1 of 2

০৮. দক্ষের প্রতি দেবীর বরদান

অষ্টম অধ্যায় দক্ষের প্রতি দেবীর বরদান

মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–হে তপোধনগণ! অনন্তর ব্রহ্মাও যোগনিদ্রার কথা স্মরণ করিয়া নিশ্চয়পূর্বক মদনকে পুনরায় এই কথা বলিলেন,–সেই যোগ নিদ্রা অবশ্যই শিব-পত্নী হইবেন। তুমিও তাঁহার যথাশক্তি সাহায্য কর। ১-২

হে মনোভব! শঙ্কর, যেখানে আছেন; তুমি নিজগণ ও বসন্তের সহিত সত্বর সেইখানে গমন কর। ৩

এখন প্রতি দিন দিবারাত্রের চারিভাগের একভাগ মাত্র জগৎ মোহিত করিতে থাক, আর অবশিষ্ট তিনভাগ সৰ্ব্বদা সগণে শিব-সমীপে থাক। ৪

মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–সৰ্ব্বলোক-পতি ব্রহ্মা এই কথা বলিয়া সেইখানেই অন্তর্হিত হইলেন। তখন মদন নিজগণ সমভিব্যাহারে শম্ভুসন্নিধানে গমন। করিলেন। ৫

এদিকে সেই সময়ে সুব্রত দক্ষ, বহুকাল তপস্যায় নিযুক্ত থাকিয়া বহু নিয়মে দেবীর আরাধনা করিতেছিলেন। ৬

হে মুনিশ্রেষ্ঠগণ! দক্ষ নিয়মযোগে যোগনিদ্রার অর্চনা করিতে থাকিলে সেই সৰ্বমঙ্গলা তাহার প্রত্যক্ষগোচর হইলেন। ৭

অনন্তর, দক্ষপ্রজাপতি, জগন্ময়ী বিষ্ণুমায়াকে প্রত্যক্ষ দেখিয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ বোধ করিলেন। ৮

সেই সিংহবাহিনী, ঘনঘটা-শ্যামলা সু-উচ্চ-পীন-পয়োধরা নীলোৎপলধারিণী বরাভয়-দায়িনী চারু-বদনা চতুর্ভুজা খড়্গধারিণী সৰ্বগুণ-শালিনী আরক্তনয়না আলুলায়িত-রুচির-কুন্তলা মনোহারিণী সৰ্বমঙ্গলা মহামায়াকে দেখিয়া প্রজাপতি দক্ষ বিনয়নম্র-কন্ধরে পরম প্রীতিসহকারে তাহার স্তব করিতে লাগিলেন। ৯-১১

তুমি জগতের আনন্দকারিণী সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়রূপা আনন্দময়ী দেবী; তুমি মঙ্গলময়ী, নারায়ণের লক্ষ্মী, তোমাকে স্তব করি। ১২

জগতের আশ্রয়, স্বপ্রকাশ সময় জ্যোতিঃস্বরূপ যে পরম তত্ত্ব, হে মহেশ্বরি। তাহা তোমারই অংশ। ১৩

হে জগন্ময়ি! রজোগুণের আধিক্যে যে কামপ্রকাশক, মধ্যবস্থিত রাগ উৎপন্ন হয়, তাহা তোমার অংশাংশ। তমোগুণের আধিক্যে চেতনগণের আবরণ-কারক যে মোহের আবির্ভাব হয়, তাহাও তোমার অংশাংশ সম্ভূত। ১৪

তুমি লোক-মোহিনী নিৰ্ম্মলা বিশুদ্ধরূপা পরাৎপরা; তুমি ত্রিরূপা অর্থাৎ ত্রিগুণাত্মিকা বা ব্রহ্মাবিষ্ণুমহেশ্বর-স্বরূপা, ঋগ্ যজুঃ সামবেদ তোমার মূর্তি, তুমি এ বিপন্ন জগতের একমাত্র গতি। ১৫

