আবার কালরাত্রি – মনোজ সেন

আবার কালরাত্রি

ইন্দ্রনাথ রায় আর বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য বহুদিনের বন্ধু। দু-জনে একসঙ্গে গিরিডি শিলটন মাইকা কোম্পানিতে ঢুকেছিলেন আজ থেকে প্রায় ছত্রিশ বছর আগে। তারপর অনেক উত্থান-পতনের পর একইসঙ্গে অবসর নিয়েছেন দু-বছর আগে। অভিন্নহৃদয় বন্ধু হলে কী হবে, দু-জনের মধ্যে তফাত ছিল অনেক। ইন্দ্রনাথ ছিলেন লম্বা-চওড়া, ফর্সা আর প্রচণ্ড ফূর্তিবাজ। হাসতে শুরু করলে থামতে পারতেন না। আর বিষ্ণুপদ ছিলেন ছোটোখাটো মানুষ। শ্যামবর্ণ, গম্ভীর আর কিছুটা অন্তর্মুখী। দু-জনের বন্ধুত্বটা যে কী করে টিকে ছিল সেটা অনেকেই ভেবে পেতেন না। আর শুধু কি বন্ধুত্ব? দু-জনের মধ্যে আত্মীয়তাও গড়ে উঠেছিল। ইন্দ্রনাথের বড়ো ছেলে প্রদীপ্তর বিয়ে হয়েছিল বিষ্ণুপদর একমাত্র মেয়ে কল্যাণীর সঙ্গে। কৈশোর মাতৃহারা কল্যাণীকে নিজের মেয়ের মতো করে কাছে টেনে নিয়েছিলেন ইন্দ্রনাথের স্ত্রী সুতপা।

অবসর নিয়ে বিষ্ণুপদ বাড়ি করেছিলেন গিরিডি শহর থেকে অনেকটা দূরে। সে জায়গাটা বেশ নির্জন। বাড়িঘর বেশি নেই, জঙ্গলও কাছে। একা থাকতেন আর একটি স্থানীয় সাইকেল রিকশাওয়ালা তাঁকে দেখাশুনো করত। ছেলেটির নাম মদন। সে ভোরবেলা এসে বাড়ির কাজকর্ম করে রান্না করে দশটা নাগাদ চলে যেত। মাঝে মাঝে রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরার পথে খবর নিয়ে যেত আর বিষ্ণুপদ-র শহরে বা স্টেশনে যাবার দরকার হলে তার সাইকেলরিকশায় তাঁকে নিয়ে যেত।

ইন্দ্রনাথও বাড়ি করেছিলেন গিরিডিতে; তবে সে একেবারে শহরের মধ্যিখানে। তাঁর বন্ধুর মতো নির্জনে বসে বই পড়া তাঁর ধাতে সইত না। আর তাঁর তিন ছেলে আজ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি নিয়ে চলে গেল, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় সারাবছর ধরে তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াতেন মহানন্দে। যতদিন গিরিডিতে থাকতেন, ততদিন অবশ্য রোজ বিকেলে বিষ্ণুপদর বাড়িতে যেতেন।

সেদিন মাঘী পূর্ণিমা। বিষ্ণুপদ অত্যন্ত উদ্‌বিগ্ন হয়ে বারান্দায় বসেছিলেন। রাত অনেক হয়েছে কিন্তু শুতে যেতে পারছেন না। তখন লোডশেডিং চলছে। বিষ্ণুপদ মনে মনে প্রার্থনা করছিলেন, আকাশে যেন মেঘ না-আসে আর উজ্জ্বল চাঁদের আলোটা যেন ঢাকা পড়ে না যায়। তা যদি যায় তাহলে নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে সব কিছু ঢাকা পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে, পঞ্চাননের সাইকেল চালিয়ে তাঁর বাড়িতে আসা যে শুধু কঠিন হবে তাই নয় বিপজ্জনকও হবে। এ অঞ্চলে সম্প্রতি চুরি-ডাকাতি খুব বেড়ে গেছে। পঞ্চাননকে যদি কেউ রাস্তায় ধরে, তাহলে তার কাছে টাকাপয়সা হয়তো পাবে না, কিন্তু তাকে মারধর করে তার সাইকেলটা কেড়ে নেবে।

পঞ্চানন ইন্দ্রনাথের কাজের লোক। অনেকদিন ধরে রয়েছে ও বাড়িতে। আজ সকালে কল্যাণীর সন্তান হবার কথা। সেই খবরটা তাকে টেলিফোন করে কলকাতা থেকে জানাবেন ইন্দ্রনাথ আর সে এসে বিষ্ণুপদকে খবর দেবে— এ-রকমই কথা ছিল। দুপুর নাগাদ উদ্‌বেগ চেপে রাখতে না-পেরে বিষ্ণুপদ মদনের রিকশা নিয়ে শহরে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন, ইন্দ্রনাথের টেলিফোন কাজ করছে না। পঞ্চানন তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল যে বাবু, আমার মনিব যেভাবেই হোক, ঠিক খবর দেবেন আর যত রাতই হোক, সেই খবর সে তাঁকে পৌঁছে দেবেই।

