বিদেশী গুপ্তচর – ১.২

দুই

চারতলার স্যুইটে একটা সোফায় বৃদ্ধাকে বসিয়ে মুখোমুখি আরেকটা সোফায় বসল রানা। মহিলার অস্বস্তি দূর করবার জন্যে হাসল মিষ্টি করে।

‘আর কোন তাড়া নেই। এবার ধীরে সুস্থে বলুন দেখি ব্যাপারটা?’

‘কি দুশ্চিন্তার মধ্যে যে আছি বাবা, কি বলব। অনিল আমার একমাত্র সন্তান। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর স্কুলের মাস্টারি করে বহু কষ্টে মানুষ করেছি ওকে। ভেবেছিলাম বুড়ো বয়সে বুঝি নিশ্চিন্ত হতে পারব, ছেলেটার একটা বিয়ে দিয়ে ওকে ঘরকন্না- সংসারের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই মুক্তি পাব। কিন্তু তা হলো না। ছেলে এমন চাকরি নিল যে বছরের মধ্যে নয় মাসই থাকতে হয় ওকে বিদেশে। ফরেন সার্ভিস হলেই এত বদলি হয় নাকি, বাবা?’

রানা বুঝল, অনিল যে ঠিক কি কাজ করে জানা নেই ওর মায়ের। এক্ষুণি কিছু না জানানোই ভাল মনে করে চুপ করে থাকল। কথা বলেই চললেন বৃদ্ধা।

‘আজ এদেশ, কাল ওদেশ, কোথাও থির হয়ে বসতে দিচ্ছে না ছেলেটাকে। চারমাস রোমে থাকার পর দেশে ফিরে এসে আবার যখন রোমে গেল এবার, আমি মনে করলাম যাক, এবার কিছুটা সুস্থির হয়েছে বুঝি, মেয়ে দেখতে শুরু করেছিলাম, এমনি সময়ে উপস্থিত এই বিপদ।’

‘বিপদটা টের পেলেন কবে? পৌঁছে যে চিঠি দিয়েছিল তাতে কোন আভাস ছিল?’

‘না, বাবা। সাধারণ চিঠি-পৌঁছেচি, ভাল আছি, তুমি কোন চিন্তা কোরো না, আর তোমার দুটি পায়ে পড়ি অজানা অচেনা কোন মেয়েকে পছন্দ করে বোসো না, সময় হলে আমি জানাব তোমাকে, তোমার অমতে বিয়ে করব না এটুকু জেনে রেখো-এইসব কথা। এ চিঠির পর সাতদিন পেরিয়ে গেল, আর কোন চিঠি না পেয়ে অবাক হয়েছি কিন্তু ঘাবড়ে যাইনি। দু’সপ্তাহ পর যখন আমার চিঠিগুলো রি-ডাইরেক্টেড হয়ে ফেরত আসতে আরম্ভ করল, তখন ঘাবড়ে গেলাম। ট্রাঙ্ক-কল করলাম ওর হোটেলে নেই। এমব্যাসীতে ট্রাঙ্ক-কল করলাম- কথার জবাবই দিতে চায় না, উল্টে ওরাই আবোল-তাবোল প্রশ্ন শুরু করে দিল, অনেক অনুরোধ উপরোধ করেও কোন খবর বের করতে পারলাম না অনিলের, শেষে হতাশ হয়ে ছেড়ে দিলাম। গেল দেড়শো টাকা। ততক্ষণে আমার মন বলতে শুরু করেছে, ভয়ানক কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে অনিলের, নিশ্চয়ই খুবই অসুস্থ তাই খবরটা চেপে যাচ্ছে সবাই আমার কাছে।

‘ছুটে গেলাম গেলাম সন্তোষের আপিসে। অনিলের বন্ধু। ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। কোন অসুবিধে হলে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে রেখেছিল অনিল আমাকে। আগেও একবার ওর সাহায্য দরকার পড়েছিল, পাকিস্তানে আটকে গিয়েছিল তখন অনিল, অনেক সাহায্য করেছিল তখন এই সন্তোষ। দেখা করতেই খুবই আদর-আপ্যায়ন করল, কথা দিল তিনদিনের মধ্যে অনিলের খবর বের করে জানাবে আমাকে, যেন কোন দুশ্চিন্তা না করি। কিন্তু কিছুই করল না ছেলেটা। আর দেখাই পেলাম না ওর। তিনদিন পর ওর আপিসে গেলাম—নেই। পরদিন গেলাম—নেই! আপিসের আর সবাই কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে দেখছে আমাকে, ব্যবহার বদলে গেছে, কেমন যেন নির্বিকার, কঠিন। একজন অফিসার আমাকে জানিয়ে দিল, অনিলের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি, জানা গেলে খবর দেয়া হবে আমাকে, কষ্ট করে ওদের আপিসে যাওয়ার দরকার নেই।’

‘এটা কতদিন আগের ঘটনা?’

