আবু মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ইবনে হিশাম বলেন:
এই গ্রন্থখানিতে আল্লাহর রাসূল হয়রত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী আলোচিত হয়েছে। তাঁর উর্ধতন বংশপরম্পরা নিম্নরূপ:
পিতা আবদুল্লাহ, তদীয় পিতা আবদুল মুত্তালিব (আবদুল মুত্তালিবের প্রকৃত নাম শায়বা), তদীয় পিতা হাশিম (হাশিমের প্রকৃত নাম আমর), তদীয় পিতা আবদে মানাফ (আবদে মানাফের প্রকৃত নাম আল মুগীরা) তদীয় পিতা কুসাই (কুসাই-এর প্রকৃত নাম যায়েদ), তদীয় পিতা কিলাব, তদীয় পিতা মুররাহ, তদীয় পিতা কা’ব, তদীয় পিতা লুয়াই, তদীয় পিতা গালেব, তদীয় পিতা ফিহির, তদীয় পিতা মালেক, তদীয় পিতা নাদার, তদীয় পিতা কিনান, তদীয় পিতা খুযাইমা, তদীয় পিতা মুদরিকা (মুদরিকার প্রকৃত নাম আমের), তদীয় পিতা ইলিয়াস, তদীয় পিতা মুদার, তদীয় পিতা নিযার, তদীয় পিতা মা’আদ, তদীয় পিতা আদনান, তদীয় পিতা উদ্, তদীয় পিতা মুকাওয়াম, তদীয় পিতা নাহুর, তদীয় হিতা তাইরাহ্, তদীয় পিতা ইয়’রুব, তদীয় পিতা ইয়াশজুব, তদীয় পিতা নাবেত, তদীয় পিতা ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম), তদীয় পিতা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম), তদীয় পিতা তারেহ (তারেহের অপর নাম আযর), তদীয় পিতা নাহুর, তদীয় পিতা সারীগ, তদীয় পিতা রাউ, তদীয় পিতা ফালেখ, তদীয় পিতা উবায়ের, তদীয় পিতা শালেখ, তদীয় পিতা আরফাখশাদ, তদীয় পিতা সাম, তদীয় পিতা নূহ (আলাইহিস সালাম), তদীয় পিতা লামক, তদীয় পিতা মুত্তাওশালাখ, তদীয় পিতা আখ্নুখ (ঐতিহাসিকদের ধারণা, তিনি হযরত ইদ্রিস আলাইহিস্ সালাম), তদীয় পিতা ইয়ারদ, তদীয় পিতা মাহলীল, তদীয় পিতা কাইনান, তদীয় পিতা ইয়নিশ, তদীয় পিতা শীস, তদীয় পিতা আদম আলাইহিস্ সালাম।
ইবনে হিশাম বলেন,
“ইনশাআল্লাহ এই গ্রন্থ আমি হযরত ইবরাহীমের পুত্র ইসমাঈলের বিবরণ দিয়েই শুরু করবো। অত:পর ইসমাঈলের (আ) ঔরসে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যেসব পিতৃপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন এবং যাঁরা সেই সব পিতৃপুরুষের ঔরষজাত সন্তান ছিলেন, পর্যয়ক্রমে তাঁদের বর্ণনা দেব। এভাবে ইসমাঈল আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পর্যন্ত সমস্ত পিতৃপুরুষ ও তাঁদের সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনীসমূহ আলোচনা করবো। কিন্তু ইসমাঈলের (আ) যেসব সন্তান হযরত মুহাম্মাদের (সা) পিতৃপুরুষ নন, গ্রন্থের কলেবর সংক্ষিপ্ত ও শুধুমাত্র সীরাত বিয়য়ক বক্তব্যের মধ্যে সীমিত রাখার তাকিদে আমি তাঁদের বিবরণ লিপিবদ্ধ করবো না। একই ভাবে, গ্রন্থের কলেবর সংক্ষিপ্ত রাখার উদ্দেশ্যে ইবনে ইসহাকের কিছু কিছু বর্ণনা বাদ দেবো যা তিনি এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। ইবনে ইসহাকের ঐসব বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন উল্লেখ নেই, সে সম্পর্কে কুরআনেও কোন কথা নাযিল হয়নি, কিংবা তা এই গ্রন্থের কোন বক্তব্যের উপলক্ষ, ব্যাখ্যা বা দলীল প্রমাণেরও পর্যায়ে পড়ে না। ইবনে ইসহাকের উল্লেখ করা এমন কিছু কবিতাও আমি বর্জন করেছি, যা কবিতায় পারদর্শীদের কাছে অজ্ঞাত বলে লক্ষ করেছি। এ ছাড়া ইবনে ইসহাকের কিছু কিছু অরুচিকর ও গণমনে অসন্তোষ উৎপাদনকারী উক্তি এবং বুকায়ী কর্তৃক সমর্থিত নয়, এমন কিছু বিষয়ও আমাকে বাদ দিতে হয়েছে। এ কয়টি জিনিস ছাড়া ইবনে ইসহাকের বাদবাকী সমস্ত তথ্য যতটা বর্ণিত ও স্বীকৃত, ততটা ইনশাআল্লাহ পুরোপুরিভাবে উল্লেখ করবো।”