২১. তপ্ত তৈল হইতে সুদম্বার উখান ও পাণ্ডব সৈন্যের সহিত যুদ্ধ

সুমতি পাত্রের মুখে শুনিয়া বচন।
সুধন্বা দেখিতে রাজা করিল গমন।।
বসিয়া সুধম্বা আছে তৈলের ভিতরে।
কাঞ্চন প্রতিমা যেন দেখে মহাবীরে।।
নাহি মরে সুধম্বা দেখিল নৃপমণি।
হরিষে করয়ে লোক জয় জয় ধ্বনি।।
শঙ্খ পুরোহিত বলে শুন নরপতি।
তৈল নাহি তাতে তেই হরষিতে স্থিতি।।
পুত্রস্নেহ হেতু তুমি ভাণ্ডও আমারে।
তপ্ত নাহি হয় তৈল কহিনু তোমারে।।
পরীক্ষা করিয়া তৈল কহিনু তোমারে।
পরীক্ষা করিয়া তৈল জানিব সকল।।
আমারে আনিয়া দেহ নারিকেল ফল।
নারিকেল অনুচরে আনয়ে সত্বরে।
পুরোহিত ফেলে তাহা তৈলের উপরে।।
তৈল পরশিতে ফল শতখান হৈল।
শঙ্খ পুরোহিত ভালে আসিয়া বাজিল।।
অচেতন হয়ে দোঁহে পড়িল ধরণী।
ভয় প্রাপ্তে দোঁহারে তুলিল নৃপমণি।।
কতক্ষণে দুইজন পাইলা চেতন।
সুমতি পাত্রেরে রাজা জিজ্ঞাসে কারণ।।
তৈল পরশিতে শিশু কি বাক্য বলি।
অপূর্ব্ব ঔষধ মুখে কিবা দিয়াছিল।।
পাত্র বলে অবধান কর দ্বিজবর।
নারায়ণে সুধন্বা ডাকিল বহুতর।।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি মুখে, তৈলেতে পড়িল।
সকল লোকেতে ইহা নয়নে দেখিল।।
রক্ষা করিলেন হরি এই সুধন্বারে।
ঔষধ না জানে কিছু, কহিনু তোমারে।।
পাত্র বোলে দুইজন হৈল হরষিত।
ঝাঁপ দিতে তৈলকুণ্ডে চলিল ত্বরিত।।
আমরা পাষণ্ড বড় হিংসিনু বৈষ্ণবে।
রাখিলে এ ‍পাপ তনু নরকে ডুবিবে।।
এত বলি তৈলেতে পড়িল দুইজন।
সুধন্বার অঙ্গ স্পর্শে এড়ায় মরণ।।
শঙ্খ পুরোহিত লয়ে রাজার কুমার।
তৈল হৈতে উঠিলেন আনন্দ অপার।।
হরষিত হংসধ্বজ পুত্র দরশনে।
সুধন্বা প্রণাম কৈল পিতার চরণে।।
তবে দুই পুরোহিত কহিল রাজারে।
সুধন্বা সমান ভক্ত নাহিক সংসারে।।
বৈষ্ণব হিংসিয়া মোরা পাইনু যন্ত্রণা।
শুন হংসধ্বজ বড় বৈষ্ণব সুধন্বা।।
সুধম্বা জিনিবে রণ ইথে নাহি আন।
আনিয়া তোমারে দেখাইবে ভগবান।।
পুরোহিত মুখে রাজা শুনিয়া বচন।
সুধন্বাকে তুষিলেন দিয়া আলিঙ্গন।।
হেনকালে রাজরাণী কহে সুধন্বারে।
শুভক্ষণে তোমা আমি ধরিনু উদরে।।
শুন পুত্র শীঘ্র যাও করিবারে রণ।
আনিয়া দেখাও মোরে কমললোচন।।
এত বলি রাজরাণী গেল নিজঘরে।
হরিষে সুধন্বা যায় যুদ্ধ করিবারে।।
সুধন্বা সংগ্রাম করে হাতে ধনুর্ব্বাণ।
চঞ্চল পাণ্ডব সৈন্য নাহি ধরে টান।।
তবে বৃষকেতু বীর কর্ণের তনয়।
রথ আরোহিয়া আসে সমরে নির্ভয়।।
ধনুকে টঙ্কার দিয়া প্রবেশিল রণে।
যুদ্ধ আরম্ভিল তবে সুধন্বার সনে।।
বৃষকেতু শত বাণ পূয়িল সন্ধান।
সুধন্বা কাটিয়া তাহা কৈল খান ‍খান।।
পঞ্চশত বাণ এড়ে রাজার নন্দন।
বাণাঘাতে বৃষকেতু হৈল অচেতন।।
সুধন্বা বিন্ধয়ে তবে কর্ণের নন্দনে।
আগু হৈল কামদেব ক্রোধ করি মনে।।
চেতন পাইয়া উঠে কর্ণের কুমার।
ধনুক পাতিল বীর আসি পুনর্ব্বার।।
সুধন্বাকে ডাকিয়া বলিল ক্রোধমনে।
আমার সহিত যুদ্ধ বিন্ধ অন্যজনে।।
এ নহে ক্ষন্ত্রিয় ধর্ম্ম শুনহ সুধন্ব।
আজি তোমা বধি আমি রাখিব ঘোষণা।।
এত বলি বৃষকেতু বাণবৃষ্টি করে।
নিবারে সুধন্বা তাহা চোখ চোখ শরে।।
বৃষকেতু রথধ্বজ সুধন্বা কাটিল।
সারথির মাথা কাটি ভূমেতে পাড়িল।।
বাণ গুণ ধনু তার কাটিলেক শরে।
মারিল সহস্র বাণ বৃষকেতু বীরে।।
ভঙ্গ দিয়া গেল তবে কর্ণের নন্দন।
প্রদ্যুন্ন আইল তবে করিবারে রণ।।
মহাক্রোধভরে বীর আইল সমরে।
বাণাঘাতে পড়িল যতেক বীরবরে।।
তাহা দেখি সুধন্বার ক্রোধ উপজিল।
একবারে শতবাণ সন্ধান পূরিল।।
প্রদ্যুন্নে বিন্ধিল বীর করিয়া যতন।
শোণিত ভূষিত তনু রুক্মিণী নন্দন।।
পুনঃ পুনঃ বিন্ধে বাণ পূরিল আকর্ণ।
বাণাঘাতে সুধন্বা যে হইল বিবর্ণ ।।
সুধন্বা সহিত রণ কৈল বহুতর।
কেহ পরাভব নহে দোঁহাতে সোসর।।
হেনমতে দুইজনে হইল সমর।
কৃতবর্ম্মা আইলেন লয়ে ধনুঃশর।।
সুধন্বা সহিত রণ কৈল বহুতর।
সহিতে না পারি যুদ্ধ হইল ফাঁপর।।
বাণাঘাতে কৃতবর্ম্মা পড়ে গিয়া দূরে।
অনুশাল্ব দৈত্য আসে যুদ্ধ করিবারে।।
ধনুক পাতিল সুধন্বার সন্নিধানে।
আবরে আকাশ দোঁহে বাণ বরিষণে।।
ডাক দিয়া অনুশাল্ব বলে ক্রোধ বাণী।
আজি শরাঘাতে তোর বধিব পরাণী।।
ভয় পেয়ে দৈত্যেশ্বর সুধন্বার রণে।
সহিতে না পারে বীর বাণের সন্ধানে।।
পরশু পট্টিশ গদা এড়ে দৈত্যপতি।
সুধন্বা নিবারে তাহা করিয়া শকিতি।।
শিলীমুখ সুচীমুখ অর্দ্ধচন্দ্র বাণ।
সুধম্বা উপরে দৈত্য পূরিল সন্ধান।।
নিবারয়ে রাজসুত বাণের আঘাতে।
তাহা দেখি অনুশাল্ব ভীত হৈল চিতে।।
