা’দ গোত্রের একজন জ্যোতিষী মহিলার কাছ গেলে। কিন্তু যাওয়ার পথে তারা কিছু বিস্ময়কর নির্দশন দেখলো। এতে তারা বুঝতে পারলো যে, কুরদতীভাবেই যমযম কূপ খননের দায়িত্ব আবদুল মোত্তালেবকে দেয়া হয়েছে। তাই বিবাদকারী কোরাশয়রা পথ থেকেই ফিরে এলো। এই সময়েই আবদুল মোত্তালেব মানত করেছিলেন যে, আল্লাহ তায়ালা যদি দশটি পুত্র দেন এবং তারা নিজেদের রক্ষার মতো বয়সে উন্নীত হয়, তবে একজনকে কাবার পাশে আল্লাহর নামে কোরবাণী করবেন।