রাত যখন এগারোটা বাজল বিষ্ণুপদ শুয়ে পড়াই স্থির করলেন।

পঞ্চানন এত রাতে কি আর আসবে? খবরাখবর সব কাল সকালেই পাওয়া যাবে। হ্যারিকেন লন্ঠনের আলোটা কমিয়ে দিয়ে সবে লেপের ভেতরে ঢুকছেন বিষ্ণুপদ, হঠাৎ বাইরে একটা হুংকার শুনে তাড়াতাড়ি উঠে বসলেন। হ্যারিকেনের আলোটা উসকে দিয়ে একটা শাল জাড়িয়ে দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে এলেন। দেখেন গ্রিলের একপাশে ধূসর রঙের কম্বল মুড়ি দেওয়া মাংকি ক্যাপ পরা একটা লম্বা-চওড়া লোক লম্বা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাঁদের আলোয় দেখা গেল আগন্তুকটির হাতে সাদা উলের দস্তানা।

বিষ্ণুপদ হিন্দিতে প্রশ্ন করলেন, ‘কৌন?’

আগন্তুক আবার হুংকার দিয়ে উঠল, ‘কী হয়েছে তোর? চশমা ছাড়া বই পড়তে পারিস না জানতুম। লোকজন চিনতে ও অসুবিধে হচ্ছে নাকি আজকাল?’

বিষ্ণুপদ বললেন, ‘ও তুই? এত রাতে? কী খবর? কখন এলি কলকাতা থেকে?’ বলতে বলতে গ্রিলের দরজার তালাটা খুলে দিলেন।

ইন্দ্রনাথ বারান্দায় উঠে লাঠিটা দেওয়ালের গায়ে ঠেকিয়ে রেখে বললেন, ‘এসেছি আজ রাত্রের গাড়িতে। খবর অত্যন্ত ভালো। আজ সকাল চারটে চব্বিশ মিনিটে তুই দাদু হয়েছিস। সাত পাউন্ডের ছেলে। মা আর ছেলে দু-জনেই ভালো আছে।’

বিষ্ণুপদ আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন। তাঁর দু-চোখে জল ভরে এল। কম্পিত কণ্ঠে বললেন, ‘এত ভালো খবর জীবনে কখনো পাব ভাবিনি। এসব তোর জন্যে। মানসী যে দায়িত্ব আমার হাতে দিয়ে গিয়েছিল, তুই আমার পাশে না থাকলে সে দায়িত্ব আজকের এই সার্থকতায় কোনোদিন পৌঁছোতে পারত না।’

ইন্দ্বনাথ বললেন, ‘আমি আবার কী করলুম? যা করবার তো তুই-ই করেছিস। আমরা ছিলুম শুধু তোর পাশে। জ্ঞান ফিরে চেয়ে প্রথম কথা কি বলেছে কল্যাণী জানিস? বলেছে, বাবা খবর পেয়েছে?’

বিষ্ণুপদ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে নিজেকে সামলালেন। তারপর বললেন, ‘আয় ভেতরে আয়।’

ইন্দ্রনাথ মাথা নেড়ে বললেন, ‘না, ভেতরে যাব না। এখন ঝামেলা করিসনি তো! ট্রেন থেকে নেমে সোজা তোর এখানে আসছি। এবার বাড়ি যাওয়া দরকার। কিছু কাজ আছে।’

‘তুই এলি কেন? একটা টেলিফোন করে পঞ্চাননকে খবর দিতে পারলি না?’

ইন্দ্রনাথ সহাস্যে বললেন, ‘এলুম তোর এই আনন্দটা স্বচক্ষে দেখব বলে। এমন একটা খবর কি টেলিফোনে দেওয়া যায়। তা ছাড়া, দেবই বা কী করে? তোর তো ফোন নেই, তাই তুই জানিস না। গত তিনদিন যাবৎ গিরিডির সমস্ত ফোন খারাপ। সবচেয়ে বড়ো কথা আমার মা-টা আশা করে আছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোকে খবরটা দিতে হবে। তার কথা না ভেবে কী করি বল?’

‘স্টেশন থেকে এ পর্যন্ত এলি কী করে? সাইকেলরিকশা এল?’

‘তা কখনো আসে? জয়সেয়ার মার্কেট পর্যন্ত রিকশা পেলুম। সেখানে রামেশ্বর চৌকিদারের কাছ থেকে লাঠিটা ধার করে হাঁটতে হাঁটতে চলে এলুম। বেশি সময় লাগেনি, মিনিট পনেরো।’

‘চমৎকার! এখন তো জয়সোয়াল মার্কেটেও রিকশা পাবিনে।

আজ থেকে যা না এখানে, কাল সকালে যাস।’

‘অসম্ভব! অনেকগুলো কাজ আছে, বললুম না? কাল ভোর বেলাতেই বেরিয়ে পড়তে হবে। এখন চল, তোর মদনকে ঘুম থেকে ওঠাই। আপত্তি করবে না আশা করি।’

‘না তা করবে না।’

দরজায় তালা দিয়ে বিষ্ণুপদ যখন ইন্দ্রনাথের সঙ্গে পিচের রাস্তায় উঠে এলেন, সারা পৃথিবী তখন জ্যোৎস্নায় যেন ভেসে যাচ্ছে। চারদিক নিস্তব্ধ। যতদূর দৃষ্টি যায় রাস্তা জনপ্রাণীহীন। যেদিকে জয়সোয়াল মার্কেটের মোড়, তার উলটোদিকে মদনের ঘর। মিনিট পাচেকের হাঁটাপথ। দুই বন্ধু গল্প করতে করতে দিকে রওনা হলেন। রাস্তার একপাশে ছোটো ছোটো ক বাড়ি অথবা কুঁড়ে ঘর। সেগুলো সবকটা অন্ধকার। কারুর মধ্যেই কোনো জনমানব আছে বলে মনে হয় না। অন্যপাশে ঝোপঝাড় তারপর কিছুটা ফাঁকা মাঠ, মাঠের শেষে জঙ্গল।

লাঠিটা কাঁধে নিয়ে বীরদর্পে হাঁটতে হঁটিতে ইন্দ্রনাথ বললেন, ‘বুঝলি বিষ্টু, এইরকম একটা লাঠি হাতে থাকলে আমি দুনিয়ার কাউকে তর পাইনে।’ বলে লাঠির নানারকম গুণগান শুরু করে দিলেন।

এটা বেশিক্ষণ চলল না। হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলেন ইন্দ্রনাথ। গলা নামিয়ে বললেন, ‘আমাদের ফলো করছে। তিন জন লোক। আমাদের পেছনে ফুট দশেক দূরে ঝোপের আড়ালে।’

বিষ্ণুপদ ইন্দ্রনাথের মতো গলা নামিয়ে বললেন, ‘বলিস কি? তুই কী করে বুঝলি?’

‘আমি ঠিকই বুঝেছি। আয় তো, একটু মজা করি লোকগুলোর সঙ্গে।’ বলে ইন্দ্রনাথ, বিষ্ণুপদর হাত ধরে টেনে একটা মস্ত গাছের আড়ালে চলে গেলেন।

বিষ্ণুপদ হাঁসফাঁস করে বললেন, ‘মজা করবি কি-রে? লোকগুলো যদি ডাকাত হয়?’

‘ডাকাতই তো। দ্যাখ না কী করি!’

গাছের তলাটা অন্ধকার। বাইরের চাঁদের আলোয় ইন্দ্রনাথকে সিলুয়েটে দেখতে পাচ্ছিলেন বিষ্ণুপদ। ইন্দ্রনাথ একহাত থেকে দস্তানা খুলে ফেললেন। গায়ে জড়ানো কম্বলের তলায় একটা কাঁধঝোলা ছিল, তার ভেতর থেকে একটা সাদা চাদর বের করলেন তারপর কী যে করলেন, হঠাৎ বিষ্ণুপদ দেখলেন একটা সরু হাড় জিরজিরে সাদা হাত গাছের ছায়ার ভেতর থেকে বেরিয়ে লম্বা হয়ে ছুটে চলে গেল কিছুদূরে একটা ঝোপের দিকে।

সেইসঙ্গে ইন্দ্রনাথের গলা থেকে বেরিয়ে এল একটা রক্ত জলকরা ভয়াবহ চিৎকার। মনে হল যেন একশোটা কাঁসর ঘণ্টা একসঙ্গে বেজে উঠল। যদিও সেই শব্দটা হাসিই বলা যেতে পারে, কিন্তু বিষ্ণুপদর হৃৎপিণ্ডটা চমকে ওঠে গলার কাছে এসে ধড়ফড় করতে লাগল।

ঘটনার ফলটা হল অদ্ভুত। তিনটে কালো কম্বল-মুড়ি দেওয়া লোক ঝোপটার পেছন থেকে লাফ দিয়ে উঠল। তাদের একজনের হাতে দিশি গাদা বন্দুক অন্য দু-জনের হাতে চকচকে তলোয়ার। সেসব অস্ত্র ফেলে ভয়ংকর আতঙ্কে তারা ‘বাপ-রে, মা-রে’ করে চিৎকার করতে করতে ঊর্ধ্বশ্বাসে জঙ্গলের দিকে ছুট লাগাল।

ইন্দ্বনাথ লাঠিটা টেনে এনে তার ওপরে মোড়ানো চাদরটা খুলে নিয়ে কাঁধঝোলায় রাখলেন আর দস্তানাটা খুলে হাতে পরে নিলেন। তারপর স্বভাবসিদ্ধ মোটা গলায় হাসতে শুরু করলেন। সে হাসি আর থামতেই চায় না। দম নেওয়ার ফাঁকে হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, ‘দেখলি, কেমন ভয় দেখালুম ব্যাটাদের। আর জীবনে এদিক মাড়াবে না, ডাকাতি করবার জন্য।’

বিষ্ণুপদ ততক্ষণে একটু সামলেছেন। বললেন, ‘তোর ছেলেমানুষি আর গেল না। ডাকাতের সঙ্গে এ রেকম ফাজলামো কেউ করে? যদি ভয় না পেত? ‘

‘পাবে না মানে? এরা হল গেঁয়ো ডাকাত, এদের যে কতরকম কুসংস্কার তার ইয়ত্তা নেই। আর সেইসব কুসংস্কারের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী যে ভূতের ভয়। যদি শহুরে ডাকাত হত তো একটা কথা ছিল। তারা লেখাপড়া জানে, ভূত বলে যে কিছু নেই বা থাকতে পারে না, সেটা তারা জানলেও জানতে পারে। কিন্তু এরা? যত সব গোমুখ্যু লোক, এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভূতের ভয়।’ বলে আবার হা-হা করে হাসতে শুরু করলেন ইন্দ্রনাথ।

বিষ্ণুপদর মোটেই হাসি পাচ্ছিল না। তিনি একটু গম্ভীর হয়েই গাছের তলা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠে এলেন। বললেন, ‘ঢের হয়েছে। এবার চল, মদনকে ঘুম থেকে ওঠাই।’

ইন্দ্রনাথ বললেন, ‘তার আর দরকার হবে না। তোর বাঁ-দিকে তাকিয়ে দেখ। একটা জিপ আসছে না? ওটা তোকেই নিতে আসছে।’

সত্যিই একটা গাড়ির দুটো অত্যুজ্জ্বল হেডলাইটের আলো দেখতে পেলেন বিষ্ণুপদ। বললেন, ‘একটা গাড়ি আসছে ঠিকই। এত রাতে আমাকে নিতে আসছে কেন?’

‘ও তো জানি না। তবে মার্কেট পুলিশ স্টেশনের সাব-ইনস্পেকটর রণধীর সিনহা আসছে বলে মনে হচ্ছে। ‘

রণধীর বিষ্ণুপদর চেনা লোক, বি-এ পরীক্ষার আগে তাঁর কাছে ইংরেজি পড়তে আসত। একটু আশ্চর্য হয়ে বিষ্ণুপদ স্বগতোক্তি করলেন, ‘রণধীর আসছে? কী হল আবার?’

দেখতে দেখতে গাড়িটা কাছে চলে এল। সেটা পুলিশের জিপই বটে। ভেতর থেকে রণধীর বেরিয়ে এলেন। বললেন, ‘একী স্যার! এত রাতে আপনি এখানে! খবরটা কি পেয়েছেন?’

‘খবর? কী খবর বল তো?’

রণধীর মাথা নীচু করে বললেন, ‘আপনাকে একবার আমার সঙ্গে যেতে হবে স্যার। আপনার বন্ধু মি ইন্দ্রনাথ রায় আজ রাত্রের ট্রেনে এখানে এসেছিলেন। স্টেশন থেকে একটা সাইকেলরিকশা নিয়ে বোধ হয় আপনার কাছেই আসছিলেন। জয়সোয়াল মার্কেটের কাছে একটা ছুটন্ত মালবোঝাই ট্রাক প্রথমে রামেশ্বর গোয়ালাকে চাপা দেয় তারপর ওঁর সাইকেলরিকশায় ধাক্কা মারে। দু-জনেই অন দি স্পট মারা যান। ওঁর বাড়িতে আমরা গিয়েছিলুম। দেখলুম আত্মীয়স্বজন কেউ নেই। তাই, আপনার কাছে এসেছি।’

বিষ্ণুপদর সমস্ত শরীর থরথর করে কেঁপে উঠল। কোনোরকমে বললেন, ‘ইন্দ্ব?’ বলে পেছনের গাছটার দিকে তাকালেন। চাঁদের আলোয় দেখলেন একটা নিশাচর পাখি প্রকাণ্ড ডানা মেলে ‘হা-হা’ করে ডাকতে ডাকতে ওঁর মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *