ইহজন্ম – ১০

| ১০ | রঙিন

ঠাকুমা বাড়িতে এসেছে বলে আজ মা বিচপার্টি দিচ্ছে—বাবা হ্যাজ কাম উইথ হিজ স্কেচবুক অ্যান্ড অল—বাবা ইজ ফাইন দীজ ডেজ…আই থিংক উই আর ওভার দ্য হাম্প অ্যাট লাস্ট, আফটার সাচ আ লং অ্যান্ড ডার্ক পিরিয়ড। মাকে অনেক হালকা লাগছে, শি ইজ লুকিং গুড ইন হার নিউ পেয়ার অফ জিনস। মার বন্ধু হান্না ইজরায়েল বেড়াতে গেছে ওর বা-মিৎসভার পরে, এটা ওরই বাড়ি। মাকে চাবি দিয়ে গেছে। ভেরি সুইট অফ হার ইনডিড। বাপরে কী বড়লোক এরা, এরকম দারুণ জায়গায় একটা কটেজ করেছে! সোজা কথা! মায়ের এমনই চাকরি, চাকরির খাতিরে শি নোজ আ লট অফ টপ গাইজ এভ্রি হোয়্যার। অ্যান্ড এভ্রিওয়ান লাভস হার। আই অ্যাম রিয়্যালি প্রাউড অফ মা। আই থিংক আই অ্যাম এক্সট্রিমলি ফরচুনেট টু বি হার চাইল্ড। অ্যান্ড বাবা—ওয়েল? আই অ্যাম সো গ্ল্যাড হি ইজ ও কে—ইয়েস—ইন স্পাইট অফ হিজ প্রবলেমস হি হ্যাজ বিন আ গ্রেট ফাদার টু মি। বাবা ইজ সো প্রাউড অফ মি!

ঠাকুমা এখন খুব ভালো আছে, একমদম ফিট, কোনওরকম ইলনেস নেই। আর—শি ইজ ব্যাক টু হার নর্মাল সেলফ। আজ বাগানে বসে বসে একা একা কী সুন্দর গান গাইছিল, আর ঠিক বাবা তখনই হাঁটতে বেরুল, তার আগে অবধিও বারান্দায় বসেছিল। ঠাকুমা গাইছিল, ‘তাই তোমার আনন্দ আমার পর’—গানটা আমিও জানি। কী আশ্চর্য কথাগুলো না? ‘আমায় নইলে ত্রিভুবনেশ্বর তোমার প্রেম হত যে মিছে’—একটা মানুষের কত বড় অহংকার, যে এই মানুষটা না জন্মালে ইশ্বরের সৃষ্টিটা মিথ্যে হয়ে যেত। ওনলি রবি ঠাকুর ক্যান থিংক লাইক দ্যাট। ওনলি হি ক্যান সে ইট লাইক দ্যাট। আই আনডারস্ট্যান্ড হোয়াই ঠাকুমা লাভস হিম সো মাচ। অ্যান্ড মা টু। বাবা? ডোন্ট নো। না: বাবা বোধহয় অতটা রবি ঠাকুর ক্রেজি না। বাবা ইজ লেস ইনটু পোয়েট্টি অ্যান্ড মিউজিক, মোর ইনটু ভিস্যুয়াল বিউটি।

আজ আমরা বাবার সেরে ওঠাও সেলিব্রেট করছি—সামনেই কাকুরা বিয়ার খাচ্ছে। বাবা কিন্তু খেতে চাইছে না। হি ডাজন্ট সীম টু বি মিসিং ইট। হোপ হি স্টেস দিস ওয়ে। ওরা বলেছিল এটা কিন্তু ইররিভার্সিবল কিওর নয়, আবার রিল্যাপস করে অনেক সময়। কেয়ারফুল থাকতে হয়। কাকুরা এখন বিয়ার না খেলেই পারত। বাবার তো কষ্ট হচ্ছে নিশ্চয়। হি ক্যান স্মেল দি অ্যালকোহল। মা কেন বারণ করল না? এভ্রিবডি নোজ হিজ প্রবলেম, অ্যান্ড আওয়ার স্ট্রাগল টু ওভারকাম ইট। মা কেন যে বারণ করল না ওদের? এনিওয়ে, মে বি আই অ্যাম ওভার রি-অ্যাকটিং, হয়তো বাবার কিছুই কষ্ট হচ্ছে না। ইন ফ্যাক্ট ওর তো এরকমটা অভ্যেসই হওয়া উচিত, সো দ্যাট ইন আদার সিমিলার সিচুয়েশনস হি রিমেইনস ও কে—মা নিশ্চয় এসব ভেবেই বিয়ারের ব্যবস্থায় বাধা দেয়নি। মা ইজ ফার মোর আওয়ার অফ হিজ প্রবেলমস দ্যান আই কুড এভার বি—সো আই শুড নট ওয়ারি। ওই যে, বাবা বেড়িয়ে ফিরেছে, হাতে একটা মস্ত বড় সাদা ফুল। এ মা, ওটা যে একটা ম্যাগনোলিয়া গ্র্যান্ডিফ্লোরা! দেখছে, রাস্তার গাছ থেকে ছিঁড়েছে। নিশ্চয়। বাট হি ইজ নট সাপোজড টু ডু দ্যাট—’ওফ বাবা—বাবা?’

—’এই দ্যাখ, রঙিন, কী এনেছি। পদ্মফুল। অবিকল পদ্মফুলের মতন দেখতে। যেন শ্বেতপদ্মের কলি! অত উঁচু উঁচু বৃক্ষের ডালে ডালে পদ্মফুল ফুটে আছে। এমন অদ্ভুত দেখতে লাগে না? যতবার দেখি ততবারই অবাক হই। এত বছরেও আমার সেই অবাক লাগাটা একটুও কমেনি। মা! মা! দেখেছ, গাছে-ফোটা পদ্মফুল? তোমার জন্যে আনলুম।’

ঠাকুমাও খুব খুশি হল ফুলটা দেখে—’সত্যি তো? গাছে গাছে দেখি বটে, তবে দূর থেকে ততটা বোঝা যায় না। এই গ্রামে এসে দেখছি রাস্তার ধারে সারি সারি উঁচু গাছে এই শ্বেত পদ্মফুল ফুটে আছে। এরই নাম দেওয়া উচিত স্থলপদ্ম, না বউমা?’

মা এসে দাঁাড়িয়েছিল। বাবা ফুল তুলেছে দেখেও মা কিছু বলল না। হাসল। ঠাকুমা ম্যাগনোলিয়াটা মাকে দিল। মা ফুলটা নিয়ে আমাকেই দিয়ে বলল, একটা গেলাসে জল দিয়ে রাখতে। সত্যি মাঝে মাঝে অবাক লাগে। উই—ইন্ডিয়ানস। আমাদের কি আইন ভাঙতে একটুও অস্বস্তি নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *