তৃতীয় পরিচ্ছেদ— আশ্চর্য বিজ্ঞাপন
প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়ের জার্নাল থেকে
হস্তে চিরকুট পাওয়া মাত্রে ইহা কাহার প্রেরিত বুঝিতে কিছুমাত্র বাকি রহিল না। নানাপ্রকার কার্য্যের গতিকে আজ কয়েক দিবস পর্য্যন্ত আমি বাসায় যাইতে পারি নাই; স্ত্রী ও পুত্রগণ কেমন আছে তাহারও কোনও সংবাদ লইতে সমর্থ হই নাই। এদিকে এই চিঠিকে অস্বীকার করি সে সাধ্য আমার কোথায়? একে আমরা পরাধীন, তাহাতে যে প্রকার কার্য্য করি, তাহাতে আমি পরাধীনের পরাধীন! এমনকি, অধিক কথা দূরে থাকুক, স্নান- আহার প্রভৃতিও স্বাধীনভাবে করিবার ক্ষমতা আমাদিগের অল্পই আছে। পত্র পাইবামাত্র বাসা যাইবার সমস্ত আশা পরিত্যাগ করিলাম। চার বৎসর পূর্বের সেই নৃশংস নাট্যের কুশীলবরা আবার ফিরিয়া আসিয়াছে। কিন্তু কেন? এ কী নূতন কোনও ভয়াবহ ঘটনার পূর্বাভাস? নাকি যে পাপের পরিসমাপ্তি হইয়া গেছে মনে করিয়া সুখে নিদ্রা যাইতেছিলাম, সেই দানব পুনরায় জাগ্রত হইয়াছে? ভাগ্যদেবীর এই অপরূপ খেলার অর্থ বুঝিবার সাধ্য আমার ন্যায় ক্ষুদ্র মনুষ্যের নাই।
আপন অদৃষ্টকে বারবার ধিক্কার দিয়া, অতি ধীরে সেই স্থান পরিত্যাগ করিয়া আমার ছোটো ঘরটির মধ্যে প্রবেশ করিলাম। আমার সখের ছড়িগাছটি- যাহা কালের গতিকে ক্রমে অলক্ষিতে ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়া এখন প্রায় অর্দ্ধহস্ত পরিমিত ছোটো হইয়া পড়িয়াছে, সেই ছড়িগাছটি হস্তে লইয়া নানা দুশ্চিন্তায় কয়েক ঘটিকা ব্যয় করা গেল।
বৈকাল হইতেই সূর্যের তাপ কিছুটা কমিয়া আসিলে পদব্রজেই ধীরে ধীরে ক্লাইভ স্ট্রিট অভিমুখে যাত্রা করিলাম। রাজপথের অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হইয়া পড়িতেছে। পশ্চিমদিকে প্রকাণ্ড, প্রায় ছয় ফুট পায়খানা, প্রশস্ত একখানি কাঁচা ড্রেন বা নৰ্দ্দামা। এই নৰ্দ্দামা দিয়াই বাটীগুলার পাকশালার জল বহিয়া যায়। এই জল, ময়লা প্রভৃতি মাটির সঙ্গে মিশিয়া যে অপূর্ব ভ্যাটভ্যাটে ও কীটসমাকুল আকার ও শ্রী ধারণ করে তাহা বর্তমান পাঠক কল্পনাচক্ষেই দেখিতে পারেন। এমন প্রবল গ্রীষ্মে প্রায়ই উহাতে কুকুর, গোরু ইত্যাদি মরিয়া পড়িয়া থাকে। তাহারা পচিয়া ফুলিয়া যে দুর্গন্ধ ছড়ায় সেই গন্ধের কথা স্মরণ করিলে আজও অন্নগ্রহণে রুচি চলিয়া যায়।
মনুষ্যের ফূর্তির তবু কমতি নাই। এরই মধ্যে কিছু সাহেব ও দেশী বাবুরা সুদৃশ্য ঘোড়া জুতিয়া পালকিগাড়ি বা আফিস ব্রাউনবেরি চাপিয়া দুর্গন্ধ বায়ুসেবনে নিষ্ক্রান্ত হইয়াছেন। চারদিক খোলা ঘোড়ায় টানা ট্রামগাড়িতে ঘর্মাক্ত কলেবর আফিসযাত্রীরা ঠাসাঠাসি হইয়া গৃহে ফিরিতেছেন। কিছু অধিক ধনীরা সুদৃশ্য ওয়েলার জুড়িয়া ল্যান্ডো ফিটন বা ওই প্রকার মাথাখোলা গাড়িতে ইডেন গার্ডেন অভিমুখে যাইতেছেন। বিলাতি ব্যান্ড বুঝুন বা নাই বুঝুন ইডেন গার্ডেনের ধারে গাড়ি রাখিয়া তাহাতেই সন্ধ্যার বাজনা শেষ না হওয়া অবধি বাবুরা বসিয়া থাকিবেন। গোরাদের ভয়ে ইঁহারা নামিতে সাহস করেন না। ধুতি চাদর পরিয়া গাড়ি হইতে নামিলেই গোরাদের হাতে ইঁহাদের যথেষ্ট লাঞ্ছিত হইতে হয়। মিথ্যা কহিব না, কিছু ইংরাজ স্টেবলও এই লাঞ্ছনায় সানন্দে অংশগ্রহণ করেন।
ক্লাইভ স্ট্রিটে পদার্পণ করতেই দেখিলাম রাস্তার উপর লোকে লোকারণ্য। তাহার ভিতরে প্রবেশ করে কাহার সাধ্য? ভিড় দেখিয়া সেই স্থানে একটু দাঁড়াইলাম, ও কী প্রকারে উহার ভিতরে প্রবেশ করিব, তাহা ভাবিতে লাগিলাম। মধ্যে মধ্যে পুরুষ কণ্ঠে ক্রন্দনের শব্দ ভাসিয়া আসিতেছিল। আমি সেই স্থানে প্রায় দুই মিনিট কাল দাঁড়াইয়া আছি, এমন সময় একটি চেনা মানুষ সেই ভিড়ের ভিতর হইতে বহির্গত হইয়া আমার নিকট আসিল। তারিণীচরণ। এই চার বৎসরে তাহার চেহারার কিছু পরিবর্তন হইয়াছে। সর্বাঙ্গে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। মুখ মলিন। গণ্ডদেশ শ্মশ্রুমণ্ডিত। কিন্তু চক্ষু দুইটি যেন পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল হইয়াছে। আমি উহার চক্ষু দেখিয়াই উহাকে চিনিতে পারিলাম।
তারিণী আমাকে দেখিয়া উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিল। আমি তারিণীকে জিজ্ঞাসা করিলাম–“তারিণী, ব্যাপার কী, বলো দেখি?”
তারিণী – “মহাশয়, বলিব আর কী! আজ চিৎপুর হইতে তিনজন কৃষক তরিতরকারি ও ফলাদি লইয়া এই পথে বিক্ৰয়ার্থ আসিয়াছিল। পথিমধ্যে দ্বিপ্রহরে বাবু রামচাঁদের বাটির সম্মুখে বিশ্রাম লইয়া এক্ষণে ফিরিয়া যাইবে, এমন সময় এক সাহেবের পালকিগাড়ির চক্রে একজন কৃষক পতিত হওয়াতে তাহার পদে সাংঘাতিক আঘাত লাগিয়াছে। তাহা দৃষ্ট করিয়াও সাহেব আপন কৌচমেনকে অতিবেগে গাড়ি চালাইতে আজ্ঞা প্রদান করিলেন। গরীব কৃষক সেই হইতে আঘাতী হইয়া ভূমে পতিত হইয়া ক্রন্দন করিতেছে। এক প্রহরী উপস্থিত আছেন বটে, কিন্তু
তিনি নালিশ নেওয়া দূর সেই কৃষককেই ধমক দিয়া বাটীর সম্মুখ হইতে সরিয়া যাইতে হুড়ো দিতেছেন।”
প্রহরী আমার পূর্বপরিচিত। বেহারী। নাম শিউপ্রসাদ সিং। তাহার নিকট হইতে একখানা সেলাম তো লাভ হইলই, উপরন্তু আমার আদেশে সে কৃষককে লইয়া পালকিতে বসাইয়া মেডিকেল কলেজের উদ্দেশে রওনা দিল। পালকির রাহাখরচ আমিই দিলাম। তারিণী আমাকে আপ্যায়ন করিয়া নিজের অফিসে লইয়া গেল। এই অফিসে শেষবার আসিয়াছিলাম চারি বৎসর পূর্বে সাইগারসন সাহেবের সহিত। ঢুকিয়া দেখি তারিণীর চেয়ারে উপবিষ্ট হইয়া, টেবিলে মুখ গুঁজিয়া এক অপরিচিত যুবক কিছু লিখিতেছে। এই কাজে সে এতই ব্যস্ত যে আমাদের আসিবার শব্দ অবধি তাহার কর্ণগোচর হয় নাই। তারিণী তাহার নাম ধরিয়া ডাকিতে সে ধড়মড় করিয়া উঠিয়া সংকুচিত হইয়া দাঁড়াইল।
তারিণী— “মহাশয়। ইহাকে আপনি চিনিবেন না। আমার ন্যায় চুঁচুড়া হইতে ভাগ্য অন্বেষণে কলিকাতায় আসিয়াছে। ইহার নাম শ্রী শৈলচরণ সান্যাল। চমৎকার লেখার হাত। নাট্যকার হইবার বাসনায় ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের নিমিত্ত পূর্বে বিভিন্ন থিয়েটারে বেনামে নাটক লিখিয়াছে। এদানি এক বৎসরকাল আমার নিকটেই অবস্থান করিতেছে।”
যুবকটি আমায় প্রণাম করিয়া সসংকোচে ঘরের এক কোণে মাথা নিচু করিয়া দণ্ডায়মান ছিল। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম— “কী লিখিতেছি এত মনোযোগ দিয়া?”
যুবকটি ক্ষীণ কণ্ঠে কী বলিল শুনিতে পাইলাম না। এই যুবকের চেহারাতেও দারিদ্র্যের মসী লিপ্ত। সুন্দর কোমল মুখশ্রী, শ্মশ্রুগুম্ফহীন মুখমণ্ডল, দীর্ঘ কেশ গ্রীবা ছাড়াইয়া স্কন্ধে আশ্রয় লইয়াছে। কণ্ঠস্বর মহিলার ন্যায়। মনে মনে ভাবিলাম নাটকের উপযুক্তই বটে। তবে নাট্যকারের নয়, নায়িকার।
উত্তর তারিণীই দিল— “মহাশয়, কী বলিব, কলিকাতা শহরে এদানি প্রাইভেট ডিটেকটিভ হইতে নাট্যকার সকলেরই বড়ো দুর্দশা। ক্ষুন্নিবৃত্তি করিতে অবসরে হ্যান্ডবিল ও বিজ্ঞাপনের কাপি লিখিতে হয়।”
আমি— “কীসের বিজ্ঞাপন?”
তারিণী— “মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটে ‘মহৎ আয়ুর্বেদীয় ঔষধালয়’ নাম্নী এক ঔষধের দোকান
রহিয়াছে। পেটেন্ট ঔষধের বিজ্ঞাপন পুস্তিকা ও পঞ্জিকায় প্রকাশিত হয়। সচিত্র। সেই বিজ্ঞাপনের কাপি শৈল লিখে। আমি সঙ্গে দুই তিন ছত্র কবিতা রচনা করিয়া দেই। এই দেখুন”, বলিয়া তারিণী একটি পাতলা কাগজের টুকরা আমার হাতে তুলিয়া দিল। কাগজে এক আলুলায়িতা কেশের রমণী। তাহার পরনের পুষ্পবস্ত্র স্খলিত, ফলে পীনোন্নত বক্ষদ্বয় উন্মুক্ত হইয়া আছে।
সঙ্গে লেখা—
ইগনোর করিবেন না।
যুবতীর অহঙ্কার। টাইট ব্রেস্ট। আনমিত স্তনভার। দৃঢ় ও উন্নত স্তনই রমণীর সৌন্দর্য্য সেই সৌন্দর্য্য যাহাদের নষ্ট হইয়াছে তাঁহারা ঋতুকালে এক এক ঔষধ লইয়া সন্ধ্যায় দুই স্তনে তিনবার করিয়া পাঁচদিন মাত্র ব্যবহার করিলে শিথিল ও পতিত স্তন ঘট-সদৃশ উন্নত ও সুশ্রী হইবে। ইহা মালিশ করিতেও হয় না। কেবলমাত্র অঙ্গুলি দ্বারা স্তনের বৃত্ত ও চারিপার্শ্বে অল্প পরিমাণে পাতলা করিয়া মাখাইয়া দিতে হয়। কাপড় জামা বা সেমিজে দাগ লাগে না। মাসে আটদিনের অধিক ব্যবহারও করিতে হইবে না। মূল্য শিশি বারো আনা এক পাই। ইহার পরেই এক দীর্ঘ কবিতা, যাহার শুরু এই প্রকার—
যুবতীর যাহা কিছু দর্প অহঙ্কার
আনমিত স্তনভার সৌন্দর্য্য-ভাণ্ডার
এ সম্পদ নাহি যার নাহি কিছু তার
যুগল শ্রীফল-বক্ষ নারীর বাহার।
পড়িয়া মন বিষাইয়া উঠিল। তারিণীর ন্যায় বুদ্ধিমান যুবকের এই দুরবস্থা দেখিয়া মনে মনে নিজেকেই ধিক্কার প্রদান করিলাম। চারি বৎসর পূর্বে সাইগারসন সাহেব চলিয়া যাইবার পরে একবারও কি উহার খবর লইয়াছি? জানিতে চাহিয়াছি কীভাবে সে গ্রাসাচ্ছাদন করে? এ কথা তো অস্বীকার করিবার উপায় নাই, সে না থাকিলে চিনাপাড়ার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের সাধ্য আমাদিগের ছিল না। হায় রে মনুষ্যচরিত্র! হায় রে ক্ষুদ্র লোভ! আজ যাহাকে প্রাণপ্রিয় বলিয়া গ্রহণ করি আগামী কল্যই তাহাকে নিশ্চিন্তে পরিত্যাগ করিতে একবারও হৃদয় কাঁপে না। আমার চক্ষে জল আসিল। তারিণী বুঝিতে পারিয়া বলিল, “আসলে এই সমস্ত করিতে আমাদিগের বিন্দুমাত্র হীনবোধ হয় না। আমার কাব্যপ্রীতির কথা তো আপনার অবিদিত নাই! আমি সানন্দেই ইহা করিয়া থাকি। এখন মহাশয় আপনি বলুন, কী উদ্দেশ্যে আজ এই কুটিরে আপনার পদার্পণ ঘটিল?”
পকেট হইতে চিরকুটখানি বাহির করিয়া তারিণীর হস্তে প্রদান করিলাম। পত্র পড়িয়া তারিণীর চক্ষু উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। বলিল, “সাইগারসন সাহেব পুনরায় আসিয়াছেন! ইহা হইতে সুখকর সংবাদ আর কী-ই বা হইতে পারে! আমার আদি বাসস্থান চুঁচুড়ায়। ফলে কোনও সমস্যা নাই। আপনি আগামী কল্য প্রভাতে আমার আপিসে আসিবেন। দুইজন একত্রে রেলযোগে যাত্রা করা যাইবে। এই পত্র আপাতত আমার নিকটেই রহিল। তবে এক্ষণে আমায় ক্ষমা করিবেন। কিছু হ্যান্ডবিল মুদ্রিত অবস্থায় আমার কাছে পড়িয়া রহিয়াছে। এগুলা যত শীঘ্র হউক আমাকে প্রাপকের কাছে পৌঁছাইয়া দিতে হইবে। সঙ্গে শৈল বলিল এই বিজ্ঞাপনের একটি কাপিও দিতে।”
আমি— “কীসের হ্যান্ডবিল?”
তারিণী—”গণপতির জাদু আর ছায়াবাজির”, বলিয়া আর-একটি পাতলা লাল কাগজের হ্যান্ডবিল টেবিল হইতে উঠাইয়া আমায় হস্তান্তরিত করিল। তাহাতে মুদ্রিত—
ভৌতিক জাদুবিদ্যা এবং অদ্ভুত ছায়াবাজি
চিৎপুর রোডের সিন্দুরিয়াপটি নামক স্থাননিবাসী শ্রীযুত বাবু লালমোহন মল্লিক মহাশয়ের বাটিতে আগামী কল্য ১৩ মে, বুধবার সায়াহ্ন হইতে ১৭ মে, রবিবার পাঁচ দিবস ক্রমে ঠিক অষ্টম ঘটিকার পর অপূর্ব ভৌতিক জাদুবিদ্যা ও অদ্ভুত ছায়াবাজি অনুষ্ঠিত হইবে। হিমালয়ের গুরু হইতে জাদুবিদ্যা শিক্ষা করিয়া মধ্যে জাদুকর গণপতি চক্রবর্তী মঞ্চে নানাবিধ খেলা দেখাইবেন। তাঁহার বিখ্যাত হাতসাফাই, কংসের কারাগার ও বন্ধনমুক্তির খেলা বিদ্যমান। ইহা ব্যতীত এই প্রথমবার তিনি মঞ্চে ভূত নামাইবেন। সে ভূতের কীর্তিকলাপ দেখিয়া চমকিত হইবেন না, এমন মানুষ পৃথিবীতে জন্মান নাই। ভূত কথা বলিবে, প্রশ্নের জবাব দিবে, এমনকি ধূম্রপানও করিবে। বিলাতে দেবেনপোর্ট সাহেবগণ ব্যতীত এই দেশে এমন জাদু আর কেহ দেখাইতে সক্ষম হন নাই। ইহার অব্যবহিত পূর্বেই আকসি হাইড্রোজেন যন্ত্র দ্বারা হীরকের হইবেক। এই আলোর ন্যায় প্রবল আলো ও ছবি সন্দর্শিত আশ্চর্য গুণ দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইবেনই। লণ্ঠনের ক্ষুদ্রাকৃতি ছবি আলোকমধ্যে বৃহৎ আকারে দেখিতে পাওয়া যাইবে। স্বয়ং নিউলেন্ড সাহেব এই কল বানাইয়াছেন। তাঁহার যোগ্য শ্রীযুত এইচ.এল. সেন মহাশয় জনমধ্যে আনন্দ জন্মাওনার্থ এই মনোরম ছায়াবাজি প্রদর্শন করিবেন। টিকিটের মূল্য ১ টাকা। বাটির দ্বারে টিকিট পাওয়া যাইবে। অতি সত্ত্বর আপনাপন টিকিট বুক করিয়া লউন! আসন সীমিত।
মুদ্রক—শ্রীবিনোদবিহারী দত্ত, ২৫৬ আপার চিৎপুর রোড, রাজবল্লভ মোড়, পোঃ- বাগবাজার, কলিকাতা।
আমি আর অধিক বাক্যব্যয় না করিয়া, হ্যান্ডবিল ও বিজ্ঞাপন হস্তে লইয়া আপন গৃহে প্রত্যাগমন করিলাম।