‘বিশ-একুশ দিন। পরদিন ফোন করলাম আবার সন্তোষের আপিসে। আপিসেই ছিল, কিন্তু কথা বলল না। আরেকজন কে যেন খুব কড়া গলায় বলল, শুধু শুধুই বিরক্ত করছি ওদের, জানাবার মত কোন খবর থাকলে আপনিই জানাবে ওরা, ধন্না দিলে কোন ফল হবে না।’

স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মলিন হয়ে গেল অপমানিতা বৃদ্ধার মুখ, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘আমি বুঝতে পারলাম কোন সাহায্য করবে না এরা। সোজা গেলাম মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্সে। সেখানেও একই ব্যাপার, প্রথমে তো কেউ দেখাই করবে না আমার সাথে। কারও সময় নেই। ধন্না দিয়ে পড়ে রইলাম, অনিলের সংবাদ না নিয়ে কিছুতেই যাব না আমি। শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ডাকা হলো আমাকে একজন ডেপুটি সেক্রেটারির ঘরে। বসতে পর্যন্ত বলল না, ঘরে ঢুকতেই অনিলের বয়সী একটা ছেলে ভ্রূ কুঁচকে কটমট করে আমার দিকে চেয়ে বলল, ‘কেন মিছেমিছি আমাদের বিরক্ত করছেন? এটা ইন্টেলিজেন্সের ব্যাপার, ওদের কাছে যান।’ কেঁদে ফেললাম, ইন্টেলিজেন্স থেকে যে অনর্থক ঘোরাচ্ছে সে কথা বললাম, কিন্তু কিছুতেই কোন কাজ হলো না। সোজা বলে দিল, ‘এটা আমাদের কাজ নয়, আপনি এবার আসুন।’ রুমাল বের করে চোখ মুছলেন বৃদ্ধা চশমা খুলে।

‘তারপর?’

‘আমি বললাম, আমার ছেলের সংবাদ আমাকে জানতেই হবে। আপনারা সবাই মিলে যে ব্যবহার করছেন তাতে সোজা পত্রিকা অফিসে গিয়ে সব ব্যাপার জানানো ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না।’

ছেলের জন্যে মা যে কতটা করতে পারে উপলব্ধি করে রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেল রানা। বলল, ‘ঠিক বলছেন। ওরা কি বলল এ কথা শুনে?’

এক লাফে উঠে দাঁড়াল ডেপুটি সেক্রেটারি। আমার মনে হলো এক্ষুণি বুঝি গায়ে হাত তুলে বসবে। কিন্তু তা না করে আমাকে বসবার ইঙ্গিত করে ছুটে বেরিয়ে গেল ছেলেটা কামরা থেকে। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করবার পর আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো একজন সেক্রেটারির ঘরে, সেখানে খুবই কটু ভাষায় ধমক দেয়া হলো আমাকে। জানিয়ে দেয়া হলো, ইচ্ছে করলে পত্রিকা অফিসে যেতে পারি আমি, কিন্তু গেলে পস্তাতে হবে আমাকেই। অনিলের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে কোন রকম পাবলিসিটি হলে ক্ষতি হবে অনিলেরই। এ ব্যাপারে বেশি খোঁজ খবর করতে যাওয়াটা নাকি আমার জন্যেই বিপজ্জনক। আমার এখন চুপচাপ ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। এমন চোখ পাকিয়ে কথাগুলো বলল লোকটা যে সত্যিই ভয় পেয়ে গেলাম আমি। অনিলের খোঁজ খবর করতে গিয়ে যদি ওর অনিষ্ট হয়, সেটা আমি চাই না। কিন্তু কেন ওর অনিষ্ট হবে, ওদের কর্মচারী ইটালিতে গিয়ে কি বিপদে পড়ল সে সম্পর্কে ওরা কিছুই জানে না বা জানতে চায় না কেন, এরকম অনর্থক দুর্ব্যবহারই বা কেন করছে কিছুই বুঝতে পারলাম না। হতাশ হয়ে বেরিয়ে এলাম ওখান থেকে। কিছুদূর হাঁটবার পরই বুঝতে পারলাম আমাকে অনুসরণ করা হচ্ছে। উনিশশো তিরিশ সালে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনে জড়িত ছিলাম, কাজেই এদের চিনতে ভুল হলো না আমার। একজন সামনে আর একজন পেছনে সর্বক্ষণ লেগে আছে এরা আমার সঙ্গে।

‘পাসপোর্টের ব্যাপারে কি যেন বলছিলেন?’

‘হ্যাঁ। কয়েকদিন ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ভাবলাম। বুঝলাম কারও কাছ থেকে কোনরকম সাহায্যের আশা নেই। শেষে ঠিক করলাম আমি নিজেই যাব। রিনিউ করার জন্যে জমা দিলাম সেটা। হচ্ছে, হবে, দেখি কি করা যায়, ইত্যাদি করে বেশ কয়েকদিন দেরি করিয়ে দেয়ার পর একদিন ওদের অফিসে গিয়ে চেপে ধরলাম। আমার ফাইলটাই নেই, হারিয়ে গেছে। আবার নতুন করে দরখাস্ত দেয়ার পরামর্শ দিল আমাকে ওদের এক অফিসার, কথা দিল যত শীঘ্রি সম্ভব যাতে পাই সে চেষ্টা করবে সে। বুঝলাম সবই। হাল ছেড়ে দিয়ে চোখের জলে ভাসলাম কয়েকদিন, প্রার্থনা করলাম ভগবানের কাছে। খাওয়া নেই, ঘুম নেই, ছটফট করলাম অসহায় যন্ত্রণায়-এমনি সময়ে এল এই কার্ডটা। বেঁচে আছে, এটুকু বুঝতে পারছি, কিন্তু কেন সরাসরি আমার ঠিকানায় না পাঠিয়ে মামাবাড়ির ঠিকানায় পাঠাল ও কার্ডটা, বুঝতে পারছি না। বিপদে পড়েছে বুঝতে পারছি; কিন্তু কি বিপদ, কি ধরনের কতবড় বিপদ, কিছুই বুঝতে পারছি না। হু-হু করে কাঁদছে শুধু বুকের ভিতরটা।’

বৃদ্ধা কান্নায় ভেঙে পড়বার আগেই চট করে জিজ্ঞেস করল রানা, ‘আপনি কি কিছুই আঁচ করতে পারছেন না? কি ধরনের কাজ করত অনিল কিছুই জানা নেই আপনার?’

‘না, বাবা। ওর কাজকর্মের ব্যাপারে কিছুই বলেনি ও আমাকে কোনদিন।’

‘আচ্ছা, আপনার কি কোনদিন সন্দেহ হয়েছে যে আপনার ছেলে হয়তো ভারতীয় গুপ্তচর বিভাগে কাজ করে?’

ঝট করে চাইলেন বৃদ্ধা রানার চোখের দিকে। কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইলেন।

‘কোনদিন ভাবিনি। হতে পারে। এখন মনে হচ্ছে, হতে পারে এটা।’ ভ্রূ কুঁচকে ভাবলেন বৃদ্ধা আরও কিছুক্ষণ। ‘ঠিকই বলেছ। সম্ভব। এদের কথাবার্তা, ব্যবহার দেখে তাই তো মনে হচ্ছে এখন। কোন দেশের স্পাই যদি অন্য দেশে ধরা পড়ে তাহলে তার পরিচয় অস্বীকার করে তার নিয়োগকারী দেশ-এ রকম কি যেন পড়েছিলাম কোথাও। তাই কি ঘটেছে অনিলের ভাগ্যে?’ পুরু লেন্সের ভিতর দিয়ে রানার মুখের দিকে চেয়ে জবাব খুঁজছে বৃদ্ধার ব্যাকুল দৃষ্টি।

‘ঠিক কি যে ঘটেছে তা বের করতে হবে আমাদের। এখান থেকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করব আমি আজ খবর বের করবার। কয়েকজন হোমড়া-চোমড়া অফিসারের সঙ্গে জানাশোনা আছে আমার। যতটা জানা যায় আজই সন্ধ্যায় জানাব আমি আপনাকে। যদি এখান থেকে তেমন কিছু খবর সংগ্রহ করতে না পারি তাহলে ভিয়েনা থেকে ভেনিসে যাব, যে করে হোক খবর বের করবই আমি। আপনার ঠিকানাটা দিয়ে আপনি সোজা বাসায় চলে যান। কিচ্ছু ভাববেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’

রানার কণ্ঠস্বরে নিজের ক্ষমতার ওপর আশ্চর্য এক আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের রেশ উপলব্ধি করতে পারলেন বৃদ্ধা। দুর্দমনীয় একটা প্রাণ-স্পন্দন রয়েছে এর ভিতর। মনে হয় টগবগ করে ফুটছে এর ভিতরটা, কিন্তু বাইরে তার কোন প্ৰকাশ নেই।

‘তুমি কি ভিয়েনায় চলেছ?’

‘তিনদিনের একটা সম্মেলনে যাচ্ছি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে।’

‘তুমি বাংলাদেশের ছেলে?’

‘হ্যাঁ।’

‘কিছু মনে করো না বাবা, তুমি অনিলের বন্ধু, কিন্তু তোমার নাম কোনদিন শুনিনি আমি ওর মুখে। কতদিনের বন্ধু তোমরা?’

‘ঠিক বন্ধু বললে ভুল হবে। আমরা পরিচিত। সাতদিনের পরিচয়। দেড় বছর আগে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে একটা ব্যাপারে কাজ করেছিলাম আমরা সাতদিন। তখনই চিনেছিলাম ওকে আমি সৎ, সাহসী এবং বুদ্ধিমান ছেলে হিসেবে। তারপর ওর আর কোন খবর পাইনি, এতদিন পর আজ আপনার মুখেই ওর নাম শুনলাম প্ৰথম।’

অবাক হলেন বৃদ্ধা। ‘এই সামান্য পরিচয়েই ওর জন্যে এতটা ক্ষতি স্বীকার করে নিলে তুমি! আজকের ফ্লাইট ক্যান্সেল করলে, ভিয়েনা থেকে ভেনিসে যাবে, সময় নষ্ট হবে, টাকা নষ্ট হবে–’

মৃদু হাসল রানা। ‘এ নিয়ে আপনি ভাববেন না। সত্যি কথা বলতে কি, ওর জন্যে আমি ফ্লাইট ক্যান্সেল করিনি। আমি বিদেশী লোক, ভারতের রাষ্ট্রীয় কোন ব্যাপারে নাক গলাবার অধিকারও আসলে নেই আমার। যেটুকু করছি বা করতে চাইছি সেটা না করে উপায় ছিল না আমার।’

‘কেন, বাবা?’

‘সন্তানের জন্যে একজন মায়ের প্রাণ কাঁদবে, আর আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চলে যাব, সেটা কি সম্ভব? মায়ের চেয়ে বড় আর কি আছে পৃথিবীতে?’

ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধা।

রানা বলল, ‘আপনি কিচ্ছু ভাববেন না। আমার সাধ্যমত আমি সবই করব অনিলের জন্যে। কথা দিচ্ছি। অবস্থা যে রকম দাঁড়িয়েছে তাতে যে কোন মানুষের একেবারে ভেঙে পড়ার কথা। তবু তো আপনি অনেকখানি শক্ত হয়ে আছেন। আর কয়েকটা দিন সহ্য করতে হবে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন, আমার মনে হচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে।

একটু সামলে নিলেন বৃদ্ধা। শীর্ণ একখানা হাত রাখলেন রানার শক্তিশালী বাহুতে।

‘তোমাকে কি বলে ধন্যবাদ দেব জানি না। ধন্যবাদ দিয়ে তোমার মহত্ত্বকে ছোট করাও ঠিক নয়। আশীর্বাদ করি, সুখী হও, সফল হও জীবনের সব ক্ষেত্রে।’

বাসার ঠিকানা দিয়ে উঠে পড়লেন বৃদ্ধা। বললেন, ‘মনটা অনেকখানি হালকা হয়ে গেছে, বাবা। সব জায়গায় বাধা পেয়ে পেয়ে হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম, চাপা আশঙ্কা আর উদ্বেগ কুরে কুরে খাচ্ছিল বুকের ভিতরটা। কোন দিকেই কোন পথ পাচ্ছিলাম না। কিভাবে যে কেটেছে গত একটা মাস!’

‘সবটা বোঝা একা আপনার কাঁধে ছিল বলেই এরকম লেগেছে। এখন তো আর আপনি একা নন। আমিও আছি আপনার সঙ্গে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন গিয়ে। আমি চেষ্টা করব যেন আপনাকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে না হয়।

বৃদ্ধাকে বিদায় দিয়ে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরাল রানা। পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করে নিল দু’মিনিটের মধ্যেই। ঘরে এসে ঢুকল গিলটি মিঞা। ওর দিকে না চেয়েই হুকুম করল রানা, ‘একটা ট্যাক্সি ডাকো।

জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে জনাকীর্ণ রাস্তায় হাঁটছেন বৃদ্ধা। পান দোকানের সামনের টুল থেকে উঠে দাঁড়াল দু’জন লোক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *