একটি মেয়ে একেলা , সাঁঝের বেলা , মাঠ দিয়ে চলেছে । চারি দিকে সোনার ধান ফলেছে । ওর মুখেতে পড়েছে সাঁঝের আভা , চুলেতে করিছে ঝিকিমিকি । কে জানে কী ভাবে মনে মনে আনমনে চলে ধিকিধিকি । পশ্চিমে সোনায় সোনাময় , এত সোনা কে কোথা দেখেছে । তারি মাঝে মলিন মেয়েটি কে যেন রে এঁকে রেখেছে । মুখখানি কেন গো অমন ধারা , কোন্খানে হয়েছে পথহারা , কারে যেন কী কথা শুধাবে , শুধাইতে ভয়ে হয় সারা । চরণ চলিতে বাধে বাধে , শুধালে কথাটি নাহি কয় । বড়ো বড়ো আকুল নয়নে শুধু মুখপানে চেয়ে রয় । নয়ন করিছে ছলছল , এখনি পড়িবে যেন জল । সাঁঝেতে নিরালা সব ঠাঁই , মাঠে কোথাও জনপ্রাণী নাই — দূরে অতি দূরে দেখা যায় , মলিন সে সাঁঝের আলোতে ছায়া ছায়া গাছপালাগুলি মেশে মেশে মেঘের কোলেতে । বড়ো তোর বাজিতেছে পায়, আয় রে আমার কোলে আয় । আ মরি জননী তোর কে , বল্ রে কোথায় তোর ঘর । তরাসে চাহিস কেন রে , আমারে বাসিস কেন পর ?
Leave a Reply