সাত
সুজাতার নতুন সেণ্টারে সমু আর পূজার বিয়ের জন্য প্রীতি সম্মেলন। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা দেখছে তাপস। ওর কেটারিং বেশ নাম করেছে।
পূজাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে, আর সমু শুধু বলে যাচ্ছে, তোরা শুধু ওকে দেখছিস আমাকে দেখছিস না।
তাপস বলল, আমরা সবাই আছি। কিন্তু গুলতি নেই, পুতলি থেকেও নেই…
—হ্যাঁ, সব সুখ কি হয়?
একটা জীপ থামল।
—নিশীথদা’র জীপ না?
—আরে হ্যাঁ…
ওরা সবাই এগিয়ে এল। নিশীথদার সঙ্গে সঙ্গে নামল চুল ছাঁটা, ঋজু চেহারার একটি মেয়ে। পরনে ছাপা শাড়ি, কাঁধে ব্যাগ।
—পুতলি!
পুতলি হেসে এগিয়ে এল। বলল, লিখেছিলাম না তোদের বিয়েতে কি দেব, ভাবতে পারবি না? আমি নিজে চলে এলাম, সারপ্রাইজ।
সবাই এগিয়ে এসে ঘিরে ধরল। নিশীথ বলল, আরো একটা সারপ্রাইজ আছে, সেটা আমি আর পল্লবী দেব।
—তোরা বিয়ে করছিস?
পূজা পুতলিকে জড়িয়ে ধরল। পুতলি চোখ তুলল, সমুর, তাপসদের চোখে কি আনন্দ কি নিশ্চিন্ততা।
অমিত বলল, ফ্রীজ। আমি ছবি তুলব।
সবাই ফ্রীজ করে গেল।
পুতলি বলল, এখনো কিন্তু প্রোপোজই করেনি নিশীথদা।
—করিনি বুঝি? করলাম।
অমিত আবার বলল, এবার সবাই তাকাও ক্যামেরার দিকে।
তারপর ফ্রীজ ভেঙে গেল। সমু বলল, কাল আমরা জীপে করে শহর ঘুরছি।
সুজাতা বললেন, আমি এ প্রস্তাব সমর্থন করছি।
এত রকম স্মৃতি আর অনুভূতির ঢেউ ছুটে এল যে অনেককাল পরে আনন্দে পুতলি কেঁদে ফেলল।
__