কল্পনা চাকমার স্মৃতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ – কবিতা চাকমা
আজ ১২ জুন পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়া হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের চতুর্থ বার্ষিকী। কল্পনাকে নিয়ে এ সময়ে আমার মনে পড়ছে নানা কথা। সেদিন ১৯৯৩ সাল ১৬ মার্চ। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানায় আমাদের পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে প্রথম বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বাঘাইছড়ি কলেজ মাঠে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। সেখানে আমিও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলাম। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর সেখানকার নারীদের নিয়ে মত বিনিময় সভা হয়। জোৎস্না চাকমা, সুমিতা চাকমা, কল্পনা চাকমাসহ বেশ কয়েকজনের সাথে পরিচয় হলো। আমি হিল উইমেন্স ফেডারেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং আমরা কি কি কাজ করছি তা ব্যক্ত করলাম। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের থেকেও বক্তব্য আসলো- পাহাড়ি (জুম্ম) জাতিসত্ত্বার অস্তিত্ত্ব রক্ষার আন্দোলনে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা থাকা জরুরি। তাছাড়া বিভিন্ন জিজ্ঞাসা, সমস্যার কথা উঠে এসেছে এবং কিভাবে কাজ করা যায় তাও আলোচনায় আসলো। আমি সেখানে দেখেছি কল্পনার অদম্য উৎসাহ, আগ্রহ তার চোখে ফুঠে উঠেছে, সেই সাথে অন্যদেরও। তারা আগ্রহ প্রকাশ করাতে কল্পনাকে আহবায়ক রেখে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট হিল উইমেন্স ফেডারেশনের আহ্বায়ক কমিটি করে দেই। সেই থেকে কল্পনার এগিয়ে আসা. বিভিন্ন প্রশ্ন করে নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং বাঘাইছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কর্মতৎপরতা বাড়িয়ে দেওয়া, বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাংগঠনিক সফর দেওয়া, নারীদের বুঝানো, আন্দোলনের পথে সচেতন করে তোলা, এমনই দুর্বার ভূমিকা ছিলো তার। ফলে সেখানে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের স্কুল ও কলেজ শাখা কমিটি করে দিয়ে দুই/ তিন মাস যেতেই বাঘাইছড়িতে বিরাট সমাবেশ আকারে ২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। সেখানে কল্পনাকে সভানেত্রী এবং জ্যোৎস্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কল্পনাকে বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক সফর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি আমরা হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও সম্মেলন আয়োজন করি খাগড়াছড়ি জেলা সদর টাউন হলে। সেখানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান-এ তিন পার্বত্য জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধি ও শুভাকাঙ্ক্ষি আসে। সম্মেলনে দু’হাজারেরও বেশী পাহাড়ি নারী পুরুষের সমাবেশ ঘটে। তবে এদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশী ছিলো। বাঘাইছড়ি থেকে কল্পনার নেতৃত্বে পাঁচ/ছয়’শ নারী কর্মী ও সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষি আসে। উদ্বোধন ও র্যালী হওয়ার পর আয়োজিত সম্মেলনে কল্পনা প্রতিবাদী বক্তব্য রাখে। তার ঐ প্রতিবাদী বক্তব্য শুনে সমাবেশে আগত নারী ও পুরুষ জোরালো করতালির মধ্য দিয়ে সমর্থন জানায় এবং আমিও বুঝতে পেরেছিলাম কল্পনার চেতনায় সংগঠন করার অদম্য ইচ্ছা, মেধা ও প্রতিভা কতটুকু ছিলো। এই সম্মেলনে কল্পনাকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় কল্পনার বক্তব্য শুনে জনগণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন, সাড়া জাগিয়েছে নানা বয়সের জুম্ম সহজ সরল নারী পুরুষদের, উদ্বুদ্ধ করেছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের এতদূর এগিয়ে আসার পেছনে কল্পনার অবদান অনেকখানি। আদর্শিক লড়াই এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই সে নেতৃত্ব দিয়েছে। অন্যদিকে সামরিক, বেসামরিক ও সামাজিক নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং নারী মুক্তির জন্য জোরালোভাবে সোচ্চার ছিলো কল্পনা, সে যেই হোক নির্যাতনকারী। ১৯৯৬ সালে ‘ভোরের কাগজে’ তার ডায়েরির কিছু অংশ প্রকাশিত হয়, যেগুলো তার এই চিন্তারই সাক্ষী। পরিচয় হওয়ার পর থেকেই কল্পনার সাথে আমার বিভিন্নভাবে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা ছিলো। সাংগঠনিক বিষয়ে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ ছিলো আমাদের। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বেলায় সে আমার কাছে পরামর্শ চাইতো। সংগঠনের প্রয়োজনে ওর সাথে আমার মাঝে মাঝে দেখাও হতো।
১৯৯৬ সালে ফেব্রুয়ারী কি মার্চ মাস হবে, খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী গুটিকয়েক বখাটে পাহাড়ি যুবকদের নিয়ে “মুখোশ বাহিনী” তৈরী করে। যারা পাহাড়ে মুখোশ হিসেবে পরিচিত ছিলো। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য সে সময় ঐ মাস্তান বাহিনী আমার নামে বিভিন্ন কুৎসা রটিয়ে খাগড়াছড়ি সদরে পোস্টার করে। সে সময় খাগড়াছড়িতে এসেই কল্পনা এসব পোস্টার দেখে। তারপর সে আমার বাসায় এসে এসব বিষয়ে আমাকে সান্তনা দেয়, মানসিক শক্তি যোগায়।
কল্পনা খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইছড়িতে নিজের বাড়ি নিউ লাল্যাঘোনায় চলে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ১১ জুন দিবাগত রাত্রে উগলছড়ি আর্মি ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ফেরদৌস তার সহযোগীদের নিয়ে কল্পনা চাকমাকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তার দুই ভাইকেও ধরে নিয়ে যায়। ঐ সময় টর্চ লাইটের আলোতে স্পষ্টভাবে লেফট্যানেন্ট ফেরদৌসকে তারা চিনে ফেলে। অপহরণকারীরা দুই ভাইয়ের দিকে গুলি ছোড়ে। সেই থেকে কল্পনার পরিবারকে এখনও সামরিক-বেসামরিক নানা রকম মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কল্পনার মা বাঁধুনি চাকমা মেয়ের শোকে পাথর হয়ে, বুক ভরা যন্ত্রণা নিয়ে গত বছর অগাস্ট মাসে মারা যান। প্রত্যক্ষ সাক্ষী প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের ধরা হচ্ছে না। উপরন্তু শোনা যায় লেফট্যানেন্ট ফেরদৌসকে পদোন্নতি দিয়ে ঐ ক্যাম্প থেকে বদলি করা হয়েছে। প্রশ্ন জাগে। আমরা কোন রাষ্ট্রে বসবাস করছি? যেখানে নিজ বাড়িতে থাকার পর্যন্ত নিরাপত্তা নেই। কল্পনাকে এমন দিনে অপহরণ করা হয়েছে যেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের দিন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান। আমরা তার কাছে আশা করেছিলাম এর সুষ্ঠু বিচার হবে এবং কল্পনাকে ফিরে পাবো। আমরা বিচারপতি হাবিবুর রহমানের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন পাহাড়ী গণ পরিষদ, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন সাক্ষাতও করেছিলাম। তিনি সুবিচারের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু হয়নি! এমনকি কল্পনা অপহরণের পর স্থানীয় জনগণ বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে বিচার দাবী করতে গেলেও পুলিশের গুলিতে স্কুল ছাত্র রূপন চাকমা শহীদ হয় এবং সমর, সুকেশ, মনোতোষ চাকমা দুর্বৃত্তের হাতে গুম হন। শুধু তাই নয় কল্পনা অপহরণের নির্দিষ্ট আসামীর বিরুদ্ধেও পুলিশ কোন মামলা গ্রহণ করেনি। বরং তার দুই ভাই ও পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানী করতে থাকে। তাই প্রশ্ন জাগে, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কোথায় বাস করে? পাহাড়ীদের জন্য কি কোন গণতন্ত্র নেই? নিজভূমিতে কি তারা পরবাসী? বর্তমান ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার “গণতান্ত্রিক সরকার” একই রকমভাবে কল্পনা চাকমা উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোন তৎপরতা দেখাননি। যদিও তারা একজন বিচারপতি নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলো। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তিনটি জেলার তিনজন পাহাড়ি সংসদ সদস্য প্রতিনিধি থাকলেও তারা দলীয় স্বার্থের কারণে কল্পনাকে উদ্ধারের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেন নি। আরও বিস্ময়কর যে “দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী” কল্পনা চাকমাকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট ছড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরুষ্কার ঘোষণা করেছিলো, যেন ঠাকুর ঘরে কে, আমি কলা খাই না-এর মত অবস্থা!
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের সাথে জনসংহতি সমিতি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর আগে জনসংহতি সমিতি বিভিন্ন বিষয়ে বিবৃতি দিলেও কল্পনা অপহরণের বিষয়ে তারা কোন বক্তব্য দেয়নি। এমনকি ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা কল্পনা অপহরণের বিষয়টিকে ‘বিতর্কিত’ বিষয় বলে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন, যা পাহাড়িদের বিস্মিত করেছে। কল্পনা অপহরণের পর আমরা দেশের বিভিন্ন এনজিও, নারী সংগঠনগুলোর সর্বাত্মক সহযোগীতা পেয়েছি। কিন্তু কল্পনা অপহরণের এক বছর যেতে না যেতেই আমরা তাদের কাছ থেকে সত্যিকার অর্থে সে রকম সহযোগীতা আর পাইনি। এমনকি কল্পনা অপহরণের বিচারের সংগ্রাম তাদের দিক থেকেও স্তিমিত হয়ে পড়েছে। অথচ আমরা চেয়েছিলাম সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে এবং কল্পনাকে উদ্ধার করতে।
এই সমস্ত প্রেক্ষাপটের কারণে আজকে ভাবতে হচ্ছে—পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীদের অবস্থান কোথায়? পাহাড়ি নারীদের কি শুধুই অবহেলিত, নির্যাতিত, ধর্ষিত, অপহরণের শিকার হতে হবে? পাহাড়ি জনগণের ভাগ্য কি শুধুই গণহত্যা, নিপীড়ন, দেশত্যাগের মধ্যে নিহিত? এ সবের কি কোন প্রতিকার নেই? দেশে কি কোন ন্যায় বিচার ব্যবস্থা নেই? পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ পার্বত্য চুক্তি হয়েছে। সরকার ও জনসংহতি সমিতি দেশ বিদেশে বলে বেড়াচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বিরাজ করছে। কিন্তু আদতেই তা কতটুকু বিরাজ করছে তা বর্তমানের খবরের কাগজ খুললে দেখা যায়। এখনও সামরিক বাহিনী দ্বারা পাহাড়ি খুন হয়, যেমন—১৬ই অক্টোবর দীঘিনালার বাবুছড়া বাজারে সামরিক কর্মকর্তা দ্বারা একজন পাহাড়ি নারীকে যৌন হয়রানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও হয়। পাহাড়ি জনগণের উপর নির্যাতনের ছাপ দেখা যায়। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের নেতৃত্বে তিন সংগঠন পাহাড়ী গণ পরিষদ, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতা কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় হয়রানীও করা হয়। এসব নিপীড়ন আছে বলেই লেফট্যানেন্ট ফেরদৌস বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়। তার পদোন্নতি হয়। সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বাড়তে থাকে। তবুও পার্বত্য জনগণ হতাশ নয়, অচিরেই এই সমস্ত ষড়যন্ত্র, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরদ্ধ তারা রুখে দাঁড়াবেই। কল্পনা হারিয়ে যেতে পারে কিন্তু হাজার হাজার কল্পনা আজও রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃত্বে হারিয়ে যাওয়া কল্পনার চিন্তা চেতনা বিকশিত হবে। কল্পনার স্বপ্ন ছিলো, “আমাদের জানা আছে সমাজের নিপীড়িত শ্রেণী ও জনগণের মুক্তি ব্যতীত পৃথকভাবে নারী জাতির মুক্তি হতে পারে না, শোষিত কোন জাতি যেমন অন্য একটি জাতিকে অধিকার দিতে পারে না তেমনি দিতে পারে না জীবনের নিরাপত্তা। কাজেই বোনেরা জাতীয় আন্দোলনের কাজ সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিয়ে নারীদের সম-অধিকারের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা আমাদের অস্বীকার করবার নয়। এই লক্ষ্যে আমাদের হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সংগ্রাম শুধু রাজনৈতিক নয়, সেই সাথে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে পুরুষ আধিপত্যের নিপীড়নের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম (হিল উইমেন্স ফেডারেশন সংগৃহীত কল্পনা চাকমার ডায়েরি হতে উদ্ধৃত)।” আজ কল্পনা অপহরণ দিবসে অপহরণের চার বছর পরে দেশের মানবতাবাদী, প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন, নারী সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিকদসহ সর্বস্তরের মানুষকে কল্পনা অপহরণের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কল্পনাকে উদ্ধারের সংগ্রামে সামিল হওয়ার আহবান জানাই।
সভানেত্রী
কেন্দ্রীয় কমিটি
হিল উইমেন্স ফেডারেশন
ভোরের কাগজ : ১২ জুন ২০০০