অন্তিম পর্ব— বিকীর্ণ বাতাস
সাইগারসন সাহেব কলিকাতা হইতে চলিয়া যাইবেন। আমরা সকলেই বিষণ্ণ। এই সামান্য সময়ে সাহেব যেন আমাদিগের কাছের মানুষ হইয়া উঠিয়াছিলেন। গত বৎসর যে ভয়াবহ নাটকের পর্দা উন্মোচিত হইয়াছিল, গত সপ্তাহের নববর্ষের দিনে তাহারই যবনিকাপাত হইয়াছে। কিন্তু মন বলিতেছিল এখনও কিছু বাকি আছে। হৃদয় ভারাক্রান্ত। সত্য জানিয়াও গোপন রাখার ভার যে কী দুঃসহ, তাহা ভাষায় বর্ণনা অন্তত আমার পক্ষে সম্ভবপর নহে। সাহেব খবর পাঠাইয়াছেন উনি আজ বৈকালে তারিণীর অফিসে যাইবেন। আমাকেও যাইতে হইবে। টমসন সাহেব দায়িত্ব দিয়াছেন, উহার রোজনামচার পৃষ্ঠা সকল যেন আমি সংগ্রহ করিয়া বিনষ্ট করি। কিন্তু আমার গোপন ইচ্ছা, আমি বিনষ্ট করিব না। আমার হেপাজতে গোপনে রাখিয়া দিব। ভবিষ্যতে যদি কোনও দিন ইহা লিপিবদ্ধ করি, তবে এই সকল অভিশপ্ত দিবস রাত্রির ঘটনাবলি স্মৃতিতে জাগরূক করিতে উক্ত পৃষ্ঠা সকল আমার পরম বান্ধবের ন্যায় সাহায্য করিবে।
বৈকালে পৌঁছিয়া দেখি সাইগারসন সাহেব উপস্থিত। গণপতি নাই। তারিণী তাহার ডায়রির বিশেষ এন্ট্রির পৃষ্ঠাসকল ছিঁড়িয়া আলাদা রাখিয়াছিল। আমি যাইতেই হাতে ধরাইয়া দিল। সাইগারসন সাহেব বলিতেছিলেন, “আমি ঠিক করিয়াছি এক্ষণে উত্তরের উদ্দেশে যাইব। দার্জিলিং, কালিম্পং হইয়া তিব্বতে। শুনিয়াছি লামারা বিশেষ অতিথিবৎসল হন।” আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত হইয়া উঠিয়াছিল। ভাবিলাম সাহেবের সহিত এই শেষ দেখা। গণপতির বুঝি সাহেবের সহিত আর দেখা হইল না। বুঝি নাই দুই বছর বাদে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখে আসিয়া সাহেবের সহিত আবার মোলাকাত হইবে। গণপতির ভুতের বাক্স লইয়া গোটা দেশ তথা বিশ্বে যে মহা গোলযোগ আরম্ভ হইয়াছিল, সেকথা বিস্তারিত তারিণী তাহার ডায়রিতে লিখিয়াছে। ও বাক্সের মালিক যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রলয় ঘটাইতে সক্ষম তাহা তখনও না বুঝিলেও আজ বুঝি। পরমেশ্বরের কৃপায় বাক্সের ভূত আজ নিদ্রাভিভূত। আশা রাখি সুদূর ভবিষ্যতে কেহ আর ইহাকে জাগাইবে না। তবে জাগাইলে যে প্রলয়কাণ্ড ঘটিবে তাহা ভাবিলেই হৃদয় কম্পিত হয়। সেসব কাহিনি বারান্তরে বলার ইচ্ছা রহিল।
যাহা হউক, সেদিনের কথা বলি। সাহেবের দৃষ্টি টেবিলের উপর একখানি কাগজে পড়িল। তারিণীকে প্রশ্ন করিলেন, “ইহা কী লিখিয়াছ তারিণী?”
লজ্জিত স্বরে তারিণী কহিল, “আজ্ঞে, গোয়েন্দাগিরির পাশাপাশি আমি কবিতা চর্চাও করিয়া থাকি। নিতান্ত নেটিভ ব্যাপার…”
সাহেব খুশি হইলেন। ফ্রক কোটের পকেট হইতে একখানি ছোটো পুস্তিকা বাহির করিয়া তারিণীকে দিয়া বলিলেন, “ইহা কার্টার আমাকে দিয়াছিল। কবিতার পুস্তিকা। এই পুস্তিকাখানিই আমি পাঠ করিতাম। এখন ইহার প্রয়োজন ফুরাইয়াছে। পুস্তিকাটি যত্ন করিয়া রাখিবে। এখনই ইহা অত্যন্ত দুর্লভ। কালে কালে ইহা মহামূল্যবান হইবে।”
তারিণী কহিল, “কিন্তু রাখিবার জায়গা কোথায়?”
“কেন, তোমাকে তো দেখাইলাম। ডিরেক্টরের জিম্মায় ইহাকে রাখিয়া দাও।”
তারিণী একগাল হাসিয়া পুস্তকটিকে লাল মোটা খামে পুরিয়া, কাপড়ে জড়াইয়া ডিরেক্টরের অন্দরে রাখিয়া দিল। উঠিবার আগে সাহেব আমাকে বলিলেন, “অফিসার মুখার্জি, পড়ুন দেখি, তারিণী কী লিখিয়াছে? অর্থও বলিবেন।”
আমি পড়িতে শুরু করিলাম “আমরা পুরুষ, নীরস অতি/ নহি অধিকারী সুখে….”
“…কে দেবে মোদের সুধার কলস/ তৃষিত কাতর বুকে?” কী বাজে কবিতা মাইরি! তারিণী কেমন গোয়েন্দা ছিল জানি না, তবে বিচ্ছিরি কবিতা লিখত, এটা বুঝেছি। অফিসার চলে গেছেন আধঘণ্টা হয়েছে। মাথা এখনও ভোঁ ভোঁ করছে। যারা অফিসারের খবর পেয়েছে, তারা যে আমার খবর পাবে না, তার কী গ্যারান্টি! ভাবতে ভাবতে কবিতা লেখা পোকায় কাটা পাতাটা ওলটালাম। পিছনে একটা লিস্ট। ইংরাজিতে লেখা। হেডিং-এ লেখা, “Inventories from Mr. Driscol for the office of Tarini Churan Roy”। মানে এই অফিসের জন্য ড্রিসকল সাহেব যা যা দিয়েছিলেন তার হিসেব। কাজ নেই। তাই চোখ বোলাচ্ছিলাম। লেখা—
Files on previous cases— 15 nos.
Books on detection— 16 nos.
Wooden Table— 2 nos.
Wooden Chair (Chipandale Director)— 1 nos.
দেখেই লাফিয়ে উঠলাম। আরে! আমি তো সেই চেয়ারেই বসে! এর নাম চিপেনডেল ডিরেক্টর! কী জিনিস এটা? সঙ্গে সঙ্গে গুগল খুললাম। দেখি লেখা, “টমাস চিপেনডেলের জন্ম ইয়র্কশায়ারের কাছে ওটলিতে। তাঁর নামের উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় ১৭৪৮ সালে, যখন তিনি তিরিশ বছর বয়সে লন্ডন শহরে একটি কাঠের আসবাবের দোকান খুলে বসেন। তখন লন্ডনে ছুতোরের ব্যবসার খুব রমরমা। জর্জ সেডন নামে এক মিস্ত্রির কারখানায় প্রায় চারশো কর্মচারী কাজ করতেন। চিপেনডেলের ব্যবসা অত বড়ো ছিল না। ট্রাফালগার স্কোয়ারের এক কোণে গোটা পঞ্চাশ কর্মচারী নিয়ে তিনি চেয়ার, টেবিল, বুককেস, মোমবাতি দান, ঘড়ির কেস, তাস খেলার টেবিল ছাড়াও একেবারে নতুন একটা আসবাব বানান— যার নাম তিনি দেন ‘সোফা’। চিপেনডেলের আসবাব ও ডিজাইন ছিল অদ্ভুত সুন্দর, কিন্তু সেরকম আরও অনেক ছুতোরেরই ছিল। ১৭৫৪ সালে চিপেনডেল আচমকা একটা কাজ করে বসলেন। তাঁর দোকানের যত আসবাব তৈরি হয়, তার ডিজাইন একত্র করে ১৬০টি ছবি সম্মিলিত একটা বই প্রকাশ করলেন। নাম, দ্য জেন্টলম্যান অ্যান্ড ক্যাবিনেট মেকার’স ডিরেক্টর। তখনকার দিনে দাঁড়িয়ে এ ভাবনা ঐতিহাসিক। স্থপতিরা এই ধরনের কাজ আগে করলেও আসবাবের ক্ষেত্রেও যে এমন বই প্রকাশ করা যায় তা প্রথম চিপেনডেলের মাথাতেই আসে। সে ছবিও ছিল দেখার মতো। কোন আসবাব ঘরে রাখলে তা ঠিক কেমন দেখাবে, ছায়াসহ সেই ছবি ত্রিমাত্রিক ও নিখুঁতভাবে এঁকেছিলেন তিনি। আজকাল যত আধুনিক ক্যাটালগ দেখা যায়, সবাই জেনে বা না জেনে চিপেনডেলকেই অনুসরণ করে। মোনালিসার ছবি বা মাইকেল এঞ্জেলোর ভাস্কর্যর মতো সেসব আসবাব এখন অমূল্য। এই চিপেনডেলের সেরা কাজ ছিল দ্য ডিরেক্টর, যাতে একটা লুকিয়ে রাখা ক্যাবিনেট থাকত। আজ অবধি মাত্র দুটো চিপেনডেল ডিরেক্টর পাওয়া গেছে। গুগলে দেখলাম, অবিকল আমার চেয়ারটার মতো দেখতে। চেয়ারের ঠিক নিচে পাশ বরাবর যে কাঠের টুকরোটা আছে তাতে ফুলের কাজ। মাঝে একটা ফুল, চারদিকে লতাপাতা। নেমে এসে মাটিতে বসে ফুলের ঠিক মাঝখানটায় চাপ দিলাম। খট করে একটা শব্দ করে পাল্লাটা খুলে গেল। ভিতরে অন্ধকার। হাত ঢুকিয়ে বুঝলাম কিছু রাখা আছে। টেনে বার করে আনলাম। কাপড়ে প্যাঁচানো দড়ি বাঁধা একটা ছোট্ট প্যাকেট। দেখলেই বোঝা যায় একশো বছরেরও বেশি বয়স হয়েছে। কাপড় জ্যালজ্যালে হয়ে গেছে। দড়ি জায়গায় জায়গায় ছেঁড়া। কাপড় ছিঁড়তেই ভিতর থেকে বেরিয়ে এল একটা লাল খাম। মুখ আটকানো। আমার তর সইছিল না। হাত কাঁপছে। কোনওমতে খাম ছিঁড়তেই বেরিয়ে এল বাদামি রঙের একটা বই। আমি নেটে আগে দেখেছি। অবিকল সেটা। বিশ্বাস হচ্ছে না। হাত বোলালাম। আবার… আবার… সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ল আরও বড়ো কাজ বাকি। তারিণীর ডায়রি? যা থেকে গণপতির ভূতের বাক্সের সন্ধান পাওয়া যাবে? ডিরেক্টরের খোপে আবার হাত ঢোকালাম। কিছু ঠেকল না। এবার টর্চ মেরে দেখলাম। ভিতরটা খাঁ খাঁ করছে। একটা সুতোর টুকরো অবধি নেই।
“সারাদিন দূর থেকে ধোঁয়া রৌদ্রে রিরংসায় সে উনপঞ্চাশ
বাতাস তবুও বয়— উদীচীর বিকীর্ণ বাতাস”
(ক্রমশ…)
(১ম খণ্ড সমাপ্ত)
***
সহায়ক গ্রন্থতালিকা
বাংলা বই
অজিতকুমার বসু, কলিকাতার রাজপথ : সমাজে ও সংস্কৃতিতে, আনন্দ পাবলিশার্স
অঞ্জন মিত্র , কলকাতা ও দুর্গাপুজো, আনন্দ পাবলিশার্স
অতুল সুর, ক ল কা তা, সৃষ্টি প্রকাশন
আব্দুস শুকুর, বাংলার পুলিশ— সেকাল একাল, নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদ
অমৃতলাল বসু, রসরাজের রসকথন, সংবাদ
অরিন্দম দাশগুপ্ত (সম্পাদিত), সেকালের গোয়েন্দা কাহিনি (২ খণ্ড), আনন্দ পাবলিশার্স
অরিন্দম দাশগুপ্ত (সম্পাদিত), সেকালের গোয়েন্দা গল্প, আনন্দ পাবলিশার্স
ইন্দ্রমিত্র, সাজঘর, ত্রিবেণী
উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, কালীঘাট ইতিবৃত্ত, পরশপাথর
