ত্রিরত্নের নৌবিহার – ২

দুই

মানচিত্র খুলে আমরা পরিকল্পনা নিয়ে বসলাম। যাত্রা শুরু হবে পরের শনিবার কিংস্টন থেকে। হ্যারিস আর আমি চলে যাব সকালবেলায়, নৌকা নিয়ে এগিয়ে আসব চার্টসি পর্যন্ত। জর্জ বিকেলের আগে শহর থেকে বেরুতে পারবে না (সে প্রতিদিন এক ব্যাঙ্কে সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘুমাতে যায়, কেবল শনিবার ছাড়া, কারণ সেদিন ওরা ঠিক দুটো বাজতেই তাকে জাগিয়ে বের করে দেয়), সে চার্টসিতে আমাদের সাথে মিলিত হবে।

প্রশ্ন দাঁড়াল আমরা কোথায় রাত কাটাব, বাইরে তাঁবু খাটিয়ে, নাকি কোন হোটেলে?

জর্জ আর আমি বাইরে তাঁবুতে থাকার পক্ষে। আমরা যুক্তি দিলাম যে তাঁবুতে থাকলে একটা স্বাধীন মুক্ত ভাবের স্বাদ পাওয়া যাবে, যেমন পেত আমাদের আদিম পিতৃপুরুষেরা।

হ্যারিস বলে উঠল। বৃষ্টি হলে আমরা কি করব?’

এই হ্যারিসটাকে চাঙ্গা করা কখনও সম্ভব নয়। তার মধ্যে কবিত্বের ‘ক’-ও নেই, নেই অপ্রাপ্যকে পাওয়ার কোন আকুতি। সে কোনদিন কাঁদে না এবং কেন কাঁদে না তা-ও সে জানে না। হ্যারিসের চোখে যদি কখনও জল দেখা যায় তাহলে আপনি বাজী রেখে বলতে পারবেন যে সে নির্ঘাত কাঁচা পেঁয়াজ খাচ্ছিল, নয়তো চপে অতিমাত্রায় ঝাল মিশিয়ে ফেলেছিল।

হ্যারিসের সাথে রাতের বেলা সাগর তীরে দাঁড়িয়ে যদি বলেন, ‘এই শোনো, শোনো, শুনতে পাচ্ছ? তরঙ্গ-উত্তাল পানির অনেক অনেক গভীরে জলপরীরা গান, গাইছে, কিংবা বিষণ্ণ আত্মারা সাগরগুল্মে জড়ানো সাদা সাদা লাশগুলোর জন্যে শোকস্তব গাইছে?’

হ্যারিস তক্ষুণি আপনার হাতটা শক্ত করে ধরে বলবে, ‘আমি জানি দোস্ত তোমার কি হয়েছে। তুমি নিশ্চয়ই ঠাণ্ডা লাগিয়ে বসেছ। এখন চলো আমার সাথে। সামনের মোড়ের দিকে একটা জায়গা আমার জানা আছে। সেখানে এমন চমৎকার হুইস্কি পাবে যেমনটি তুমি আগে কখনও দেখোনি। ওটার দু’এক ঢোক পেটে পড়লেই তুমি ঠিক হয়ে যাবে।’

হ্যারিসের সব সময় জানা থাকে কাছাকাছি কোথায় পানীয় জাতীয় চমৎকার কিছু পাওয়া যাবে। আমার বিশ্বাস, স্বর্গেও (ওরকম কিছু সত্যি আছে বলে ধরে নিলে) যদি হ্যারিসের সাথে দেখা হয় তাহলে তক্ষুণি সে বলবে, ‘খুশি হলাম দোস্ত তুমি এসেছ বলে। এখানে—এই কাছেই একটা জায়গা আমি খুঁজে পেয়েছি। ওখানে তুমি চমৎকার অমৃত পাবে।’

বর্তমান ক্ষেত্রে, অর্থাৎ তাঁবু খাটিয়ে বাইরে থাকার ব্যাপারে তার বাস্তবমুখী অভিমত একটা অতি সময়োপযোগী ইঙ্গিতের কাজ করল। বৃষ্টির মধ্যে তাঁবুতে থাকা মোটেও সুখকর ব্যাপার নয়।

ধরুন সময়টা হলো বিকেলবেলা। বৃষ্টিতে ভিজে আপনারা জবজবে হয়ে গেছেন। নৌকার ভেতর ইঞ্চি দু’য়েক পানি জমেছে। জিনিসপত্র সবকিছু ভেজা ভেজা। কিনারে একটা জায়গা খুঁজে পেলেন যেখানে অন্য জায়গার মত অতটা পানি জমেনি। আপনারা নৌকা থেকে নেমে তাঁবুটা টেনে হিচড়ে তীরে ওঠালেন। দু’জন লেগে গেলেন ওটা খাটাতে।

ভিজে ভারি হয়ে গেছে তাঁবুটা। ছপছপ করছে। আছড়ে পড়ছে বার বার মাথার ওপর। মেজাজটা দিচ্ছে বিগড়ে। বৃষ্টি ঝরছে মুষলধারে, অবিরাম। তাঁবু খাটানো শুকনোর দিনেও যথেষ্ট কঠিন কাজ। বৃষ্টির দিনে ওটা হয়ে পড়ে দুঃসাধ্য। আপনার মনে হবে অন্য লোকটা আপনাকে সাহায্য করার বদলে স্রেফ ভাঁড়ামি করছে। যেই না আপনি নিজের দিকটা সুন্দর করে খাটালেন অমনি তার দিকটা থেকে হেঁচকা টান মেরে সে দিল সব লণ্ডভণ্ড করে।

আপনি চেঁচিয়ে উঠলেন ‘হেই, কি করছ তুমি? মতলব কি তোমার?’

‘তোমার মতলব কি? ছেড়ে দিতে পারো না?’ খেঁকিয়ে উঠল সেই লোকটা। আপনি চিৎকার করে বললেন, ‘টেনো না অমন করে। সব ওলটপালট করে দিচ্ছে বোকা গাধা কোথাকার!’

‘আমি কিছুই উল্টা-পাল্টা করিনি। তোমার দিকটা ছেড়ে দাও।’ পাল্টা জবাব তার।

‘আমি বলছি, তুমি সব কিছু গোলমাল করে দিচ্ছ, ভুলভাবে খাটাচ্ছ!’

গর্জে উঠলেন আপনি। ইচ্ছে হয় গিয়ে ওকে দু’ঘা লাগিয়ে দিতে। এরপর নিজের দিকের দড়ি ধরে আপনি আচমকা এমন জোরে টান মারলেন যে ওর দিককার খুঁটিগুলো সুদ্ধ উপড়ে গেল।

‘আহ্ ব্যাটা হাঁদারাম!’—শুনলেন বিড়বিড় করে বলছে ও। তারপর এমন এক হেঁচকা বর্বর টান এল ওর দিক থেকে যার ফলে আপনার দিকটা দড়িদড়াসহ চলে গেল ওর দিকে। তখন হাতের মুগুরটা ছুঁড়ে ফেলে আপনি গেলেন ওর দিকে গোটা ব্যাপারটা সম্পর্কে আপনার মনোভাবটা ব্যাখ্যা করতে এবং একই সাথে সে-ও এগিয়ে এল আপনার দিকে তার মতামত ব্যাখ্যা করতে। দু’জন দু’জনের পেছনে ঘুরে ঘুরে গালাগাল আর শাপ-শাপান্ত করতে থাকলেন যতক্ষণ না গোটা তাঁবুটা হুস করে ধসে পড়ল। তারপর সেই ধ্বংসস্তূপের দু’দিক থেকে বোকার মত পরস্পরের দিকে তাকিয়ে আপনারা একই সাথে বলে উঠলেন; ‘হলো তো? আমি বলেছিলাম না তোমাকে?’

এদিকে তৃতীয় জন, যে নৌকার পানি সেঁচে ফেলছিল এবং সেটা করতে গিয়ে যার জামার হাতার ভেতরে পানি ঢুকে গিয়েছিল এবং গত দশ মিনিট ধরে যে নিজেকে একটানা অভিশাপ দিচ্ছিল, সে জানতে চাইল, ‘তোমরা কি ঘণ্টাটা করছ এতক্ষণ ধরে…তাঁবুটা এখনও ওঠানো হয়নি কেন?’

শেষ পর্যন্ত কোন না কোনভাবে তাঁবুটা উঠল এবং জিনিসপত্রগুলো আপনারা তাঁবুর মধ্যে নিয়ে গেলেন। লাকড়ি ধরিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা বৃথা, তাই মেথিলেটেড স্পিরিটের স্টোভ ধরিয়ে তার চারপাশে গোল হয়ে বসলেন।

রাতে খেতে বসে দেখা গেল যে বৃষ্টির পানিই প্রধান খাদ্যবস্তু। রুটি হয়ে গেছে দুই তৃতীয়াংশ পানি, বীফ স্টেকেও প্রচুর পরিমাণে পানি, জ্যাম-মাখন—লবণ-কফিতে পানি মিশে একেবারে সুরুয়া।

খাওয়ার পর আপনারা দেখলেন যে তামাকও ভেজা, জ্বলে না। ভাগ্যিস আপনাদের কাছে এক বোতল সেই জিনিস ছিল। যা খেলে মনটা চাঙ্গা হয়, মাতাল হয়ে ওঠা যায়। পরিমাণ মত সেবনে ওটা মানুষকে জীবন সম্পর্কে যথেষ্ট আগ্রহী এবং বিছানায় গিয়ে ঢলে পড়তে প্রলুব্ধ করে।

বিছানায় শুয়ে আপনি স্বপ্ন দেখতে লাগলেন যে একটা হাতি হঠাৎ কোত্থেকে এসে আপনার বুকে চেপে বসেছে এবং একটা আগ্নেয়গিরি হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে আপনাকে সাগরতলে নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু হাতিটা তখনও বুকের ওপর ঘুমিয়ে আছে। ধড়মড় করে জেগে উঠলেন আপনি। উপলব্ধি করলেন যে ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটে গেছে। প্রথমে ভাবলেন -কেয়ামত। তারপর ভাবলেন, না কেয়ামত হতে পারে না, চোর বা খুনেরা চড়াও হয়েছে, নতুবা আগুন লেগেছে। এই উপলব্ধি আপনি ব্যক্ত করলেন চিরাচরিত পদ্ধতিতে—‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করে। কিন্তু কোন সাহায্য এল না। এবার আপনার মনে হলো যে হাজার হাজার লোক মিলে আপনাকে লাথি মারছে, শ্বাস বন্ধ করে মেরে ফেলতে চাইছে। আরও কে একজন যেন বিপদে পড়েছে বলে টের পাচ্ছেন আপনি। বিছানার তলা থেকে তার ক্ষীণ চিৎকার আপনার কানে আসছে। আপনি দৃঢ় সংকল্প নিলেন—ঘটনা যাই হোক না কেন জানটা অত সস্তায় বিকিয়ে দেবেন না। উন্মত্তভাবে লড়তে লাগলেন, হাত-পা ছুঁড়তে লাগলেন ডাইনে-বাঁয়ে এবং সাথে সাথে চেঁচাতে থাকলেন প্রাণপণে। শেষ পর্যন্ত এক সময় বুঝলেন কিছু একটা যেন সরে গেল এবং দেখলেন যে মাথাটা আপনার বেরিয়ে এল মুক্ত বাতাসে। আবছাভাবে লক্ষ করলেন যে মাত্র দুই ফুট দূরে এক আধা ন্যাংটা দুর্বৃত্ত ঘাপটি মেরে বসে আছে, অপেক্ষা করছে আপনাকে খুন করার মতলবে। আপনি তৈরি হতে লাগলেন তার সাথে জীবন মরণ লড়াইয়ের জন্যে, আর ঠিক তক্ষুণি আপনার খেয়াল হলো আরে, এ আমাদের জিম না?

সেই মুহূর্তে জিমও আপনাকে চিনতে পেরে বলে উঠল, ‘ওহো, এটা তুমি, তাই না?’

অতঃপর চোখ রগড়াতে রগড়াতে আপনি জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ আমি, কিন্তু হয়েছেটা কি?’

জিম বলল, ‘তাঁবুটা মনে হয় ধসে পড়েছে। কিন্তু আমাদের বিল গেল কোথায়?’ তখন আপনারা দুজনেই জোর গলায় ‘বিলকে’ ডাকতে লাগলেন। এতক্ষণে আপনাদের নিচেকার মাটি যেন ফুলে উঠে দুলতে লাগল এবং ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে একটা গোঙানির মত স্বর আপনাদের কানে এল ‘আমার মাথার ওপর থেকে নেমে যা, সরে বস না, চেপে আছিস কেন?’

বিল বেরিয়ে এল কষ্টেসৃষ্টে। সারা দেহে কাদা মাখা। বিধ্বস্ত চেহারা, মেজাজ বিনা কারণে মারমুখী। স্পষ্টত তার বিশ্বাস, এই যে গোটা কাণ্ডটা, এটা ঘটানো হয়েছে ইচ্ছে করেই। সকাল বেলায় আপনারা তিনজনই বাক্যহারা। রাতে বেজায় ঠাণ্ডা লাগার ফল। আপনাদের মেজাজও বেজায় রকম তিরিক্ষি। গোটা ব্রেকফাস্টের সময়টাতে পরস্পরকে ভাঙা গলায় ফিস ফিস করে গালাগালি দিয়ে গেলেন আপনারা।

সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে বৃষ্টিহীন সুন্দর রাতগুলোতে আমরা বাইরে তাঁবুতে থাকব এবং বৃষ্টি হলে বা একঘেয়েমি কাটাবার জন্য ইচ্ছা হলে ভদ্রজনোচিতভাবে হোটেলে, পান্থশালায় বা পানশালায় রাত কাটাব।

মণ্টমোরেন্সির এই আপসটা খুবই মনঃপুত হলো। রোমান্টিক নির্জনতায় সে আমোদ পায় না। সে মজা পায় গোলমালের মধ্যে এবং সেটা কিছুটা চাপা ধরনের হলে তার আরও মজা। মন্টমোরেন্সির দিকে তাকালে মনে হবে সে যেন এক স্বর্গীয় দেবদূত, ছোট্ট ফক্সটেরিয়ারের আকৃতিতে মানুষের অজ্ঞাত কোন কারণে তাকে এই ধরাধামে পাঠানো হয়েছে। তার চোখেমুখে ‘আহা কি পাপময় এই দুনিয়া, আহা একে উন্নততর ও মহত্তর করার জন্যে আমি যদি কিছু করতে পারতাম’ গোছের একটা অভিব্যক্তি রয়েছে। সেটা দেখে পবিত্রপ্রাণ ধার্মিক বুড়োবুড়িদের চোখে পানি জমতে দেখা যায়।

সে যখন প্রথম আমার খরচে পেট চালাতে এল, তখন আমি ভাবতে পারিনি যে ব্যাটা বেশিদিন টিকবে। কম্বলের ওপর বসে সে আমার দিকে চেয়ে থাকত। আমি এসে বসে তার দিকে তাকিয়ে ভাবতাম আহা, এই কুকুর বেশিদিন বাঁচবে না। শিগগিরই ওকে ধরে স্বর্গীয় রথে চাপিয়ে উজ্জ্বল আকাশে নিয়ে যাওয়া হবে। হ্যাঁ, এটাই ঘটবে ওর ভাগ্যে।

কিন্তু যখন আমি তার দ্বারা নিহত প্রায় ডজন খানেক মুরগীর ক্ষতিপূরণ দিলাম, রাস্তার মাঝখানে একশো চোদ্দটা লড়াই থেকে ঘাড়ের পেছনের চামড়া ধরে লম্ফন আর গর্জনরত অবস্থায় ওকে টেনে আনলাম, এক ক্রুদ্ধ মহিলা তাঁর মৃত বেড়ালী নিয়ে এলেন আমাকে দেখাতে এবং ‘খুনী’ বলে অভিহিত করলেন আমাকে, পাশের বাড়ির ভদ্রলোক যখন আমাকে ডেকে প্রথমে অভিযুক্ত করলেন একটা হিংস্র কুকুর ছেড়ে রাখার দায়ে এবং দ্বিতীয়ত কুকুরটি তাঁকে তাঁর যন্ত্রশালার মধ্যে আটকে রেখেছিল বলে —যার দরুন তিনি নাকি এই শীতের রাতে ভয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় দরজার বাইরে নাকটি পর্যন্ত বের করতে সাহস করেননি (তিনি আরও জানান যে মালিটা— আমি চিনিনে ও ব্যাটাকে নাকি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ইঁদুর মারার প্রতিযোগিতায় কুকুরটার ওপর বাজী রেখে তিরিশ শিলিং জিতেছে) তখন আমি ভাবতে লাগলাম যে স্বর্গের প্রভুরা হয়তো ওকে আরও কিছুদিন এ পৃথিবীতে রাখবেন।

যে কোন আস্তাবলের আশেপাশে ঘুর ঘুর করা, শহরের সব চাইতে নচ্ছার এক পাল কুকুর জুটিয়ে ওদের নেতা সেজে বস্তি এলাকাগুলোতে যাওয়া এবং আরেক দঙ্গল কুখ্যাত কুকুরের সাথে লড়াই করা এটাই হচ্ছে জীবন সম্পর্কে মণ্টমোরেন্সির ধারণা। এ জন্যেই, আমি আগেই বলেছি, সে পান্থশালা, পানশালা আর হোটেলে থাকার প্রস্তাবে জোর সমর্থন জানাল।

এইভাবে আমাদের চারজনের সন্তুষ্টি মত শোবার প্রশ্নটার ফয়সালা হয়ে যাবার পর আলোচনার আর একটি মাত্র বিষয় বাকি রইল। সেটা হলো আমরা কি কি জিনিস সঙ্গে নিয়ে যাব। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই হ্যারিস বলে উঠল যে এক রাতের জন্যে যথেষ্ট গলাবাজী সে করে ফেলেছে। তার প্রস্তাব হলো বাইরে গিয়ে একটু আমোদ ফূর্তি করা। মোড়ের কাছাকাছি একটা জায়গা সে আবিষ্কার করেছে, ওখানে চেখে দেখার যোগ্য খাঁটি আইরিশ মদ পাওয়া যায়।

জর্জ বলল—তার তেষ্টা পেয়েছে (জর্জের তেষ্টা যে কখন পায় না সেটা আমার জানা নেই)। আমার যেহেতু একটা পূর্ব ধারণাই রয়েছে যে একটুখানি হুইস্কি, উষ্ণ ও এক টুকরো লেবুযুক্ত, আমার অসুখের পক্ষে ভাল হবে, কাজেই আমাদের বিতর্কটা পরের রাতের জন্যে সর্বসম্মতিক্রমে মূলতবি রইল। যার যার টুপী মাথায় চাপিয়ে আমরা সদলে বেরিয়ে পড়লাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *