বজ্রপাণি
কাল রজনীতে এসেছিল যবে বৈশাখী পূর্ণিমা,
আকাশের গায়ে লেগেছিল যবে শ্বেতচন্দন লেপ,
বাতাস দেখাল স্নিগ্ধ মধুর কুমারীর ভঙ্গিমা—
তোমার দূতেরে পাঠাইলে হায় রুদ্র বজ্রপাণি!
ফুলেরা শয়ান ড্যানায়ের মতো প্রতীক্ষ-দেহ-মনে,
নিঃশ্বাস মোর গন্ধে আতুর ভারাক্রান্ত মোহে,
রাধিকা চাঁদের আবেশ ঝরিছে সবুজ কুঞ্জবনে মু
ছে দিলে হায় পিঙ্গলিমায় অমোঘ বজ্রপাণি!
সুঠাম সুশ্ৰী মেদসুকোমল প্রিয়ারে বক্ষে ধরি
গলিতেছিলাম অর্থবিহীন সুমধুর কাকলিতে,
নাগরিকা মোর করুণ কোমল—মোদের লক্ষ্য করি
দধীচি-অস্থি হানিলে কঠোর কঠিন বজ্রপাণি!
সুগঠিত প্রেম, বাসনাবিলাস, উপবন পূর্ণিমা
দূর করে দিলে ঘোর ঝঞ্ঝায় চূর্ণ চূর্ণ করি,
যে ভুবনে মোরে নিয়ে এলে—কোথা নারীদেহরঙ্গিমা?
তোমারে আমার বন্ধু করিয়া কী লাভ বজ্রপাণি?
১৯৩০