পূর্বখণ্ড- সংশয়
মধ্যখণ্ড— সংযোগ
উত্তরখণ্ড— সংকাশ

প্রথম পর্ব— বিষণ্ণ খড়ের শব্দ

প্রথম পর্ব— বিষণ্ণ খড়ের শব্দ

১।

সেই রাতে চুঁচুড়ায় আর থাকা হল না তারিণীর। ফিরতি ট্রেনেই আবার কলকাতা চলে আসতে হল। কাজ বড়ো বালাই। এই জাবুলনদের সঙ্গে ফ্রিম্যাসনদের অনেকে জড়িত এটা স্পষ্ট। তা না হলে সাইগারসন, বঙ্কিমবাবু আর প্রসন্নকুমার মিলে একই কথা বলতেন না। প্রিয়নাথ অস্বাভাবিক চুপ যেন তাঁর ভিতরে একটা বিরাট ঝড় তোলপাড় চালাচ্ছে। মুখমণ্ডল গম্ভীর, শান্ত। কিন্তু তারিণী জানে এই শান্ত ভাব বড়ো কোনও ঝড়ের আভাস মাত্র। হাওড়া স্টেশনে নেমে প্রিয়নাথ তারিণীকে বললেন, “তুমি কি এখান থেকেই আপিসে ফিরে যাবে? যদি যাও তবে আমিও তোমার সঙ্গে যাব। কিছু কথা তোমাকে এই মুহূর্তে জানানো দরকার। পরে দেরি হয়ে যাবে। আপিস এখন ফাঁকাই আছে তো?”

“একপ্রকার বলতে পারেন। থাকলে বড়োজোর শৈল থাকবে। কিন্তু আমার ক্লায়েন্ট এলে সে বেরিয়ে বাইরে অপেক্ষা করে।”

“ঠিক আছে তবে। গাড়ি ঘোরাও।”

ক্লাইভ স্ট্রিটে তারিণীর আপিসের সামনে যখন গাড়ি দাঁড়াল, তখন সন্ধে হয়ে গেছে। দুটো লোক তখনও মস্ত মোটা একটা পাইপে পিচকারির মতো করে রাস্তার অনেক দূর অবধি জল দিয়ে ধুচ্ছে। এই এক নতুন। আগে শুধু ভোর চারটেতে গিন্নিরা গঙ্গায় নাইতে যাবার আগে ভিত্তিরা মশকে করে জল ছিটাত। এখন ভিস্তির পাট উঠেছে। সে জায়গায় এই পাইপ দুবেলা রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়ে যায়। তাতে সুবিধা কতটা হয় জানা নেই। রাস্তায় সর্বদা একটা কাদা কাদা ভাব।

অফিসের দরজা খোলাই ছিল। শৈল কোথাও একটা যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারিণীকে দেখেই বলল, “তুমি এয়েচ ভাই? বেশ হল। তোমার কথাই ভাবছিলেম। জরুরি দরকার। এখুনি আমায় বেরুতে হচ্চে। তবে চলে আসবখন। রাতের খাওয়া বেড়ে রেখেচি। একসঙ্গে খাওয়া যাবে।” বলে প্রিয়নাথের দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে একটা প্রশ্ন করল, “দারোগাবাবু, যে এককালে আপনার উপকার করেছিল, সে যদি অন্য কারও মহাক্ষতিতে লিপ্ত হয়, তবে আপনি কী করবেন?”

প্রিয়নাথ এমন প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সে ঈষৎ আমতা আমতা করে বলল, “অবশ্যই তাকে বাধা দেব। তাকে বুঝিয়ে বলব।”

“আর সে বুজতে না চাইলে?”

“তাকে আইনমাফিক সাজা দেব।”

“আর যদি সে আইনের হাতের বাইরে হয়?” বলে একটু হেসে শৈল আর উত্তরের অপেক্ষা করল না। “আপনারা আলাপ করুন। আমি একটু যাই”, বলে বেরোবার উদ্যোগ করল।

“তা বলি যাচ্চ কোথায়?” তারিণী শুধাল।

“একটা হেস্তনেস্ত করতে। ফিরে বলব।” খোলা দরজা দিয়ে অন্ধকারে মিশে গেল শৈল।

শৈল বেরিয়ে যেতেই প্রিয়নাথের মুখ আবার গম্ভীর হয়ে গেল। পাশেই একটা বেতের মোড়ায় বসে পড়ল ধপ করে। তারিণী হাঁ হাঁ করে উঠল। তাকে বারবার বলল ড্রিসকলের দেওয়া চেয়ারে বসতে। প্রিয়নাথ হাত নেড়ে মানা করল। হাতের ইশারায় তারিণীকে বলল দরজা ভেজিয়ে দিতে। চারিদিকে বড্ড গুমোট করেছে। বৃষ্টি নামতে পারে। তাও তারিণী দরজাটা ভেজিয়ে দিল। ঘরের কোনায় রেড়ির তেলের একটা কুপি জ্বলছে। সেদিকে তাকিয়ে যেন নিজেকেই নিজে বলতে থাকল প্রিয়নাথ মুখুজ্জে, “আজ সাইগারসন সাহেবের সামনে মুখ খুলিনি। হয়তো খোলা উচিত ছিল। কিন্তু সাহসে কুলায়নি। ভেবেছিলাম কাউকে জানাব না। কিন্তু বিবেক। বিবেককে কি ফাঁকি দেওয়া যায়, বলো?”

তারিণী উত্তর দিল না। এইসব সময় উত্তর দিতে নেই।

“জাবুলনদের নাম আমি ছয় বছর আগেই শুনেছি। শুধু গুরুত্ব দিইনি। দেবার উপায়ও ছিল না। তাহলে আমি নিজে বিপদে পড়তাম। কাউকে যে ঘটনা জানাইনি, আজ তোমাকে বলছি। আমি তোমায় চিনেছি। জানি তুমি আমাকে বিপদে ফেলবে না। কিন্তু এই সত্য প্রকাশ না পেলে হয়তো আরও বিপদ ঘনিয়ে আসছে। আর সেটা হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।”

“আপনি নিশ্চিন্তে বলতে পারেন।”

“তুমি দুই সাহেব দস্যু হিলি আর ওয়ার্নারের নাম শুনেছ?”

“কে না শুনেছে? সমাচার চন্দ্রিকায় নিয়মিত এদের খবর প্রকাশ পেত। আপনার সাহস ও বীরত্বে এরা ধরা পড়ে ও আইনমাফিক সাজা পায়।”

“হিলি পায়নি।”

“মানে?”

“মানে আইনমাফিক সাজা। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার সময় একদিন হিলি আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। আমি দেখা করি। সে একান্তে আমার সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু তার কথার মর্মোদ্ধার করতে পারিনি তখন। এখন কিছু কিছু বুঝতে পারছি।”

“কী বলেছিল হিলি?”

“বলেছিল জাবুলনরা নাকি কলকাতায় এসে গেছে। বড়োজোর আর বছর সাতেক। তারপরেই আসবে চরম আঘাত। সেটা কী আর কীভাবে আসবে আমি জানতে চেয়েছিলাম। হিলি বলেছিল সে সব বলবে। জবানবন্দি দেবে। কিন্তু আমার কাছে না। পুলিশ কমিশনারের কাছে। এটাও বলেছিল তার কাছে এমন এক অস্ত্র আছে, যা প্রয়োগ করলে এক মাসের মধ্যে পৃথিবী থেকে মানুষ উধাও হয়ে যাবে। সেটা কী আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম। বলেনি। বারবার বলছিল সে কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চায়।”

“তারপর?”

“তারপরের ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। আচমকা একদিন হিলিকে বোম্বেতে নিয়ে যাবার নির্দেশ এল। কারণ জানি না। শুনলাম বোম্বে যাবার পথে হিলি নাকি পালাবার চেষ্টা করেছিল। আবার তাকে ধরে এনে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সাক্ষী দিতে আমাকেও বোম্বাই যেতে হল। আর গিয়ে যা দেখলাম…”

“কী দেখলেন?”

“সাক্ষীর কাঠগড়ায় যে দাঁড়িয়ে আছে, সে আর যে-ই হোক, হিলি না। আমি নিজের হাতে হিলিকে ধরেছিলাম। প্রেসিডেন্সি জেলে কয়েকবার দেখা করতে গেছি। হিলির সঙ্গে সে ব্যক্তির মিল আছে ঠিকই, কিন্তু তাকে হিলি সাজানোর প্রাণপণে চেষ্টা হয়েছে। চোয়ালের কাছে কাটা দাগ, কানের লতির নিচের অংশ নেই, মানে আইডেন্টিফায়িং মার্কস সব ঠিক আছে। কিন্তু লোকটাই বদলে গেছে বিলকুল।”

“আপনি কিছু বলেননি?”

“বলতে গেছিলাম। কমিশনার সাহেব বারবার বললেন আমি ভুল বলছি। শেষে ভয় দেখালেন। আমার চাকরি যাবে। আর ব্রিটিশদের অধীনে কাজ মানে তো জানোই। আমি চুপ করে গেলাম। বদলে প্রোমোশন জুটল। খ্যাতি জুটল।”

“হিলি…মানে যাকে হিলি হিসেবে ধরা হল সে-ই বা কিছু বলল না কেন?”

“তাও জানি না। বোম্বে নিয়ে যাবার পরে শুধু হিলিকে চিহ্নিত করা ছাড়া অন্য কোনও কাজে আমায় রাখা হয়নি। এমনকি ওয়ার্নারের কাছেও ঘেঁষতে দেয়নি আমাকে। আমাকে অন্য কেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়।”

“জাবুলন বিষয়ে আপনার নিজের কী ধারণা?”

“ধারণা একটাই। এরা যেই হোক, এদের হাত অনেক দূর অবধি ছড়ানো। ইংরেজ সরকারের মধ্যেই এরা বাসা বেঁধে আছে। কেউ জানে না এরা কারা। তাই কোনও সরকারি পুলিশ এদের কিচ্ছু করতে পারবে না। জানি না এরা আমার ওপরেও নজর রেখেছে কি না। পারলে তুমিই পারবে। কারণ তোমায় কেউ চেনে না। তোমার গতিবিধি অবাধ। সাইগারসন সাহেব ঠিক লোককেই ঠিক দায়িত্ব দিয়েছেন।”

“এখন আমার কর্তব্য?”

“তুমি নিজের মতো তদন্ত চালাও। খরচ নিয়ে ভেবো না। যা দরকার হবে আমার কাছে চলে আসবে। আমি সাধ্যমতো করব। শুধু টাকাপয়সা কেন, অন্য সাহায্যের দরকারেও আমি তোমার পাশে আছি।”

“কিন্তু…”

“কোনও কিন্তু না তারিণী। আমার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। সরকারি চাকরি আমার হাত পা বেঁধে রেখেছে। তুমি এটা আমার প্রায়শ্চিত্ত বলে ধরে নাও।”

প্রিয়নাথ রওনা হতেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু হল।

সে রাতে শৈলচরণ ফিরল না।

২।

পরের দিন, এমনকি তার পরের দিন সকালেও যখন শৈল এল না,তারিণী রীতিমতো চিন্তায় পড়ল। এমন তো হবার কথা না! থিয়েটার কোম্পানী ছেড়ে দেবার পর এমন খুব কমই হয়েছে যে শৈল তার আপিসঘরের বাইরে থেকেছে। সেখানে দুই রাত হয়ে গেল তার কোনও পাত্তা নেই। তাহলে কি সে দেশের বাড়ি ফিরে গেল? শৈল পরনের ফতুয়া আর ধুতিটা ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে নিয়ে যায়নি। একটা কাঠের বাক্সে টাকা রাখা থাকে। দুজনের যা জমে। গুনে দেখল তারিণী। দশ টাকা কম। এত টাকা শৈলর কী কাজে লাগল? টাকাপয়সার ব্যাপারে শৈল খুব সজাগ। দরকার ছাড়া একটি পাইপয়সা খরচ করে না। বাক্সেই একটা সাদা কাগজ ভাজ করে রাখা। একটা বিল। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রেসের। দুই দিন আগের তারিখ। সেদিন থেকেই শৈল নিখোঁজ। বিলে লেখা, Printing and Binding cost (100 copies ) – 10 rupees। দশ টাকা খরচ করে কী ছাপিয়েছে শৈল?

.

তারিণী সারাদিন ঘুরল শহরের হাসপাতালগুলোতে। কোনও খবর মন শক্ত করে সরকারি লাশকাটা ঘরেও খবর নিল। নতুন তিনটে লাশ এসেছে ঠিকই, কিন্তু কোনোটাই শৈলর না। জলজ্যান্ত মানুষটা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে গেছে। সারাদিন পেটে কিছু পড়েনি। হাঁড়িতে চাল আর আলু চাপিয়ে তারিণী ভাবতে বসল।

সেদিন প্রিয়নাথের সামনে অদ্ভুত প্রগলভ হয়ে উঠেছিল শৈল। এ তার চরিত্রের সঙ্গে যায় না। কথা বলতে বলতে হাত নাড়াচ্ছিল। আর হাতে ছিল…. এবার তারিণীর আবছা মনে পড়ছে। শৈলর ডান হাতে একটা পাতলা বই। বটতলার বই যেমন হয়। বইটা তার লেখার টেবিলে ছিল। বেরোবার ঠিক আগে টেবিল থেকে বইটা নিয়ে সেটাকে ফতুয়ার পকেটে পুরে নিয়েছিল সে। ঘরের কোণে ছোট্ট একটা টেবিল পেতে শৈল লেখালেখি করে। ওদিকটায় বিশেষ যায় না তারিণী। আজ বাধ্য হয়ে গেল। টেবিলে যথারীতি বেশ কিছু হ্যান্ডবিলের খসড়া ছড়িয়ে আছে। গণপতির ম্যাজিকের, পঞ্জিকার বিজ্ঞাপনের। একপাশে দোয়াত, তাতে কালি পুরো ভরা। মানে ফিরে এসেই আবার লেখার পরিকল্পনা ছিল। সেই দোয়াত চাপা একটা স্টেটসম্যান পত্রিকা দেখে বেশ চমকেই উঠল তারিণী। এই পত্রিকা সচরাচর রাখা হয় না। তাদের দুজনের কেউই ইংরাজিতে তেমন দড় না। পত্রিকার ভাঁজ করা অংশে একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকে গেল তার। থিয়েটারের বিজ্ঞাপন। চারিদিকে লাল পেনসিল দিয়ে গোল করা। বিজ্ঞাপনে লেখা-

Please note the change!
STAR THEATRE .
Telephone No. 364.
SATURDAY, 30 TH MAY, AT 9. P.M.
The Beautiful Classical Operetta
ANNODA MANGAL.
Followed by the Brilliant Pantomime
EKAKAR
SOCIAL CHOAS!
CONCLUSION
Grand Transformation Scenery!
NEXT-DAY, SUNDAY, AT CANDLE-LIGHT,
Bankim Chandra’s CHANDRASEKHAR.
AMRITA LAL BOSE,
Manager.

শৈল থিয়েটার ছেড়ে দিয়েছে, এমনই সে জানত। বিশেষ করে সেই ঘটনার পর। তাহলে এই বিজ্ঞাপন কেন? ‘একাকার’-এর তলায় লাল পেনসিল দিয়ে দুটো দাগ। টেবিলের তলায় ঝুঁকতেই যা খুঁজছিল পেয়ে গেল তারিণী। খয়েরি মলাটে মোড়া দড়িবাঁধা একটা প্যাকেট। সেটা খুলতেই বেরিয়ে এল এক বান্ডিল বই। সদ্য ছাপানো। উলটে পালটে দেখল তারিণী। শৈলর লেখা নাটক। নাটক না বলে প্রহসন বলাই ভালো। এমন অদ্ভুত প্রহসন লিখতে গেল কেন শৈল? তারই আপিসের ঠিকানা, এদিকে তাকেই কিছু না জানিয়ে! কিছুই মাথায় ঢুকছিল না। বার তিন-চার সে নাটকটা পড়ল। মোটেই খুব একটা উৎকৃষ্ট কিছু না। তবে শৈলর লেখায় একটা চাপা যৌনতা থাকে। এখানে সেটা বেশ প্রকট। নাটকের নামটাও অদ্ভুত, “বিষম ভূত ও পুষ্পসুন্দরীর পালা”। টেবিলে আরও একটা ছবি চোখে পড়ল তারিণীর। আগে এই ঘরে এমন ছবি সে দেখেনি। ছাপাই ছবি। পাথুরে ছাপাই। এক অসামান্যা রূপসি, এক বৃদ্ধা আর এক শিশু। প্রত্যেকেই অদ্ভুত ভঙ্গিমায়। তলায় বাংলায় লেখা, “ভারত ভিক্ষা”। তারিণীর অভ্যস্ত চোখ গোপন চিহ্নগুলো মিলিয়ে নিতে চাইল। কিছু পারল। কিছু পারল না। কিন্তু এই ছবি এখানে কেন? ছবির তলায় লেখা,

Designed and Published by Calcutta Art Studio।

ছবিটা ভাঁজ করে একটা বইয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে নিল তারিণী। তারপর নিতান্ত বেখেয়ালেই বইগুলো গুনতে শুরু করল। আটানব্বইটা। নিশ্চিত হিসেবে ভুল হয়েছে। আবার গুনল। হিসবে ভুল নেই। আটানব্বইটাই আছে। কিন্তু সেদিন শৈল তো তার সামনেই একটা বই সঙ্গে নিয়ে গেছিল। আর-একটা গেল কোথায়? হিসেবের কড়ি তো বাঘে খাবে না। তারিণী তন্নতন্ন করে ঘর খুঁজল। ঘরে নেই। তাহলে নিশ্চিতভাবে আর-একটা কপি শৈল আগে থেকেই অন্য কাউকে দিয়েছে। কিংবা প্রেসেই আছে প্রেস কপি হিসেবে। সেটা ছাপাখানায় না গেলে জানা যাবে না। তারিণী নিজের কর্তব্য স্থির করে নিল। জাবুলন পরে হবে। আগে তার নিজের বন্ধুকে খুঁজে বার করা প্রয়োজন। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রেসে যেতে হবে। কিন্তু সেখানে পরে গেলেও চলবে। বরং দ্বিতীয় যেখানে যাবার কথা সেটা দিয়েই শুরু করা যাক। দুপুর দুপুর সেখানে না পৌঁছালে পরে ঢোকাই যাবে না।

তারিণী স্টার থিয়েটার যাবার রাস্তাটা মনে মনে ছকে নিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *