নামবিভ্রাট

নামবিভ্রাট

ইউসুফ ফোন করে জানাল ‘ম্যাডাম, আপনার সন্দেহই ঠিক৷ দিয়াশার চারটে ফেক আধার কার্ড আছে৷ চারটে ফেক ভোটার কার্ড৷ মেকআপ আলাদা আলাদা প্রতিটা কার্ডে৷ এগুলো কোথাও টাকা দিয়ে করিয়েছে নাকি কম্পিউটারে ফেক বানিয়ে সেটাই চালাচ্ছে, বুঝতে পারা গেল না৷ তবে রক্তিমার নামেই পার্লারটা আছে৷ যাদবপুরে ফ্ল্যাটটা দিয়াশার নামে৷ আবার মল্লিকার নামেও কী সব সম্পত্তিও করেছে ম্যাডাম৷ যেটুকু খবর পেলাম, তাতে একজন মহিলার সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করছিল ইদানীং৷

লগ্নজিতা বলল, হ্যাঁ, তার ছবিটাই দেখছিলাম৷ কথাটা হচ্ছে, ইউসুফ মহিলা তো আমার বড্ড পরিচিত৷ একদিন সাক্ষাৎ করতে হবে৷ আর শোনো, আবিরা নামের কাউকে চেনো নাকি?’

ইউসুফ বলল, ‘ম্যাডাম, এই দিয়াশার নামই আবিরা৷ এর নামের শেষ নেই, ম্যাডাম৷’

‘আরেকটা খবর লাগবে আমার৷ জলধরের ওই পেয়ারের দুজন টিচারের খবর৷’

ইউসুফ বলল, ‘ম্যাডাম, তারা এখন কিছুই স্বীকার করবে না৷ কারণ কোনো প্রমাণ নেই ওদের বিরুদ্ধে৷ জলধরবাবু যদি নিজে না দেয় তাহলে ওদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা মুশকিল৷ ওরা তো ডিরেক্ট কিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিল না৷ জলধরবাবুকে চুপচাপ সমর্থন করত এটুকুই৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘আর রুবির সামনের ফ্ল্যাটটাতে পাহারা বসানো আছে তো?’

ইউসুফ বলল, ‘সব রেডি, ম্যাডাম৷’

লগ্নজিতার টেনশন

ইউসুফের ফোনটা রেখেই হলদিয়ায় ফোন করল৷ বাবা ফোন ধরেই বলল, হ্যাঁ রে, হঠাৎ কলকাতায় তলব কেন রে?

লগ্নজিতা বলল, ‘কেন, তোমাদের দেখতে ইচ্ছে করতে পারে না? আমি ব্যস্ত আছি তাই তোমাদের আসতে বলছি৷ কৌশিক পৌঁছেছে?’

বাবা অপ্রস্তুত গলায় বলল, হ্যাঁ রে, ছেলেটাকে আবার কষ্ট করে পাঠালি কেন এতটা রাস্তা? ও ব্যস্ত ডাক্তার৷ আমারাই তো গাড়ি করে বেরিয়ে যেতে পারতাম৷’

জিতা হেসে বলল, ‘হবু জামাই কতটা দায়িত্ব নিতে পারবে, সেটা টেস্ট করে নাও এই সুযোগে৷ আচ্ছা মা-কে বলেছ, তো অন্তত দিন সাতেকের পোশাক-আশাক নিয়ে আসতে? ওষুধ নিয়ে চিন্তা কোরো না৷ ও আমি কিনে রাখব৷’

বাবা মৃদু গলায় বলল, হ্যাঁ রে, তুই নাকি কোন ড্রাগস এজেন্টদের অ্যারেস্ট করে তাদের কোটি কোটি টাকার ব্যাবসার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিস? তারাই আমাদের অ্যাটাক করতে পারে এমন ভাবনা থেকেই বোধহয় কলকাতা নিয়ে গিয়ে রাখছিস৷’

জিতা হেসে বলল, ‘জানো বাবা, এই ডিটেকটিভ ব্যাপারটা আমার এসেছে শুধু তোমার থেকে৷’

বাবা বলল, ‘কিন্তু কৌশিক যে বলল, তুই মাথাকে ধরে ফেলেছিস৷ তাহলে ভয়টা পাচ্ছিস কার থেকে?’

লগ্নজিতা বলল, ‘বাবা তোমার মনে আছে ছোটোবেলায় তুমি সিঁড়ি ভাঙার অঙ্ক শিখিয়েছিলে৷ বলেছিলে, একটা সিঁড়ি লাফিয়ে গেলেই অঙ্ক ভুল হবে৷ শেষে গিয়ে মেলাতে পারব না৷ এখনও আমার কেন জানি না বার বার মনে হচ্ছে, আমি স্টেপ জাম্প করেছি৷ তাই কিছুতেই উত্তরটা মিলছে না৷ যে কদিন উত্তরটা না মেলাতে পারি, সে কদিন না হয় থেকেই যাও আমার কাছে৷’

বাবা বলল, ‘বুঝেছি৷ তার মানে তোর মনে হচ্ছে, এর পিছনে আরও দু-একজন থাকলেও থাকতে পারে, যাদের তুই এখন অ্যারেস্ট করতে পারিসনি তা-ই তো?

জিতা বলল, ‘হ্যাঁ, সেটাই মনে হচ্ছে৷ কিন্তু মা-কে এসব বলার দরকার নেই৷

বাবা হেসে বলল, ‘সেসব বললেও তোর মায়ের এখন কানে ঢুকবে না রে৷ গরম লুচির গন্ধ পেলাম, বুঝলি৷ কৌশিকের সঙ্গে গল্পে মেতেছে৷ কৌশিক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তোর ছোটোবেলার গল্প শুনছে তোর মায়ের কাছে৷’

জিতা চেঁচিয়ে বলল, ‘প্লিজ বাবা, তোমরা ওর কাছে এসব গল্প কোরো না৷ ও সুযোগ পেলেই লেগপুলিং করবে৷’

বাবা বলল, ‘তোর মা থামলে তো? জিতা, সাবধানে থাকিস মা৷ এত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করিস তুই যে আমাদের এখানে বসেও শান্তি নেই৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘বাবা, আমি এখন রাখছি৷ তোমরা কলকাতায় ঢোকার আগে আমায় কল করে নিয়ো৷ আর মা-কে বলো, এখন জামাই হয়নি, তাই এখন থেকে এত আদর না করলেও চলবে৷’

কৌশিককে ফোন পাচ্ছিল না৷ বাবাই ফোনটা কৌশিকের হাতে দিয়ে বলল, ‘জিতা করেছে৷’ লগ্নজিতা বলল, ‘তোমার ফোনটা অফ নাকি?’

কৌশিক বলল, না সিগন্যাল প্রবলেম হচ্ছে৷ লগ্নজিতা বলল, ‘কোনো সাদা ইনোভা ফলো করছিল নাকি?’

কৌশিক বলল, ‘করছিল৷ তুমি যা নম্বর বলেছিলে, সেটাই৷ এটা কার গাড়ি জিতা? তোমরা তো দিয়াশা ওরফে রক্তিমাকে অ্যারেস্ট করেছ বললে, তাহলে?’

লগ্নজিতা বলল, ‘তুমি মায়ের সামনে বসে আছ কি?’

কৌশিক বলল, ‘ছিলাম এতক্ষণ৷ মা এখুনি ওপরের সব ঘরের জানালা বন্ধ আছে কি না চার নম্বর বার দেখতে গেলেন৷’ ‘কৌশিক বলল, ‘আমি কলকাতা থেকে বেরিয়েছি আর ফলো শুরু করল, বুঝলে? তারপর তুমি ওই যে অকাজের চূড়ামণি কনস্টেবলকে আমার বডিগার্ড হিসেবে পাঠিয়েছিলে, তার মনে হয়, সকালে বাথরুমের কাজ ইনকমপ্লিট ছিল৷ বার বার বলছিল, ডাক্তারবাবু, পেটে প্রবলেম কি শুধু পটি পেলেই হয়, নাকি খিদে পেলেও হয়? এসব পিস তোমার আন্ডারেই থাকে তা-ই না জিতা? আর এসব ফরেন থেকে ইমপোর্ট করা বডিগার্ডকে তুমি কেন আমার সঙ্গে পাঠাও, কে জানে! যা-ই হোক, তারপর একটা রেস্টুরেন্টে গাড়ি দাঁড় করালাম৷ বললাম, এখানে ওয়াশরুমও পাবেন, আবার খাবারও পাবেন৷ দুটোই ট্রাই করে দেখুন, কোনটার জন্য আপনার সমস্যা হচ্ছে৷ কিন্তু এতে একটা লাভ হল, বুঝলে৷ ওকে নিয়ে আমি রেস্টুরেন্টে ঢুকে গেলাম৷ প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে দেখি ইনোভাটা নেই৷ বাকি রাস্তা আর কেউ ফলো করেনি৷ আমি নিজের ফোনটাও অফ করে রেখেছিলাম৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘এটা কোন ইনোভাটা বলোতো, যেটা সৃজিতের মায়ের বাড়ির সামনে দাঁড়াত৷’

কৌশিক বলল, ‘কিন্তু সে আমাদের ফলো করছিল কেন?’

লগ্নজিতা বলল, ‘আমায় একটু ভয় পাওয়ানোর জন্য৷ এই কারণেই তো মা-বাবাকে কদিন এখানে এনে রাখছি, কৌশিক৷ যদি আমায় দুর্বল করে দিতে কোনো কারণে হলদিয়া পৌঁছে বাবা-মায়ের ওপরে অ্যাটাক হয় তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না৷ তুমি চিন্তা-করো না৷ তোমার বাড়ির সামনে কাল রাত থেকেই পুলিশ প্রোটেকশন আছে সিভিল ড্রেসে৷ আঙ্কল বাড়িতে আছেন ভেবেই এটা করলাম৷ সাবধানে ফেরো৷

কৌশিক বলল, ‘জামাই না হতেই আন্টি যা আদর করছেন, আমার তো মনে হচ্ছে, এখানেই থেকে যাই৷ জানো জিতা, আমার মা বেঁচে থাকতে মা ঠিক এইভাবে বলত, ধীরে ধীরে খা তাড়া নেই, সবটা খেতে পারবি৷ সব মা একই রকম হয় তা-ই না? জিতা জানে, মা চলে যাওয়াটা কৌশিকের কাছে কতটা কষ্টকর৷ মা ওকে ঘিরে ছিল৷ ওর মা মারা যাবার পরে কৌশিক আর আঙ্কলের সংসারটা একটু যেন খাপছাড়া হয়ে গেছে৷ দুজনেই ব্যস্ত ডাক্তার৷ সময় পায় না বললেই চলে৷ ওই ডিনারটুকু একসঙ্গে করার সময় যেটুকু গল্প হয় ওদের৷ কৌশিক বলে, ‘আমাদের সংসারটা ছিল মা-কেন্দ্রিক৷ বাড়িতে একটা ফ্লাওয়ার ভাসও কেনা হত মায়ের নির্দেশে৷ বাবা চেষ্টা করে কৌশিককে মায়ের স্নেহ দেবার কিন্তু অপটু হাতে স্যালাড বানাতে গিয়ে কিচেনের অবস্থা দেখার মতো হয়৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘বেশ, যৌতুকে তুমি আমার মায়ের আদর নিয়ো৷ এটা আমি তোমায় দিলাম৷’

কৌশিক বলল, ‘জিতা ওঁদের তো বয়েস হচ্ছে, এবারে তো উচিত কলকাতায় নিয়ে গিয়ে রাখা৷’

জিতা বলল, ‘বেশ, জ্যাম নিয়ে ঘণ্টা তিনেক তো পাচ্ছই গাড়িতে৷ তখন বুঝিয়ে দেখো৷ আমি তো চেষ্টা করেও পারিনি৷ তুমি পারলেও পারতে পারো, কারণ তোমরাই তো রোগীর হাত কাটলে এম. আর. আই. করতে হবে কনভিন্স করিয়ে ফেলতে পারো৷’

কৌশিক রাগী গলায় বলল, ‘আমি রাখলাম৷’

কৌশিককে লেগপুলিং করছে বটে, কিন্তু মাথার মধ্যে জড়িয়ে-থাকা সুতোর গিঁটগুলোও খোলার চেষ্টা করছে ও অনবরত৷ লগ্নজিতা জানত, আজ সকালে ওকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হবে৷ ইউসুফ বলেছিল, ইনোভাটাকে বার চারেক দেখল ও একই জায়গায়৷ তাই আন্দাজ করতে অসুবিধা হয়নি, কী হতে চলেছিল৷ কৌশিক বুদ্ধি করে রেস্টুরেন্টে ঢুকে টাইম বাই করে খুব ভালো করেছে৷ ওরা ভেবেছে, ওই রেস্টুরেন্টেই ব্রেকফাস্ট করতে গেছে হয়তো৷ তাই ব্যাক করেছে৷

বেশ কিছু অঙ্ক মেলানোর জন্য আজ একবার বাগুইআটি যেতেই হবে৷ শুধু একটা কেনর উত্তর মিলছে না৷ বাকি জলধর, তপন, রিম্পা, জয়ন্ত, দিয়াশা বা রক্তিমা, উৎপল, রাঘব, সুবর্ণা থেকে ঋতিকা সকলের পয়েন্ট অফ ভিউ খুব ক্লিয়ার৷ এমনকী আগরওয়ালের মূর্তি রহস্যও ক্লিয়ার৷ কে কী কারণে কী করেছে সব জলের মতো পরিষ্কার৷ শুধু একটা প্রশ্নই মাথাটাকে শান্ত থাকতে দিচ্ছে না৷

পারিজাতকে একটা ফোন করলে মনে হচ্ছে, লাভ হতে পারে৷ কিন্তু ছেলেটা আবার বলে বেড়াবে না তো৷ মিস্টার সান্যালকে বিশ্বাস নেই৷ মিডিয়ায় ফুটেজ খেতে ভদ্রলোকের জুড়ি মেলা ভার৷ হাসি-হাসি মুখে ছবি তুলে দাঁড়িয়ে পড়তে পারলে আর কিছু চান না৷ লগ্নজিতা চাইছে না, স্যাঙ্গুইন না, হওয়া পর্যন্ত কারো কানে এই কথাটা যাক৷ বাগুইআটিতে পারিজাতের মামার বাড়ি৷ তাই ও হেল্প করলে জগমোহন ভট্টাচার্যকে ইন্টারোগেট করতে পারবে৷ ভদ্রলোকের বয়েস প্রায় বাহাত্তর৷ অত্যন্ত মুডি লোক৷ কিন্তু অসম্ভব ক্ষুরধার স্মৃতিশক্তি৷ জগমোহনবাবুর অ্যাড্রেস ও যার কাছ থেকে পেয়েছে, সে সঙ্গে সাবধানবাণীও দিয়েছে, উনি যদি বলে দেন, আজকে কথা বলতে ভালো লাগছে না তো একটাও কথা বলানো যায় না ওঁকে৷ পারিজাতের মামাবাড়ির পাড়াতেই বাড়ি ওঁর৷ ফেলুদার সিধু জ্যাঠার মতো স্মরণশক্তি মানুষটার৷ স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন৷ ওঁর স্ত্রী-ও হেডমিস্ট্রেস ছিলেন৷ একমাত্র সন্তান বিদেশে প্রতিষ্ঠিত৷ কর্তা-গিন্নি অল্প বয়েস থেকেই দুস্থ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় সাহায্য করতেন৷ এখন নাকি কেউ যদি গিয়ে দাঁড়ায় আর বলে, ছেলে-মেয়েকে ভরতি করতে পারছে না তাহলে ওঁরা হেল্প করেন৷ লগ্নজিতার একটা তথ্যের দরকার৷ কিন্তু সেটা খুব গোপনে৷ ভাবনার মধ্যেই পারিজাত ফোন করে বলল, ‘ম্যাডাম, আপনি তো অভিষেক পান্ডের অফিসে যাবেন আজকে মিডিয়া বা প্রেস মিট করতে, তা-ই না? আমারও খুব ইচ্ছে, আমিও থাকি ওই সময়৷ কেসটা সলভ হয়ে যাওয়ায় বেশ গর্ব হচ্ছে, ম্যাডাম৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘হ্যাঁ, সে ঠিক আছে৷ কিন্তু আমার এখনও এই কেস সম্পর্কে একটা খটকা আছে, পারিজাত৷ ওটা ক্লিয়ার করতে চাই৷ সেজন্য তোমার হেল্প দরকার৷’

পারিজাত আপ্লুত গলায় বলল, ‘বলুন ম্যাডাম, কী করতে হবে? আজকে মিস্টার সান্যাল আর রুদ্রজ্যোতিস্যারও আলোচনা করছিলেন আপনার ট্যালেন্ট নিয়ে৷ এই মিশনে থাকতে পেরে নিজেরই খুব ভালো লাগছে, ম্যাডাম৷ লগ্নজিতা বুঝল পারিজাত বেশ ফেস্টিভ মুডে আছে৷ আর কাজ করার তেমন ইচ্ছে নেই এই মুহূর্তে৷ বরং রক্তিমাকে অ্যারেস্ট করার বিষয়টা সেলিব্রেট করতে চাইছে৷ লগ্নজিতা বলল, ‘তোমার মামাবাড়ি বাগুইআটি একবার নিয়ে যেতে পারবে? জগমোহনবাবুর সঙ্গে আমার একটু দরকার ছিল৷ শুনলাম উনি খুব মুডি মানুষ৷ সকলকে মিট করেন না৷ কিন্তু পারিজাত, এই কথাটা আমার আর তোমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে৷ আমি চাইছি না, এখুনি এই কথাটা তৃতীয় ব্যক্তির কানে যাক৷ পারিজাত বলল, ওহ জগুদাদু? তো আমার দাদুর বেস্ট ফ্রেন্ড৷ এখনও রোজ বিকেল হলেই আমার দাদুর সঙ্গে চা খেয়ে দাবা খেলেন৷ আমায় খুব স্নেহ করেন৷’

লগ্নজিতা বলল, ‘আমার পরিচয় দেবে তোমারর কলেজের সিনিয়র বলে৷’

পারিজাত বলল, ‘ও আপনি চিন্তা করবেন না ম্যাডাম৷ এটা খুবই সহজ কাজ৷ কখন ‘যাবেন, বিকেলে?’

লগ্নজিতা বলল, ‘হ্যাঁ, এই সাড়ে তিনটে নাগাদ বেরোই, চল৷’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *