বিশ্বাসঘাতক

বিশ্বাসঘাতক

রান্না করছিল ঝিলম।

রান্নাঘরের জানলার সামনে দিয়ে বাইকটা খানিকটা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেল।

ঝিলমের বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল।

সেই ছেলেটা।

এর আগেও তাকে ফলো করেছে।

সাত্যকি অফিসে। প্রথমে একবার ভাবল ফোন করে। তারপরে ঠিক করল এখন ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে না।

ছেলেটার চাউনি ভাল না।

ঝিলম রান্নাঘরের জানলা বন্ধ করল।

।।পূর্ব কথা।।

“আমি প্রেগন্যান্ট”।

ঝিলমের গলা ধরে এল।

সাত্যকি বুঝতে পারছিল না কী করবে। বলল “তবে কী করব? বিয়ে করে নি?”

ঝিলম বলল “তুমি যা বলবে”।

সাত্যকি বলল “বাড়িতে বলেছ?”

ঝিলম বলল “এ কথা বাড়িতে বলা যায়? তোমার কী মনে হয়?”

সাত্যকি বলল “ঠিক আছে। বলার দরকার নেই। আমি তো অনাথ পাবলিক। আমার তো আর বাড়ির ঝামেলা নেই। তুমি আমার এখানে চলে এসো। রেজিস্ট্রি করে নিচ্ছি। তোমার বাবা মাকে চিঠি লিখে দিও বরং”।

ঝিলম মাথা নিচু করে বসে রইল।

সেদিনই তাদের বিয়ে হয়ে গেল।

সাত্যকি অফিসে গেলে সারাদিনটা শুয়ে বসে কেটে যায় ঝিলমের। সকালটাই যা দৌড়াদৌড়ি থাকে। সাত্যকির ফিরতে রাত হয়।

বিকেলবেলা বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটে।

সেদিনটাও এমনই হাঁটছিল।

একটা বাইক হঠাৎ করে যেন তার খানিকটা গাঁ ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল। বাইকে বসা ছেলেটার হেলমেট ছিল না। মাথা ঘুরিয়ে তাকে দেখে একটা ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি দিয়ে চলে গেল।

ঝিলমের কান মাথা ঝিঁঝিঁ করছিল। এরকম কলকাতায় কখনও হয় নি তার সঙ্গে। সাত্যকিও নেই। সে তড়িঘড়ি ঘরে ঢুকে গেল।

সাত্যকি এল সাতটা নাগাদ। চা দিয়ে সাত্যকির সামনে বসল।

সাত্যকি বলল “তোমার ব্লাড টেস্টের ডেট দিয়েছে। করে নিও”।

ঝিলম বলল “আজ একটা ঘটনা ঘটেছে”।

সাত্যকি বলল “কী?”

ঝিলম বলল সবটা।

সাত্যকি চুপ করে শুনল। বলল “অনিচ্ছাকৃত হতে পারে। তুমি বেশি ভাবছ হয়ত”।

ঝিলম বলল “জানি না”।

পরের দিন বিকেলে অন্য ঘটনা ঘটল। সে বেরোয় নি। ছেলেটা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ চোখে তাদের বাড়ির দিকে তাকিয়ে রইল। জানলা দিয়ে সবটা দেখল ঝিলম। একটা অজানা ভয় তাকে গ্রাস করল।

সাত্যকি এবারে শুনে বলল “ঠিক আছে। তুমি এখন বেরিও না। তোমার মাকে আসতে বল। ক’দিন থেকে যান”।

ঝিলমের মা আসতে পারলেন না। বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজো আছে। ঝিলম জোর করতে পারল না।

দুদিন ছেলেটাকে দেখাও গেল না।

ঝিলম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

সাত্যকির সঙ্গে যতদিন কলকাতায় প্রেম করেছে, বিভিন্ন হোটেলে মিলিত হয়েছে, তখন এ ভয়টা ছিল না।

এ জায়গাটাই এরকম। নির্জন। মানুষগুলোও ভারি অদ্ভুত। এলাকার লোকেরা ভাবে বাবুরা চাকরি করতে এসে যেন দখল করে নিয়েছে তাদের জমি। প্রায়ই কিছু না কিছু সমস্যা তৈরি হয়।

ডাক্তারবাবু বলেছেন খুব সাবধানে থাকতে হবে। মন খারাপ করলে চলবে না। অথচ এই ছেলেটার যাতায়াত তাকে টেনশনে ফেলে দেয়।

