শ্যাম রাখি কি কুল রাখি
প্রবাদটি দোটানায় পড়া অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শ্যাম বা কৃষ্ণের প্রেমে হাবুডুবু রাধার মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও টানাপোড়েন এই প্রবাদের উৎসে।
রাধাকৃষ্ণের প্রচলিত প্রেম-কাহিনীমতে নপ্ংসক আয়ান ঘোষের সাথে বিয়ে হয়েছিল বৃষভানু-নন্দিনী রাধার। পূর্বজন্মে আয়ান একজন ঋষি ছিলেন এবং রাধা ছিলেন নারায়ণপত্নী লক্ষ্মী। আয়ান ঋষির তপস্যায় সন্তুষ্ট নারায়ণ বর দিতে চাইলে আয়ান চেয়েছিলেন যে, পরজন্মে যেন তিনি লক্ষ্মীকে স্ত্রীরূপে পান। নারায়ণ সেই বর অনুমোদন করলেন এবং জানালেন যে, আয়ান ক্লীব হয়ে জন্মাবেন। তাই হলো দ্বাপরে। তবে নারায়ণ-লক্ষ্মীর মতো পরজন্মে শ্রীকৃষ্ণ-রাধার বন্ধন তো থেকেই গেল।
কৃষ্ণের পালিকামাতা যশোদার ভাই আয়ান। সে হিসেবে রাধা হলেন তার মামী। কৃষ্ণের বাঁশির সুরে উতলা রাধা ছুটে যান বারবার তার কাছে। সমাজে কলঙ্ক রটার ভয়-বংশের কলঙ্ক। আবার বংশের সম্মান বাঁচাতে গেলে কৃষ্ণকে হারাতে হয়। এই উভয়-সঙ্কটে পড়ে রাধার মনে দ্বন্দ্ব— শ্যাম রাখি না কুল রাখি।