শ্রেষ্ঠ কবিতা – মহাদেব সাহা

এই গৃহ এই সন্ন্যাস
আজীবন একই চিঠি
তার বুকে আছে
কোনো বাস নেয় না আমাকে
বৈশাখে নিজস্ব সংবাদ
মানবিক বৃক্ষ
বন্ধুর জন্য বিজ্ঞাপন
রবীন্দ্রোত্তর আমারা কজন যুবা
সবাই মেলায় যায়
দুঃখ আছে কতো রকম
ফ্লাড
জলসত্র
জ্যাকুলিনের দ্বিতীয় বিবাহের পর
নিসর্গের খুন
শহরে, এই বৃষ্টিতে
আমার এ-ভয় অন্যরকম
তোমাকে ছাড়া
ফিরে দাও রাজবংশ
মানব এসেছি কাছে
স্পর্শ
বদলবাড়ি চেনা যায় না
স্বভাব
মানুষ
মাটি দে, মমতা দে
আমি কেন এ-রকম
কতো নতজানু হবো, দাঁতে ছোঁবো মাটি
তাই মিথ্যা বলা
দক্ষিণ সমুদ্রে যাবো
আমি তো তোমারই বশ
তখন সুবর্ণ হবে ঘাস
ভালোবাসা মরে গেছে গত গ্রীষ্মকালে
একটি ভ্রমর তার সাতটি পরান
মানব তোমার কাছে যেতে চাই
এসেছি অঘ্রানে এক আমি আগন্তুক
মানুষের মধ্যে কিছু অভিমান থাকে
চাই বিষ অমরতা
কিছুদিন শোকে ছিলাম, মোহে ছিলাম
শস্যযাত্রা
তাকেই বলি প্রকৃতি
যেতে যেতে অরণ্যকে বলি
আমার হাতে দুঃখ পাচ্ছো
ইচ্ছা করে, কেন ইচ্ছা করে
ইচ্ছাবৃষ্টি
এই সারাদিন
গোলাপের বংশে জন্ম
সুখীমৃত্যু
তুমি
সামান্য জল
যাও সঙ্গমে সৎকারে, প্রেমে
তিনি এক স্বপ্নচারী লোক
তোমরা কেমন আছো
পা কাঁপে আমি দ্বিধাগ্রস্ত
শব্দ
কী সুন্দর অন্ধ
শীতের সেবায় তবে সেরে উঠি
চিঠি দিও
দেশপ্রেম
স্মৃতি
কফিন কাহিনী
দৈন্য
পাখির শয়ন
আবুল হাসানের জন্য এলিজি
জাহাজের মতো
যদি কবিতা না লিখি
কিছুই দেয়ার নেই
মানুষই মহৎ শিল্প
মলয়ের মৃত্যুতে কয়েক পঙ্‌ক্তি
তোমার ব্যাকুলতাগুলি নিয়ে
মৃত্যুর প্রাচীন ভাষ্য
একেক সময় মানুষ এতো অসহায়
সবাই ফেরালে মুখ
তোমার পায়ের শব্দ
আমি কি বলতে পেরেছিলাম
তোমার জন্য
ফিরে আসা গ্রাম
আমার সোনার বাংলা
তোমার বাড়ি
একুশের কবিতা
তোমরা কি জানো
স্বপ্নপ্রোথিত সত্তা
নববর্ষের চিঠি
ধূলোমাটির মানুষ
সব তো আমারই স্বপ্ন
ভালোবাসা
কোথাও পাই না দেখা
কোথাও যাওয়ার তাড়া নেই
তোমার দূরত্ব
ভূদৃশ্যের বর্ণনা
অসুস্থতা আমার নির্জন শিল্প
তোমার বর্ণনা
এই ব্যর্থ আ-কার এ-কার
ভালো আছি বলি কিন্তু ভালো নেই
মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস
কোনো তরুণ প্রেমিকের প্রতি
আমার সমুদ্র দেখা, আমার পাহাড় দেখা
ভালোবাসা আমি তোমার জন্য
চৈত্রের চিঠি
জুঁইফুলের চেয়ে শাদা ভাতই অধিক সুন্দর
বেশিদিন থাকবো না আর
ফুল কই, শুধু অস্ত্রের উল্লাস
লেলিন, এইনাম উচ্চারিত হলে
একটা কোনো সুসংবাদ চাই
আফ্রিকা, তোমার দুঃখ বুঝি
স্বাধীন প্যালেস্টাইন তোমার জন্য এই কবিতা
তোমরা হয়তো পারো
এই কবিতাটি কোথায় পেয়েছি
নারীর মুখের যোগ্য শোভা নেই
ফুল কই, শুধু অস্ত্রের উল্লাস
মেঘ দেখার দুঃখ, গোলাপ দেখার ব্যাকুলতা
কী যেন বলতে চায় বন্দী স্বদেশ
লাজুক লিরিক
লিরিকগুচ্ছ ১
লিরিকগুচ্ছ ৩
লিরিকগুচ্ছ ৫
লিরিকগুচ্ছ ৭
লিরিকগুচ্ছ ৯
লিরিকগুচ্ছ ১১
লিরিকগুচ্ছ ১৩
লিরিকগুচ্ছ ১৭
লিরিকগুচ্ছ ২২
লিরিকগুচ্ছ ২৩
লিরিকগুচ্ছ ৩২
আমি ছিন্নভিন্ন
আমিও তো অটোগ্রাফ চাই
আমার সজল চোখ বুঝলে না
এই কবিতার জন্যে
কোনো ফুলের বাগান নেই
বড়ো সুসময় কখনো পাবো না
কবি ও কৃষ্ণচুড়া
তোমার হাতের জল
বাউল
গোলাপ, তোমার মর্ম
তোমার দুইটি হাতে পৃথিবীর মৌলিক কবিতা
আমি ছিন্নভিন্ন
মানুষ বড়ো ক্রন্দন জানে না
মানুষ বড়ো ক্রন্দন জানে না
এই চৈত্রে
একটি বিষণ্ন চিঠি, মাকে
মানুষ সহজে ভুলে যায়
আমার ফেলতে হবে আরো অশ্রুজল
ঘৃণার উত্তরে চাই ক্ষমা
আমার কণ্ঠ কেউ থামাতে পারবে না
আমার স্বপ্নের মধ্যে
পৃথিবী আমার খুব প্রিয়
মানুষের সাথে থাকো
আমি যখন বলি ভালোবাসি
পানুর জন্যে এলিজি
আমি চাই
তুমি যখন প্রশ্ন করো
প্রথম পয়ার
আলিঙ্গন
স্মৃতি
তোমার প্রেমিক
আমি ও যুদ্ধোত্তর মধ্যরাত্রি
তোমাকে ডাকার স্বাধীনতা
কোথা সেই প্রেম, কোথা সে বিদ্রোহ
পটভূমি পাল্টে যায়
কাছে আসো, সম্মুখে দাঁড়াও
মর্মমূল ছুঁয়ে যায়
একবার ভালোবেসে দেখো
আর কোনোদিন হইনি এমন মর্মাহত
কবিতা বাঁচে ভালোবাসায়
ছন্দরীতি
বর্ষার কবিতা, প্রেমের কবিতা
আমার আকাশ জুড়ে
কে চায় তোমাকে পেলে
যতো দুঃখ দেবে
বাঁচবে না কবির হৃদয়
অস্তমিত কালের গৌরব
তাহলে কি ঢেকে যাবে পৃথিবীর মুখ
টিভিতে লেনিনের মূর্তি অপসারনের দৃশ্য দেখে
এই জীবন
দয়ার্দ্র আঁচল
চিরকুট
অন্তরাল
অস্তমিত কালের গৌরব
আমূল বদলে দাও আমার জীবন
আমূল বদলে দাও আমার জীবন
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না
কাফফার বিমর্ষ পৃথিবী
ভুলে-ভরা আমার জীবন
নীতিশিক্ষা
আমার প্রেমিকা
একেবারে ডুবে যেতে চাই
শুধু এই কবিতার খাতা
তোমার সলজ্জ টেলিফোন
তুমি
তোমাকে দেখার পর থেকে
একা হয়ে যাও
একা হয়ে যাও
ষাটের দশক
দান
তারা আমাদের কেউ নয়
কেবল উন্মাদই পারে
আর কার কাছে পাবো
তোমার নিকটে
দুঃখীর জীবনে তুমি
হিংসা তার আদিগ্রন্থ
যদুবংশ ধ্বংসের আগে
যদুবংশ ধ্বংসের আগে
তোমাকে যাইনি ছেড়ে
তুমি চলে যাবে বলতেই
না-লেখা কবিতাগুলি
আমাকে কি ফেলে যেতে হবে
আকাশ কাঁদে, নদীটি নির্জন
চাই না কোথাও যেতে
কোথায় যাই, কার কাছে যাই
কোথায় যাই, কার কাছে যাই
এবার বর্ষার জলে
শুভাশিস, তোমাকে খুঁজছি আমি
এই শীতে আমি হই তোমার উদ্ভিদ
আমি কথা রাখতে পারিনি
একবার সেই দৈববাণী হোক
আমার ভেতরে যেন ফুটে উঠি
সুবর্ণ সেই আলোর রেখা
এই বয়সে বিশ্ববাউল
সুন্দরের হাতে আজ হাতকড়া, গোলাপের বিরুদ্ধে হুলিয়া
সুন্দরের হাতে আজ হাতকড়া, গোলাপের বিরুদ্ধে হুলিয়া
আমার জীবনী
উদ্ভিদ মানুষ
আমার কবিতার জন্যে
তুমি ও কবিতা
ফুটেছে ফুল, বিরহীতবু চাঁদ
এই জীবনে
মধুপুরে
আমি কেউ নই
কীভাবে তোদের বলি
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
এসো তুমি পুরাণের পাখি
কবিত্ব
জীবনের পাঠ
কবির কী চাওয়ার আছে
দেখতে চাই
কেউ কেউ
আমার জীবন
চাই পাখির স্বদেশ
মেঘের জামা
একলা আমি
কোথাও যাইনি আমি
আমার সবুজ গ্রাম
এ জীবন আমার নয়
বেঁচে আছি স্বপ্নমানুষ
বেঁচে আছি স্বপ্নমানুষ
মগ্নজীবন
মনে পড়ে
টুঙ্গিপাড়া
মুখের বদলে কোনো মুখোশ রাখবো না
মেঘের নদী
হৃদয়বোধ্য
প্রেমের কবিতা
বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই
egb-logo
Previous Topic
Next Topic

তোমার পায়ের শব্দ

শ্রেষ্ঠ কবিতা – মহাদেব সাহা তোমার পায়ের শব্দ
Lesson Content
0% Complete 0/9 Steps
আমি কি বলতে পেরেছিলাম
তোমার জন্য
ফিরে আসা গ্রাম
আমার সোনার বাংলা
তোমার বাড়ি
একুশের কবিতা
তোমরা কি জানো
স্বপ্নপ্রোথিত সত্তা
নববর্ষের চিঠি
Previous Topic
Back to Book
Next Topic

Leave a Comment Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Login
Accessing this book requires a login. Please enter your credentials below!

Continue with Google
Lost Your Password?
egb-logo
Register
Don't have an account? Register one!
Register an Account

Continue with Google

Registration confirmation will be emailed to you.