বিকেলে একটা সময় অসহ্য লাগছিল।

ঝিলম বেরোল। ঠিক করল বাড়ির সামনের রাস্তাটা একবার হেঁটে ঘরে ঢুকে যাবে।

জায়গাটা ওড়িশা। বোলাঙ্গির শহর। ছোট কলোনি শহর। সেরকম দোকান বাজারও নেই। জিনিসপত্র কিনতে অফিসের ক্যান্টিন ভরসা। গরমে প্রচন্ড গরম পড়ে।

রাস্তা নতুন করে তৈরী করা হয়েছে। ঝকঝকে পিচের রাস্তা। শুধু লোক নেই।

ঝিলম অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছিল। লক্ষ্য করে নি কখন বাইকটা চলে এসেছে। হঠাৎ করে তার পেটে হাত দিয়ে জোরে বাইক চালিয়ে ছেলেটা বেরিয়ে গেল।

ঝিলম হতভম্ব হয়ে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়ল।

তারপরেই চিৎকার দিল একটা। ছেলেটা অনেকটা চলে গেছিল। মোড়ের মাথায়। বাইক দাঁড় করিয়ে দিল। তার দিকে তাকিয়ে জোরে হেসে উঠল। পরক্ষণে বাইকে স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে গেল।

চারপাশে কেউ নেই। ঝিলমের কান্না পেয়ে গেল।

সন্ধ্যে ছ’টা বেজেছে। ঘরেই বসেছিল চুপ করে ঝিলম।

বাইরে দু তিন বার জোরে হর্নের শব্দ পেয়েছে। জানলা দিয়ে দেখেছে ছেলেটা যাতায়াত করছে আর তাদের বাড়ির সামনে হর্ন দিচ্ছে। ঝিলম প্রথমে ঠিক করল সাত্যকিকে বলবে। পরক্ষণে মনে হল অফিস ফেরতা টেনশন দেবে না। দরজায় তালা দিয়ে বসে থাকল।

রাত আটটা নাগাদ কলিং বেল বাজল। সাত্যকির গাড়ির গ্যারেজে ঢোকার শব্দ এল।

ঝিলমের তবু বিশ্বাস হল না। সে চ্যাচাল “কে?”

সাত্যকি বলল “আমি, দরজা খোল”।

ঝিলম দরজা খুলল। সাত্যকি ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল “কী ব্যাপার, তালা টালা দিয়ে বসে আছো। জিজ্ঞেস করছ কে, কী হয়েছে?”

ঝিলম দেখল ছেলেটা তখনও বাড়ির বাইরের মোড়ে দাঁড়িয়ে বাইক নিয়ে। বলল “ভেতরে এসো, বলছি”।

সাত্যকি বলল “কী হয়েছে, এখানেই বল”।

ঝিলম বলল।

সাত্যকি বলল “এক মিনিট, দাঁড়াও”।

ঝিলম দেখল সাত্যকি হনহন করে বেরিয়ে গিয়ে গ্যারেজ থেকে আবার গাড়ি বের করল।

কয়েক মিনিট পরে বিস্ফারিত চোখে দেখল ছেলেটাকে প্রবল জোরে ধাক্কা মারল সাত্যকির গাড়ি। ছেলেটা কাতরাচ্ছে রাস্তায়। সাত্যকি গাড়ি ব্যাক করে আবার ধাক্কা মারল। ছেলেটা এবার আর কাতরাল না। চুপ করে গেল।

ভয়ে ঝিলম চারদিক তাকাল। সব কোয়ার্টার ফাঁকা। এদিকে এখনও কেউ আসে নি।

সাত্যকি গাড়ি নিয়ে এসে গ্যারেজে রেখে পাইপ দিয়ে গাড়িতে জল ছিটিয়ে আধ ঘন্টা পর ঘরে এসে বসে বলল “ঠিক আছে?”

বোলাঙ্গির খরাপ্রবণ এলাকা। হঠাৎ করে বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়াটা অবাক করার মতই ব্যাপার।

বৃষ্টি নেমেছে অঝোরে। সাত্যকি মোবাইল ঘাটছিল। সাত্যকির সামনে হতভম্ব হয়ে বসেছিল ঝিলম।

সাত্যকির খেয়াল হল “আরে, টিভি ফ্রিজের প্লাগগুলো খুলবে না?”

ঝিলম বলল “হ্যাঁ, খুলে দিচ্ছি”।

ঝিলম তড়ি ঘড়ি প্লাগগুলো খুলল। সাত্যকি বলল “চা দিও। আর মুড়ি”।

ঝিলম বলল “পুলিশ আসবে না?”

সাত্যকি বলল “আসলে আসবে। তুমি চিন্তা কোর না। আমি বুঝে নেব”।

ঝিলম বলল “তুমি হঠাৎ করে মেরে দিলে? আমি তো ভাবতেও পারি নি”।

সাত্যকি বলল “ধুস, এটা তো সোজা ছিল। আমাদের পাশের বাড়ির ধীরেন কাকা সেই কাঠাল নিয়ে ঝামেলা করছিল মনে আছে? বাজার থেকে ফিরছিল, মাথায় আধলা ছুঁড়ে ছুঁড়ে মেরে দিয়েছিলাম। এই তো, দু বছর আগের কথা। রাস্তায় পড়েছিল। পুলিশ এখনও সে কেসের কিনারা করতে পারে নি”।

ঝিলম হাঁ করে সাত্যকির দিকে তাকিয়ে রইল।

বৃষ্টি কমেছে। পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে জায়গাটায়।

ঝিলম জানলা দিয়ে দেখছিল। বাইকটা একইভাবে স্ট্যান্ড করা আছে। সাত্যকি খবরের কাগজ পড়ছে মন দিয়ে। দুজন পুলিশ তাদের বাড়ির দিকে আসছে। ঝিলম জল খেল।

বুক ধড়ফড় করছে তার। কলিং বেল বেজে উঠল।

সাত্যকি বলল “আমি দেখছি। তুমি বাইরে বেরিও না। বেরোলে ছড়িয়ে ফেলবে”।

ঝিলম ডাইনিং টেবিলে বসল।

পুলিশ দুজন ঘরের ভেতর ঢুকল।

সাত্যকিকে দেখে বলল “ওহ সাহেব, আপনি এদিকে থাকেন?”

সাত্যকি হাসল “হ্যাঁ। মেইন সিটির দিকে কোয়ার্টার পাবার চেষ্টা করছি। দেখি কবে পাই”।

অপর পুলিশের গলা শোনা গেল, “আপনি ওদিকে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। এদিকটা ভাল না। আজ একটা মার্ডার হয়ে গেল কিছুক্ষণ আগে। আপনার বাড়িরই সামনে”।

সাত্যকি অবাক গলায় বলল “সেকী! আমি তো অফিসে থেকে এসে কাগজ পড়ছিলাম। সেরকম কিছু বুঝলাম না তো!”

“সেটাই স্বাভাবিক। তবে যে ছেলেটা মরেছে, উঠতি গুন্ডা ছিল। গ্যাং ওয়ারে মরেছে যা বোঝা যাচ্ছে। দুটো গোষ্ঠী তো আছেই জানেন এটুকু শহরে। সকালেও এদের মধ্যে মারামারি চলছিল। পেয়েছে রাস্তায়, চাপা দিয়ে দিয়েছে আরকী! যাই হোক, আপনি সাবধানে থাকবেন স্যার। আমরা গাড়ি নিয়ে টহল দেব রাতের দিকটা, ভয় নেই”।

সাত্যকি বলল “প্লিজ অফিসার। দিনের বেলা আমি অফিস যাই, তখন ওয়াইফ একা থাকে। ওই সময়টাও পারলে একটু দেখবেন। ভয়ের ব্যাপার তো। আমি ট্রান্সফার নিয়ে নেব, এখানে থাকা তো খুব রিস্ক হয়ে যাচ্ছে। বাই দ্য ওয়ে, চা খাবেন?”

“নাহ। কাচরা সাফ করি। পরে খাওয়া যাবে না হয়। বাই স্যার”।

“বাই অফিসার”।

পুলিশ দুজন বেরিয়ে গেল।

সাত্যকি দরজা বন্ধ করে ঘরে এসে বলল “তোমার আর টেনশন নেই তো?”

ঝিলম বলল “তুমি ক’টা খুন করেছ এখন অবধি?”

সাত্যকি বলল “তুমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছো কেন বলতো? আমি কি পেশাদার খুনী নাকি? সমস্যা হলে দেখি। আবার ব্যাক টু নরমাল লাইফ। আচ্ছা শোন, ডাক্তারবাবু কিন্তু বলেছিলেন তোমাকে কোন টেনশন না করতে, মনে আছে তো?”

ঝিলম ফ্যাকাসে হাসল।

বৃষ্টি হওয়ায় গরমটা কমেছে।

সাত্যকি আর ঝিলম খেতে বসেছে।

ঝিলম খেতে পারছে না। সাত্যকি বলল “সব কিছু নিয়ে এত কমপ্লিকেসি আসে কেন তোমার? ভয় পাচ্ছো কেন? তুমি ভাবো না, ছেলেটা যেভাবে বাড়াবাড়ি শুরু করছিল, কোন দিন ঘরে ঢুকে রেপ করে দিয়ে চলে যেত। তখন কী করতে? এখানে আমার যা রেপুটেশন আছে তাতে পুলিশ স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না এসব আমি করেছি। এসব জঞ্জাল মাল বাঁচুক, মরুক, কারো যায় আসে না। যেটা করেছি, তোমার জন্যই তো করেছি। আর আমি মানেই তো তুমি। আমরা কি আলাদা বল?”

সাত্যকি ঝিলমের হাতে হাত রাখল।

ঝিলম বলল “এতদিন হয়ে গেল, প্রায় পাঁচ বছর আমরা প্রেম করছি, কোন দিন তো বল নি তুমি এসবও করেছ?”

সাত্যকি বলল “বলার প্রয়োজন ছিল কি? বললে তো ভয় পেতে। ধীরেন পাল আমাকে শুয়োরের বাচ্চা বলেছিল। বাবা মা ছোটবেলায় মারা গেছে, এরকম একটা ছেলেকে শুয়োরের বাচ্চা বলতে দুবারও ভাববে না? পৃথিবীতে সবাই আইন হাতে নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না। আমি জন্মেছি, তুমি মন শক্ত কর”।

ঝিলম ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। ছেলেটার মুখটা মনে পড়ছিল। কী কুৎসিত ইঙ্গিত করছিল তাকে। চোয়াল শক্ত হল তার।

বলল “সদর বাজারের ব্লাউজের দোকানদারটা সেদিন আমার সঙ্গে অসভ্যতা করেছিল। তোমাকে বলতে পারি নি। এখন মনে পড়ল”।

সাত্যকি খাওয়া থামিয়ে তার দিকে তাকাল।

খাওয়া হয়ে গেছিল।

ঝিলম বোতলে জল ভরছিল।

সাত্যকি হালকা গলায় বলল “অশোকের সঙ্গে কথা হয় এখন?”

ঝিলমের হাত কেঁপে উঠল, বলল “না তো। কেন?”

সাত্যকি বলল “বাচ্চাটা অশোকের। তাই না?”

ঝিলমের হাত থেকে বোতলটা পড়ে গেল।

সাত্যকি বলল “ভয় পাচ্ছ কেন? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অ্যাকচুয়ালি আমি জানতাম তুমি ওর সঙ্গেও যেতে। যে যে হোটেলরুমে গেছো সব ক’টার রেজিস্টার আমি দেখেছি। আমি তো প্রোটেকশন ইউজ করতাম। যথেষ্ট কেয়ারফুল ছিলাম। তুমি একদম ক্যারেকটারলেস মাল প্রথম থেকেই জানি আমি। তবু দেখো, প্রেম কী জিনিস, তোমাকে বিয়ে করেও আমি খুশি হলাম”।

ঝিলম মেঝেতে বসে পড়ল।

সাত্যকি বলল “ট্রেনে যাচ্ছিলাম। পাতি ঠেলে ফেলে দিয়েছিলাম অশোককে। তুমি বাড়ি গেছিলে তখন। খবরটা পাও নি। ভালই হয়েছে। বাচ্চা আছে পেটে। এই সময় এই সব খবর বাচ্চার ওপর প্রভাব ফেলে। অবশ্য এখনও ফেলবে। তোমাকে ট্রাই করে যেতে হবে। ভাল থাকার। হাসো হাসো”।

ঝিলম বলল “তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে?”

সাত্যকি বলল “ধুস, মারার কী দরকার, আমার মত একটা পাবলিকের সঙ্গে সারাজীবন কাটাবে। এর থেকে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে। তবে তোমাকে আমি ভালবাসি। ঘেন্না করতে পারি নি। ছেলেটাকে মেরেছি। ব্লাউজের দোকানদারটাকেও মারব। তোমার বাচ্চাটাকে আমার মত খুনী বানাবো। অরণ্যদেবের ছেলে যেমন অরণ্যদেব হয় তেমন। কী হল হাসছ না কেন? হাসো!”

ঝিলম হাসার চেষ্টা করল।

সাত্যকি খুশি হল “এই তো। চল ঘুমিয়ে পড়ি। বেশি দেরী করে ঘুমালে অরণ্যদেবের কষ্ট হবে। হাসতে থাকো, হাসতে থাকো”।

কোয়ার্টারের বাইরে একটা শেয়াল ডেকে উঠল। সাত্যকি শিস দিতে দিতে মশারি টাঙাতে লাগল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *