আমার ন্যাদোশ
ন্যাদোশ কে?
ন্যাদোশ আমার মায়ের গোরু। আমার বয়সই পঁচাত্তর, আমার আবার মা! বেঁচে থাকলে মায়ের বয়স হত তিরানব্বই। ন্যাদোশ আমার মায়ের গোয়ালে ঢুকেছিল ১৯৪৫ সালে। এবং সে ১৯৪৭—এ স্বাধীনতা আসার আগেই মারা যায়।
ন্যাদোশ মাছ মাংস খেত।
আমার ভাইবোনের স্কুলের বই খেত।
ন্যাদোশ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী।
কেন না সে সময় ভারত পরাধীন। থানার পুলিশরা যখন ভোরবেলা গঙ্গাস্নান করত, ন্যাদোশ ওদের ঢুঁ মেরে গঙ্গায় ফেলে দিত।
তোমরা জানো কিনা জানি না, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সবাই পুলিশের সঙ্গে লড়াই করতেন।
‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ নামে ন্যাদোশের জীবনী বোধহয় ২৪—২৫ বছর আগে ‘সন্দেশ’ কাগজেই লিখেছিলাম।
লীলাদি, নলিনীদি, সত্যজিৎ রায়, সব সম্পাদকরাই লেখা পড়ে খুশি হয়েছিলেন।
‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ নামে বইও বেরিয়েছিল।
এ সব কথা তোমাদের কেন বলছি? কেন না ন্যাদোশ বিষয়ে দু’চার কথা না বললে তোমরা গল্পটা বুঝবে না।
এ বছর পুজোর একটা কাগজে আমি ন্যাদোশের গল্প লিখেছিলাম। লিখতেই হয়েছিল। কেন না ন্যাদোশ আমার কাছে এসেছিল।
কেমন করে এসেছিল তা জিগ্যেস কোর না। ভূত হয়ে আসে নি। ওর কাছে অনেক খবর জানা গেল।
ও মরে যাবার পর গোরুদের স্বর্গ গো—লোকে আছে। এখন আর মাছ মাংস খায় না। গো—লোকে স্বর্গের ডাক্তার সুশ্রূত মুনি ওকে কি যেন খাইয়ে দিয়েছেন। মাছ মাংস আর খায় না, অর্থাৎ ইচ্ছেই হয় না।
‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ লিখে ওর গুপ্ত কথা সব ফাঁস করে দিয়েছি বলে ও ঝগড়া করতেই এসেছিল। তবে সব বুঝিয়ে বলতে খুশি হয়ে ভ্যানিশ করে গেল। যেন ইন্দ্রজাল হচ্ছে!
তাহ’লে বুঝতেই পারছিলাম, ন্যাদোশের যেমন ‘হাই আই—কিউ’, ও আবার আসবে। সেবার ওকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম, নিন্দে তোমাকে করি নি। তোমাকে বানিয়ে দিয়েছি পথিকৃৎ, অর্থাৎ পাইয়োনীয়ার। দুনিয়াতে বিশ্ব জুড়ে সবাই বলছে, গোরু মাছ—মাংস খেলে ‘ম্যাড কাউ ডিজিজ’ হয়। তুমিই হ’চ্ছ প্রথম গোরু, যে পঞ্চান্ন বছর আগে মাছ—মাংস খেয়ে এই নতুন রোগ সৃষ্টি করো।
এ কথা শুনে ন্যাদোশ কি খুশি!
ভাবলাম, যা হোক, ন্যাদোশের হাত থেকে ছুটি পেলাম।
আমরা হচ্ছি সেকেলে লোক। বাড়ির খবর টবর বাড়ির লোকজনকে জানাই। তাই ন্যাদোশ যে এসেছিল, তা আমার ভাইবোনদের যে—কটাকে পাচ্ছি, তাদের জানিয়ে দিলাম।
তারপর, তোমাদের জন্যে গল্প লিখব, আরো কি কি লিখব। বেজায় ব্যস্ত আছি। আমার জীবনও তো সৃষ্টিছাড়া। মানে অদ্ভুত—কিম্ভুত যাকে বলে। যার ইচ্ছে করে, সেই ওড়িশা থেকে ওড়িয়াতে, রাজস্থান থেকে হিন্দীতে, অন্ধ্র থেকে তেলেগুতে, মহারাষ্ট্র থেকে মারাঠীতে পত্রিকা পাঠাচ্ছে, আর ইংরিজীতে চিঠি দিচ্ছে, পড়ে কেমন লাগল জানাও।
এ সব ভেবেই মহা চিন্তায় আছি। শেষে ভাবলাম একটু ঘুমোনো যাক।
ঘুমোই নি, ঘুমোতে যাব ভেবেই হঠাৎ শুনি, ‘একি, তোমার কম্পিউটার নেই? ছো ছো, কলমে লিখছ?
‘ন্যাদোশ!’
‘আর কে বা তোমার কাছে আসে?’
ন্যাদোশ! সেই ন্যাদোশ! আমার লেখার টেবিল আর বাথরুমের মাঝে একফালি জায়গায় দিব্যি সেঁটে বসেছে। আশা এসে দিব্যি ন্যাদোশের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঝাঁটা বুলিয়ে চলে গেল।
ন্যাদোশ চোখ মটকাল। আমিও ঘাড় নাড়লাম। এখন তো এ রকমই হবে সব। ন্যাদোশ আছে, আমি দেখছি। আর সবাই ওর মাথা, পেট, ল্যাজ মাড়িয়ে চলাফেরা করছে।
আমি বললাম, ‘আজ কি মনে করে?’
‘মনে হচ্ছে এসে ভুল করেছি। তোমার যে বোনটা পাগল ছিল, ওই যে যার বর শুধু ডিকশনারি লেখে, তার কমপিউটার আছে, তোমার ল্যাগবেগে ভাইটা কমপিউটারে কি সব লিখছে, আর তুমি একটা, সত্যি!’
‘তুমি ওদের ওখানে যাও নাকি?’
‘তোমার এখানে আসার সময়ে ওদের ‘হাই!’ বলে আসি। হাজার হ’লেও ওদের বই খেতাম ব’লেই তো যা লেখাপড়া শিখেছিলাম!’
‘গো—লোকের গোরু কমপিউটারের খবর জেনে কি হবে?’
ন্যাদোশ ওর একদিকে যে কানটা একটু কাটা, মানে কান আছে, কিন্তু একদিক চেরা, সেই কানটা নাচিয়ে হাসল।
‘তোমাদের ছাড়া কাকে জানি বলো? তোমাদের গোরুই ছিলাম…’
‘তুমি জগদেওর গোরুও ছিলে না, আমাদের গোরুও ছিলে না। তুমি ছিলে তোমার। যা ইচ্ছে, তাই করতে, মনে নেই আবার?’
ন্যাদোশের গলা সেন্টুমেন্টু হয়ে গেল। বলল, ‘তা বটে, তা বটে, স্বাধীনতা বলতে…’
‘জগদেওকে ঢুঁ মারতে।’
‘অমন ঢুঁ ন্যাদোশ, দি প্রথম ম্যাড কাউ অনেককে মেরেছে।’
নিশ্বাস ফেলল ও, ‘ভাবতে কত ভালো লাগে! তখনকার যে রকম ইলিশ মাছ খেয়েছি, এখন তেমনটি হয়ই না! কত ধবধবে জামা কাপড়, মেলে দিলেই খেয়েছি। এখন তেমন গেঞ্জীই হয় না। খেয়েছিলাম বলেই তো তোমার ভাই…’
‘ওর সাধের পাজামা হাঁটু অবধি খেয়েছিলে, সেজন্যেই ও কান কেটে দেয়!’
‘ছি ছি! কে চিনত তোমাদের? যত নামডাক তো ন্যাদোশের জন্যে! তা ব’লে একতরফা ব’লে গেলে ছেড়ে দেব?’
‘তার মানে?’
ন্যাদোশ পিছনের ঠ্যাঙে দাঁড়ান। সামনের ঠ্যাং দুটো আড়াআড়ি করে চেপে ধরে ঘন ঘন পায়চারি করতে থাকল।
না বলে পারলাম না, ‘ওঃ! বিবেকানন্দের ছবি দেখে…’
‘আজ্ঞে না। মনীশ ঘটকও যখন সিরিয়াস হ’তে চাইতেন এমনি করেই পায়চারি করতেন।’
‘চটে গেলে না কি?’
‘দুঃখ পেয়েছি। সে সময়টা কি? তোমার মা সব ওই ভাই আর বজ্জাত নারাণটার ওপর চাপিয়ে দিয়ে শান্তিনিকেতন গেলেন।’
‘নারাণ বজ্জাত ছিল না।’
‘রাতদিন বিড়ি খেত আর আমাকে বলত গো—ভূত। বেটা সরি, মানে নারাণ বাড়িতে মাছ মাংস রাধতই না। তোমার কারণে আমি আমিষ ধরেছি। ঘাস—খড়—ভুষি খেলেও প্রত্যহ চিকেন চাই! সে সব না পেয়ে আমি ক্ষেপে যাচ্ছি। তোমার ভাইটা বুঝেও বুঝছে না, মরিয়া হয়ে…ওকে বোঝাবার জন্যে…’
‘পাজামা চিবোলে।’
‘ওর মনে আঘাত দিতে হবে তো! জীবনের প্রথম নতুন পাজামা খেলে ওর শিক্ষা হবে ভেবেই…তোমার মা ছিলেন মানুষের মত মানুষ। আমার কান কাটার জন্যে কত হাহাকার করলেন, তোমার ভাইকে ঝাড় দিলেন।’
‘যাক, বোস।’
‘বসব। ল্যাংপেঙেটা আসছে।’
বাবু এল। চিঠিপত্র দেখল, কি সব লিখে নিয়ে চলে গেল। ও ন্যাদোশের মধ্যে দিয়ে, অথবা ন্যাদোশ ওর মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করছিল। আমি ভাবলাম, অবুর পাজামা কেন ন্যাদোশ খেয়েছিল, তা এতদিনে জানা গেল।
বাবু বেরিয়ে যেতেও ন্যাদোশের অভিমান কমে না।
অবশেষে ও শান্ত হ’ল।
‘দেখ! গো—লোকে মহা হাংগামা। আমি আজ একটা বিশেষ কারণে এসেছি। এর জন্যেও তুমিই দায়ী।’
‘আবার কি হ’ল। তখন তো মনে হ’ল গো—লোকে তোমার বিষয়ে যত চ্যাঁচামেচি, সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’
‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ লিখেই তো আমাকে ফাঁকে ফেলেছিলে। না লিখতে যদি….’
‘তুমি ম্যাড—কাউ ডিজিজে পাইওনীয়ার এ কথা জানার পরেও ঝামেলা?’
‘হবে না? গো—লোকে কি হিংসেহিংসি কম? যখন গিয়ে সব বললাম, তখন সে কি হাম্বা হাম্বা চতুর্দিকে। ভজনলালের হরিয়ানা গোরু বাহাদুর তো বিশাল গো—সভা ডাকলেন। মালার পর মালা পরাচ্ছে। দেবলোকের গোমাতাশ্রী সুরভি আর নন্দিনী দেবলোক থেকে পারিজাত বর্ষণ করছেন, যাকে বলে মহোৎসব!’
‘তোমার কেমন লাগছিল?’
‘খুবই ভালো। দিব্যি লাগছিল। গো—লোকে এমন প্রেসটিজ কি চাট্টিখানি কথা? কিন্তু ওদিকে বেজায় হিংসে শুরু হয়ে গেল, কি চক্রান্ত, ওঃ!’
‘চক্রান্ত?’
