২৮. ঘটোৎকচ কর্ত্তৃক অলম্বুষি বধ

পিতার মরণ দেখি অলম্বুষি বীর।
সিংহনাদ করি আসে নির্ভয় শরীর।।
হস্তীর উপরে বীর আরোহণ করি।
নানা মায়া করে বীর হাতে ধনু ধরি।।
দেখিয়া ধাইল ঘটোৎকচ মহাবলে।
গদার প্রহার করে করিকুম্ভস্থলে।।
পৃথিবীতে দন্ত দিয়া পড়িল বারণ।
লাফ দিয়া পলাইল রাক্ষস দুর্জ্জন।।
পুনরপি অলম্বুষি চড়ি দিব্য রথে।
সংগ্রামের স্থলে আসে ধনুঃশর হাতে।।
সন্ধান পূরিয়া বিন্ধে ঘটোৎকচ বীরে।
সর্ব্ব অঙ্গ রক্তবর্ণ হইল রুধিরে।।
তবে ঘটোৎকচ বীর ক্রোধে ভয়ঙ্কর।
গদা ফেলি মারে তার রথের উপর।।
গদার প্রহারে রথ চূর্ণ হয়ে গেল।
লাফ দিয়া অলম্বুষি ভূমিতে পড়িল।।
ধনু অস্ত্র এড়ি তবে গদা নিল করে।
গদা যুদ্ধ করে দোঁহে সংগ্রাম ভিতরে।।
মহাকোপে ডাক ছাড়ে করে মার মার।
দোঁহে দোঁহাকারে করে গদার প্রহার।।
মণ্ডলী করিয়া দোঁহে ফিরে চারিভিত।
কোপে হুহুঙ্কার ছাড়ে অতি বিপরীত।।

তবে ঘটোৎকচ বীর মহামার কৈল।
অলম্বুষির সব্যহস্তে গদা প্রহারিল।।
দারুণ প্রহারে হস্ত খণ্ড খণ্ড হৈল।
মর্ম্মব্যথা পেয়ে বীর ভূমিতে পড়িল।।
লাফ দিয়া ধরে ঘটোৎকচ মহাবল।
এক চড়ে ভাঙ্গিল তাহার বক্ষঃস্থল।।
মহাকায় রাক্ষস পড়িল ভূমিতলে।
দেখিয়া হইল ভয় কৌরবের দলে।।
অলম্বুষি পড়িল দেখিল বিদ্যমান।
ভয়ে কোন বীর আর নহে আগুয়ান।।
গদা হাতে করি ধায় ঘটোৎকচ বীর।
গদার প্রহারে সৈন্য করিল অস্থির।।