কালীপ্রসন্ন সিংহ, হুতোম প্যাঁচার নকশা ( অরুণ নাগ সম্পাদিত), সুবর্ণরেখা
কেদারনাথ দত্ত, সচিত্র গুলজার নগর, পুস্তক বিপণি
কৌশিক মজুমদার, মগজাস্ত্র, বুকফার্ম
কৌশিক মজুমদার, হোমসনামা, বুকফার্ম
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কলিকাতায় চলাফেরা, সেকালে আর একালে, চিরায়ত প্রকাশন
জীবনানন্দ দাশ, সাতটি তারার তিমির, সিগনেট প্রেস
তারাপদ সাঁতরা , কীর্তিবাস কলকাতা, আনন্দ পাবলিশার্স
তারাপদ সাঁতরা, কলকাতার মন্দির মসজিদ স্থাপত্য অলঙ্করণ রূপান্তর, আনন্দ পাবলিশার্স
তারাপদ সাঁতরা , প্রবন্ধ সংগ্রহ-১, রাঢ় প্রকাশন
দেবজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, বেশ্যাসঙ্গীত বাইজিসঙ্গীত, সুবর্ণরেখা
দেবাশিষ বসু (সম্পাদিত), কলকাতার পুরাকথা, পুস্তক বিপণি
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বনেদি কলকাতার ঘরবাড়ি, আনন্দ পাবলিশার্স
নকুল চট্টোপাধ্যায় , তিন শতকের কলকাতা, মিত্র ও ঘোষ
নিখিল সুর, সায়েবমেম সমাচার, আনন্দ পাবলিশার্স
পূর্ণেন্দু পত্রী, পুরোনো কলকাতার কথাচিত্র, দে’জ পাবলিশিং
পূর্ণেন্দু পত্রী, এক যে ছিল কলকাতা, প্রতিক্ষণ
পূর্ণেন্দু পত্রী, কলকাতার গল্পসল্প, দে’জ পাবলিশিং
পূর্ণেন্দু পত্রী, কলকাতার প্রথম, দে’জ পাবলিশিং
পূর্ণেন্দু পত্রী, কলকাতার রাজকাহিনী, দে’জ পাবলিশিং
পূর্ণেন্দু পত্রী, কী করে কলকাতা হলো, আনন্দ পাবলিশার্স
পূর্ণেন্দু পত্রী, ছড়ায় মোড়া কলকাতা, আনন্দ পাবলিশার্স
পূর্ণেন্দু পত্রী, জোব চার্ণক যে কলকাতায় এসেছিলেন, এ সি সরকার
পূর্ণেন্দু পত্রী, পুরোনো কলকাতার পড়াশোনা, দে’জ পাবলিশিং
প্রাণতোষ ঘটক, কলকাতার পথঘাট, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড
প্রাণকৃষ্ণ দত্ত, কলিকাতার ইতিবৃত্ত, পুস্তক বিপণি
প্রাণকৃষ্ণ দত্ত, বদমাএস জব্দ; দুষ্প্রাপ্য সাহিত্য সংগ্রহ, রিফ্লেক্ট পাবলিকেশন
প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়, দারোগার দপ্তর (২ খণ্ড), পুনশ্চ
বিকাশ ভট্টাচার্য, পুজোর কলকাতা, সূত্রধর
বিনয় ঘোষ, কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত, প্রকাশ ভবন
বিনয় ঘোষ, সাময়িকপত্রে বাংলার সমাজচিত্র (৫ খণ্ড), প্যাপিরাস
বিনয়ভূষণ রায়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস, সাহিত্যলোক
বিশ্বনাথ জোয়ারদার, অন্য কলকাতা, আনন্দ পাবলিশার্স
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সংবাদপত্রে সেকালের কথা (২ খণ্ড), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ
ভক্তিপ্রসাদ মল্লিক, অপরাধ জগতের ভাষা, দেজ পাবলিশিং
মহেন্দ্রনাথ দত্ত , কলিকাতার পুরাতন কাহিনী ও প্রথা, মহেন্দ্র পাবলিশিং কমিটি
রথীন মিত্র, কলকাতা : একাল ও সেকাল, আনন্দ পাবলিশার্স
রাধাপ্রসাদ গুপ্ত, কলকাতার ফেরিওয়ালার ডাক ও রাস্তার আওয়াজ, আনন্দ পাবলিশার্স
রাধারমণ মিত্র, কলিকাতা দর্পণ (২ খণ্ড), সুবর্ণরেখা প্রকাশনী
লোকনাথ ঘোষ, কলকাতার বাবু বৃত্তান্ত, অয়ন
শিবনাথ শাস্ত্রী, রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ, নিউ এজ
শ্রীপান্থ, কলকাতা, আনন্দ পাবলিশার্স
শ্রীপান্থ, বটতলা, আনন্দ পাবলিশার্স
শ্রীপান্থ, মোহান্ত এলোকেশী সম্বাদ, আনন্দ পাবলিশার্স
সমীরকুমার ঘোষ, জাদুসম্রাট গণপতি ও বাঙালির জাদুচর্চা, সপ্তর্ষি প্রকাশন
সন্তোষ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার রাস্তা হলো কেমন করে, দে’জ পাবলিশিং
সুকুমার সিকদার, হতভাগার কলিকাতা, অনুষ্টুপ
সুকুমার সেন, বটতলার ছাপা ও ছবি, আনন্দ পাবলিশার্স
সুকুমার সেন, কলিকাতার কাহিনি (দুই খণ্ড), আনন্দ পাবলিশার্স
সুধীরকুমার মিত্র বিদ্যাবিনোদ, হুগলি জেলার ইতিহাস, শিশির পাবলিশিং হাউস
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতার কত রূপ, কারিগর
সুনীল দাস, উপহাসের কলকাতা, সৃষ্টি প্রকাশন
সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অশ্রুত কণ্ঠস্বর : ঔপনিবেশিক বাংলার বারবনিতা সংস্কৃতি, সুবর্ণরেখা
সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, উনিশ শতকের কলকাতা ও সরস্বতীর ইতর সন্তান, অনুষ্টুপ
সৌমিত্র শ্রীমানী সম্পাদিত, কলিকাতা কলকাতা, বঙ্গীয় ইতিহাস পরিষদ
হরিপদ ভৌমিক , নতুন তথ্যের আলোকে কলকাতা, পারুল প্রকাশনী
হরিসাধন মুখোপাধ্যায়, কলিকাতা সেকালের ও একালের, পি এম বাগচি
হরিহর শেঠ, প্রাচীন কলকাতা পরিচয় : কথায় ও চিত্রে, ওরিয়েন্ট বুক কোম্পানি
হেমেন্দ্রকুমার রায়, কলকাতার রাত্রি রহস্য (সম্পাদনা : কৌশিক মজুমদার), বুকফার্ম
বাংলা পত্রিকা
অনুষ্টুপ, বটতলা সংখ্যা
ছন্দক সেনগুপ্ত, মনোচিকিৎসা: আঞ্চলিক ইতিহাসের এক অধ্যায়, এক্ষণ (শারদীয়া, ১৯৮৭)
English Books and Papers
Anindita Ghosh, Claiming the City: Protest, Crime, and Scandals in Colonial Calcutta, c. 1860-1920, OUP
A.P. Benthall, The Trees of Calcutta and its neighborhood, Thacker Spink & Co, London
Ashit Paul, Woodcut Prints of 19th Century Calcutta, Seagull
Bidisha Chakraborty & Sarmistha De, Calcutta in the Nineteenth Century. An Archival Exploration, Niyogi Books
Deborah Blum, The Poisoner’s Handbook, Penguin Publishers
Dhrubajyoti Banerjea, European Calcutta, UBPSD
Fanny Parkes, Begums, Thugs and Englishmen, Penguin Publishers
Geoffrey Moorhouse, Calcutta, Faber and Faber
Holly Tucker, Blood Work: A Tale of Medicine and Murder in the Scientific Revolution, W.W. Norton & Co.
Jim Steinmeyer, Art & Artifice and other essays on illusion, De Capo Press
Jim Steinmeyer, Hiding the Elephant, De Capo Press
Jim Steinmeyer, The Last Greatest Magician in the World: Howard Thurston Versus Houdini & the Battles of the American Wizards, Tarcher
Joe Winter, Calcutta Song, Sahitya Sansad
John Zubrzycki, Jadoowallahs, Jugglers and Jinns: A Magical History of India, Picador India
Judith R Walkowitz, City of Dreadful Delight: Naratives of Sexual Danger in Late Victorian London, Virago Press
Keith Humphrey, Calcutta Revisited, Grosvenor House Pub. Ltd
Keith Humphrey, Walking Calcutta; Grosvenor House Pub. Ltd
Krishna Dutta, Calcutta: A Cultural and Literary History, Interlink Books
L.P.Varma, History of Psychiatry in India and Pakistan, Indian Journal of Psychiatry (Vol 4.1), 1953
Larry Sloman and William Kalush, The Secret Life of Houdini: The Making of America’s First Superhero, Atria Books
Lee Siegel, Net of Magic: Wonders and Deceptions in India, UCP
Michael Chabon, The Amazing Adventures of Kavalier & Clay, Random House
Michael Chabon, The Final Solution, Harper Perennial
Milbourne Christopher, The Illustrated History of Magic, Running Press
Nisith Ranjan Ray, Calcutta The Profile of a City, KPB
P. Thankappam Nair, British Beginnings in Bengal, Firma KLM Private Limited, Calcutta
P. Thankappam Nair, Streets of Calcutta, Firma KLM Private Limited, Calcutta
P. Thankappam Nair, Origin of The Calcutta Police, Puthi Pustak
Pat Barr, The Memsahibs: The Women of the Victorian India, Allied Publishers
Peter Lamont, The Rise of the Indian Rope Trick, Time Warner Books
Prosenjit Dasgupta, 10 Walks in Calcutta, Harper-Collins
Ranabir Roychaudhury, A City in the Making, Niyogi Books
Sir Henry Cotton Committee, 1892
Sukanta Chaudhuri, Calcutta: The Living City (2 Volumes); OUP
Sukumar Sen, Women’s Dialect in Bengali, Jiggasa
Sumanta Banerjee, Dangerous Outcast, Seagull
Sumanta Banerjee, The Parlour and the Streets: Elite and Popular Culture in Nineteenth Century Calcutta, Seagull
Sumanta Banerjee, The Wicked City, Crime and Punishment in Collonial Calcutta, Orient Longman
W H Carey, The Good Old days of Honorable John Company, Riddhi Publication
William Dalrymple, The Anarchy: The East India Company, Corporate Violence, and the Pillage of an Empire, Bloomsbury