বিদেশী গুপ্তচর – ১.৪

চার

সান ম্যারিয়া ডি লা স্যালুটের গম্বুজের পেছনে ডুবে যাচ্ছে সূর্যটা। গ্র্যান্ড ক্যানেলের নীলাভ জলে হাল্‌কা গোলাপী আলোর ঝিলিমিলি। অপূর্ব।

একটা সিগারেট ধরিয়ে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে ভাবছে রানা। ভেনিসে পৌঁছেই টের পেয়েছে সে, কি অসম্ভব দুঃসাধ্য কাজে হাত দিয়েছে সে এবার। একটা ফটোগ্রাফ, একটা মেয়ের নাম, একজন কাঁচ ব্যবসায়ীর নাম, আর একটা হোটেলের ঠিকানা—এই রানার সম্বল। গিজগিজ ট্যুরিস্টে ঠাসা এই বন্দর নগরীতে এত সামান্য তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে খুঁজে বের করা খড়ের গাদায় সুঁই খোঁজার চেয়েও দুঃসাধ্য। সে সুঁই যদি ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় তাহলে তো আরও।

যাই হোক, কাজ শুরু করে দিলে দেখা যাবে কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে গ্লাস ফ্যাক্টরিতেই যাবে বলে ঠিক করেছে রানা। মেয়েটাকে পেলে তার কাছ থেকে হয়তো কিছু জানা যাবে।

দুই হাতে দু’কাপ চা নিয়ে ঘরে ঢুকল গিলটি মিঞা। রানার হাতে একটা কাপ ধরিয়ে দিয়ে ফড়াৎ করে চুমুক দিল নিজের কাপে।

‘শহরটা নেহাত মন্দ নয়, কি বলেন, স্যার? অবশ্য ক্যালক্যাটার পায়ের কাচেও লাগে না। একটু পয়-পরিষ্কার, এই যা। মানুষগুনোও ফর্সা। তবে লাজলজ্জার বালাই নেই, রাস্তায় ভেঁড়িয়ে ব্যাটাছেলে মেয়েছেলেতে চুমু খায়। বিচ্ছিরি কারবার!’

‘এই দুদিন খাওয়া-দাওয়া কোথায় করেছ?’

‘উই উদিকের এক হোটেলে। ছোঃ! এক্কেবারে যাতা। মুকে দোয়া যায় না। বললুম একপ্লেট গরম ভাত আর একবাটি সর্ষেইলিশ লিয়ে এসো – পরিষ্কার বাংলা কতা বোজে না শালারা, কি সব কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং লিয়ে এল। ওসব কি খাবার হলো? আশেপাশের টেবিলে দেকি তাই গিলচে সবাই গোগ্রাসে। ধরতে গেলে দুটো দিন প্রায় খালি পেটেই আচি স্যার, পানি খেয়ে ভরিয়ে রেকেচি পেটটা টই-টম্বুর করে। একটু নড়লেই ঢক ঢক করে।’

‘শহরের গলিঘুঁজি সব চিনে নিয়েছ?’

‘চিনে লিয়েচি মানে? মুখস্ত করে লিয়েছি। যেখানে খুশি লিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিন না, গুট-গুট করে হেঁটে ফিরে আসব এই বাসায়। গাড়ি ঘোড়াও নেই যে চাপা পড়ে মারা যাব।

ভিয়েনায় পৌঁছেই এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে রানা গিলটি মিঞাকে একটা ছোটখাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুরে ফিরে শহরটা দেখে তৈরি হয়ে থাকার জন্যে। ওকে বিদেশে আনার আসল উদ্দেশ্য ছিল ভিয়েনা সম্মেলনে যে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে সেটা দেখানো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা বিভাগের নব আবিষ্কৃত আধুনিক কলাকৌশল ব্যাখ্যা করে দেখানোর কথা ছিল প্রদর্শনীতে। রানা এজেন্সির প্রধান সহকারী হিসেবে এসব গিলটি মিঞার কাজে লাগবে মনে করে নিয়ে এসেছিল রানা ওকে সঙ্গে করে। এসব ছাড়াই অবশ্য আশ্চর্য প্রতিভা বলে কয়েকটা জটিল কেসের সমাধান করে গিলটি মিঞা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সুনাম অর্জন করে ফেলেছে, তবু বিদেশের কলাকৌশলের সঙ্গে পরিচিত হতে পারলে অনেক উপকার হত ওর, উৎসাহিতও হত—কিন্তু কি একটা গোলমাল বাধায় প্রদর্শনীর পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। তাই পাঠিয়ে দিয়েছে ওকে রানা ভেনিসে। বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষা জানা নেই গিলটি মিঞার, আকারে ইঙ্গিতে কিভাবে কি বুঝিয়েছে কে জানে, লাইবেরিয়া ভেচিয়ার কাছে গ্র্যান্ড ক্যানেলের ধারে স্যান জর্জিও দ্বীপপুঞ্জের দিকে মুখ করা চমৎকার একটা ছোট্ট বাড়ি ভাড়া করে দিব্যি গ্যাঁট হয়ে বসে আছে সে এখানে। ঘণ্টাখানেক আগে পৌঁছেচে রানা, স্নান সেরে কাপড় পরে তৈরি হতে না হতেই চা করে এনেছে গিলটি মিঞা।

চা শেষ করে কাপটা নামিয়ে রাখল রানা একটা টেবিলের ওপর।

‘কোতাউ চললেন নাকি, স্যার?’ রানাকে মাথা নেড়ে সায় দিতে দেখে বলল, ‘তা খাওয়া-দাওয়ার কি ব্যবস্তা করা যায়? আপনি ওসব ছাইপাঁশ খাবেন, না দুটো চাল ফুটাব? সারা শহর ঘুরে খুঁজেপেতে বাজার করে এনেচি আজ।’

‘ওসব থাক, আমি ঘুরে আসছি ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই। তারপর তোমাকে নিয়ে গিয়ে একটা হোটেলে বাঙালী খাওয়া খেয়ে আসব। ততক্ষণ ওই রাস্তার পাশে ফলের দোকান থেকে কিছু ফলমূল কিনে এনে খাও।’

বেরিয়ে পড়ল রানা। ভিড় ঠেলে এগোল পিয়াযা সান মার্কোর দিকে। ডি ফ্যাব্রি গলি দিয়ে শর্টকাট করল রানা রাস্তাটা। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পেয়ে গেল গিয়াকোমো পাসেল্লীর ফ্যাক্টরি। সরু লম্বা দোকানটা, ঝকমক করছে বিচিত্র ডিজাইনের অসংখ্য জিনিসপত্রে। পায়ে পায়ে ভিতরে ঢুকে এল রানা। ছাতে ঝুলছে সারি সারি ঝাড়বাতি, শো-কেসে রঙবেরঙের কাঁচের আসবাব, খেলনা, পুতুল। বেশির ভাগই ঘর সাজাবার সরঞ্জাম। উজ্জ্বল আলোয় ঝিকমিক করছে পুরোটা দোকান।

দোকানের শেষের দিকে একটা লম্বা বেঞ্চে বসে কাজ করছে কালো ইউনিফরম পরা তিনজন মেয়ে কর্মচারী। তিনটে গ্যাসবার্নার জ্বলছে তিনজনের সামনে, রঙিন কাঁচের লম্বা রড আগুনে গলিয়ে চমৎকার ছোট ছোট জন্তু জানোয়ার তৈরি করছে ওরা ব্যস্ত হাতে। অবাক হয়ে কিছুক্ষণ ওদের দক্ষ হাতের দ্রুত কাজ দেখল রানা।

একটা মেয়ে চোখ তুলে দেখল রানাকে। কালো ডাগর দুই চোখ স্থির হয়ে রইল রানার চোখের ওপর তিন সেকেন্ড, তারপর আবার ব্যস্ত হয়ে গেল কাজে। ক্যাঙারু তৈরি করছে মেয়েটা একটার পর একটা। হাতের ক্যাঙারুটা ঠাণ্ডা হওয়ার জন্যে নামিয়ে রেখে আবার চাইল মেয়েটা রানার চোখের দিকে। এই কি জুলি মাযিনি? প্রশ্ন করতে গিয়েও সতর্ক হয়ে গেল রানা। মেয়েটার চোখে কি সতর্কবাণী দেখতে পেল সে? ভুরু জোড়া একটু কাঁপল বলে মনে হলো না? দৃষ্টিটা সরে গেল। একটা লাল কাঁচের রড হাতে তুলে নিয়ে বার্নারের আগুনে নরম করল, তারপর আশ্চর্য ক্ষিপ্র হাতে ওটা বাঁকিয়ে একটা ডিজাইন তৈরি করল তিন সেকেন্ডের মধ্যে। ধক করে উঠল রানার বুকের ভেতরটা, যখন দেখল বাঁকাচোরা ডিজাইনের ঠিক মাঝখানটায় পরিষ্কার বাংলা লেখা আছে-অনিল। একটা লতা এঁকেবেঁকে জড়িয়ে ধরে আছে প্রত্যেকটা শব্দকে, কিন্তু লেখাটা পড়তে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না। দুই সেকেন্ড, তারপরই আগুনের ওপর একবার বুলিয়ে নিয়ে ওটাকে ক্যাঙারুতে পরিণত করল মেয়েটা দশ সেকেন্ডে। ব্যাপারটা এতই দ্রুত ঘটে গেল যে হঠাৎ রানার মনে হলো চোখের ধাঁধা নয়তো? ঠিকই দেখেছে সে অনিলের নাম?

যাই হোক, একটা ব্যাপার বুঝতে ভুল করল না রানা, মেয়েটাকে সে চিনতে পেরেছে এরকম কোন আভাস দেয়া চলবে না এখন।

‘আপনাকে কি সাহায্য করতে পারি?’

তীক্ষ্ণ একটা কণ্ঠস্বরে চমকে গিয়ে পাশ ফিরল রানা। লম্বা একজন ইটালিয়ান। পিঠটা সামান্য কুঁজো, শরীরের ওপরের অংশটা ঝুঁকে আছে সামনে, তবু রানার চেয়ে কয়েক ইঞ্চি বেশি লম্বা লোকটা। তেমনি চিকন। নাকটা চিলের চঞ্চুর মত বাঁকানো। সরু গোঁফ, তার নিচে ঝকঝক করছে সাদা দাঁত ব্যবসায়ীসুলভ বিনীত হাসিতে। ‘কি চাই আপনার?’

‘একটা ঝাড়বাতি কিনতে চাই।’

‘বেশ তো, আসুন না এদিকে। কয়েক রকম ডিজাইন দেখাচ্ছি, যেটা পছন্দ হয় নেবেন।’

লোকটার সঙ্গে একটা ছোট্ট অফিসরূমে এসে ঢুকল রানা। রানাকে বসিয়ে একটা ডিজাইনের খাতা ওল্টাতে শুরু করল লোকটা ব্যস্ত হাতে।

‘আপনিই কি সিনর গিয়াকোমো পাসেল্লী?’

থেমে গেল ব্যস্ত হাতটা। পরমুহূর্তে আবার চালু হলো। ‘আজ্ঞে হ্যাঁ। আমার দোকানের সুনাম করেছে বুঝি কেউ?’

‘হ্যাঁ। আমার এক বন্ধু। আপনারও বন্ধু

‘তার নামটা, সিনর?’ ঝাড়বাতির কয়েকটা ডিজাইন খাতা থেকে বের করে এগিয়ে ধরল গিয়াকোমো রানার দিকে হাসিমুখে।

রানার চোখ দুটো স্থির হলো গিয়াকোমোর মুখে। বলল, ‘অনিল চ্যাটার্জী।

একটু যেন চমকে উঠল লোকটা। হাসিটা জমে গেল বরফের মত। ভাবলেশহীন রক্তশূন্য মুখ। হাত থেকে খসে পড়ে গেল কয়েকটা ডিজাইন। নিচু হয়ে ঝুঁকে তুলছে সে ওগুলো মাটি থেকে। অবাক হলো রানা লোকটার প্রতিক্রিয়া দেখে। অনিলের নাম শুনেই এমন আঁৎকে উঠল কেন লোকটা?

যখন সোজা হলো লোকটা তখন আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছে মুখটা। ফিরে এসেছে প্র্যাকটিস করা হাসি। বলল, ‘আচ্ছা! সেই ইন্ডিয়ান ভদ্রলোক? হ্যাঁ। উনি আমাদের গুণগ্রাহীদের একজন। খুবই মিষ্টভাষী ভদ্রলোক। তা বহুদিন ওঁর সঙ্গে দেখা নেই, আছেন কোথায় উনি?’

‘এখন কোথায় আছেন জানি না। আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে যখন ভারতে গিয়েছিলাম, তখন। ভেনিসে বেড়াতে আসব শুনে আপনার ঠিকানাটা দিলেন, বললেন উনিও এই সময়ের দিকে ভেনিসে থাকবেন, কিন্তু কোন্ ঠিকানায় থাকবেন সেটা আপনাকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারব। আপনি জানেন না কোথায় আছেন উনি?’

‘না তো!’ রানা বুঝল পরিষ্কার মিথ্যে কথা বলছে লোকটা। বলল, ‘সিনর চ্যাটার্জী হয়তো প্ল্যান পরিবর্তন করেছেন, এমনও হতে পারে। আমার মনে হয় কয়েক মাসের মধ্যে ভেনিসে আসেননি উনি। বহুদিন দেখা নেই আমাদের।’ হঠাৎ সরাসরি জিজ্ঞেস করে বসল লোকটা, ‘আপনি কি ভারতীয় নন?’

‘না। আমি বাংলাদেশের লোক।’

একটু যেন স্বস্তির ভাব ফুটে উঠল গিয়াকোমোর মুখে। একটা ডিজাইন পছন্দ করল রানা, কোথায় পাঠিয়ে দিতে হবে সে ঠিকানা দিল, তারপর বেরিয়ে এল অফিস কামরা থেকে। পিছু পিছু এল লম্বা লোকটা।

থেমে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল রানা, ‘ওর তো আরও বন্ধুবান্ধব আছে ভেনিসে, তাদের দু’একজনের ঠিকানা দিতে পারবেন?

মাথা নাড়ল গিয়াকোমো। ‘এই দোকানে মাঝে মাঝে আসতেন বলেই যা পরিচয়, অন্যান্য বন্ধুর কথা আমি কিছুই বলতে পারছি না। দুঃখিত।’

হেসে ফেলল রানা। ‘না, না। অত দুঃখ পাওয়ার কি আছে? যদি এর মধ্যে এসে হাজির হয় তাহলে আমার ঠিকানাটা ওকে দিলে সুখী হব। হপ্তাখানেক আছি ভেনিসে।’

‘নিশ্চয়, নিশ্চয়।’

রানা চেয়ে দেখল তেমনি ব্যস্ত ভাবে কাঁচের খেলনা তৈরি করে চলেছে ওরা তিনজন। কেউ মুখ তুলে চাইল না। ওদের দিকে ইঙ্গিত করে রানা বলল, ‘বেশ রাত পর্যন্ত কাজ হয় বুঝি আপনার এখানে?’

‘হ্যাঁ। সিজন চলছে কিনা, এগারোটার সময় বন্ধ করি আজকাল।’

‘ও বাবা! অনেক রাত। তখন আমি হয়তো ফ্লোরিয়ানে ক্যাবারে দেখছি।’ মেয়েটি যাতে শুনতে পায় সেজন্যে গলাটা একটু চড়িয়ে দিল রানা শেষের দিকে। ‘আচ্ছা, চলি, আবার দেখা হবে।’

চোখ না তুলেই ছোট্ট করে একটু মাথাটা নাড়ল মেয়েটা। ইঙ্গিতটা এতই অস্পষ্ট যে ওর বক্তব্য বুঝতে পারল কিনা ভাল করে ঠাহর করতে পারল না রানা। গিয়াকোমোর প্রতি ছোট্ট একটা নড করে বেরিয়ে পড়ল দোকান থেকে।

বিশেষ কিছুই জানা যায়নি, কিন্তু খেলার প্রথম চালটা দিয়েছে সে। দেখা যাক এখন কি হয়। মেয়েটার গোপনীয়তার মানে কি? গিয়াকোমো কি প্রতিপক্ষের লোক? ইচ্ছে করেই ওকে নিজের ঠিকানাটা দিয়ে এসেছে সে। এতে বিপদের আশঙ্কা আছে ঠিকই, কিন্তু দ্রুত কাজ সারতে হলে নিজেকে প্রকাশ করতে হবে শত্রুপক্ষের সামনে, এছাড়া কোন উপায় নেই। রানা এক চাল দিয়েছে, এখন ওদের চালের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।

মডার্নো হোটেলেও একটু খোঁজ খবর করে বাসায় ফিরবে ঠিক করল রানা। সেখানেও হয়তো যোগাযোগ হয়ে যেতে পারে কারও সঙ্গে।

ধীর অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে এগোচ্ছে রানা। ফ্যাক্টরির দরজায় এসে দাঁড়াল গিয়াকোমো। কালো হ্যাট, কালো স্যুট পরা মোটাসোটা একজন বেঁটে লোককে আবছা একটা ইঙ্গিত করল সে। একটা দোকানের শো-কেসের সামনে অলস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে দাঁত খুঁটছিল লোকটা, ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র চলতে শুরু করল রানার পিছু পিছু ি

ফনডামেন্টার কাছে ক্যানালের দিকে উদাস দৃষ্টি মেলে দাঁড়িয়ে ছিল একজন সাদা স্যুট ও সাদা হ্যাট পরা একহারা, লম্বা লোক। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বুড়ো আঙুল দিয়ে রানাকে দেখাল বেঁটে লোকটা। তন্দ্রালু দৃষ্টিতে দেখল লোকটা রানাকে তারপর আড়মোড়া ভেঙে হাঁটতে থাকল পিছন পিছন।

এসবের কিছুই টের পেল না রানা। উদ্বিগ্ন চিত্তে হাঁটছে সে মর্ডানো হোটেলের দিকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *