১৪. যুধিষ্ঠিরের রাজ্য-বর্ণন

সকল পৃথিবীপতি করি করদায়।
করেন পরমানন্দে রাজ্য ধর্ম্মরায়।।
সত্যপ্রিয় ধর্ম্মশীল প্রজার রক্ষক।
দুষ্ট চোরে দণ্ডদাতা শত্রুর দলক।।
নিরবধি যজ্ঞ মহোৎসব হয় দেশে।
সময় জানিয়া তথা জীমূত বরিষে।।
গবীতে অনেক দুগ্ধ, শস্য চতুর্গুণ।
স্বপনে রাজ্যের লোক না জানে বিগুণ।।
ব্যাধি-ভয় অগ্নি-ভয়ে নাহি সেই দেশে।
ধর্ম্মসুত স্বয়ং ধর্ম্ম যে দেশে নিবসে।।
ধন-ধান্য-জনে পূর্ণ হইল সংসার।
ধন্য ধন্য বিনা ধ্বনি নাহি শুনি আর।।
অসংখ্য অর্ব্বুদ গাভী দুগ্ধ করে দান।
চরাচরে উঠে পাণ্ডবের জয় গান।।
ধন রাখিবারে ভাণ্ডারে নাহিক স্থান।
কত শত ব্রাহ্মণে করেন নিত্য দান।।
তথাপি অক্ষয় ধন দেখিয়া ভাণ্ডারে।
ভাবেন সময় এই যজ্ঞ করিবারে।।
এহেন সময়ে কহে ধর্ম্মে বন্ধুগণ।
যজ্ঞ করহ নৃপ বিলম্ব অকারণ।।
পৃথিবীর যত রাজা মিলিল তোমারে।
তোমার অসাধ্য নাহি এই চরাচরে।।
যজ্ঞের সময় এই শুন মহাশয়।
সময়ে না করিলে না হয় ফলোদয়।।
এই মত নৃপ প্রতি বলে সর্ব্বজন।
হেনকালে উপনীত কৃষ্ণ সনাতন।।