অনাবৃষ্টি

আকাশ ভীষণ খাঁ-খাঁ, একরত্তি মেঘ নেই, শুধু
তরল আগুন গ’লে পড়ছে চৌদিকে। এই ধু-ধু
আকাশের দিকে চোখ রাখা দায়। হঠাৎ কখনো
জমে মেঘ; মনে হয়, হয়তোবা বৃষ্টি হবে ঘন,
হৃদয়-ডোবানো বৃষ্টি। কোত্থেকে ডাকাত এসে সব
কালো মেঘ লুট করে নিয়ে যায়; দিগন্ত নীরব।
উঠোনে সজিনা গাছ রৌদ্রাক্রান্ত, আকাশ আবার
বড় খাঁ-খাঁ, দেয়ালে হাঁপায় কাক। বন্ধ্যা রুক্ষতার
অট্রহাসি; এখন আকাশে যদি কোনো গাছ ফুল
ঝরাত অজস্র, ধরো, জুঁই, বেলী, টগর, বকুল্ল
কিংবা কিছু মনোহারি হরিণ করত ছুটোছুটি
তা হলে ঝাঁঝালো রোদে অন্তত জুড়োত চোখ দুটি।
টেবিলে রয়েছি ঝুঁকে, আমিও চাষীর মতো বড়
ব্যগ্র হয়ে চেয়ে আছি-খাতার পাতায় যদি জড়ো
হয় মেঘ, যদি ঝরে ফুল্ল বৃষ্টি। অলস পেনসিল
হাতে, বকমার্কা। পাতা-জোড়া আকাশের খাঁ-খাঁ নীল।