১৯. সুধম্বাকে তপ্ত তৈলে নিক্ষেপ

এত বলি সুধম্বা আইল তৈলে পাশে।
ভয় পেয়ে লোক সব দেখিতে না আসে।।
তপ্ত তৈল দেখি বীর নাহি করে ভয়।
গোবিন্দ চরণ ভাবে রাজার তনয়।।
জয় জয় নারায়ণ পরম কারণ।
আমি মূঢ় না দেখিনু তোমার চরণ।।
এ বড় অধিক দুঃখ রহিল অন্তরে।
অর্জ্জুন সহিত কৃষ্ণ না দেখি সমরে।।
ওহে কৃষ্ণ রক্ষা কর অকাল মরন।
তপ্ত তৈলে মোরে রক্ষা কর নারায়ণ।।
উচ্চৈঃস্বরে সুধম্বা ডাকিছে নারায়ণে।
সঙ্কটে রাখিতে কেহ নাহি তোমা বিনে।।
এত বলি সুধম্বা জপিছে কৃষ্ণ নাম।
ইহা শুনি শোকে লোক হইল অজ্ঞান।।
সুমতি পাত্রের পুত্র ধরি সুধন্বারে।
ফেলাইয়া দিল তপ্ত তৈলের উপরে।।
ভক্ত বুঝি তাহারে রাখেন নারায়ণ।
তপ্ত তৈল হৈতে তার নহিল মরণ।।
সুধন্বা বসিয়া আছে তৈলের ভিতরে।
তৈলে বসি কৃষ্ণনাম ডাকে উচ্চৈঃস্বরে।।
ঘন ঘন হরিনাম ডাকিছে সুধম্বা।
নৃপতির সভায় হেথা উঠিলেক কান্না।।
শুন রাজা জন্মেজয় কহিনু তোমারে।
পড়িল সুধম্বা তপ্ত তৈলের ভিতরে।।
ভক্ত বুঝি তাহারে রাখেন নারায়ণ।
তপ্ত তৈল হৈতে তার নহিল মরণ।।
সুধম্বা বসিয়া আছে তৈলের ভিতরে।
তৈলে বসি কৃষ্ণনাম ডাকে উচ্চৈঃস্বরে।।
ঘন ঘন হরিনাম ডাকিছে সুধন্বা।
নৃপতির সভায় হেথা উঠিলেক কান্না।।
শুন রাজা জন্মেজয় কহিনু তোমারে।
পড়িল সুধম্বা তপ্ত তৈলের ভিতরে।।
ভক্ত বুঝি তাহারে রাখেন নারায়ণ।
তপ্ত তৈলে সুধন্বার নহিল মরণ।।
শ্রীজন্মেজয় বলে কহ মহামুনি।
কি কর্ম্ম সুধম্বা কৈল কহ দেখি শুনি।।