মাধব যে নিজ মূর্তি দ্বারা পৃথিবী ধারণ করিতেছেন, সৰ্ব্বজগতের উপকার কারিণী সেই মূর্তি তোমারই। তুমি সূক্ষ্ণা অপরাজিতা মহাপ্রভাবশালিনী বিশ্বশক্তি, তুমি ব্রহ্মাণ্ডের ঊর্ধ্ব ও অধোভাগ আবরণ করিয়া রাখিয়াছ বলিয়াই বিশ্বমধ্যে বায়ু বহিয়া থাকে। ১৬-১৭

হে পরম-মাত্রারূপিণি! নিখিল পদার্থের উৎপত্তি হেতু সময় নিরালম্ব নিষ্কল নিৰ্ম্মল যে পরম জ্যোতিকে যোগিগণ চিন্তা করেন, সেই তত্ত্ব ও তোমার অন্তর্গোচর। ১৮

বুদ্ধি, প্রসিদ্ধও বটে, অপ্রসিদ্ধও বটে। কাৰ্য্য দেখিয়া বুদ্ধির অস্তিত্ব উপলব্ধি করা যায়, তাই প্রসিদ্ধ; সাক্ষাৎ উপলব্ধি করা যায় না, তাই অপ্রসিদ্ধ; বুদ্ধি যোগহৃদয়ে প্রপঞ্চ-শূন্য, আর সংসারহৃদয়ে প্রপঞ্চবর্তী অর্থাৎ তুমি বহুশাখান্বিতা প্রসিদ্ধ। অপ্রসিদ্ধ প্রপঞ্চশূন্যা প্রপঞ্চবতী বজ্রগ্রাহিণী জনগণের হৃদয়মধ্যে অবস্থিত নিৰ্ম্মল-স্বরূপা বুদ্ধি। ১৯

তুমি বিদ্যা, তুমিই অবিদ্যা, তুমি সাবলম্বা, তুমিই নিরবলম্ব, তুমি জগৎ প্রপঞ্চময়ী আদ্যাশক্তি তুমিই জগদীশ্বরী। ২০

যিনি সরস্বতী নামে আখ্যাত হন, তুমি সেই বিরিঞ্চিকণ্ঠবাসিনী বেদ প্রকাশিনী ব্রহ্মাণ্ডোদ্ভাসিনী বাণী। ২১

তুমি অগ্নি, তুমি স্বাহা; তুমি পিতৃগণ, তুমি স্বধা, তুমি আকাশ, তুমি কাল, তুমি দিক্‌, তুমিই বাহ্যবিষয়। ২২

তুমি অচিন্ত্যা, তুমি অব্যক্তা, তুমি অনিৰ্দেশ্য রূপা, তুমি কালরাত্রি, তুমি শান্তা, তুমিই পরমা প্রকৃতি। ২৩

সংসারস্থ জীবগণের পরিত্রাণের জন্য তুমি যে বাহ্যরূপ ধারণ করিয়াছ, তাহাই ব্ৰহ্মা প্রভৃতি অবগত আছেন, কিন্তু পরাৎপররূপিণী তোমাকে কে জানিতে পারে? ২৪

মা ভগবতি! প্রসন্ন হও; হে সৌম্যরূপে! প্রসন্ন হও; হে ঘোররূপিণি! প্রসন্ন হও; হে জগন্ময়! তোমাকে নমস্কার। ২৫

মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–হে দ্বিজগণ! মহাত্মা দক্ষ এইরূপ স্তব করিলে, মহামায়া, তাহার অভিসন্ধি স্বয়ং অবগত থাকিয়াও তাহাকে বলিলেন,–দক্ষ তোমার এই পরমভক্তি দ্বারা আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়াছি। তুমি অভিলষিত বর প্রার্থনা কর,আমি স্বয়ং তাহা দিতেছি। ২৬-২৭

প্রজাপতে। তোমার নিয়ম, তপস্যা ও স্তবের দ্বারা আমি অতীব সন্তুষ্ট হইয়াছি। তুমি অভিলষিত বর প্রার্থনা কর,-আমি প্রদান করিব। ২৮।

দক্ষ বলিলেন,হে জগন্ময়ি। হে মহামায়ে। যদি আমাকে বর প্রদান করা হয়, তাহা হইলে এই বর প্রদান কর যে, তুমি অবিলম্বে আমার কন্যা হইয়া শিবপত্নী হইবে। ২৯

হে দেবী! প্রজেশ্বরি। এই বর কে বল একা আমার পক্ষে নহে, কিন্তু এই জগতের–অধিক কি ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরেরও পক্ষে জানিবে। ৩০

দেবী বলিলেন,–হে প্রজাপতে! আমি অবিলম্বেই তোমার পত্নীর গর্ভে তোমার কন্যারূপে উৎপন্ন হইয়া শঙ্করের সহধর্মিণী হইব। ৩১

যখন তুমি আমার প্রতি শিথিলাদর হইবে, তখন আমি তৎক্ষণাৎ দেহ ত্যাগ করিব; আর যদি আদর শৈথিল্য না হয়, তাহা হইলে চিরদিন সুখে থাকিব। ৩২।

হে প্রজাপতে! আমি প্রতি সৃষ্টিতেই তোমার কন্যা হইয়া মহাদেবের প্রেয়সী হইব, এই বর তোমাকে দিলাম। ৩৩

প্রজাপতে! আকুলতা-শূন্য মহাদেব, যাহাতে যতবার মিলন হইবে, ততবারই মোহিত হন তাহা করিব।* ৩৪ [* “প্রতিসঙ্গং” এই পাঠ বহুসন্মত। এই পাঠের অর্থ উপরে লিখিত হইল। “প্রতিসঙ্গং” পাঠের অর্থ—“মহাদেব যাহাতে প্রতি দৃষ্টিতেই মোহিত হন।”]

মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–মহামায়া প্রজাপতি প্রধান দক্ষকে এই কথা বলিয়া তাঁহার সমক্ষেই তথা হইতে অন্তর্হিত হইলেন। ৩৫

মহামায়া অন্তর্হিতা হইলে দক্ষ ও আপন আশ্রমে গমন করিলেন, আর মহামায়া কন্যা হইবেন মনে করিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলেন। অনন্তর দক্ষ স্ত্রীসঙ্গ ব্যতিরেকেই সঙ্কল্প, অভিসন্ধি, মানস এবং চিন্তার সাহায্যে প্রজা উৎপাদন করিলেন। ৩৬-৩৭

হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ! এরূপে তাহার যে সকল পুত্ৰ উৎপন্ন হইল, তাহারা নারদের উপদেশ ক্রমে এই পৃথিবী পৰ্যটন করিতে লাগিল। ৩৮

দক্ষের পুনঃপুনঃ সহস্র সহস্র পুত্র উৎপন্ন হইতে লাগিল; তাহারা সকলেই নারদের বাক্যে পূৰ্বজাত ভ্রাতৃগণের পদবী অনুসরণ করিল। ৩৯

হে দ্বিজোত্তমগণ! তোমরা সকলেই ভূমণ্ডলের এক এক জন সৃষ্টিকর্তা; অতএব এই বিস্তৃত ভূভাগের উপান্ত প্রান্ত একবার সম্পূর্ণরূপে দেখ। ৪০

দক্ষতনয়গণ নারদের এই কথায় প্রেরিত হইয়া পৃথিবী পৰ্যটনে প্রবৃত্ত হইলেন, আজিও প্রতিনিবৃত্ত হইলেন না। ৪১

অনন্তর, দক্ষ, মৈথুনধৰ্ম্মে প্রজা উৎপাদন করিবার নিমিত্ত ইচ্ছানুরূপ বীরণতনয়াকে বিবাহ করিলেন। ৪২।

হে সাধু-প্রধানগণ! তাহার নাম বীরিণী এবং অসিক্লী, হে দ্বিজোত্তমগণ! দক্ষ প্রজাপতির তাঁহাতে প্রথম সঙ্কল্প হইল; অর্থাৎ ইহার গর্ভে সন্তান হউক, এই প্রথম অভিসন্ধি হইলেই তাহার গর্ভে সদ্য মহামায়া উৎপন্ন হইলেন। তিনি উৎপন্ন হইবামাত্র প্রজাপতি অত্যন্ত প্রীত হইলেন এবং সেই দুহিতার উজ্জ্বল তেজ দেখিয়া বুঝিতে পারিলেন, ইনিই সেই মহামায়া। ৪৩-৪৪

তিনি উৎপন্ন হইলে, পুষ্পবৃষ্টি হইতে লাগিল; মেঘমালা বারিধারা বর্ষণ করিতে লাগিল; দিত্মণ্ডল প্রশান্ত ভাব ধারণ করিল। ৪৫

দেবগণ, নভস্তলে অবস্থিত হইয়া মঙ্গল বাদ্য বাজাইলেন। হে নরোত্তম গণ! তিনি ভূমিষ্ঠ হইলে নিৰ্বাণ অগ্নি জ্বলিয়া উঠিল। ৪৬-৪৭

দক্ষ সেই মহামায়া জগদীশ্বরী বিষ্ণুমায়াকে দেখিয়া বীরিণীর অলক্ষ্যে যথাশক্তি তাহার সন্তোষ উৎপাদন করিতে যত্নশীল হইলেন। ৪৭

দক্ষ বলিলেন,–বিষ্ণু যাহাকে শিবা, শান্তা, যোগনিদ্রা এবং জগন্ময়ী বলেন, সেই নিত্যরূপাকে প্রণাম করি। ৪৮

বিধাতা যাহার নিয়োগে জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন, জগৎপতি বিষ্ণু যাহার আদেশ পালন করিতে তৎপর, যাহার আজ্ঞায় রুদ্র সংহারকারী, সেই মহীয়সী দেবীকে নমস্কার করি। ৪৯

নির্বিকারা, নির্মলা, অপ্রমেয়া, প্রমা-প্রমাণ- প্রমেয়রূপিণী প্রমাবতী সুখাত্মিকা দেবীকে প্রণাম করি। ৫০

যে ব্যক্তি বিদ্যা-অবিদ্যারূপিণী পরাৎপরা তোমাকে ধ্যান করে, ভোগ ও মুক্তি তাহার করতলস্থ। ৫১

যে ব্যক্তি, বিদ্যা-অবিদ্যা-প্রকাশিনী পবিত্রতা-কারিণী তোমাকে একবারও প্রত্যক্ষ অবলোকন করে অবশ্য তাহার মুক্তি হয়। ৫২।

হে যোগনিদ্রে! মহামায়ে! হে জগন্ময়! বিষ্ণুমায়ে! প্রমাণ-প্রমেয়-বতী চিৎশক্তিমাত্রেই তোমার অংশ। ৫৩

জগদম্বে। যাহারা আপনাকে অম্বিকা, জগন্ময়ী এবং মায়া বলিয়া স্তব করে, তাহাদিগের সকলই হয়। ৫৪

মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–মহাত্মা দক্ষ, জগদম্বার এইরূপ স্তব করিলে, মা যাহাতে শুনিতে না পান এইরূপ ভাবে তিনি দক্ষকে বলিতে লাগিলেন। ৫৫

তখন অম্বিকা, কেবল দক্ষ শুনিতে পান ও অপরে শুনিতে না পায় এইরূপ ভাবে তত্রস্থ জনগণকে মোহিত করিয়া বলিতে লাগিলেন;-হে মুনিবর! তুমি পূর্বে যে কার্যের জন্য আমাকে আরাধনা করিয়াছিলে, তোমার সেই অভিলষিত কাৰ্য্য সিদ্ধ হইয়াছে; এখন সময় মত অবধারণ কর। ৫৬-৫৭

মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–তখন দেবী এই কথা বলিয়া দক্ষকেও নিজ মায়ায় আচ্ছন্ন করিলেন; আপনি শৈশবভাব অবলম্বন করিয়া জননী-পার্শ্বে রোদন করিতে লাগিলেন। ৫৮

অনন্তর, বীরিণী, সযত্নে যথোচিত ভাবে মুখ চক্ষু প্রভৃতি মার্জনা করিয়া দিয়া শিশুপালন-বিধি-অনুসারে তাহাকে স্তন্যপানাদি করাইতে লাগিলেন। ৫৯

তিনি বীরিণী ও মহাত্মা দক্ষকর্তৃক পালিত হইয়া শুক্লপক্ষের শশধরের ন্যায় দিন দিন বৃদ্ধি পাইতে লাগিলেন। ৬০

হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ! যেমন সমস্ত মনোহর কলা চন্দ্রে প্রবেশ করে, সেইরূপ তদীয় গুণাবলী শৈশবেই তাহাতে দেখা দিল। ৬১

যখন তিনি, সখীমধ্যে নিজ ভাবে ক্রীড়া করিতেন, তখনই নিরন্তর মহান দেবের প্রতিমূর্তি লিখিতেন। ৬২

যখন তিনি বাল্যোচিত গান করিতে প্রবৃত্ত হইতেন তখন অন্য কথার পরিবর্তে উগ্র, স্থাণু, হর, রুদ্র, স্মরশাসন–এই সকল কথাই তাহার স্মৃতিপথে আসিত। ৬৩।

হে দ্বিজবরগণ! সৰ্বগুণে গুণবতী প্রশংসাপাত্রী সেই দুহিতার সত্তা অর্থাৎ সাধুতা ও নীতিপরায়ণতা দেখিয়া দক্ষ ‘সতী’ নাম রাখিলেন। ৬৪

বাল্যকালেও নিত্য-ভক্তিমতী সেই দুহিতার প্রতি, দক্ষ এবং বীরিণীর অনুপম বাৎসল্য প্রতিদিন প্রতিক্ষণে বাড়িতে লাগিল। ৬৫

হে দ্বিজোত্তমগণ! শৈশবোচিত সকল গুণে গুণবতী সতত নীতিপরায়ণা সেই দুহিতা, মাতাপিতাকে নিয়ত সন্তুষ্ট করিতেন। ৬৬।

অনন্তর একদা তিনি পিতার পার্শ্বে বসিয়া আছেন, এমন সময় ব্রহ্মা ও নারদ ভূমণ্ডলের রত্নভূতা সেই কন্যাটিকে দেখিতে আসিলেন। ৬৭

সতীও,–ব্রহ্মা এবং নারদকে দেখিয়া হৃষ্টচিত্তে সবিনয়ে প্রণাম করিলেন। ৬৮

বিধি-নারদ, প্রণামের পর বিনয়াবনতা সতীর প্রতি দৃষ্টিপাত করত এই আশীৰ্বাদ করিলেন যিনি তোমাকে কামনা করিতেছেন, আর তুমি যাহাকে পতি করিতে অভিলাষিণী; সেই সৰ্ব্বজ্ঞ জগদীশ্বর তোমার পতি হউন। ৬৯

হে কল্যাণি। যিনি তোমা ব্যতীত অপর রমণী গ্রহণ করেন নাই, করেন না এবং করিবেন না, তোমার সেই অনন্যসদৃশ পতি-লাভ হউক। ৭০

হে দ্বিজবরগণ! তাহারা এই কথা বলিয়া অনেকক্ষণ দক্ষালয়ে অবস্থিতি করিলেন, তৎপরে দক্ষের নিকট বিদায় লইয়া স্বস্থানে গমন করিলেন। ৭১

অষ্টম অধ্যায় সমাপ্ত ॥ ৮

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *