শুকদেব

বেদজ্ঞ ঋষি – মহর্ষি ব্যাসদেবের পুত্র। ব্যাসদেব তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব বর দিয়েছিলেন যে, ব্যাসদেব অগ্নি বায়ু জল ভূমি ও আকাশের ন্যায় পবিত্র পুত্র লাভ করবেন, যিনি ব্রহ্মপরায়ণ হয়ে যশস্বী হবেন। বরলাভ করে ব্যাসদেব যখন সুমেরুশৃঙ্গে বসে দুটি অরণিকাষ্ঠ নিয়ে অগ্নি সৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তখন অপ্সরা ঘৃতাচিকে সেখানে এলেন। ঘৃতাচিকে দেখে কামাবিষ্ট হয়ে ওঁর শুক্র অরণিকাষ্ঠের ওপর স্খলিত হলে সেখান থেকে শুকদেবের জন্ম হয়। শুকদেব বৃহ্রপতি ও পিতার কাছে নানাবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে মিথিলায় জনক রাজার কাছে গিয়ে মোক্ষ বিষয়ক অনেক উপদেশ নেন। জনকের কাছে তিনি জানলেন যে,বহুজন্মের সাধনায় চিত্তশুদ্ধি হয়ে থাকলে চার আশ্রম পালনের দরকার হয় না – শুধু ব্রহ্মচর্যাশ্রমেই মোক্ষলাভ হওয়া সম্ভব। এরপর শুকদেব পিতার নিকট এসে পিতার চার শিষ্য সুমন্ত্র বৈশম্পায়ন জৈমিনি ও পৈলের সঙ্গে বেদাধ্যয়ন করেন। শিক্ষা সমাপ্ত হলে, শুকদেব দেবর্ষি নারদের কাছে ইহলোকের হিতকর কর্তব্য সম্পর্কে অনেক উপদেশ নেন। শেষে মনস্থির করেন যে,গৃহস্থাশ্রমে তিনি প্রবেশ করবেন না – যোগবলে দেহত্যাগ করবেন। তখন পিতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কৈলাস পর্বতের শিখরে গিয়ে যোগযুক্ত হয়ে তিনি ব্রহ্মত্ব লাভ করেন।

Leave a Reply to ARUN KUMAR SINGHAMAHAPATRA Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *