লগ্নজিতার ব্যর্থতা

লগ্নজিতার ব্যর্থতা

হ্যাঁ কৌশিক বলো, জিতা, আমি তোমায় তিনবার কল করেছিলাম, তুমি রিসিভ করলে না৷ আছ কোথায়?’ কৌশিক, আমি জাস্ট ফ্ল্যাটে ঢুকলাম৷ চলে এসো৷ আসার সময় পিৎজা নিয়ে এসো প্লিজ৷

কৌশিক হেসে বলল, ‘ভাবা যায় মিস লগ্নজিতা ভট্টাচার্য আমার কাছে বায়না করছে৷ এমন সৌভাগ্যের জন্যই তো বেঁচে থাকা৷ আমি ইনফ্যাক্ট, তোমার ফ্ল্যাটের কাছে এসেই গেছি৷ তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আসছি৷’

লগ্নজিতা হেসে বলল, ‘কয়েক বছর পরে এই দৃশ্যটা বদলে যাবে, বুঝলে? এই যে প্রেমিকার আবদার তোমার কাছে মহার্ঘ মনে হচ্ছে৷ কয়েক বছর পরে বউয়ের আবদার অভিশাপ মনে হবে৷

কৌশিক বলল, ‘তুমি জেনারালাইজ কোরো না৷ সবাই লগ্নজিতার কৌশিক হয় না৷ বিয়েটা করে পরীক্ষা নিয়ে নিলেই হয়৷ যদি বদলে যাই তাহলে তোমার লকআপ তো আছেই৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘তোমার কোনো আত্মীয় কি সানাইবাদক কৌশিক? আর সে কি দীর্ঘদিন কোনো কাজ পাচ্ছে না? তুমি কি তাকে চার দিনের সানাইয়ের বায়না করে বসে আছ? না হলে প্রতিটা কথা আমাদের বিয়ের গলিতে গিয়ে পৌঁছায় কী করে?

কৌশিক পিৎজার অর্ডার দিয়ে বলল, থামো তো তিন চার বছর প্রেম করলে এই জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা হানিমুন সেরে ফেলত৷ আর আমার কপালে তো এক-আধটা চুমুর বেশি কিছু জোটেনি৷ যাও বা বুড়ো বয়সে একটা প্রেম করলাম সেটাও লেডি হিটলারের সঙ্গে৷ লগ্নজিতা পোশাক বদলে সোফায় আরাম করে বসে বলল, ‘কেন, কলেজে একবার যে লেঙ্গি খেয়েছিলে, সেটা চেপে যাচ্ছ কেন? আরে আমি ড্রাগ পেডলারকে ধরার মিশনে আছি ইয়ার৷ আর লাভারের এক্স-প্রেমিকার খবর রাখব না তা-ই হয়? ফার্স্ট ইয়ার বিদ্যাবতী রয়কে তো প্রোপোজ করতে গিয়েছিলে, সে তো পত্রপাঠ ভাগিয়ে দিয়েছিল৷ তারপর তো মেডিক্যাল কলেজে দিন দশেকের জন্য একজন দেবদাস ঘুরে বেড়াচ্ছিল৷ কী, ঠিক বললাম তো?’

কৌশিক চমকে উঠে বলল, ‘বিদ্যাবতীর কথা তুমি জানলে কী করে? কে বলল? আমার বাবা? ঘরশত্রু বিভীষণ৷ হবু বউমার কাছে ছেলের ক্রাশকে নিয়ে গল্প ফেঁদেছে৷ সত্যি আমার কপালটা বাঁধিয়ে রাখার মতো৷’

লগ্নজিতা হেসে বলল, ‘আঙ্কল বলছিলেন, ভাগ্যিস ওই মেয়েটার সঙ্গে তখন রিলেশনশিপটা দানা বাঁধেনি তাই তো তোমার সঙ্গে এমন সুন্দর সম্পর্কটা তৈরি হল৷

কৌশিক বলল, এনিওয়ে, আমি এসে গেছি৷ দরজা খোলো৷’ লগ্নজিতা কফির কাপ দুটো ট্রে করে এনে দরজাটা খুলতেই কৌশিক হাসিমুখে পিৎজার প্যাকেট হাতে বলল, ডিনার করবে বলে বেশি করেই নিলাম৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘বোসো, তোমার সঙ্গে আমার দরকারি কথা আছে৷’

কৌশিক হেসে বলল, ‘এই জিতা, তোমাকে পিঙ্ক কালারে বেশ মিষ্টি লাগে তো৷ এই টপটাতে দারুণ লাগছে৷ আমি তোমাকে গোটা চারেক পিঙ্ক টপ কিনে দেব৷

লগ্নজিতা দুটো প্লেটে খাবার সাজিয়ে বলল, জানো কৌশিক, তুমি মানুষটা বড্ড ভালো৷ এতটাই ভালো যে সবসময় অপ্রয়োজনীয় কথা বলে আসল কথা ভুলিয়ে দাও৷’

কৌশিক কফিতে চুমুক দিয়ে বলল, ‘আর তুমি মানুষটা এমনিই রামগরুড়ের ছানা যে প্রশংসা করলেও গলতে জানো না৷ এনিওয়ে, তুমি যদি চাও, আজ রাতে আমি তোমার ফ্ল্যাটে থেকে যেতে পারি৷ সারারাত ধরে তোমার জরুরি কথা শুনতেও পারি মন দিয়ে৷ ব্যাকগ্রাউন্ডে নরম মিউজিক বাজবে, ঘরে একটা নীল আলো-আমি আর তুমি মুখোমুখি বসে চোর, ডাকাত, ক্রিমিনালের গল্প করব৷ আহা, ভাবতেই আমার রোমাঞ্চ লাগছে৷’ লগ্নজিতা খেতে খেতে বলল, ‘তোমার ভাবনার পাখির ওড়া শেষ হলে বোলো, আমি তারপর শুরু করব৷ এই কৌশিক, তোমার জন্য একটা পাঞ্জাবি কেনা আছে, যাওয়ার সময় নিয়ে যেয়ো৷ নতুন বুটিক খুলেছে এমন দুটো মেয়ে এসেছিল, কিছু নিন, নিন বলছিল তাই তোমার একটা পাঞ্জাবি নিলাম৷’

কৌশিক হেসে বলল, ‘ভাবা যায়! তুমি মনে করে আমার জন্য, ভাবতেই রক্তে শিহরন খেলে গেল৷ যা-ই হোক, এবারে বলো তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথা৷ লোকে তো রাত দশটার সময় বাড়ির বেড়াল-কুকুরকেও তাড়িয়ে দেয় না, একমাত্র তুমি তোমার প্রেমিককে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেই, তাই যা বলার বলে ফেলো৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘ডিটেকটিভ রুদ্রজ্যোতিকে এই কেসটা ইনভেস্টিগেট করতে লাগাল আমাদের এম.এল.এ. সাহেব৷ আমার ডিভিশনের মধ্যেই থানাটা পড়ে, তবুও উনি পারলে মন্ত্রী দিয়ে আমায় সরিয়ে দেন৷ রুদ্রজ্যোতির সলভ করা গোটা তিনেক কেস হিস্ট্রি আমি পড়েছি৷ লোকটা অদ্ভুত জানো, নিজের নাম, ছবি কিছুই সেভাবে প্রকাশ করতে চায় না৷ নিজের কাজের ক্রেডিট দেয় অন্যজনকে৷ শুধু ব্রেন খাটাবে বলে জটিল কেস সলভ করে৷ কৌশিক বলল, ‘ছবি দেখাও একবার৷’ লগ্নজিতা দুপুরের ক্যাফেতে তোলা সেলফিটা দেখাল৷

কৌশিক বলল, ‘সেলফি কেন নিয়েছিলে?’

জিতা হেসে বলল, ‘এই কেসটা সলভ হলে আমি নিজে আর্টিকল করাব রুদ্রদার ওপরে৷ তাই আগাম ছবি তুলে রাখলাম৷ যদিও ওঁকে বললাম, আপনার সঙ্গে কাজ করছি, কলিগদের বলব, সেই কারণে ছবি তুললাম৷ আমার আসল উদ্দেশ্য অন্য৷ উনি কিছুতেই কাগজে নিজের ছবি ছাপতে দেন না, টিভি-তে ইন্টারভিউ দেন না৷ আরে লোকজন দেখুক, কোর্ট, টাই না-পরা পাতি বাঙালি পোশাকে, ছাপোষা দেখতে ডিটেকটিভ আছে৷’

কৌশিক বলল, ‘তুমি ভুল করছ জিতা, উনি ওঁর কাজের সুবিধার্থেই নিজের ছবি ভাইরাল করতে দেন না৷ এতে গোপনে অনেক কাজ করতে পারেন৷ ডিটেকটিভরা ভাইরাল হলে ক্রিমিনালরা সচেতন হয়ে পড়বে যে৷ তুমিও তো অনেক সময় কাজের সুবিধার জন্য সিভিল ড্রেসে যাও৷ প্রাইভেট কারে নিজে ড্রাইভ করে তদন্তে যাও, কারণ ক্রিমিনাল যেন অ্যালার্ট না হয়ে পড়ে৷ এনিওয়ে, ছবিটা আমায় সেন্ড করো তো৷ জিতা বলল, কেন? কৌশিক মুচকি হেসে বলল, ক্রপ করে ওঁকে বাদ দিয়ে দেব৷

লগ্নজিতা হেসে বলল, ‘কৌশিক, তুমি অদ্ভুত হিংসুটে কিন্তু৷’

কৌশিক ছবিটার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘পজেসিভনেস বলে এটাকে৷ যদিও এই ভদ্রলোককে আমি দেখেছি কোথাও একটা৷ আচ্ছা শোনো, তোমার সঙ্গে থাকতে থাকতে আমি একটা জিনিস আবিষ্কার করে ফেলেছি, রক্তিমা সৃজিতের মাসি নয়৷ এমনকী যে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে কাজ করে বলেছিল, সেটাও মিথ্যে৷ ওই ল্যাবে রক্তিমা নামের কেউ নেই৷ আরেকটা কথা জানতে পেরেছি, সৃজিত ওদের পাড়ার মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সবাইকে এই চকোলেট বিক্রি করত৷ পাড়ার বড় বড় ছেলেরাও সৃজিতের কাছ থেকে চকলেট কিনত বেশি দাম দিয়ে৷ বাচ্চাদের এজেন্ট বানিয়ে এভাবে মাদক ছড়িয়ে দিতে চাইছে কোনো একটা চক্র৷ ভাবতে পারছ জিতা, কী চলছে দিনের আলোয়! এই নাও সৃজিতের মিথ্যে মাসির সাইন৷ ছবি তুলে এনেছি৷ সৃজিতের স্কুলে আমার এক পরিচিতর বাচ্চা পড়ে৷ তাকে জিজ্ঞাসা করলাম এই লজেন্সের বিষয়ে৷ সে বলল, ছেলে নাকি ইদানীং বেশি টাকা নিয়ে স্কুলে যেতে চাইছে৷ না দিলে ভায়োলেন্ট হয়ে যাচ্ছে৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘কৌশিক, আমার আর দুটো ইনফর্মেশন চাই, এই ওষুধটার নামটা দেখো, কীসের ওষুধ এটা-একটু দেখে জানাবে?’

কৌশিক মেডিসিনের নামটা নোট করে নিয়ে বলল, ‘চললাম৷ ছবিটা ক্রপ করে পাঠিয়ে দেব৷ আর সবার সঙ্গে সেলফি তোলার দরকার নেই৷’

বেরোনোর আগে লগ্নজিতা বলল শোনো, ‘কৌশিক দরজার সামনে ঘুরে দাঁড়াতেই জিতা ওকে জড়িয়ে ধরে বলল, পাশে থেকো, অভিমান কোরো না৷ জানো তো আমি রোমান্টিক নই, তবুও৷’

কৌশিক ওর ঠোঁট স্পর্শ করে বলল, ‘তুমি তো তুমিই৷ আসছি, সাবধানে থেকো৷’

কৌশিক চলে গেছে অনেকক্ষণ৷ বাড়ি পৌঁছে পৌঁছানোর মেসেজও করে দিয়েছে, তারপরেও ঘুম আসছে না জিতার৷ বার বার মনে হচ্ছে, তপন মহান্তি ড্রাগ অ্যাডিক্টেড এটা মনে হয়নি কখনো৷ তপনের ঘরটা সার্চ করার সময় রুদ্রজ্যোতিকে লুকিয়েই একটা জিনিস নিজেই কুড়িয়েছে জিতা৷ একটা লেডিজ ক্লিপের ভাঙা অংশ৷ তপন মহান্তি অবিবাহিত৷ তার তিন কুলে কেউ নেই৷ গত ছয় বছরে পাড়াতুতো এক ভাইপো ছাড়া আর কাউকেই আসতে দেখেনি কেউ ওর কাছে৷ তাহলে ক্লিপের ভাঙা অংশ এল কোথা থেকে?

বেশ কয়েকটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে৷ জয়ন্তকে ধরতে পারলে একটা কিনারা পাওয়া যেত এই পাচারকারীদের৷ আবার তপন মহান্তি স্কুলের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানত, এমনকী জয়ন্তর দোকানে কখন কী হত সেটাও জানত তপন৷ তাই তপনকে সরিয়ে দিলে বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে যাবে৷ কে ধামাচাপা দিতে চাইছে? সব থেকে কার বেশি প্রয়োজন? জলধরবাবুর প্রয়োজন সব থেকে বেশি৷ তপন অনেক কিছুই হয়তো জানত, সেগুলো বলে দিলে বিপদ জলধরের৷ একটা স্কুলের প্রধানশিক্ষক মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে ধরা পড়লে যে শাস্তিটা হবে, সেটাই যথেষ্ট৷ সঙ্গে উৎপলের লরি জয়ন্তকে চাপা দেওয়ার ব্যাপারটা তো আছেই৷ তাই এই দুটো খুনের পিছনে সব থেকে বেশি স্বার্থ জড়িয়ে আছে জলধরের৷ লোকটা অসম্ভব ঠান্ডা মাথার লোক৷ তাই বুঝে-শুনে কাজটা এমনভাবে করেছে যেন পুলিশ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে৷ কিন্তু তাহলে নিজের ভাইপোর লরিটা কেন ব্যবহার করল লোকটা? অবশ্য তাড়াহুড়োর মাথায় সিরিয়াল কিলাররাও ভুল করে, আর এ তো ছাপোষা লোভী একটা লোক৷ এদের ভুল হবে সেটাই স্বাভাবিক৷ রিম্পা যে এই কাজে যুক্ত ছিল, সুমন তার মানে জানত৷ তারপরেও কোনোদিন কিছু বলেনি৷ এক্ষেত্রে সুমনও দোষী৷ কারণ রিম্পা এই পাচারের একটা ছোটো অংশ৷ পিকুকে কাজে লাগাত রিম্পা৷ সেদিন অসাবধানে ধরা পড়ে না গেলে এই কাজটাই চালিয়ে যেত রিম্পা৷ সুমনকে যে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল, সে আর সৃজিতের ফেক মাসি যদি একই হয় তাহলে ওই মিষ্টিরিয়াস মহিলাকে খুঁজে বের করাটা অত্যন্ত জরুরি৷ কে এই মহিলা? ঠিক কী পরিচয় এর? হঠাৎ এদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেই বা কেন? আগামীকাল জলধরবাবুর বাড়িতে যেতে হবে৷ স্কুল আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ এসেছে সরকার থেকেই৷ তারপর তপন মহান্তি সুইসাইড করার পর তো আরও বিপদ হল৷ এই যে স্কুল নিয়ে এত পজেসিভ জলধরবাবু, তাহলে সে কি এই খুনগুলো করবে? তবে কি জয়ন্ত জলধরবাবুর প্রশ্রয়েই স্কুলের নাকের ডগায় এই ব্যাবসা চালাতে পারত? তপন সবটা জানত বলেই ওকে সরিয়ে দিতে হল৷

শুধু তো বসু ইনস্টিটিউশন নয়, অরবিন্দর ছাত্ররাও এই চকোলেটে অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়েছে বলেই খবর৷ এই চক্রটা কি শুধুই স্কুলগুলোকে টার্গেট করেছে নাকি আরও কোথায় কে জানে৷ মাঝরাতে ঘুম চোখে মোবাইলের নোটপ্যাড খুলে বেশ কিছু পয়েন্ট নোট করল লগ্নজিতা৷ এগুলোর সমীকরণ মিলছে না কিছুতেই৷ এই গরমিলগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে৷ প্রথম কাজ জয়ন্তর স্ত্রীকে খুঁজে বের করা৷ অসুস্থ না হয়েও হাসপাতালে ভরতি আছে— এই খবরটা ছড়ানোর পিছনে ঠিক উদ্দেশ্যটা কী? শুধুই কি গা-ঢাকা দেওয়া? জয়ন্তকে যখন বিয়ে করেছিল তখন জয়ন্তর অবস্থা যে খারাপ ছিল— এটা অনেকে বলেছে৷ অনীতার কথামতো এই চকোলেটের ব্যাগ রাতের গাড়িতে নিয়ে আসত জয়ন্তর স্ত্রী৷ ভোরে উঠে বেরিয়ে যেত৷ তার মানে মহিলা এ অঞ্চলে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল দীর্ঘদিন ধরে৷ মাদক পাচারের ব্যাবসা শুরু করার পরেই জয়ন্ত রাতারাতি বড়োলোক হয়েছিল৷ শুধু স্কুলে পঞ্চাশটাকা পিস চকোলেট বিক্রি করে সেটা সম্ভব নয়৷ তার মানে জয়ন্ত আরও কোথাও এই মাদক অন্য কোনো ফর্মে পাচার করত৷ তপন বলেছিল, বাচ্চাদের নাকি দুটোর বেশি চকোলেট দিতে চাইত না৷ হয়তো ওভারডোজ হলে ধরা পড়বে এই ভয়েই৷ আর উঁচু ক্লাসের ছেলেদের তিনটে অবধি বরাদ্দ ছিল৷ যদিও রেগুলার দেড়শো টাকা করে নিয়ে আসা এইসব স্কুলের ছাত্রদের ক্ষমতার বাইরে ছিল৷ কালকে গিয়ে এই অনীতাটাকে প্রেশার দিতে হবে৷ জয়ন্তর স্ত্রী-কে চাই৷ তবেই ক্লিয়ার হবে বিষয়টা৷

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *