মিডিয়া কনফারেন্স

মিডিয়া কনফারেন্স

এম.এল.এ.-র নিজস্ব অফিসে বসে আছে লগ্নজিতা৷ আজ পান্ডে সাহেবের মুড ভালো আছে৷ ‘আসুন ম্যাডাম’ করে বেশ সমাদর করে বসালেন৷ লগ্নজিতা বুঝল, মিডিয়ার সামনে বাইট দিতে হবে বলেই ওকে এত সমাদর৷ লগ্নজিতাকে বলতে হবে, এলাকার এম.এল.এ. ভীষণ তৎপর ছিলেন, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা বাঁচাতে পেরেছি এই সাইলেন্ট কিলারের হাত থেকে৷ লগ্নজিতা বলল, আপনি যা বলতে বলবেন, সেটাই বলব, কিন্তু তার আগে আমায় একটু হেল্প করতে হবে, স্যার৷’

অভিষেক পান্ডে বিগলিত হয়ে বললেন, ‘নিশ্চয়ই ম্যাডাম৷ আপনি ভাবতে পারছেন না, আপনি কত কোটি টাকার মাল ধরেছেন৷ আজকেই আমাদের মন্ত্রীও আপনার সঙ্গে দেখা করবেন৷ পুরস্কৃত করবেন আপনাকে৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘সব ঠিক আছে স্যার৷ আপনি আমার দুটো প্রশ্নের উত্তর দিন প্লিজ৷‘

সুশোভন থেকে ইন্দ্রনীল সকলেই উপস্থিত হয়েছে৷ পারিজাত বসেছে লগ্নজিতার পাশে পাশেই৷ বিষয়টা বিশদে জানার আগ্রহ থেকেই৷ পান্ডে বললেন, ‘ম্যাডাম, এবারে বলুন৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘আমি অতীতে চলে যাব একটু৷ কারণ এ গল্পের একটা পাস্ট আছে৷ জয়ন্ত প্রামাণিক একেবারেই নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে৷ তার বিয়ে হল, শিক্ষিত, সুন্দরী দিয়াশা দস্তিদারের সঙ্গে৷ এখানে আপনারা বলবেন, শিক্ষিত, সুন্দরী তাহলে কেন জয়ন্তকে বিয়ে করল? করল তার কারণ, বাবা-মা ছোটোবেলায় মারা যাবার পরে কাকার বাড়িতে মানুষ হচ্ছিল দিয়াশা৷ কাকিমার বিবাহিত ভাই আড়ালে-আবডালে মলেস্ট করত দিয়াশাকে৷ বলেছিল, দিয়াশার বিয়ে দিতেই দেবে না সে৷ সেই সময়েই পরিচিত কারো মাধ্যমে জয়ন্তর সম্বন্ধটা যায় ওর কাকার কানে৷ কাকার অর্থনৈতিক অবস্থাও তেমন নয়৷ নিজের দুই সন্তানের পরে চেপেছিল দিয়াশার ভার৷ নাজেহাল কাকা ভাইজিকে শালার হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে দিয়ে দিল জয়ন্তর সঙ্গে৷ বিয়ের পরে একটু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে ভেবেছিল দিয়াশা কিন্তু সে গুড়েও বালি৷ জয়ন্তর টানাটানির সংসারে এসে হাঁপিয়ে উঠছিল দিয়াশা৷ পার্লারের কাজ শিখতে শুরু করল কলকাতার একটা নামী পার্লারে৷ তখনই ওর পরিচয় হল একজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে৷ সে রাতারাতি বড়োলোক করে দেবার লোভ দেখাল৷ দিয়াশা তার শর্তে রাজি হল৷ কারণ জয়ন্তর তখন বাজারে বেশ ধার হয়েছে৷ দিয়াশা এমন ছাপোষা জীবন কাটাতে রাজি নয়৷ কাদম্বিনী গার্লস স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বন্ধুরা ওর গ্লাস স্কিনে হাত বুলিয়ে বলত, তুই নায়িকা হবি৷ ওর কোমর অবধি সিল্কি হেয়ার দেখে বলত, কেশবতী কন্যে৷ নিজের রূপ নিয়ে ভিতরে ভিতরে একটা অহংকার ছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার্লারে অন্যের রূপের পরিচর্যা করতে করতে ক্রমশ আক্রোশ বাড়ছিল জয়ন্তর ওপরে৷ জয়ন্ত তখন বউ অসুস্থ বলে লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছিল৷ রাতারাতি বড়োলোক হবার লোভটা তখন পেয়ে বসেছে দিয়াশাকে৷ জয়ন্তকে বললে সে ভয় পেয়ে যায়৷ তখন দিয়াশা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়৷ কোনোমতে একটা পি.জি.তে ওঠে৷ সেই পি.জি-তে নিজের নাম পালটে সে বলেছিল রক্তিমা৷ ছোটো থেকেই নিজের নাম বদল করার খেলাটা খুব প্রিয় ছিল৷ দিয়াশার বন্ধুরাও বলেছে, দিয়াশা, স্কুলে এসে বলত, তোরা আমায় আজ থেকে নন্দিনী বলে ডাকবি, কখনো মল্লিকা— এভাবেই নিজের নাম রাখত দিয়াশা৷ পার্লারে যারা দিয়াশার স্কিন আর চুল দেখে আকৃষ্ট হত, তাদেরই দিয়াশা নিজের কন্ট্যাক্ট নম্বর দিতো৷ পার্লারের বাইরে যোগাযোগ করে তাদের সাপ্লাই দিত মাদক৷ পি.জি. থেকে অসুবিধা হচ্ছিল বলেই একটা এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া নিল দিয়াশা৷ তারপর কাঁচা টাকার গন্ধ একদিন জয়ন্তর নাকে গিয়েও লাগল৷ জয়ন্তর সব ধার শোধ করে দিল দিয়াশা৷ জয়ন্তও হাত মেলাল৷ জিম থেকে নাইটক্লাব, পার্লার থেকে স্কুল, কলেজ রমরম করে চলছিল ব্যাবসা৷ জলধরবাবুকে প্রতিমাসে হাজার ত্রিশ করে দিলেই চলছিল৷ ভদ্রলোক কিছু দেখেও দেখছিলেন না৷ সমস্যা তৈরি হল পিকুর ধরা পড়ে যাওয়ায়৷ ব্যাঙ্কের সিকিউরিটি চকোলেটের প্যাকেটে মোড়ানো পুরিয়া খুলেই সন্দেহ করেছিলেন৷ সুমন আর পিকু ধরা পড়তেই পুলিশ ছুটল চকোলেট পাওয়ার উৎস খুঁজতে৷ জয়ন্তর কানে খবরটা কে প্রথম দিল যে পিকু ধরা পড়েছে? আমি প্রথমে ভেবেছিলাম জলধরবাবু৷ কিন্তু না, ওইদিন জলধরবাবুর ফোন থেকে কোনো ফোন জয়ন্তর ফোনে যায়নি৷ সুমন আমায় ফোন করার পরেই ফোন করেছিল তার স্ত্রী রিম্পাকে৷ সুমন জানিয়েছিল, পিকু ধরা পড়েছে৷ রিম্পার সেদিন দুপুর দুটো অবধি ডিউটি ছিল, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি৷ তা সত্ত্বেও ও দুপুর বারোটার সময়ে বাড়িতে কী করছিল? সুমনের ফোন পাওয়ার এক সেকেন্ডের মধ্যে ও ফোন করেছিল জয়ন্তকে৷ নিজেও ছুটে বাড়ি এসেছিল ছেলে অসুস্থ বলে৷ নিজের বাড়ির যাবতীয় মাদকদ্রব্য চালান করেছিল একটা সাদা রঙের বাজারের ঝোলা বাগের মধ্যে৷ আমরা যখন পৌঁছালাম তখনই দেখলাম জয়ন্তর দোকানের শাটার নামানো৷ আমার লোক জয়ন্তকে দোকান বন্ধ করতে দেখলেও যেতে দেখেনি৷ তার মানে দোকানের মধ্যেই তখন ছিল জয়ন্ত৷ হয়তো দোকানের ভিতরের যাবতীয় মাদক পদার্থ গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত ছিল৷ আমরা বেরিয়ে আসতেই রিম্পার বাড়িতে দুজন মুখোশধারী লোক গিয়েছিল৷ রিম্পার বক্তব্য মতো তারা রিম্পাদের ঘরদোর আলুথালু করেছিল৷ রিম্পার প্রতিবেশীদের কথামতো রিম্পা ওদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় কথা বলছিল৷ আচমকা ঘরে মুখোশধারী দেখেও চিৎকার করেনি৷ মুখোশধারীরা ঘরের সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু ওই সাদা ঝোলা ব্যাগটা নিয়ে পালিয়েছিল৷

‘উৎপলের বলা গল্পটা একদম ঠিক৷ ওর লরি ইউজ হলেও ও নিজে জড়িত ছিল না জয়ন্ত খুনের ব্যাপারে৷ যে ড্রাইভার সেদিন লরি দিয়ে জয়ন্তকে চাপা দিয়েছিল, তাকে পাঠিয়েছিল দিয়াশা নিজে৷ দিয়াশা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল একটা গাড়ি নিয়ে৷ জয়ন্ত সন্ধের অন্ধকার নামতেই বাইক নিয়ে বড়ো ব্যাগে করে মাল নিয়ে দিয়াশাকে পৌঁছে দিয়েছিল৷ তারপর ঠিক রাত দশটা নাগাদ একটা ফোন আসে জয়ন্তর ফোনে৷ জয়ন্ত তখন উৎপলের সঙ্গে গল্প করছিল বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে৷ তার ঠিক দশ মিনিট আগেই উৎপলকে দিয়াশার পাঠানো লোককে চাবিটা দিতে বলেছিল জয়ন্তই৷ কারণ ফোনে দিয়াশা বলেছিল, আমি আজই শিফট করব যাদবপুর ফ্ল্যাট থেকে৷ কিন্তু পরিচিত লরি দরকার৷ দিয়াশা জানত উৎপলের লরিটা দাঁড়িয়ে থাকে জয়ন্তর দোকানের অপোজিটে৷ জয়ন্ত লরিচাপা পড়লে প্রথম সন্দেহ পড়বে উৎপলের ওপরে৷ জয়ন্তর স্ত্রী-কে এমনিও পাড়ার লোকজন কবারই বা দেখেছিল৷ ক্যান্সার পেশেন্টের গল্প তো রটানোয় আছে৷ তাই তাকে কেউ সন্দেহ করবে না৷ অনীতার কথায় এমনিতেও দিয়াশা আসত মধ্যরাতে৷ আর ফিরে যেত ভোরে৷

‘জয়ন্ত রাঘব, উৎপল, রিম্পা, তপন সকলকেই রাতারাতি বড়োলোক করে দেবার লোভ দেখিয়েছিল৷ রিম্পা জয়ন্তর কথাতে প্রভাবিত হয়েছিল সব থেকে বেশি৷ জয়ন্তর কথাতেই উৎপল চাবিটা দিয়েছিল৷ মোটা টাকাও পেয়েছিল উৎপল জয়ন্তর কাছ থেকেই৷ পরে ভয় পেয়ে উৎপল অন্য গল্প বানিয়েছিল৷ তবে জয়ন্ত খুন হবে, সেটা ওর ধারণা ছিল না৷ তারপর দিয়াশা জয়ন্তকে বলেছিল দোকানে গিয়ে আরেকবার ভালো করে চেক করে নিতে৷ জয়ন্ত দোকানে ঢোকার আগেই উৎপলের গাড়ি ওকে পিষে দেয়৷ উৎপল জেরার মুখে স্বীকার করেছিল সবটাই৷ দিয়াশার প্ল্যানমাফিক স্কুলের সি.সি.টি.ভি.-র এলাকায় ঘটনাটা ঘটায় পুলিশ ফুটেজ পেল৷ দেখা গেল নম্বর মিলিয়ে এটা উৎপলের লরি৷ রিম্পাকে বলা হয়েছিল, জয়ন্ত চাপা পড়লেই ও যেন জয়ন্তর পকেট থেকে ব্লু কালারের ফোনটা হাতিয়ে নেয়৷ তাহলে সুমন আর পিকুকে জামিন করিয়ে দেবে ও৷ রিম্পাও দিয়াশার কথামতো এটাই করল৷ সবই অঙ্ক কষে এগোচ্ছিল৷ লরিটা ফিরে যাবার সময়ে পাড়ার লোকজন চেঁচায়, এক ভদ্রলোক এটা দেখে থানায় ফোন করেছিল৷ লরির আওয়াজে তপনও এসে দাঁড়িয়েছিল গেটের সামনে৷ কিন্তু এমন যে ঘটে যাবে— এটা আশা করেনি৷ রিম্পাকে মৃতের পকেট থেকে মোবাইল নিতে দেখেছিল তপন৷ শুধু দেখেনি, ওইটার ছবিও তুলে রেখেছিল লোকটা৷ রিম্পার সঙ্গে তপনের একটা সদ্ভাব ছিল৷ তার বড়ো কারণ, তপন খেতে ভালোবাসত৷ রিম্পা মাঝে মাঝেই রান্না তরকারি দিয়ে আসত৷ তপন ধীরে ধীরে রিম্পার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়৷ রিম্পা সেটার সুযোগও নিয়েছিল৷ সুমনের ভয়ে নিজের বাড়িতে দামি পোশাক না রেখে তপনের আলমারিতে রাখত৷ তপন রিম্পাকে বলেছিল সুমনকে ছেড়ে চলে আসতে৷ ওরা বিয়ে করবে৷ রিম্পা রাজি হয়নি৷ তখন তপন ওকে ওই ছবিটা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছিল৷ রিম্পার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ তারিখ কুড়ি হাজার টাকা উঠেছে, ঠিক তার পরের দিন তপন নিজের অ্যাকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকাই ঢুকিয়েছে৷ পর পর ডেট মিলে গেছে৷ চার দিন টাকা উঠেছিল, ঠিক চার দিন টাকা ঢুকেছে একই পরিমাণ৷ এদিকে রিম্পা এই সমস্যার কথা দিয়াশাকে বললে, দিয়াশা তপনকে ইঞ্জেক্ট করে মেরে দিতে বলে৷ দিয়াশাই কোনো লোক পাঠিয়েছিল তপনকে ঝুলিয়ে দিতে৷ তপনকে যখন ঝোলানো হয় তখন তপন অলরেডি মৃত৷ রিম্পা প্রায়ই আসত তপনের ঘরে তাই সেদিনও কারো সন্দেহ হয়নি৷ তপনের সঙ্গে ভালোবাসার নাটক করতে করতেই ইঞ্জেকশন পুশ করেছিল৷ যদি পোস্টমর্টেমে যায়ও বডি তাহলেও প্রমাণ হবে ড্রাগ অ্যাডিক্টেড হয়ে সুইসাইড করেছে তপন৷ কিন্তু বাদ সাধল অরুণবাবুর বয়ান৷ অরুণবাবু জানাল তপনের ইঞ্জেকশনে ফোবিয়া আছে৷ তাহলে তপন ড্রাগ নিলেও সেটা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নিত না কখনোই৷ এ ছাড়াও পাড়ার অনেকেই দেখেছিল, রিম্পা গোলাপি সালোয়ার পরে তপনের ঘরে ঢুকল অথচ বেরোল একটা ব্লু কালারের দামি শাড়ি পরে৷ যদিও মৃত্যুর পরে পুরো আলমারি ফাঁকা করে নিয়েছিল রিম্পা৷’ ভুলবশত রয়ে গিয়েছিল দুটো শাড়ি৷ সবই ঠিক ছিল, কিন্তু একটা ভাঙা ক্লিপের টুকরো পাওয়া গেল মেঝেতে৷ ওই ক্লিপটা যে রিম্পার, সেটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই প্রমাণ করে ফেলেছি৷ এবারে আসি, অনীতাকে কে মারল? অনীতাকে মেরেছে রিম্পা ইঞ্জেকশন দিয়ে৷ কারণ অনীতাকে পুলিশ তুলে এনেছিল৷ দিয়াশা ভেবেছিল, অনীতার কাছে হয়তো ওর ছবি আছে, অথবা জয়ন্ত আর ওর কাজের করা সব হিসেব৷ তাই অনীতাকে মেরে ফেললে ওদের রাস্তা ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছিল৷ ওদিকে সৃজিতের মায়ের দোকানে মাল সাপ্লাই দিত জয়ন্ত৷ যদিও ওরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে৷ পুলিশ কাবেরীকে ধরার সবরকম চেষ্টা করছে৷ দিয়াশার এই একটাই ব্যাবসা ছিল না৷ ব্লু ফিলমের শুটিং করার জন্যও ও মেয়েদের বোঝাত৷ এতে ওর দুটো ইচ্ছে পূরণ হত৷ এক, ছোটো থেকে মলেস্ট হবার রাগটা কিছুটা হলেও প্রশমিত হত৷ আর যারা ব্লু ফিলম বানাত তারাও মাদক কিনত ওর কাছ থেকেই৷ কারণ এইসব মেয়েকে ড্রাগস দিয়ে প্রায় অর্ধচেতন অবস্থায় ছবি তোলা হত৷ সৃজিতের মাসি, পিনাকের মাসি আর সোনাঝুরির পার্লারম্যাম যে এক— এটা আমি বুঝেছিলাম৷ শুধু এটাই যে জয়ন্তর স্ত্রী, সেটা বুঝতে একটু দেরি হল৷’

সুশোভন বলল, ‘ম্যাডাম, সুমন সাক্ষী দেওয়াতে রিম্পার ব্যাপারটা আরও ক্লিয়ার হল৷ আমরা রিম্পা আর জলধরবাবুকে অ্যারেস্ট করেছি৷’

লগ্নজিতা দেখল সামনেই মিডিয়া দাঁড়িয়ে আছে৷ লগ্নজিতা হেসে বলল, ‘সবই আমাদের এলাকার এম.এল.এ. অভিষেক পান্ডের জন্য সম্ভব হয়েছে৷ উনি বিষয়টা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন ছিলেন৷’

অভিষেকবাবু গদগদ হয়ে হাত জোড় করে বললেন, ‘এলাকার শিশুদের আমি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিতে চাই৷ তারা মাদকাসক্ত হোক— এটা তো কাম্য হতে পারে না৷ আপাতত বসু ইনস্টিটিউশন চলুক অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যারের দ্বারা৷ কিছুদিনের মধ্যে আমরা ব্যবস্থা করছি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে৷’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *