আমেরিকান গডস – ১৯

অধ্যায় উনিশ 

একটা গল্পের সেরা ব্যাখ্যা সেই গল্পটা নিজেই। যেভাবে কেউ নিজে গল্পটা পড়ে আর সারা বিশ্বকে তা শোনায় তারচেয়ে ভালোভাবে সেটাকে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। বলতে গেলে এতে তৈরি হয় একটা ভারসাম্য। একটা মানচিত্রের কথা ধরা যাক। একটা এলাকার মানচিত্র যত ওই এলাকাটার মতো হয়, তত বেশি নিখুঁত হতে থাকে। তাই বলা যায়, সবচাইতে নিখুঁত মানচিত্র আসলে ওই এলাকাটাই। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, মানচিত্রের দরকার কী? 

তাই গল্প হচ্ছে মানচিত্র, যেটা আসলে ওই এলাকাটাই।

এটা মনে রাখতে হবে। 

–মি. আইবিসের লেখা থেকে 

.

আই-৭৫ রাস্তা ধরে ফ্লোরিডার দিকে যাচ্ছে ওরা দুজন। সেই সকাল থেকে গাড়ি চালাচ্ছে শ্যাডো, প্যাসেঞ্জার সিটে বসে আছে ন্যান্সি। মাঝে মাঝে চেহারা কুঁচকে উঠছে তার, তারপরও গাড়ি চালাবার প্রস্তাব দিয়েছে কয়েকবার। প্রত্যেকবারই মানা করে দিয়েছে শ্যাডো। 

‘তুমি কি খুশি?’ একেবারে আচমকা জানতে চাইল মি. ন্যান্সি। অনেকক্ষণ ধরে শ্যাডোর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল সে। 

‘খুব একটা না,’ জানাল শ্যাডো। তবে বেঁচে আছি যে এখনও, তাই হয়তো…’

‘মানে?’ 

‘মৃত্যুর আগে কাউকে সুখী বলার ভুল করো না,’ হেরোডেটাসের বাণী।’

সাদা ভ্রু কুঁচকে ফেলল মি. ন্যান্সি। ‘আমি এখনও মারা যাইনি, কিন্তু আমি তো দারুণ সুখী। 

‘হেরোডেটাসের কথার অর্থ এই না যে মৃত মানেই সুখী।’ বলল শ্যাডো। ‘এর অর্থ: কেউ মারা না যাওয়া পর্যন্ত তার জীবন নিয়ে পর্যালোচনা চলে না।’ 

‘আমি তো মারা যাবার পরেও কারও জীবন নিয়ে পর্যালোচনা করি না।’ জানাল মি. ন্যান্সি। ‘আর তাছাড়া সুখের অনেক প্রকারভেদ আছে, ঠিক যেমন আছে মৃত্যুর। আমি খাও, দাও, ফূর্তি করো নীতিতে বিশ্বাসী।’ 

প্রসঙ্গ পরিবর্তন করল শ্যাডো। ‘মৃত আর আহতদের নিতে আসা হেলিকপ্টারগুলো…’ 

‘হুম, কী?’ 

‘ওগুলো পাঠায় কে? কোত্থেকে আসে?’ 

‘ওসব নিয়ে তোমার মাথা ঘামাতে হবে না। ধরে নিতে পারো, হেলিকপ্টারগুলো ভ্যালকেরি অথবা শকুনের মতো। ওদের আসতেই হবে, তাই আসে।’ 

‘আপনি যা বলেন।’ 

‘মৃত আর আহতদের যত্ন নেওয়া হবে। সামনের কয়েকমাস খুব ব্যস্ত সময় কাটবে জ্যাকুয়েলের। যাই হোক, একটা প্রশ্নের জবাব দাও তো বাছা।’ 

‘বলুন।’ 

‘এসব থেকে কিছু শিখেছ?’ 

শ্রাগ করল শ্যাডো। ‘জানি না। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যা যা শিখেছিলাম, তার অধিকাংশই ভুলে গেছি। যতদূর মনে হয়, সম্ভবত কয়েকজনের সাথে দেখা হয়েছিল। কিন্তু নিশ্চিত নই। অনেকটা এমন এক স্বপ্নের মতো, যা মানুষের মাঝে পরিবর্তন নিয়ে আসে। স্বপ্নের কিছু অংশ মনে থাকে, কিছু অংশ অবচেতন মন স্বরণে রাখে। কিন্তু বিস্তারিত কিছুই স্মরণে থাকে না।’ 

‘ঠিক বলেছ,’ একমত বলো মি. ন্যান্সি। ‘তুমি আসলে অতোটা বোকাও নও।’

‘হয়তো না,’ বলল শ্যাডো। ‘কিন্তু জেল থেকে বের হবার পর, মনে হচ্ছে যেন সবকিছু খুইয়ে বসেছি।’ 

‘অথবা,’ মি. ন্যান্সি। ‘অনেক কিছুই তোমার সাথে আছে। তুমি বুঝতে পারছ না। 

‘মনে হয় না।’ 

সীমানা পার হয়ে ফ্লোরিডায় প্রবেশ করল ওরা। একদম প্রথমেই একটা তাল গাছ দেখতে পেল শ্যাডো। কে জানে, হয়তো ইচ্ছা করেই ওটা সেখানে লাগানো হয়েছে। যেন সবাই বুঝতে পারে, ফ্লোরিডার শুরু ওখান থেকে। 

নাক ডাকাতে শুরু করল মি. ন্যান্সি। লোকটার দিকে তাকাল শ্যাডো। বৃদ্ধকে আজ স্বাভাবিকের চাইতেও বেশি ধূসর দেখাচ্ছে, শ্বাস টানতে কষ্ট হচ্ছে তার। শ্যাডোর মনে হলো, লড়াই করতে গিয়ে ফুসফুসে চোট পায়নি তো বেচারা? যদিও চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মি. ন্যান্সি। 

ফ্লোরিডাকে ভাবনার চাইতে একটু বেশিই বড়ো বলে মনে হলো শ্যাডোর। অনেক রাতে ফোর্ট পিয়ার্সের বাইরে একটা ছোটো, এক তলা কাঠের বাড়ির সামনে গাড়ি থামাল ও। বিগত পাঁচটা মাইল ন্যান্সি শ্যাডোকে পথ বলে দিয়েছে। এবার রাতটা ওর সাথে কাটাবার আমন্ত্রণ জানাল। 

‘মোটেল আছে, রুম পাওয়া যাবে।’ বলল শ্যাডো। ‘অসুবিধা নেই। 

আমি কষ্ট পাবো তাতে। তবে কিছু বলব না, বুঝতেই পারছ,’ মি. ন্যান্সি জানাল। ‘তার চাইতে ভালো হয় আজ রাত এখানেই থাকলে।’ 

ঘরের ভেতরে ঢুকে, জানালা খুলে দিল মি. ন্যান্সি। সোদা আর স্যাঁতস্যাঁতে একটা গন্ধ বাড়ির ভেতরে, সেই সাথে হালকা একটা মিষ্টি গন্ধও আছে। শ্যাডোর মনে হচ্ছিল, এই বাড়িতে বোধ হয় কুকি বিস্কুটের ভূত আস্তানা গেড়েছে! 

রাজি হলো শ্যাডো, তবে অনীহার সাথে। আরও অনীহার সাথে মি. ন্যান্সির সঙ্গী হয়ে এগিয়ে গেল রাস্তার শেষ মাথায় অবস্থিত বারে। রাতে ঘুমাবার আগে একটা ড্রিঙ্ক দরকার। 

‘চেরনোবোগকে দেখেছ?’ জানতে চাইল মি. ন্যান্সি। রাতের বাতাসে পোকা উড়ে বেড়াচ্ছে। মাটিতেও আছে অনেকগুলো। একটা সিগারেল্লো ধরাল মি. ন্যান্সি, টান দিয়েই কাশতে শুরু করল। তবে ফেলল না জিনিসটা। 

‘গুহা থেকে যখন বেরোই, তখন ছিলেন না।’ 

‘ঘরে চলে গেছে মনে হয়, তোমার জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু ‘

‘জানি।’ 

আর কোনো কথা না বলে বারে এসে পৌঁছাল ওরা। 

‘প্রথম দুইটা বিয়ারের দাম আমি দেব।’ বলল মি. ন্যান্সি।

‘দুইটা? আমরা তো একটা পান করতে এসেছি!’ শ্যাডো অবাক।

‘কঞ্জুসি করছ কেন?’ ঠাট্টার ছলে জানতে চাইল মি. ন্যান্সি। 

 প্রথম দুটো কিনল মি. ন্যান্সি, পরেরবার শ্যাডো। আতঙ্ক নিয়ে লক্ষ্য করল, মি.ন্যান্সি বারম্যানকে ক্যারিয়োকি চালু করার জন্য রাজি করে ফেলেছে! তবে বৃদ্ধ লোকটার গানের গলা ভালো। শুনে মজাই পেল ও। বারে বেশি লোকজন ছিল না। যারা ছিল, তারাও হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানাল মি. ন্যান্সিকে। 

বারে যখন ফিরে এসেছে সে, তখন তার চেহারা থেকে অসুস্থ ভাবটা অনেকটাই কেটে গেছে। ত্বকের ধূসর ভাবটাও আর নেই। ‘এবার তোমার পালা।’ বলল বৃদ্ধ। 

‘অসম্ভব।’ সরাসরি মানা করে দিল শ্যাডো। 

কিন্তু মি. ন্যান্সি সে কথা শুনলে তো। বিয়ারের অর্ডার দিয়ে ইতিমধ্যেই শ্যাডোর হাতে ধরিয়ে দিয়েছে একগাদা প্রিন্ট করা কাগজ। ‘যে গানটা জানো, সেটাই বেছে নাও।’ 

‘ভালো হচ্ছে না কিন্তু,’ বলল শ্যাডো। ওর দুনিয়াটা আস্তে আস্তে কাঁপতে শুরু করেছে, তর্ক করার শক্তি পাচ্ছে না। মি. ন্যান্সি আক্ষরিক অর্থেই ঠেলে ওকে তুলে দিল স্টেজে। একটা গানের প্রথম কয়েকটা শব্দ গাইল শ্যাডো। কেউ ওর দিকে কিছু ছুঁড়ে মারছে না দেখে সাহস পেল কিছুটা। এরপর উৎসাহ নিয়ে শেষ করল পুরো গান। 

.

কাউচটা দেখিয়ে দিল মি. ন্যান্সি, শ্যাডোর আকারের তুলনায় ছোটোই ওটা। তাই ও ঠিক করল, মেঝেতে শোবে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা পুরোপুরিভাবে নেওয়ার আগেই, ঘুমের অতলে হারিয়ে গেল। 

.

প্রথম কিছুক্ষণ আরামদায়ক অন্ধকারে কেটে গেল শ্যাডোর। তারপর শুরু হলো স্বপ্ন। অন্ধকারে দেখা গেল জ্বলন্ত একটা অগ্নিকুণ্ড। আস্তে আস্তে সেদিকে এগিয়ে গেল শ্যাডো। 

‘ভালো কাজ দেখিয়েছ,’ ঠোঁট না নাড়িয়েই বলল মহিষ-মানব। 

‘কী যে করেছি, তা তো নিজেই বুঝতে পারছি না!’ জানাল শ্যাডো।

‘শান্তি স্থাপন করেছ।’ মহিষ-মানব জানাল। ‘আমাদের শব্দগুলো নিয়ে নিজের বাক্য সাজিয়েছ তুমি। ওই দেবতারা এখানে কেন এসেছে, তা-ই বুঝতে পারেনি কখনও। ওদের যারা উপাসনা করে বা করেছে, তারাও পারেনি। ওরা এখানে এসেছে, কারণ ওদের উপস্থিতি আমাদের দরকার ছিল। তবে চাইলে এখনও আমরা আমাদের মন পরিবর্তন করতে পারি। কে জানে, হয়তো করবও।’ 

‘তুমি কি দেবতা?’ জানতে চাইল শ্যাডো। 

মাথা নাড়ল মহিষ-মানব। শ্যাডোর মনে হলো, ওর প্রশ্নে সে বোধ হয় আমোদ পেয়েছে। ‘আমিই এই দেশ।’ উত্তর দিল মহিষ-মানব। 

হয়তো স্বপ্নটা সেখানে শেষ হয়ে গেছিল, হয়তো আরও কিছু দেখেছিল শ্যাডো। কিন্তু ওর আর মনে নেই। 

.

সকালে যখন ঘুম থেকে ওঠে, তখন মাথাটা প্রচণ্ড ধরেছে শ্যাডোর। চোখের পেছনে কেউ যেন দুম দুম করে বসাচ্ছে হাতুড়ির ঘা। 

মি. ন্যান্সি উঠেছে আরও আগেই, সকালের নাস্তা বানিয়েও ফেলেছে সে। প্যানকেকের স্তূপ, বেকন, ডিম আর কফি সাজিয়ে অপেক্ষা করছে। আহত বলে মনে হচ্ছে না তাকে। 

‘মাথাব্যথা করছে।’ জানাল শ্যাডো। 

‘পেট পুরে নাস্তা খাও, নিজেকে নতুন একজন মানুষ বলে মনে হবে।’ 

‘নতুন মানুষ হতে হবে না, আগের মানুষটাকে দিয়েই কাজ চলবে। শুধু নতুন একটা মাথা দরকার।’ 

‘খাও।’ 

খেল শ্যাডো। 

‘কেমন লাগছে এখন?’ 

‘মাথাব্যথা আছে, সেই সাথে পেট ভরে আছে খাবারে। মনে হচ্ছে সব উঠে আসবে।’ 

‘আমার সাথে এসো।’ শ্যাডো যে কাউচে ঘুমিয়েছে, তার পাশেই কম্বল দিয়ে ঢাকা রয়েছে একটা ট্রাঙ্ক। কালো কাঠের তৈরি জিনিসটাকে দেখে গুপ্তধনের বাক্স বলে মনে হয়। পেল্লাই একটা তালা ঝুলছে সামনে। মি. ন্যান্সি ওটাকে খুলে, ডালা ওপরে ধরল। ভেতরে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আরও কয়েকটা বাক্স। ওগুলোর ভেতরে কী যেন খুঁজতে শুরু করল সে। ‘প্রাচীন এক আফ্রিকান ওষুধ। উইলো ছাল আর কী কী গুঁড়ো করে বানানো হয়েছে।’ 

‘অ্যাসপিরিনের মতো?’ 

‘হ্যাঁ।’ বলল মি. ন্যান্সি। ‘একদম অ্যাসপিরিনের মতো।’ বলতে বলতেই জিনিসটা খুঁজে পেল সে। বের করে আনল একটা অ্যাসপিরিনের বোতল। ওটার ভেতর থেকে কয়েকটা পিল বের করে এগিয়ে দিল। ‘এই নাও।’ 

‘ট্রাঙ্কটা সুন্দর,’ বলল শ্যাডো। তেতো পিলগুলো হাতে নিয়ে গিলে ফেলল।

‘আমার ছেলে পাঠিয়েছে,’ জানাল মি. ন্যান্সি। ‘ছেলেটা ভালো। তবে আরও বেশি দেখা-সাক্ষাত হলে খুশি হতাম।’ 

‘আমি ওয়েনসডের অভাব বোধ করি,’ স্বীকার করল শ্যাডো। ‘এতকিছু হওয়া সত্ত্বেও মনে হয়, এই বুঝি এলেন তিনি।’ এক দৃষ্টিতে ট্রাঙ্কের দিকে তাকিয়ে রইল শ্যাডো। 

‘তুমি ওয়েনসডের অভাব বোধ করো? এতকিছুর পরেও!’ 

‘হ্যাঁ,’ বলল শ্যাডো। ‘আচ্ছা, আপনার কি মনে হয়? তিনি ফিরে আসবেন?’

‘আমার মনে হয়,’ বলল মি. ন্যান্সি। ‘যেখানেই দুই প্রতারক এক হয়ে অন্য একজনের কাছে বিশ ডলারের ভায়োলিন দশ হাজার ডলারে বেচার চেষ্টা করবে, সেখানেই উপস্থিত থাকবে লোকটা।’ 

‘কিন্তু—’ 

‘রান্নাঘরে যাই, চলো।’ শক্ত মুখে বলল মি. ন্যান্সি। ‘ধোওয়া-মোছা করতে হবে।’ 

ধোওয়ার কাজ সারল মি. ন্যান্সি, মোছারটা শ্যাডো। আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে মাথাব্যথা। কাজ শেষে বসার ঘরে ফিরে এলো তারা। 

পুরনো ট্রাঙ্কটার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল শ্যাডো, কীসের কথা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে ওটা। ‘চেরনোবোগের কাছে না গেলে,’ বলল সে। ‘কী হবে?’

‘যেতে তোমাকে হবেই,’ সরাসরি বলল মি. ন্যান্সি। ‘হয়তো সে তোমাকে খুঁজে বের করবে। হয়তো নিজের কাছে টেনে নেবে তোমাকে। তবে দেখা তোমাদের হবেই হবে।’ 

মাথা নাড়ল শ্যাডো। আচমকা যেন সবকিছু ওর কাছে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। এক স্বপ্নের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ‘আচ্ছা,’ জানতে চাইল ও। ‘হাতির মাথা বিশিষ্ট কোনো দেবতা আছে?’ 

‘গণেশের কথা বলছ? হিন্দুদের দেবতা। যাত্রাপথ থেকে প্রতিবন্ধকতা সরায়, রান্নাও ভালোই করে।’ 

আচমকা চোখ তুলে চাইল শ্যাডো। ট্রাঙ্কে আছে!’ বলল সে। ‘বুঝতে পেরেছি। তখন ধরেছিলাম, গণেশ তার শুঁড়ের কথা বলেছে, অথবা গাছের ট্রাঙ্ক, মানে কান্ডের কথা। কিন্তু ওর কথার উদ্দেশ্য তা ছিল না, তাই না?’ 

ভ্রু কুঁচকে ফেললেন মি. ন্যান্সি। ‘বুঝতে পারছি না।’ 

‘ট্রাঙ্কে আছে,’ সত্যটা উপলব্ধি করতে পারছে শ্যাডো। শুধু উপলব্ধি না, নিশ্চিত!

উঠে দাঁড়াল ও। ‘আমার যেতে হবে, এখুনি।’ 

‘তাড়াহুড়ো কীসের?’ 

‘বরফ গলতে শুরু করেছে যে।’ কেবল এতটুকুই বলল শ্যাডো। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *