১৯. গ্রন্থ-সমাপ্ত ও ফলশ্রুতি

অষ্টাদশ-পর্ব্ব সাঙ্গ হ’ল এত দূরে।
যাহার শ্রবণে পঞ্চ মহাপাপে তরে।।
শুদ্ধমতি হ্যে যেবা এক পর্ব্ব শুনে।
অশ্বমেধ ফল পায় ব্যাসের বচনে।।
যার গৃহে থাকে গ্রন্থ সম্পূর্ণ ভারত।
লক্ষ্মী সঙ্গে নারায়ণ থাকেন সতত।।
অগ্নিভয়, জ্বর আর চৌর মৃত্যুভয়।
পাপ তাপ শোক দুঃখ, সব হয় ক্ষয়।।
রাজদণ্ড যমদণ্ড অকাল-মরণ।
ভূত প্রেত যক্ষ রক্ষ গন্ধর্ব্ব চারণ।।
সম্পূর্ণ ভারত গ্রন্থ থাকে যার ঘরে।
এ সকল পীড়া তারে কভু নাহি ধরে।।
বন্ধ্যা নারী পুত্র পায় একান্ত শুনিলে।
জ্ঞানবৃদ্ধি, বলবৃদ্ধি তরে পরকালে।।
বিপ্রের বিজ্ঞান বাড়ে নৃপতির রাজ্য।
আর যার যেই বাঞ্ছা, সিদ্ধ সর্ব্ব কার্য্য।।
বৈশ্য শূদ্র শুনিলে বাড়য়ে ধন ধান্যে।
পাপীজন শুনি স্বর্গে যায় মহাপুণ্যে।।
যার যেই বাঞ্ছা করি শুনয়ে ভারত।
গোবিন্দ করেন পূর্ণ তার মনোরথ।।
ব্যাসের বচন ইথে নাহিক অন্যথা।
সকল গ্রন্থের সার ভারতের কথা।।
শুচি হয়ে শুদ্ধচিত্তে শুনে যেই জন।
অন্তকালে স্বর্গপুরে দেখে নারায়ণ।।
শ্লোকচ্ছন্দে বিরচিল মহামুনি ব্যাস।
পাঁচালী প্রবন্ধে আমি করিনু প্রকাশ।।
কাশীদাস বিরচিল গোবিন্দ ভাবিয়া।
পাইবে পরম সুখ শুন মন দিয়া।।