অনির্বচনীয়

নীল তারার আকাশে কত গান যে গায় পাখি
কত যে পাখি সাগর-ছোঁয়া ডানায় রোদ ভরে
এখানে আসে-আমার কাছে আমার উঠোনেই
বধূর মতো কোমল দুটি করুণ চোখ তুলে।

বধূও আসে কাজল রাতে কাজলদিঘী জল
যখন ঢাকে চাঁদের মুখ কলমীবন ছুয়ে,
তখন আমি তাকাই শুধু তাকাই বহু দূর
তখন এই হৃদয় যেন হৃদয় কোনো গানের।

কেন যে গান-কেন যে সুর- কেন যে মন, হায়,
হাওয়ার মতো ভরিয়ে দেয় ধানের মিঠে মাঠ,
তবু যে কেন দু চোখে জল, বুকে যে কেন জ্বালা
জানিনে কেন তবুও ঠিক জীবনখানা নেই।

জীবন কই-জীবন বৈ- কেমনে বাঁচা যায়
বাঁচার স্বাদ, বাঁচার সাধ পিদিমে মেটে নাকো,
আরো যে চাই প্রাণের আলো-গানের আত্মদানের
উজাড়-বিষ সন্ধ্যা ভোর আলোয় উন্মনা।

সে আলো জ্বালি- সে প্রাণে ঢালি মরণ অঙ্গীকার
সে ক্ষতবুক কিনার জুড়ে শিবির প্রতিরোধের।
আবার যবে আলোর দিনে হীরণ-শিহরণ,
সুখের ঘর গড়বে বধূ অনির্বচনীয়।

Leave a Reply to Piu Das Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *