জেরুসালেমের গোড়ার কথা
মসজিদে আকসা সম্পর্কে জানতে হলে, আগে জেরুসালেম সম্পর্কে জানতে হবে। খৃস্টপূর্ব ৩ হাজার সালে আরবের ইয়াবুসী গোত্রের শাসক মালিক সাদেক জেরুসালেম শহর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেন এবং শহরটির ভিত্তি স্থাপন করেন। এটাই তাদের দেশের প্রধান কেন্দ্র ও রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইয়াবুসী গোত্রের লোকদেরকে কেনানী আরবও বলা হয়। ইয়াবুসী সম্প্রদায়ের লোকেরা শহরে বহু বাড়ী-ঘর নির্মাণ করে। তারা সাহ্ইউন’ পাহাড়ের উপর শহরের প্রতিরক্ষার জন্য একটি দুর্গ তৈরি করে। দুর্গটি প্রধানত হিব্রু ও মিসরীয়সহ অন্যান্য অত্যাচারী এবং লুণ্ঠনকারীদের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়। তারা ১ ৫৫ ০ খৃস্টপূর্ব সালে হিব্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মিসরের প্রথম ফেরআউন তাহতামেসের সাথে মৈত্রীচুক্তি করে। প্রায় ২ হাজার বছর পর্যন্ত তাদের হাতে শহরের নিয়ন্ত্রণ থাকে। খৃস্টপূর্ব ১১ সাল পর্যন্ত তারা শহরের উপর কর্তৃত্ব করে। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর ইন্তিকালের পর বনি ইসরাইল হযরত ইউশা বিন নূনের নেতৃত্বে জেরুসালেমে প্রবেশ করে। ৩২২ খৃস্টপূর্ব সালে আলেকজান্ডার মাকদুনীর হাতে পরাজয় বরণ করার পর জেরুসালেমে বনি ইসরাইলের কর্তৃত্বের অবসান হয়। যাই হোক, ইয়াবুসী শাসনামলে জেরুসালেমসহ সিরিয়া ও ইরাকব্যাপী যে সভ্যতা বিরাজ করে তাকে আবিলা সভ্যতা বলা হয়। বিজ্ঞানীরা মাটি খনন করে সেই যুগের বহু আরবী লেখার নিদর্শন উদ্ধার করেন। ১৯২৯ – ৩১ খৃঃ, ফরাসী বিজ্ঞানীরা রাস-ােমরা নামক স্থানে খনন করে আরবী লেখা সমৃদ্ধ আবিলা সংস্কৃতির বহু পাথর উদ্ধার করেছেন। ইয়াবুসীরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী সংস্কৃতি চালু করে। তারা আল্লাহর নৈকট্যের জন্য রুটি পেশ করত। ঐ আমলে শহরে পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন কূপ থেকে সরু খাল কেটে পানির ঝর্না প্রবাহিত করা হয়।
.