অতিক্রম (রাত্রির বিশাল মুখ বাতায়নে উঁকি দেয় কালো)

অতিক্রম

রাত্রির বিশাল মুখ বাতায়নে উঁকি দেয় কালো,
একাকী রয়েছি বসে অরণ্যের বাংলোর ঘরে।
আকাশে নেইকো আলো, পৃথিবীর নিভে গেছে আলো
অরণ্যের অন্ধকার ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘরে।
অন্ধকার সমুদ্রের মাঝে আমি ডুবে আছি একা।
কণ্টকিত অন্ধকারে চেতনায় অবসাদ ক্ষরে।
এ হৃদয়ে আশা নেই, হাস্যহীন জাগে শুধু ভয়।
ভয়ের তরঙ্গ ওঠে অরণ্যের অন্ধকার হতে।
অদূরে পর্বত কালো আগন্তুক দস্যুব ইঙ্গিত।
জনশূন্য অরণ্যের কণ্টকিত অন্ধকার স্রোতে
স্তব্ধতা মথিত করে পিছু থেকে মর্মরিত ভয়
মুঠিতে আমাব ক্লিষ্ট স্নায়ু চেপে মুখে চেয়ে রয়।

বিতৃষ্ণার তরণীতে তোমাকে করেছি কবে দূর,
আছে শুধু জনশূন্য অরণ্য ও পর্বত বন্ধুর।
আর আছে নবাগত অজ্ঞাত এ রাত্রির আঁধার,
নিদ্রাহীন ভয় আছে অগুণ্ঠিত পৃথিবীর পাশে,
বিনিদ্র আমার ভয় অরণ্যের বিদেশী নিঃশ্বাসে।
করেছি তোমাকে দূর বিধাতার কল্পিত আশ্বাসে—
সে কল্পনা পলাতকা জনহীন স্তব্ধ অন্ধকারে।

১৯৩১

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *