সাত – বিমল
—”উম?”
—”কই, কিছু না তো?”
—”আমাকে ডাকলে? বিম?”
—”কই, ডাকিনি তো?”
—”মনে হলো ডাকলে।”
—”বই পড়ছি। কোনও শব্দ করিনি তো?”
—”আমি মাঝে মাঝেই কানের মধ্যে তোমার ডাক শুনতে পাই। আমার ভিতর থেকে সাড়া আসে, বিম।”
বলেই উঠে এসে জড়িয়ে ধরতো, বুকে মুখ ঘষতো। এইরকমভাবেই কথা বলতো কেতকী। এই মেয়েকে মেমসাহেব বানিয়েছিলেন ওর বাবা, অবহেলায়, অবহেলায়।
—”আচ্ছা বিম একটা কথা বলব?”
—”বলো সোনা।”
—”তোমার মা তোমাকে ভালোবাসতেন?”
—’আমরা তো অনেকগুলি ভাইবোন, মা’র অত সময় হতো না। সংসারের অনেক কাজ থাকত।”
—”সময় হতো না মানে? ভালোবাসবার সময় হতো না?”
—”না, না, ভালোবাসা প্রকাশ করার কথা বলছি। বাংলায় কেউ এদেশের মতো আই লাভ ইউ বেবি বলে না নিজের সন্তানদের। আমার মা তো গ্রামের মেয়ে, শহরের মাও বলে না।”
—”আমার প্রশ্নটা ছিল মা কি তোমাকে ভালোবাসতেন? তিনি মুখে ভালোবাসা দেখাতেন কিনা সেটা তো জানতে চাইনি।”
—”তা বাসতেন বৈকি—মা আমাদের খুব স্নেহময়ী। খুব ভালোবাসতেন আমাদের।”
—”সেইটে বলো। কেমন করে বুঝতে পারো?”
—”বাঃ, মা ভালোবাসে কিনা বুঝব না? যেমন করে সবাই বোঝে—কাজে, কথায়, স্পর্শে, চাউনিতে। মা’র ভালোবাসা বুঝব না? এ জিনিস কখনো বলে দিতে হয়?’
—”আমিও বোঝাতে পারবো তো আমার মেয়েকে? দ্যাট আই লাভ হার? নো ম্যাটার হাউ ইররেসপনসিবল আই মে হ্যাভ বিন?”
—”পাগলী, এইসব ভাবছো বুঝি? তুমি তো এমনকি লালমাছগুলোকেও দিব্যি তোমার ভালোবাসা বুঝিয়ে দিয়েছ—এখন তুমি পুল—এর ধারে গেলেই ওরা ভিড় করে ধারে চলে আসে।”
—”দূর। সে তো খেতে দিই বলে আসে। যে বাচ্চাটা আসছে সে কি শুধু খেতে দিলেই বুঝবে যে আমি ওকে ভালোবাসি।”
—”কেয়া, লক্ষ্মীসোনা, উল্টোপাল্টা ভাবনা কোরো না। তোমার বাচ্চা ঠিকই তার মায়ের ভালোবাসা বুঝতে পারবে। ইনস্টিংকটিভলি।”
—”আমিও যেমন বুঝতাম ইনস্টিংকটিভলি যে আমার মা আমাকে একটুও ভালোবাসত না। শি হ্যাড নো ফীলিংস ফর মি। শি কেয়ারড ফর হার হাসব্যান্ড অ্যালোন। ওনলি হার হাসব্যান্ড, নট মি। ভালোবাসলে কেউ ওভাবে ক্রুয়েলি অ্যাবানডান করতে পারে নিজের বাচ্চাকে? অ্যান্ড ইন দ্যাট হরিবল সিচুয়েশন? ইম্যাজিন।”
—”কেয়াফুল—ওসব থাক—আমরা অন্য কথা বলি এসো।”
—”দ্যাট উওম্যান ওয়াজ অবসেসড উইথ হার টু—টাইমিং হাজব্যান্ড অ্যান্ড ফরগট অল অ্যাবাউট মি।”
—”ওহো, মায়ের কথা আর মনে এনো না তো। কতগুলো বছর কেটে গেছে ভাবো দেখি! আমরা দুজনে তো সুখী?”
কেতকীর কানেই গেল না আমার কথা।
—”শি ডিডন্ট থিংক অ্যাবাউট মি, শি ডিডন্ট কেয়ার ফর মি। আমার কথা ভাবেনি মা, মা ভাবেনি আমার কী হবে, আমিও যে আছি একটা মানুষ—”
প্রবল অভিমানে গলা বুজে এলো কেতকীর—”আই হেট হার, আই হেট হার, আই হেট হার—আই ডিডনট এগজিস্ট ফর হার—আই ওয়াজ অ্যাজ গুড অ্যাজ ডেড টু হার।”
—”বাট ইউ আর নট ডেড কেতকী। ইউ আর ভেরি মাচ অ্যালাইভ। ইউ আর অ্যাবাউট টু গিভ বার্থ—তুমি প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খারাপ খারাপ কথা মনে এনো না কেয়াফুল। থিংক পজিটিভ—ফরগেট দ্য পাস্ট ডারলিং—লেটস থিংক অফ দ্য ফিউচার—প্লীজ, সোনা—”
—”ডু ইউ রিয়্যালি থিংক দেয়ার উইল বি আ ফিউচার?”
—”মালবিকা কী বলল সেদিন?”
—”শি ওয়াজ জাস্ট সেয়িং ইট টু প্লিজ মি। দেয়ার ওন্ট বি এনি টাইম ফর অল দ্যাট—”
—”অফ কোর্স, সময় থাকবে। আমরা কত আদর—আহ্লাদ করবো, কত্তো আনন্দ করবো বাচ্চাকে নিয়ে। তুমি দেখবে কত মজা হয়—” আমি ওর চুল নেড়ে দিলাম।
কেতকী হাসলো—”হোপ সো… অ্যায়াম গ্ল্যাড ইটস আ গার্ল। আর ইউ ডিসাপয়েন্টেড? ইউ হ্যাভ আ ডটার।”
—”যে সেধে আসছে তোমার কোলে সে—ই আমাকে ধন্য করে দেবে। সে ছেলে, না মেয়ে তাতে কী এসে যায়? আর আমার রুণা আছে বলে তার বোন আসবে না?”
—”দ্যাটস ট্রু। ওর নাম দেব আনন্দী। আর ডাকনাম টুবলু। নামটা আমার খুব সুইট লাগে। তাই না?”
—”আনন্দীও সুন্দর নাম। কিন্তু এদেশে জন্মাচ্ছে, একটা বিলিতি নাম দেবে না? দুটোই বাংলা?”
—”সে আর দিতে হবে না মশাই, এরাই দিয়ে দেবে—আনন্দী থেকে অ্যানি হয়েই যাবে, তুমি দেখো। আপনা—আপনি। টুবলু খুব মিষ্টি নাম না?”
—”হ্যাঁ, খুব মিষ্টি। কোথায় পেলে?”
—”ভবানীপুরে একটা বাচ্চা ছেলের নাম ছিল। এইসব নাম তো unisex নাম, তাই না?”
—”হ্যাঁ, বাংলায় অনেক unisex ডাকনাম আছে—টুটু, মিন্টু, বুলু, বাবি—”
—”বিম তোমার ডাকনাম আছে?”
—”থাকবে না? সব বাঙালির থাকে। আমার নাম শুনলে তুমি হাসবে। ভালো নাম বিমল তো, কিন্তু ডাকনামটি বুচু।”
—”বুচু খুব সুইট, কুড বি unisex।”
—”ইট ইজ। বুচু মেয়েদেরও নাম হয়।”
—”ইউ নো, আই নেভার হ্যাড আ প্রপার ডাকনাম? আমাকে সবাই কেতকীই ডাকে। ওনলি সার্ভেন্টস কলড মি বেবী। মাই আয়া’জ কন্ট্রিবিউশন।”
—”বেবী কি খারাপ?”
—”খারাপ নয়?”
—”বুচুর চেয়ে বেবী ভালো। বেবীর চেয়ে টুবলু ভালো। ইটস ইমপ্রুভিং উইথ টাইম।”
—”বাঁচলে হয়!”
—”সেকি! জন্মালোই না এখনও, তুমি তার জন্যে আগে থেকেই কু গাইছ?”
—”নো নো, আয়্যাম জাস্ট এক্সপ্রেসিং মাই টেনশন, মাই ফিয়ার—ভয় করে! যা অপরূপ কপাল আমার? ঝুরঝুরে।”
—”থামো! থামো! থিংক পজিটিভ কেয়াফুল, আই টোলড য়ু। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শুধুই ভালো ভালো কথা ভাবতে হয়।—থিংক অফ বিউটিফুল ড্রিমস…সফট অ্যান্ড সুইট মোমেন্টস।”
—”আচ্ছা আচ্ছা, ও.কে! বিম, ক্যান আই আস্ক ইউ সামথিং?”
—”নিশ্চয়ই। কী জিগ্যেস করবে, ডারলিং?”
—”বিম, তুমি আমাকে শেষ পর্যন্ত ভালোবাসতে তো? আমাকে তোমার খারাপ লাগছে না তো? বিম, আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো? আমাকে তোমার কাছে রেখে দেবে তো? আমি যতই দুষ্টু মেয়ে হই, যতই নষ্ট মেয়ে হই, উইল ইউ অলওয়েজ লাভ মি? বিম? অলওয়েজ?”
—”দূর পাগলী। ইটস ফর এভার! হলো তো?”
—”প্রমিস?”
—”প্রমিস।”
—”আচ্ছা, ঢের হয়েছে। এসব কথা থাক এখন। একটা গান করো দেখি, একটা বাংলা গান করো বরং। শুনি—”
—”কী শুনবে? টেগোর সং?” একটু গুনগুন করেই হঠাৎ গলা ছেড়ে গান ধরলো কেতকী—
”চিত্ত না শান্তি জানে, তৃষ্ণা না তৃপ্তি মানে,
কোথা জ্বলে গৃহপ্রদীপ,
কোন সিন্ধুপারে
শূন্যহাতে ফিরি হে—”
আমার হঠাৎ মনে হলো রাত্রির বাতাস যেন হা হা শব্দ করে উথাল—পাথাল হলো, তারপরই জানলার কাচে টোকা মেরে ধমক দিয়ে গেল, ”কে বলেছে, শূন্য হাত?”
”আচ্ছা, বাইরে কি বিষ্টি পড়ছে, বিম? ওটা কি বিষ্টির শব্দ? দেশে বিষ্টির শব্দ শুনতে কী ভালোই যে লাগতো! আই রিমেম্বার দ্য মনসুন ক্লাউডস গ্যাদারিং ইন দ্য স্কাই… দুপুরবেলা থেকেই আস্তে আস্তে সারা আকাশ অন্ধকার করে আসতো… উঃ! আমার বুকের মধ্যে যে কীরকম করতো, একটু ভয়—ভয় আবার কিছু একটা মিস্টিরিয়াস, ম্যাজিক্যাল অ্যাবাউট ইট… হঠাৎ আকাশ চিরে ফেলে বিদ্যুৎ চমকাতো, দূরে কোথাও বাজ পড়তো, কী ভীষণ তার শব্দ! মেঘ ডাকতো গুড় গুড় করে…. বুক কাঁপতো, আবার ভালোও লাগতো… তারপর বিষ্টি আসতো… ঝরঝর করে বিষ্টি এসে পড়তো—ইটস নেভার লাইক দ্যাট ওভার হিয়ার—”
—”দেশকে খুব মিস করো, না কেয়াফুল? যার নাম কেতকী, সে তো বর্ষাকে মিস করবেই—”
—”কেন, কেতকী ফুল কি বর্ষার ফুল?”
—”এ কি! তাও জানো না? বোকা মেয়ে?”
—”কেমন করে জানবো? কেউ বলে দেবে তো ইটস আ মনসুন ফ্লাওয়ার? কেউ বলেনি। জানো বিম, আমি কখনো কেয়াফুল দেখিনি। কেমন দেখতে গো? ইজ ইট আ ফ্রাগ্রেন্ট ফ্লাওয়ার?’
—”খুব সুন্দর গন্ধ, তার তীব্র গন্ধের টানে নাকি সাপও চলে আসে। লম্বামতন ফুল, ঝোপের ঠিক মধ্যেখানে ফোটে, তোলা শক্ত, কেননা পাতাগুলোতে কাঁটা থাকে—”
—”আজ প্রথম শুনছি হোয়াট আ কেতকী লুকস লাইক। খুব সুন্দর গন্ধ? তুমি চেনো?”
—”খুব চড়া। স্ট্রং গন্ধ? না চিনে উপায় নেই।”
—”আমি দেশে যাব, কেয়াফুল দেখতে। আই মাস্ট সী ইট। দেখাবে তো, কেয়াফুল?”
—’নিশ্চয়ই দেখাবো। এখন একটু বিশ্রাম কর।”
—”টুবলুকেও দেখিও, শি শুড নো হোয়াট আ কেয়াফুল ইজ। শি শুড নো হার রুটস। ও যেন আমার মতন না হয়। রুটলেস। ওকে তোমার মতো করবে—বাবার মতো। রুটেড ইন হার কালচার।”
—”আমিও তো শেকড়—ছেঁড়া মানুষ কেয়াফুল, কতদিন আগে দেশ ছেড়ে চলে এসেছি। বাইশ বছর হলো। প্রায় তোমার যতদিন এই গ্রহে বাস, আমার ততদিনের প্রবাস।”
—”বাট বিম, ইউ হ্যাভ ক্যারিড ইওর রুটস উইদিন ইউ—তুমি তো নিজেই নিজের শেকড়। তুমি তো আমারও শেকড়। ইউ হ্যাভ টোলড মি হু আই অ্যাম। কেয়াফুল কী। আর হাইলি ফ্রাগ্র্যান্ট মনসুন ফ্লাওয়ার। থ্যাংক ইউ বিম—”
.
একদিন রাত্রে ঘুমের মধ্যে মনে হলো, কেতকী গান গাইছে। মনে হলো, শুনতে পাচ্ছি দূরে কোথাও কেতকী গাইছে। কী গান বুঝতে পারছি না, কী ভাষা চিনতে পারছি না, শুধু বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে দিয়ে উঠছে—সমস্ত শরীর অস্থির করছে। চোখ খুলে দেখি কেয়া পাশে নেই, দরজা খোলা। গানের সুরটা সত্যি সত্যিই শোনা যাচ্ছে। সেই সুর ধরে বাগানে বেরিয়ে এলাম। আকাশে চাঁদের চিহ্ন নেই, কিন্তু শুধু লিলিপুলের কাছটায় অদ্ভুত জ্যোৎস্না। জলের ধারে, পাথরের ওপরে, এদিকে পিঠ ফিরিয়ে চুল এলিয়ে বসে আছে চাঁদের আলোর পোশাক পরা একটি পরী। ওরই গা থেকে জ্যোৎস্নাধারা ঝরে পড়ছে। দুটি কাঁধের পিছনে স্পষ্ট দেখলাম চাঁদের আলোর রঙের পাতলা দুটো ভাঁজকরা ডানা থিরথির করে কাঁপছে কালো রাতের হাওয়ায়—পরী গান গাইছে—পরীদের ভাষায় সেই গান—তবু বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠছে। আমি পায়ে পায়ে এগিয়ে তার ঠিক পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম—পরী টেরই পেলো না। দেখি জলের ধারে ভেসে উঠেছে একঝাঁক লাল—নীল মাছ, পরীর কাছে জড়ো হয়েছে, তারা হাঁ—মুখ তুলে পরীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে গান করছে।
ছোটবেলায় দূরের একটা অদেখা মসজিদ থেকে আবছা আজানের ডাক শোনা যেত। কিছু বুঝি না। ভাষা না, ধর্ম না—তবু মন কেমন করত। যেন আমাকেও ডাকছে। এই সুর তার চেয়েও বেশি রহস্যময়, সমস্ত বাগানটা তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে উঠেছে। দেখতে পেলাম রাত্রের লিলিপুলের ওয়াটারলিলিগুলোর আষ্টেপৃষ্ঠে দরজা—বন্ধকরা ঘুমন্ত নৈশ চেহারাটা কীরকম বদলে গেছে, তারা জেগে উঠেছে, পাপড়িরা আলগা হয়ে এলিয়ে পড়তে চাইছে। পরীর গানের সঙ্গে জলে—ভেসে—থাকা পদ্মপাতা, দীর্ঘ রুপোলি ডাঁটার ডগায় রঙিন ফুলগুলি, ছন্দে ছন্দে দুলছে। আমি স্তব্ধ। প্রথমে মনে হলো দুইপা সমেত আমি মাটিতে প্রোথিত, তারপর আমার সারা শরীর হালকা হয়ে গেল। বুঝলাম এখুনি সাবধান না হলে আমি বাতাসে উড়ে যেতে পারি। এলো চুলে, চাঁদের আলোর পোশাকে আমার বাগানে অলৌকিক এক জ্যোৎস্নার বিভা ছড়িয়ে পরী তখনও গান গাইছে। ভাঁজ করা ডানাদুটি থেকে জ্যোৎস্না ঝরে ঝরে পড়ছে বাগানের ঘাসে, নুড়িতে, পাথরে, লিলিপুলের কালো জলে। জেগে—ওঠা ফুলেদের সঙ্গে, তীরে জড়ো হওয়া লালমাছেদের সঙ্গে, রাতের ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে, শিশির ঝরার শব্দের সঙ্গে নক্ষত্রলোকের সুরের সঙ্গে মিলেমিশে ঝঙ্কৃত হচ্ছে পরীর গান, অলৌকিক নিসর্গ শোভায়।
আমি নিজেকে শক্ত করি—মাটিতে পা ফেলতে ফেলতে এগিয়ে গিয়ে তার পিঠে হাত রাখি। বলি—”কেয়া, ওঠো, ঘরে চলো, ঠাণ্ডা লাগছে, শোবে চলো। তোমার শরীর ভালো নয়, একটু ঘুমোবে চলো।” ভাঁজকরা ডানাদুটোতে আদর করে হাত বুলিয়ে দিই। হাতে গুঁড়ো গুঁড়ো চাঁদের আলো লেগে যায়। কেতকী মুখ ফেরায়। উঠে দাঁড়িয়ে হাসে। তারপর দু’হাতে আমার গলা জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে একটা আলতো চুমু খায়—যেন একটা জুঁইফুল ঝরে পড়ল। সরু চিলতে কোমর জড়িয়ে ধরে আস্তে আস্তে ঘরের দিকে নিয়ে চললাম কেতকীকে। ভাঁজকরা ডানাদুটোর থির থির কাঁপন তখনও অনুভব করছিলাম আমার হাতে।