সুধম্বা করিল তবে বাণের সন্ধান।
শরজালে দৈত্যের কাটিল ধনুর্ব্বাণ।।
কাটিল রথের ঘোড়া সারথির মুণ্ড।
বাণ গুণ ধনু কাটি কৈল খণ্ড খণ্ড।।
মারিল সহস্র বাণ দৈত্যের উপরে।
মুর্চ্ছা হৈয়া অনুশাল্ব পড়ে গিয়া দূরে।।
আগে হৈয়া যুবনাশ্ব পুত্রের সংহতি।
বাণবৃষ্টি করে দোঁহে যতেক শকতি।।
সুধন্বা নিবারে বাণ হাতে ধরি চাপ।
বাণবৃষ্টি করিলেন দুর্জ্জয় প্রতাপ।।
সুধন্বার বাণ যেন অগ্নির সমান।
সহিতে না পারে রাজা কাতর পরাণ।।
সুবেগ সাহস করি প্রবেশিল রণে।
পিতা পুত্রে অচেতন সুধন্বার বাণে।।
রথ হৈতে দূরেতে পড়িল দুইজন।
সাত্যকি আইল তবে করিবারে রণ।।
সাত্যকি সহিত পরে যুঝয়ে সুধন্বা।
ভয়েতে কাতর হয় পাণ্ডবের সেনা।।
যুঝিতে নারিল কেহ সুধন্বার সাথে।
পলায় পাণ্ডব সেনা ভয় পেয়ে চিতে।।
বিমুখ হইল তবে যত সেনাপতি।
তাহা দেখি আইলেন পার্থ মহামতি।।
ধনঞ্জয় ডাকিয়া বলে সুধন্বারে।
ভঙ্গ দিল সৈন্য মম তোমার সমরে।।
পরাক্রম যত তব দেখিলাম আমি।
সাহস করিয়া মম সঙ্গে যুঝ তুমি।।
সুধম্বা বলেন শুন বীর ধনঞ্জয়।
যুঝিব তোমার সনে মম নাহি ভয়।।
কিন্তু এক কথা আমি জিজ্ঞাসি তোমারে।
কৃষ্ণেরে না দেখি কেন তব রথোপরে।।
সারথি তোমার রথে নাহি নারায়ণ।
কেমনে করিবে তুমি মম সহ রণ।।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে তমি জিনিলে সবায়।
তব রথে সারথি ছিলেন যদুরায়।।
এবে কৃষ্ণহীন তুমি কিসের লাগিয়া।
নারিবে জিনিতে যুদ্ধ, যাওত ফিরিয়া।।
তোমার প্রতিজ্ঞা আমি শুনি লোকমুখে।
খাণ্ডব দাহন তুমি করিলা কৌতুকে।।
কিরাত শঙ্কর সঙ্গে করিলা সমর।
ত্রিভুবনে বীর নাহি তোমার সোসর।।
শুনহ অর্জ্জুন তোমায় করি নিবেদন।
কোন্ স্থানে কৃষ্ণ বিনা জিনিয়াছ রণ।।
সংগ্রাম জিনিয়া তব প্রকাশিল যশ।
হারিলে আমার যুদ্ধে হবে অপযশ।।
যদি যুদ্ধ করিতে তোমার থাকে মন।
আপনি সারথি লহ দেব নারায়ণ।।
সুধন্বার বচনে অর্জ্জুন ক্রোধবান।
গাণ্ডীব লইয়া হাত পুরেন সন্ধান।।
আকর্ণ পূরিয়া মারিলেন সুধন্বারে।
হংসধ্বজ সুত তাহা নিবারিল শরে।।
ক্রোধে বাণ মারিলেন রাজার নন্দন।
বাণের উপর বাণ করে বরিষণ।।
অর্জ্জুনের বাণ বৃষ্টি আকাশ ছাইল।
ঘোরতর অন্ধকার করি আচ্ছাদিল।।
ভয়েতে পলায় যত নৃপ সেনাগণ।
অর্জ্জুনের বাণে কেহ নহে স্থির মন।।
গজবাজী রথে পড়ে গণিতে না পারি।
রুধিরে কর্দ্দম ভূমি দেখে ভয় করি।।
অর্জ্জুনের যুদ্ধ দেখি কম্পবান সেনা।
সাহস করিয়া যুদ্ধ করিছে সুধন্বা।।
কাটিল সকল অস্ত্র চক্ষুর নিমিষে।
সুধন্বা বিক্রম দেখি অর্জ্জুন প্রশংসে।।
সুধন্বা সাহস করি করিছে সংগ্রাম।
অর্জ্জুন উপরে অস্ত্র পড়ে অবিশ্রাম।।
অর্জ্জুনের রথ বীর করে নিরীক্ষণ।
সারথি চালায় রথ নাহি নারায়ণ।।
নৃপতি তনয় তবে বিচারিল মনে।
অর্জ্জুনের সারথি কাটিলে এক বাণে।।
তবে আসিবেন কৃষ্ণ অর্জ্জুনের রথে।
এতবলি দশ বাণ যুড়িল ত্বরিতে।।
সুধন্বা এড়িল বাণ পুরিয়া সন্ধান।
সারথির মাথা কাটি কৈল দুইখান।।
জর্জ্জর অর্জ্জুন তনু সুধন্বার বাণে।
রথ নাহি চলে বীর যুঝেন কেমনে।।
হইলেন কাতর তখন ধনঞ্জয়।
স্মরণ করিবামাত্র কৃষ্ণের উদয়।।
সুধম্বা দেখিল কৃষ্ণ রথের উপর।
যোড়হস্ত হয়ে বীর নানা স্তুতি করে।।
আজি যে সকল হৈল আমার জীবন।
একত্র দেখিনু আজি নর নারায়ণ।।
ব্রহ্মাদি দেবতা যাঁরে না পায় দেখিতে।
হেন কৃষ্ণ দেখিলাম অর্জ্জুনের রথে।।
ধন্য হে অর্জ্জুন তুমি পাণ্ডুর নন্দন।
স্মরণে আনিলে তুমি দেব নারায়ণ।।
চিরদিন যোগাসনে ভাবে যোগীগণ।
বহু তপ করিয়া না পায় দরশন।।
হেন কৃষ্ণ আইলেন স্মরণ করিতে।
হস্তেতে পাঁচনী ধরি রথ চালাইতে।।
ধন্য হে অর্জ্জুন তুমি পাণ্ডুর ‍কুমার।
এ তিন ভুবনে নাহি তুলনা তোমার।।
এখন যুঝিব আমি তোমার সংহতি।
প্রতিজ্ঞা করহ তুমি পার্থ মহামতি।।
অর্জ্জুন বলেন তোমা পরাজিব রণে।
প্রতিজ্ঞা করিনু আমি কৃষ্ণ বিদ্যমানে।।
সুধন্বা বলেন শুন বীর ধনঞ্জয়।
আমি তব তিন বাণ কাটিব নিশ্চয়।।
কাটিয়া তোমার বাণ ফেলিব ভূমিতে।
সত্য করি কহিলাম কৃষ্ণের সাক্ষাতে।।
সুধন্বার বচন শুনিয়া নারায়ণ।
প্রবোধ করিয়া পার্থে কহেন তখন।।
এমত প্রতিজ্ঞা তুমি কর কি কারণ।
এমত প্রতিজ্ঞা কভু না হয় শোভন।।
সুধন্বা বৈষ্ণব বড় শুন ধনঞ্জয়।
কাটিবে তোমর অস্ত্র কহিনু নিশ্চয়।।
তিনবানে সুধন্বাকে কাটিবে কেমনে।
তৃণ তুল্য নহ তুমি সুধন্বার রণে।।
মহাবলবন্ত হংসধ্বজের নন্দন।
শুন সখা প্রতিজ্ঞা করিলে কি কারণ।।
অর্জ্জুন বলেন কৃষ্ণ তুমি যার সাথ।
কখন কি হয় তার প্রতিজ্ঞা ব্যাঘাত।।
কখন প্রতিজ্ঞা মম ব্যর্থ নাহি হয়।
তোমার প্রসাদে মম সর্ব্বত্রেতে জয়।।
ঈষৎ হাসেন হরি অর্জ্জুনের বোলে।
সুধন্বা ধনুক হাতে নিল সেইকালে।।
অর্জ্জুন গাণ্ডীব ধরিলেন হৃষ্টমনে।
সাহস করিয়া যুদ্ধ করে দুইজনে।।
সুধন্বা যতেক বাণ পূরিল সন্ধান।
বাণেতে অর্জ্জুন করিলেন খান খান।।
অর্জ্জুন এড়েন বাণ সুধন্বা উপরে।
নৃপতি তনয় তাহ নিবারিল শরে।।
হেনমতে দোঁহে যুদ্ধ করিলেন নানা।
দেবাসুরে দিতে নাহি তাহার তুলনা।।
অগ্নিবাণ সুধন্বা করিল অবতার।
বারুণাস্ত্রে নিবারিল ইন্দ্রের কুমার।।
যুড়িল বায়ব্য অন্ত্র পাণ্ডুর কুমার।
পর্ব্বতাস্ত্রে সুধন্বা করিলেন সংহার।।
দোঁহে মহাবলবন্ত বিক্রমে বিশাল।
দুইজনে যুঝে যেন প্রলয়ের কাল।।
কোপেতে সুধন্বা দিব্য অস্ত্র নিল হাতে।
আকর্ণ পূরিয়া মারে অর্জ্জুনের মাথে।।
বাণাঘাতে হইলেন অর্জ্জুন ফাঁপর।
পড়িলেন কৃষ্ণ কোলে হইয়া কাতর।।
হাত বলায়েন হরি পার্থের শরীরে।
শ্রম দূর করিয়া নিলেন ধনু করে।।
অর্জ্জুন মারেন বাণ দিয়া হুহুঙ্কার।
দশযোজন পাছু হৈল রাজার কুমার।।
কতক্ষণে সুধন্বা আইল পুনর্ব্বার।
মহাক্রোধে বাণ মারে অর্জ্জুন উপর।।
সেই বাণে রথ গেল উভয় যোজন।
দেখিয়া কহেন কৃষ্ণে পাণ্ডুর নন্দন।।
হে কৃষ্ণ দেখিয়া কি করিলা নিরূপণ।
দোঁহা মধ্যে বলবান হয় কোন্ জন।।
হাসিয়া অর্জ্জুন বাক্যে কহেন শ্রীহরি।
তোমা হৈতে সুধদ্বারে আমি ব্যাখ্যা করি।।
আমি রথে বিশ্বস্তর ধ্বজে হনুমান।
আমা দোঁহে ঠেলি গেল উভয় যোজন।।
আমি নামি রথ হৈতে দেখ বীরবর।
কিমতে রাখহ রথ আমার গোচর।।
এত বলি নামিলেন হরি বিশ্বস্তর।
মারিলেন ক্রোধে বাণ রাজার কুমার।।
সেই বাণে রথ গেল চল্লিশ যোজন।
দেখিয়া বিস্ময় মানে অর্জ্জুনের মন।।
কতক্ষণে আইলেন ইন্দ্রের নন্দন।
কহিলেন বন্দি প্রভু কমললোচন।।
তোমার মায়ায় মুগ্ধ আছে সর্ব্বজন।
তোমর মহিমা প্রভু জানে কোন্ জন।।
অনেক সঙ্কটে প্রভু করেছ তারণ।
এবার করহ রক্ষা শ্রীমধুসূদন।।
মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান।।