‘নিশ্চয়। সেদিন বাহাদুর বলে কি, খুব যে তড়পাচ্ছিলে, স্বাধীনতা সংগ্রামী! ম্যাড কাউ ডিজিজের আবিষ্কারক! এ সব কথার প্রমাণ কোথায়?—সঙ্গে সঙ্গে গোরুর পাল চেঁচাতে থাকল, সে কি হাম্বা! হাম্বা! রীতিমত গর্জন শুরু হ’ল, প্রমাণ কোথায়! জবাব দাও!’
‘বলো কি?’
‘এ রকমটা ইয়ে…মর্ত্যলোকে হয় জানি, গো—লোক কি গোল্লায় গেল?’
‘ওদের বলেছিলে?’
‘অবশ্যই! মনে রেখো, তোমার বাবা হরদম ‘অবশ্যই’ বলতেন।’
‘মনে আছে।’
‘তোমার মা কোনো কথায় অবিশ্বাস হ’লে নাক দিয়ে আর গলা দিয়ে কি রকম তাচ্ছিল্য করে একটা ছোট্ট শব্দ করতেন! করতেই পারেন। তোমার বাবা বাজার থেকে মাছ কিনে এনে বলতেন, পুকুরে ধরলাম! মিছে কথা আর কি!’
‘বাপ রে বাপ!’
‘তারপর আমি ওদের বজ্র হাম্বায় বললাম, তোমরা গোল্লায় গেছ! সাধে কি মানুষেরা বলে ‘বোকা বলদ!’ ‘গোরুর মত নির্বোধ!’ বলার কালে খেয়ালও নেই, বাহাদুর আসলে এক পেল্লায় বলদ!—ব্যস! সব গোরু—ষাঁড়—বলদ—হেন তেন একজোটে হাম্বাতে থাকল। প্রমাণ নাই, নিপাত যাও। নইলে শিবের ত্রিশূল খাও!’
‘আমার মাথা ঘুরছে।’
‘ঘুরলে তো হবে না। শিবের বাহন ষাঁড়, মানে গো—জাতির একজন। বাহাদুর আরো বলল, প্রমাণ না আনলে…! দেখ! আমাকে সাহায্য করা তোমার পারিবারিক কর্তব্য।’
ভাবতে ভাবতে মনে হ’ল ইউরেকা! অর্থাৎ পেয়েছি! পেয়েছি!
ন্যাদোশ বলল, ‘ইউরেকা?’
‘ইউরেকা।’
‘ভাগ্যে জানতাম ওটা গ্রীক শব্দ।’
‘বাজে বোক না।’
‘বই চিবিয়ে জেনেছি।’
‘সত্যি!’
‘এবার বলো! কত আর বকতে পারি!’
‘ওরা কি ‘শহীদ’ শব্দ জানে?’
‘খালি খেতে জানে। আর ঝামেলা পাকাতে জানে। আর কি জানবে।’
‘তুমি একটা মহতী গো—সভা ডাকো।’
‘আমাদের প্রচারককে ডাকতে হবে। বেটা নাকি বৃন্দাবনের গোরু!’
‘তাই ডাকো। সেই সভায় বলবে। আমি, ন্যাদোশ হলাম শহীদ!’
‘একসপ্লেন উইথ রেফারেনস টু দি কনটেকসট!’
‘এমন বিপদেও ইংরিজি বলছ?’
‘নিশ্চয়। নেসফিলডের গ্রামার খাইনি? মলাট দুটো তো তোমার ক্ষেপী বোন, যেটা ছোট ছিল, সে ছিঁড়ে বাতাস খেত।’
‘যাক গে! কনটেকসটা তো তুমি! বলবে, যারা শারদীয়া কাগজপত্তর পড়োনা, তারা জানো না, এ সব কথা লেখাও হয়েছে, ছাপাও হয়েছে!’
‘হামম! গুল মারছ না তো?’
‘বোক না। শোনো!’
‘বলো!’
‘তোমাকে বলতে হবে…মানে আমি যেন তুমি, আর তুমি হচ্ছ…ইয়ে…গোলোকের…’
‘বিক্ষুব্ধ গো—পাল।’
‘অবশ্যই। আমি হচ্ছি ন্যাদোশ! আমি বলছি! শহীদ শব্দের অর্থ অতি মহান। কোনো আদর্শ বা সত্যের জন্য যে প্রাণ দিতে পারে, সেই হ’ল শহীদ!’
‘বটে? বলতে চাইছ কি?’
‘শহীদের মৃত্যু নেই।’
‘বললেই হ’ল?’
‘অমর লোকেই তার নমুনা বিস্তার! দধীচি মুনি প্রাণ দেন ব’লেই তাঁর হাড়ে ব্রজ তৈরি হয়।’
‘সে তো সবাই জানে!’
‘ভক্ত ধ্রুব, ভক্ত প্রহ্লাদ, এঁরাও ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্যে শহীদ হন।…এঁরা ধর্মযোদ্ধা।’
‘তুমি কি বলতে চাইছ?’
‘তুমি এবার পারবে, চেষ্টা করো।’
‘ভো ভো গো—গণ! শহীদ শব্দটি বোঝো। যে সে শহীদ হয় না। স্বর্গে যেমন দধীচি…পেল্লাদ, ধ্রুব…সবাই…’
‘ধর্মযোদ্ধা। কেননা ওঁরা সত্য ও ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে প্রাণ দেন। আমি কেন শহীদ বলে গণ্য হবো। এই! প্রমপট করো।’
‘আমি ম্যাড কাউ ডিজিজ নিজ শরীরে…
‘কালটিভেট, মানে তৈরি করি, সে রোগ যে একদা মর্ত্যলোকের কোথাও কোথাও দেখা দেবে তা জেনে স্বদেহে রোগলক্ষণাদি বাড়তে দিই, এবং শেষে সে কারণেই গোরুর ডাক্তারকে ঢুঁ মেরে রত্তারক্তি করে ছিটকে বেড়িয়ে গিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিই। তাই আমি শহীদ ন্যাদোশ! এবং হে অজ্ঞ গো—পাল! শহীদদের মূর্তি হয়। তাদের কেউ প্রশ্ন করেনা, পূজা করে! দেখ বাঘাযতীন, ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিং, মহাত্মা গান্ধীকে! শহীদদের কেউ প্রশ্ন করে না, চ্যালেঞ্জ করে না। আমি শহীদ। এ মর্মে গল্পও লেখা হচ্ছে। ঠিক বলেছি? দাঁড়াও, দাঁড়াও, পয়েট্রি আসছে,—
শহীদের নামে যদি প্রশ্ন তোলে কেউ
অচিরে পাঁচন খাবে, কাঁদবে ভেউ ভেউ!’
‘অসামান্য! ন্যাদোশ! তোমার ভেতর থেকে জ্যোতি বেরোচ্ছে। অত শহীদের নাম…’
‘জানা যায়। বই খেলে…মর্ত্যের খোঁজখবর রাখলে জানা যায়! ওঃ! আমি শহীদ!’
‘শহীদের নামে প্রশ্ন তোলে কুলাঙ্গরু।’
‘ক্ষুদিরাম…বাঘাযতীন…সূর্য সেন…ন্যাদোশ!’
‘ভাগ্যে বই গুলো খেয়েছিলে!’
‘এ যে বহরমপুর গোরুশ্রী থেকে শুরু করে ভারতরত্নম!’
‘কি বললে সে রকমই বটে! এখন আমাকে পায় কে? চলি তাহ’লে? বিদায়! তবে আসি? আদিয়ু! চিয়াও। ফেয়ারওয়েল! বাই বাই! আলোহা। শ্যালোম। চলি গো!’
ন্যাদোশ আমার ছোট্ট জানালা দিয়েই ভেসে বেড়িয়ে গেল।
ন্যাদোশ কি আর আসবে? কি মনে করো? এবার ‘ন্যাদোশ অমনিবাস’ লিখতেই হচ্ছে।